ঢাকা ০৩:৪৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১০ মে ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

বন গবেষণার দুই কর্মচারীকে হয়রানির অভিযোগ

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০২:১৮:৩৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ৭ নভেম্বর ২০২২
  • / ৪৩৮ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

তুহিন রাজ, রাঙ্গাবালী (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি :

গবেষণা কেন্দ্রের সরকারী সম্পদ রক্ষায় পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলায় প্লান্টেশন ট্রায়েল ইউনিট বিভাগের রাঙ্গাবালী বন গবেষণা কেন্দ্রের দুই কর্মচারীকে হয়রানির অভিযোগ উঠেছে। বন ও পরিবেশ সংরক্ষণ এবং সরকারি কাজে ব্যাবহৃত বন ও ফলজ বৃক্ষের নার্সারীতে মাটি ও বালু ভরাট করে দখল করার প্রতিবাদ করতে গেলে তাদের হয়রানি করা হচ্ছে বলে দাবী করছেন ওই দুই কর্মচারী।

জানাগেছে, রাঙ্গাবালী বন গবেষণা কেন্দ্রের উত্তর পার্শ্বে অবস্থিত গহীনখালী খাল কাজিরহাওলা মূল সড়কের মধ্যবর্তী স্থানটিতে দীর্ঘ দুই দশকের পুরাতন ম্যানগ্রোভ প্রজাতির সুন্দরী, গেওয়া, কিরপা, খলশী, হেতাল, গড়ানসহ বিরল প্রজাতির সংরক্ষিত প্রায় ৪০ হাজার মাতৃবৃক্ষের সংরক্ষণ রয়েছে। যা স্থানীয় সংবাদকর্মী পরিচয় দিয়ে কয়েকজন প্রভাবশালী ব্যক্তি ওই গবেষণা কেন্দ্রের মূল্যবান গাছগুলো নষ্ট করে জমি দখলের পায়তারা চালাচ্ছিল। এসময় রাঙ্গাবালী বন গবেষণা কেন্দ্রের স্পীড বোট ড্রাইভার মো. মোস্তফা ও নৌকা চালক হারুন অর রশিদ প্রতিবাদ করেন। ফলে জমি দখলে ব্যর্থ হয়ে ওই দুই কর্মচারীর বিরুদ্ধে কয়েকটি গণমাধ্যমে উদ্দেশ্য প্রণোদিত সংবাদ প্রকাশ করে তাদের হয়রানি করা হচ্ছে।

এঘটনায় হয়রানির শিকার ওই দুই কর্মচারী রাঙ্গাবালী প্রেসক্লাবে গিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন।

তাদের দাবি, সুন্দরবণ থেকে বিভিন্ন প্রজাতির বৃক্ষের বীজ সংগ্রহ করে রাঙ্গাবালী বন গবেষণা কেন্দ্রের সামনে একটি নার্সারী করা হয়েছে। স্থানীয় দুই সংবাদকর্মী সেই গাছ নষ্ট করে জমি দখল করতে গেলে বাঁধা প্রদান করলে আমাদের বিরুদ্ধে উদ্দেশ্য প্রণোদিত সংবাদ প্রকাশ করে আসছে। তারা আরও বলেন, ওই নিউজে উল্লেখ করেছেন তিন যুগ ধরে আমরা বহাল তবিয়তে একই অফিসে চাকুরী করে আসছি। অথছ আমাদের চাকুরী সার্ভিসের বয়সের তিনযুগ হয়নি । এছাড়া লিখেছেন বন মামলা ভয় দেখিয়ে হয়রানি করছি কিন্তু আমরা সামান্য স্পীড বোট ও নৌকা চালক মামলা দেয়ার এখতিয়ার নেই আমাদের।

বা/খ:জই

নিউজটি শেয়ার করুন

বন গবেষণার দুই কর্মচারীকে হয়রানির অভিযোগ

আপডেট সময় : ০২:১৮:৩৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ৭ নভেম্বর ২০২২

তুহিন রাজ, রাঙ্গাবালী (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি :

গবেষণা কেন্দ্রের সরকারী সম্পদ রক্ষায় পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলায় প্লান্টেশন ট্রায়েল ইউনিট বিভাগের রাঙ্গাবালী বন গবেষণা কেন্দ্রের দুই কর্মচারীকে হয়রানির অভিযোগ উঠেছে। বন ও পরিবেশ সংরক্ষণ এবং সরকারি কাজে ব্যাবহৃত বন ও ফলজ বৃক্ষের নার্সারীতে মাটি ও বালু ভরাট করে দখল করার প্রতিবাদ করতে গেলে তাদের হয়রানি করা হচ্ছে বলে দাবী করছেন ওই দুই কর্মচারী।

জানাগেছে, রাঙ্গাবালী বন গবেষণা কেন্দ্রের উত্তর পার্শ্বে অবস্থিত গহীনখালী খাল কাজিরহাওলা মূল সড়কের মধ্যবর্তী স্থানটিতে দীর্ঘ দুই দশকের পুরাতন ম্যানগ্রোভ প্রজাতির সুন্দরী, গেওয়া, কিরপা, খলশী, হেতাল, গড়ানসহ বিরল প্রজাতির সংরক্ষিত প্রায় ৪০ হাজার মাতৃবৃক্ষের সংরক্ষণ রয়েছে। যা স্থানীয় সংবাদকর্মী পরিচয় দিয়ে কয়েকজন প্রভাবশালী ব্যক্তি ওই গবেষণা কেন্দ্রের মূল্যবান গাছগুলো নষ্ট করে জমি দখলের পায়তারা চালাচ্ছিল। এসময় রাঙ্গাবালী বন গবেষণা কেন্দ্রের স্পীড বোট ড্রাইভার মো. মোস্তফা ও নৌকা চালক হারুন অর রশিদ প্রতিবাদ করেন। ফলে জমি দখলে ব্যর্থ হয়ে ওই দুই কর্মচারীর বিরুদ্ধে কয়েকটি গণমাধ্যমে উদ্দেশ্য প্রণোদিত সংবাদ প্রকাশ করে তাদের হয়রানি করা হচ্ছে।

এঘটনায় হয়রানির শিকার ওই দুই কর্মচারী রাঙ্গাবালী প্রেসক্লাবে গিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন।

তাদের দাবি, সুন্দরবণ থেকে বিভিন্ন প্রজাতির বৃক্ষের বীজ সংগ্রহ করে রাঙ্গাবালী বন গবেষণা কেন্দ্রের সামনে একটি নার্সারী করা হয়েছে। স্থানীয় দুই সংবাদকর্মী সেই গাছ নষ্ট করে জমি দখল করতে গেলে বাঁধা প্রদান করলে আমাদের বিরুদ্ধে উদ্দেশ্য প্রণোদিত সংবাদ প্রকাশ করে আসছে। তারা আরও বলেন, ওই নিউজে উল্লেখ করেছেন তিন যুগ ধরে আমরা বহাল তবিয়তে একই অফিসে চাকুরী করে আসছি। অথছ আমাদের চাকুরী সার্ভিসের বয়সের তিনযুগ হয়নি । এছাড়া লিখেছেন বন মামলা ভয় দেখিয়ে হয়রানি করছি কিন্তু আমরা সামান্য স্পীড বোট ও নৌকা চালক মামলা দেয়ার এখতিয়ার নেই আমাদের।

বা/খ:জই