ঢাকা ০৫:৫২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০১ মে ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

ফরিদপুরের কানাইপুরে বাস পিক-আপ সংঘর্ষে এক পরিবারের চারজনসহ নিহত বেড়ে ১৩

বিশেষ প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ০১:০৮:২২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪
  • / ৪৬১ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ফরিদপুরের কানাইপুরে ঘটনাস্থলে ১১ জন এবং হাসপাতালে আনার পরে আরও দুজনের মোট ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এদেরমধ্যে একই পরিবারের সদস্য আছে চার জন। ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই দুইজন মারা গেছে।

এক পরিবারের নিহত চার জনের পরিচয় পাওয়া গেছে। এরা হলেন, ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার শেখর ইউনিয়নের বেজিডাঙ্গা গ্রামের বাসিন্দা তারা মোল্লার ছেলে রফিক মোল্লা (৩৫)। রফিকের স্ত্রী সুমী বেগম (২৩), দুই ছেলে রুহান মোল্লা (৬) ও হাবিব মোল্লা (৩)। এই পরিবারের আহত রফিকের মা হুরি বেগম (৬০) আহত হয়ে শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। নিহত আরেক জনের পরিচয় পাওয়া গেছে তিনি হলেন মর্জিনা বেগম। তিনি শেখর ইউনিয়নের বাসিন্দা। এছাড়া নিহত বাকিদের পরিচয় জানা যায়নি।

রফিক ঢাকায় একটি সরকারি অফিসে লিফট ম্যান হিসেবে কর্মরত ছিলেন। ঈদের ছুটি শেষ করে তিনি মা, স্ত্রী ও দুই ছেলেকে নিয়ে পিকআপে করে ঢাকায় যাচ্ছিলেন বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। এছাড়া আরেকজনের পরিচয় পাওয়া গেছে তিনি হলেন বোয়ালমারী উপজেলার কুমরাইল গ্রামের ইকবাল হোসেনের স্ত্রী পপি বেগম। এই ঘটনার গুরুতর আহত ইকবাল হোসেনকে ঢাকা স্থানান্তর করা হয়েছে। আর তাদের শিশুসন্তান আহত অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু কলেজ হাসপাতালে ভারপ্রাপ্ত পরিচালক ডাক্তার দীপক কুমার বিশ্বাস জানান, হাসপাতাল আনার পরে দুইজনের মৃত্যু হয়েছে, গুরুতর আহত অবস্থায় একজনকে ঢাকায় স্থানান্তর করা হয়েছে, অন্য পাঁচ জন বর্তমানে চিকিৎসাধীন রয়েছে। তবে তারা সংখ্যামুক্ত বলেও দাবি করেন তিনি।

ফরিদপুরের পুলিশ সুপার মোঃ মোর্শেদ আলম জানান, দুর্ঘটনার পর পরই খবর পেয়ে পুলিশের উপস্থিত হয়ে উদ্ধার কাজে অংশ নেন। তিনি জানান ওই সড়কের যান চলাচল বর্তমানে স্বাভাবিক রয়েছে। তিনি জানান দ্রুতগতির কারণেই এই দুর্ঘটনাটি ঘটে।

অপরদিকে ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক মোঃ কামরুল আহসান তালুকদার জানান, ঘটনা হতাহতদের খোঁজখবর রাখছে জেলা প্রশাসন। আহতদের চিকিৎসা নিশ্চিত করতে কাজ করছেন তারা। প্লিজ জানান নিহতদের প্রত্যককে তাৎক্ষণিক টাকা করে দেয়া হচ্ছে। এছাড়া সরকার ঘোষিত পাঁচ লাখ টাকা প্রতি পরিবারকে দেয়া হবে। তিনি জানান দ্রুততম সময়ের মধ্যে নিহতদের পরিচয় সনাক্ত করে তাদের কাছে লাশ হস্তান্তরের ব্যাপারে সজাগ রয়েছে প্রশাসন।

 

বাখ//আর

নিউজটি শেয়ার করুন

ফরিদপুরের কানাইপুরে বাস পিক-আপ সংঘর্ষে এক পরিবারের চারজনসহ নিহত বেড়ে ১৩

আপডেট সময় : ০১:০৮:২২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪

ফরিদপুরের কানাইপুরে ঘটনাস্থলে ১১ জন এবং হাসপাতালে আনার পরে আরও দুজনের মোট ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এদেরমধ্যে একই পরিবারের সদস্য আছে চার জন। ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই দুইজন মারা গেছে।

এক পরিবারের নিহত চার জনের পরিচয় পাওয়া গেছে। এরা হলেন, ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার শেখর ইউনিয়নের বেজিডাঙ্গা গ্রামের বাসিন্দা তারা মোল্লার ছেলে রফিক মোল্লা (৩৫)। রফিকের স্ত্রী সুমী বেগম (২৩), দুই ছেলে রুহান মোল্লা (৬) ও হাবিব মোল্লা (৩)। এই পরিবারের আহত রফিকের মা হুরি বেগম (৬০) আহত হয়ে শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। নিহত আরেক জনের পরিচয় পাওয়া গেছে তিনি হলেন মর্জিনা বেগম। তিনি শেখর ইউনিয়নের বাসিন্দা। এছাড়া নিহত বাকিদের পরিচয় জানা যায়নি।

রফিক ঢাকায় একটি সরকারি অফিসে লিফট ম্যান হিসেবে কর্মরত ছিলেন। ঈদের ছুটি শেষ করে তিনি মা, স্ত্রী ও দুই ছেলেকে নিয়ে পিকআপে করে ঢাকায় যাচ্ছিলেন বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। এছাড়া আরেকজনের পরিচয় পাওয়া গেছে তিনি হলেন বোয়ালমারী উপজেলার কুমরাইল গ্রামের ইকবাল হোসেনের স্ত্রী পপি বেগম। এই ঘটনার গুরুতর আহত ইকবাল হোসেনকে ঢাকা স্থানান্তর করা হয়েছে। আর তাদের শিশুসন্তান আহত অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু কলেজ হাসপাতালে ভারপ্রাপ্ত পরিচালক ডাক্তার দীপক কুমার বিশ্বাস জানান, হাসপাতাল আনার পরে দুইজনের মৃত্যু হয়েছে, গুরুতর আহত অবস্থায় একজনকে ঢাকায় স্থানান্তর করা হয়েছে, অন্য পাঁচ জন বর্তমানে চিকিৎসাধীন রয়েছে। তবে তারা সংখ্যামুক্ত বলেও দাবি করেন তিনি।

ফরিদপুরের পুলিশ সুপার মোঃ মোর্শেদ আলম জানান, দুর্ঘটনার পর পরই খবর পেয়ে পুলিশের উপস্থিত হয়ে উদ্ধার কাজে অংশ নেন। তিনি জানান ওই সড়কের যান চলাচল বর্তমানে স্বাভাবিক রয়েছে। তিনি জানান দ্রুতগতির কারণেই এই দুর্ঘটনাটি ঘটে।

অপরদিকে ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক মোঃ কামরুল আহসান তালুকদার জানান, ঘটনা হতাহতদের খোঁজখবর রাখছে জেলা প্রশাসন। আহতদের চিকিৎসা নিশ্চিত করতে কাজ করছেন তারা। প্লিজ জানান নিহতদের প্রত্যককে তাৎক্ষণিক টাকা করে দেয়া হচ্ছে। এছাড়া সরকার ঘোষিত পাঁচ লাখ টাকা প্রতি পরিবারকে দেয়া হবে। তিনি জানান দ্রুততম সময়ের মধ্যে নিহতদের পরিচয় সনাক্ত করে তাদের কাছে লাশ হস্তান্তরের ব্যাপারে সজাগ রয়েছে প্রশাসন।

 

বাখ//আর