ঢাকা ০৪:০২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০১ মে ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

পাগলা মসজিদের নতুন রেকর্ড!

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৬:২২:৩৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ৮ জানুয়ারী ২০২৩
  • / ৪২৯ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

মোঃ হেলাল উদ্দিন, কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি :

শনিবার (৭ জানুয়ারি) দিনব্যাপী গণনার পর সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় দানের টাকার এই হিসাব দেখে জানা গেল অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে এবার নতুন রেকর্ড সৃষ্টি করলো কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের দানবাক্সের দানকৃত টাকা। ৩ মাস ৬ দিন পর মসজিদের ৮ টি দান বাক্স খুলে পাওয়া গেল ৪ কোটি ১৮ লাখ ১৬ হাজার ৭৪৪ টাকা। এছাড়াও রয়েছে বিভিন্ন দেশের বৈদেশিক মুদ্রাসহ স্বর্ণালঙ্কার। প্রথম বারের মতো এবার হীরের গয়নাও পাওয়া গেছে বলে জানা যায়।

এর আগে গত বছরের ১ অক্টোবর সর্বশেষ পাগলা মসজিদের দান বাক্স খুলে পাওয়া গিয়েছিল খোলা ৩ কোটি ৮৯ লাখ ৭০ হাজার ৮৮২ টাকা পাওয়া গিয়েছিল। যেটা ছিল তখনকার সময়ে সবোর্চ্চ রেকর্ড।

শনিবার সকাল ৯টায় জেলা প্রশাসনের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাগণের উপস্থিতিতে পাগলা মসজিদের ৮টি দান বাক্স খোলা হয়। পরে টাকা গুলো ২০ টি বস্তায় ভরে মসজিদের দুতলায় নিয়ে গণনার কাজ শুরু হয়। দিনব্যাপী গণনার জন্য মসজিদ মাদরাসার ছাত্র, রূপালী ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং মসজিদ মাদরাসার কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ অংশ নেন।

কিশোরগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এটিএম ফরহাদ চৌধুরীর তত্ত্বাবধানে জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার সুলতানা রাজিয়া, অহনা জিন্নাত, শেখ জাবের আহমেদ, মোছা. নাবিলা ফেরদৌস, মো. মাহমুদুল হাসান ও রওশন কবির, পাগলা মসজিদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. শওকত উদ্দীন ভূঞা, রূপালী ব্যংকের এজিএম মো. রফিকুল ইসলাম, পাগলা মসজিদ কমিটির সদস্য সিনিয়র সাংবাদিক সাইফুল হক মোল্লা প্রমুখ টাকা গণনার কাজ তদারকি করেন।

কিশোরগঞ্জ শহরের ঐতিহাসিক স্থাপনার মধ্যে পাগলা মসজিদ অন্যতম একটি প্রতিষ্ঠান। শহরের পশ্চিমে হারুয়া এলাকায় নরসুন্দা নদীর তীরে মাত্র ১০ শতাংশ ভূমির ওপর এই মসজিদটি গড়ে উঠেছিল। সময়ের বিবর্তনে আজ এ মসজিদের পরিধির সাথে সাথে বেড়েছে এর খ্যাতি ও ঐতিহাসিক মূল্যও। মসজিদকে কেন্দ্র করে একটি অত্যাধুনিক ধর্মীয় কমপ্লেক্স এখানে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। সম্প্রসারিত হয়েছে মূল মসজিদ ভবন।

কথিত আছে, মনের বাসনা পূরণে খাস নিয়তে এই মসজিদে মানত করলে নাকি মনের বাসনা পূরণ হয়। এমন বিশ্বাস ধারণ করে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে বিভিন্ন ধর্মের নানান শ্রেণী পেশার মানুষজন দান করে থাকেন। শুধু টাকা পয়সায় নয় এখানে গরু ছাগল, হাঁস মুরগিসহ বিভিন্ন ফল ফলাদিও দান করে থাকেন।

বা/খ:জই

নিউজটি শেয়ার করুন

পাগলা মসজিদের নতুন রেকর্ড!

আপডেট সময় : ০৬:২২:৩৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ৮ জানুয়ারী ২০২৩

মোঃ হেলাল উদ্দিন, কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি :

শনিবার (৭ জানুয়ারি) দিনব্যাপী গণনার পর সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় দানের টাকার এই হিসাব দেখে জানা গেল অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে এবার নতুন রেকর্ড সৃষ্টি করলো কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের দানবাক্সের দানকৃত টাকা। ৩ মাস ৬ দিন পর মসজিদের ৮ টি দান বাক্স খুলে পাওয়া গেল ৪ কোটি ১৮ লাখ ১৬ হাজার ৭৪৪ টাকা। এছাড়াও রয়েছে বিভিন্ন দেশের বৈদেশিক মুদ্রাসহ স্বর্ণালঙ্কার। প্রথম বারের মতো এবার হীরের গয়নাও পাওয়া গেছে বলে জানা যায়।

এর আগে গত বছরের ১ অক্টোবর সর্বশেষ পাগলা মসজিদের দান বাক্স খুলে পাওয়া গিয়েছিল খোলা ৩ কোটি ৮৯ লাখ ৭০ হাজার ৮৮২ টাকা পাওয়া গিয়েছিল। যেটা ছিল তখনকার সময়ে সবোর্চ্চ রেকর্ড।

শনিবার সকাল ৯টায় জেলা প্রশাসনের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাগণের উপস্থিতিতে পাগলা মসজিদের ৮টি দান বাক্স খোলা হয়। পরে টাকা গুলো ২০ টি বস্তায় ভরে মসজিদের দুতলায় নিয়ে গণনার কাজ শুরু হয়। দিনব্যাপী গণনার জন্য মসজিদ মাদরাসার ছাত্র, রূপালী ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং মসজিদ মাদরাসার কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ অংশ নেন।

কিশোরগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এটিএম ফরহাদ চৌধুরীর তত্ত্বাবধানে জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার সুলতানা রাজিয়া, অহনা জিন্নাত, শেখ জাবের আহমেদ, মোছা. নাবিলা ফেরদৌস, মো. মাহমুদুল হাসান ও রওশন কবির, পাগলা মসজিদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. শওকত উদ্দীন ভূঞা, রূপালী ব্যংকের এজিএম মো. রফিকুল ইসলাম, পাগলা মসজিদ কমিটির সদস্য সিনিয়র সাংবাদিক সাইফুল হক মোল্লা প্রমুখ টাকা গণনার কাজ তদারকি করেন।

কিশোরগঞ্জ শহরের ঐতিহাসিক স্থাপনার মধ্যে পাগলা মসজিদ অন্যতম একটি প্রতিষ্ঠান। শহরের পশ্চিমে হারুয়া এলাকায় নরসুন্দা নদীর তীরে মাত্র ১০ শতাংশ ভূমির ওপর এই মসজিদটি গড়ে উঠেছিল। সময়ের বিবর্তনে আজ এ মসজিদের পরিধির সাথে সাথে বেড়েছে এর খ্যাতি ও ঐতিহাসিক মূল্যও। মসজিদকে কেন্দ্র করে একটি অত্যাধুনিক ধর্মীয় কমপ্লেক্স এখানে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। সম্প্রসারিত হয়েছে মূল মসজিদ ভবন।

কথিত আছে, মনের বাসনা পূরণে খাস নিয়তে এই মসজিদে মানত করলে নাকি মনের বাসনা পূরণ হয়। এমন বিশ্বাস ধারণ করে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে বিভিন্ন ধর্মের নানান শ্রেণী পেশার মানুষজন দান করে থাকেন। শুধু টাকা পয়সায় নয় এখানে গরু ছাগল, হাঁস মুরগিসহ বিভিন্ন ফল ফলাদিও দান করে থাকেন।

বা/খ:জই