ঢাকা ০১:০৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৭ মে ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

পটুয়াখালীতে জেলা বিএনপির জনসমাবেশে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া : সাংবাদিকসহ উভয়পক্ষের আহত ৫০

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৭:৪৭:০১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২০ মে ২০২৩
  • / ৪৪২ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

// মোঃ জাকির হোসেন, পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধি //

কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে আজ সকাল ১০ টায় পটুয়াখালী জেলা বিএনপির কার্যলয়ের সামনে জনসমাবেশ স্থলে প্রধান অতিথি আব্দুল আউয়াল মিন্টু পৌছাঁর আগেই আওয়ামী লীগ নেতা কর্মীদের সঙ্গে বিএনপির সংঘর্ষ শুরু হয়। সমাবেশের শুরুর দিকে কেন্দ্রীয় প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক এবিএম মোশারেফ হোসেনের বক্তব্য চলাকালে বেলা ১১টার দিকে জেলা ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক তানভির হাসান আরিফের নেতৃত্বে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা সমাবেশ স্থলে আসার চেষ্টা করলে উভয় দলের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ লাঠিচার্জ ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে এতে সমাবেশ পন্ড হয়ে যায়। এ ঘটনায় উভয়পক্ষের কমপক্ষে  ৫০ জন আহত হয়েছে। এ সময় মাইটিভির সাংবাদিক মশিউর রহমান বাবলু ও সময় টিভির সুজন দাস ইটের আঘাতে আহত হন।

জেলা বিএনপির সদস্য সচিব স্নেহাংশু সরকার কুট্রি বলেন, “আমরা শান্তিপূর্ণভাবে সমাবেশ করার চেষ্ট করলে আমাদের উপর অর্তকিত হামলা চালায় আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগের, স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতাকর্মীরা । এতে আমাদের অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী আহত হয়েছে; তবে এ সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে বলে তিনি ধারনা করা হচ্ছে।

আহতরা হলেন, বাউফল স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি খলিলুর রহমান, তোফাজ্জেল হোসেন, সোহেল রানা রাসেল, রায়হান, লিটন, মিলন, বসার, মোশারেফ, শামিম, কামরুল, কাজল, জিসান, লেনিন, কামরুজ্জামান, রাসেল, কবির, মনির। এদের মধ্যে সোহেল রানা, ও মোশারেফকে গুরুতর জখম অবস্থায় পটুয়াখালী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।”

অন্যদিকে, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কাজী আলমগীর বলেন, “বিএনপি আমাদের দায়ী করেছেন হামলার জন্য এটা সঠিক নয়। পটুয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের তিতাস মোড়ে নির্ধিারিত সমাবেশ স্থলে আমি সকাল ১০ টার পরে সভা শুরু করি । ওই সভায় ছাত্র লীগের একটি মিছিল বিএনপির সমাবেশ স্থলের নিকটবর্তী পটুয়াখালী পৌরসভার মোড় অতিক্রমকালে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা তাদের উপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে হামলা চালায়।এতে আমাদের ছাত্রলীগের কমপক্ষে ৮ জন নেতাকর্মী আহত জখম প্রাপ্ত হয়। খবর পেয়ে ৩ থেকে ৪শ’ নেতাকর্মী নিয়ে আমি মুসলিম পাড়া মোড়ে আসি। সেখানে আমি শান্তিপূর্ণভাবে সভা করি। গুরতর আহত ২ জনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান হয়েছে।”

পটুয়াখালীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আহম্মেদ মাইনুল হাসান জানান, “দুই পক্ষই ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। তখন আমরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে তিন রাউন্ড টিয়ার গ্যাস নিক্ষেপ করি। পরবর্তিতে উভয়পক্ষের নেতৃবৃন্দকে বুঝিয়ে নেয়ার পর তারা তাদের নেতাকর্মীদের সড়িয়ে নিয়ে যান।

নিউজটি শেয়ার করুন

পটুয়াখালীতে জেলা বিএনপির জনসমাবেশে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া : সাংবাদিকসহ উভয়পক্ষের আহত ৫০

আপডেট সময় : ০৭:৪৭:০১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২০ মে ২০২৩

// মোঃ জাকির হোসেন, পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধি //

কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে আজ সকাল ১০ টায় পটুয়াখালী জেলা বিএনপির কার্যলয়ের সামনে জনসমাবেশ স্থলে প্রধান অতিথি আব্দুল আউয়াল মিন্টু পৌছাঁর আগেই আওয়ামী লীগ নেতা কর্মীদের সঙ্গে বিএনপির সংঘর্ষ শুরু হয়। সমাবেশের শুরুর দিকে কেন্দ্রীয় প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক এবিএম মোশারেফ হোসেনের বক্তব্য চলাকালে বেলা ১১টার দিকে জেলা ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক তানভির হাসান আরিফের নেতৃত্বে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা সমাবেশ স্থলে আসার চেষ্টা করলে উভয় দলের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ লাঠিচার্জ ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে এতে সমাবেশ পন্ড হয়ে যায়। এ ঘটনায় উভয়পক্ষের কমপক্ষে  ৫০ জন আহত হয়েছে। এ সময় মাইটিভির সাংবাদিক মশিউর রহমান বাবলু ও সময় টিভির সুজন দাস ইটের আঘাতে আহত হন।

জেলা বিএনপির সদস্য সচিব স্নেহাংশু সরকার কুট্রি বলেন, “আমরা শান্তিপূর্ণভাবে সমাবেশ করার চেষ্ট করলে আমাদের উপর অর্তকিত হামলা চালায় আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগের, স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতাকর্মীরা । এতে আমাদের অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী আহত হয়েছে; তবে এ সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে বলে তিনি ধারনা করা হচ্ছে।

আহতরা হলেন, বাউফল স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি খলিলুর রহমান, তোফাজ্জেল হোসেন, সোহেল রানা রাসেল, রায়হান, লিটন, মিলন, বসার, মোশারেফ, শামিম, কামরুল, কাজল, জিসান, লেনিন, কামরুজ্জামান, রাসেল, কবির, মনির। এদের মধ্যে সোহেল রানা, ও মোশারেফকে গুরুতর জখম অবস্থায় পটুয়াখালী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।”

অন্যদিকে, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কাজী আলমগীর বলেন, “বিএনপি আমাদের দায়ী করেছেন হামলার জন্য এটা সঠিক নয়। পটুয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের তিতাস মোড়ে নির্ধিারিত সমাবেশ স্থলে আমি সকাল ১০ টার পরে সভা শুরু করি । ওই সভায় ছাত্র লীগের একটি মিছিল বিএনপির সমাবেশ স্থলের নিকটবর্তী পটুয়াখালী পৌরসভার মোড় অতিক্রমকালে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা তাদের উপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে হামলা চালায়।এতে আমাদের ছাত্রলীগের কমপক্ষে ৮ জন নেতাকর্মী আহত জখম প্রাপ্ত হয়। খবর পেয়ে ৩ থেকে ৪শ’ নেতাকর্মী নিয়ে আমি মুসলিম পাড়া মোড়ে আসি। সেখানে আমি শান্তিপূর্ণভাবে সভা করি। গুরতর আহত ২ জনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান হয়েছে।”

পটুয়াখালীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আহম্মেদ মাইনুল হাসান জানান, “দুই পক্ষই ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। তখন আমরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে তিন রাউন্ড টিয়ার গ্যাস নিক্ষেপ করি। পরবর্তিতে উভয়পক্ষের নেতৃবৃন্দকে বুঝিয়ে নেয়ার পর তারা তাদের নেতাকর্মীদের সড়িয়ে নিয়ে যান।