ঢাকা ০৫:৫৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

দলে ফিরতেই এমপির রোশানলের শিকার মেয়র

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৫:৪৫:০৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ মে ২০২৩
  • / ৪৭০ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি
// সিনিয়র রিপোর্টার, সিরাজগঞ্জ //
গত এক মাস আগে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাধারণ ক্ষমা পেয়ে দলের সক্রিয় হন বেলকুচি পৌরসভার মেয়র সাজ্জাদুল হক রেজা।  এর পর থেকেই এমপি ও এমপির সর্মথকদের দ্বারা নানা ভাবে হয়রানির শিকার ও উন্নয়ন কর্মকান্ডে বিঘ্নিত হচ্ছেন বলে অভিযোগ মেয়রের। গত ৩০ এপ্রিল পৌরসভার সৌন্দর্য বর্ধনের জন্য পৌর এলাকায় এমপির ৪ টি স্থায়ী তোরণ অপসারনের জন্য নোটিশ করায় ক্ষুদ্ধ হন বেলকুচি-চৌহালী আসনের সংসদ সদস্য আব্দুল মমিন মন্ডল।  মেয়রের দাবী, এরই জের ধরে ১৩ মে বিকেলে উপজেলার আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে আমার উপস্থিতির কথা শুনে এমপির এপিএস সেলিম সরকার দলবল ও প্রশাসনের সহযোগীতায় আমাদের উপর হামলা করে।  প্রশাসনের সহযোগীতায় দলীয় নেতাকর্মীদের মারপিট করে আহত করে আবার আমাকে আসামী করে ভিত্তিহীন ও ষড়যন্ত্রমূলক মামলা দায়ের করে। মঙ্গলবার দুপুরে বেলকুচি পৌরসভার হলরুমে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি আরো বলেন, স্থানীয় পরিবহন মালিক শ্রমিক ও সাধারনের মানুষের অভিযোগের ভিত্তিতে স্থানীয় সংসদ সদস্যের নির্মিত স্থায়ী তোরণ অপসারনের নোটিশ করলে তার সর্মথকরাই পরিকল্পিতভাবে আমাদের নেতাকর্মীদের উপর হামলা চালিয়ে আহত করে। উল্টো তারাই আমাদের নামে মিথ্যা দুইটি মামলা দিয়ে আমাদের হেনস্থা করছে। মেয়র উন্নয়নের বিষয়ে বলেন, স্থানীয় সরকারের অধীনে পৌরসভার যে কোন উন্নয়নমূলক কাজের জন্য এমপি মহোদয়ের ডিও লেটারের প্রয়োজন হয়। তিনি পৌরসভার উন্নয়নের কোন প্রকার ডিও লেটার প্রদান করেন না।  এতে পৌরসভার বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজের বাঁধাগ্রস্থ হচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, বেলকুচি শান্ত পরিবেশ অশান্ত করতে একটি চক্র বরাবরই তৎপর আছে। খুব অল্প সময়ের মধ্যেই জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এ সময় নিজেদের মধ্যে এমন বিভক্ততা দলে বির্পয়য় ডেকে আনতে পারে। তাই দলে কোন বিভেদ তার কাম্য নয়। নিজেদের ব্যাক্তিগত ক্রোধকে সামাল দেয়ারও আহবান জানান মেয়র।
এ বিষয়ে বেলকুচি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আসলাম হোসেন বলেন, পৌর ছাত্রলীগ সেদিন একটি বিক্ষোভ কর্মসূচী করার সময় মেয়রের লোকজন তাদের উপর হামলা করে। আমরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে উভয় পক্ষকে দলীয় কার্যালয় থেকে সরিয়ে দেই। তিনি বলেন, আমাদের সহোযোগীতার বিষয়ে মেয়রের বক্তব্য পুরোপুরি মিথ্যা।
এ বিষয়ে বেলকুচি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক আশানুর বিশ্বাস এর আগেই বলেন, সেদিন দলীয় কার্যালয়ে কোন রাজনৈতিক প্রোগ্রাম ছিলো না। তবে কেউ যদি ব্যাক্তিগত কোন প্রোগ্রাম করে তবে তার দায়ভার তাকেই নিতে হবে।
এ বিষয়ে বেলকুচি-চৌহালী আসনের সংসদ সদস্য আব্দুল মমিন মন্ডল দেশের বাইরে অবস্থান করার জন্য তার বক্তব্য পাওয়া সম্ভব হয়নি।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন পৌর প্যানেল মেয়র মোহাম্মদ ইকবাল রানা, কাউন্সিলর শহিদুল ইসলাম, তারেক সরকার, মহিলা কাউন্সিলর স্বর্ণা পারভিন, নার্গিস বেগম উষাসহ পৌরসভার কর্মচারী কর্মকর্তাবৃন্দ।

নিউজটি শেয়ার করুন

দলে ফিরতেই এমপির রোশানলের শিকার মেয়র

আপডেট সময় : ০৫:৪৫:০৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ মে ২০২৩
// সিনিয়র রিপোর্টার, সিরাজগঞ্জ //
গত এক মাস আগে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাধারণ ক্ষমা পেয়ে দলের সক্রিয় হন বেলকুচি পৌরসভার মেয়র সাজ্জাদুল হক রেজা।  এর পর থেকেই এমপি ও এমপির সর্মথকদের দ্বারা নানা ভাবে হয়রানির শিকার ও উন্নয়ন কর্মকান্ডে বিঘ্নিত হচ্ছেন বলে অভিযোগ মেয়রের। গত ৩০ এপ্রিল পৌরসভার সৌন্দর্য বর্ধনের জন্য পৌর এলাকায় এমপির ৪ টি স্থায়ী তোরণ অপসারনের জন্য নোটিশ করায় ক্ষুদ্ধ হন বেলকুচি-চৌহালী আসনের সংসদ সদস্য আব্দুল মমিন মন্ডল।  মেয়রের দাবী, এরই জের ধরে ১৩ মে বিকেলে উপজেলার আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে আমার উপস্থিতির কথা শুনে এমপির এপিএস সেলিম সরকার দলবল ও প্রশাসনের সহযোগীতায় আমাদের উপর হামলা করে।  প্রশাসনের সহযোগীতায় দলীয় নেতাকর্মীদের মারপিট করে আহত করে আবার আমাকে আসামী করে ভিত্তিহীন ও ষড়যন্ত্রমূলক মামলা দায়ের করে। মঙ্গলবার দুপুরে বেলকুচি পৌরসভার হলরুমে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি আরো বলেন, স্থানীয় পরিবহন মালিক শ্রমিক ও সাধারনের মানুষের অভিযোগের ভিত্তিতে স্থানীয় সংসদ সদস্যের নির্মিত স্থায়ী তোরণ অপসারনের নোটিশ করলে তার সর্মথকরাই পরিকল্পিতভাবে আমাদের নেতাকর্মীদের উপর হামলা চালিয়ে আহত করে। উল্টো তারাই আমাদের নামে মিথ্যা দুইটি মামলা দিয়ে আমাদের হেনস্থা করছে। মেয়র উন্নয়নের বিষয়ে বলেন, স্থানীয় সরকারের অধীনে পৌরসভার যে কোন উন্নয়নমূলক কাজের জন্য এমপি মহোদয়ের ডিও লেটারের প্রয়োজন হয়। তিনি পৌরসভার উন্নয়নের কোন প্রকার ডিও লেটার প্রদান করেন না।  এতে পৌরসভার বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজের বাঁধাগ্রস্থ হচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, বেলকুচি শান্ত পরিবেশ অশান্ত করতে একটি চক্র বরাবরই তৎপর আছে। খুব অল্প সময়ের মধ্যেই জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এ সময় নিজেদের মধ্যে এমন বিভক্ততা দলে বির্পয়য় ডেকে আনতে পারে। তাই দলে কোন বিভেদ তার কাম্য নয়। নিজেদের ব্যাক্তিগত ক্রোধকে সামাল দেয়ারও আহবান জানান মেয়র।
এ বিষয়ে বেলকুচি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আসলাম হোসেন বলেন, পৌর ছাত্রলীগ সেদিন একটি বিক্ষোভ কর্মসূচী করার সময় মেয়রের লোকজন তাদের উপর হামলা করে। আমরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে উভয় পক্ষকে দলীয় কার্যালয় থেকে সরিয়ে দেই। তিনি বলেন, আমাদের সহোযোগীতার বিষয়ে মেয়রের বক্তব্য পুরোপুরি মিথ্যা।
এ বিষয়ে বেলকুচি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক আশানুর বিশ্বাস এর আগেই বলেন, সেদিন দলীয় কার্যালয়ে কোন রাজনৈতিক প্রোগ্রাম ছিলো না। তবে কেউ যদি ব্যাক্তিগত কোন প্রোগ্রাম করে তবে তার দায়ভার তাকেই নিতে হবে।
এ বিষয়ে বেলকুচি-চৌহালী আসনের সংসদ সদস্য আব্দুল মমিন মন্ডল দেশের বাইরে অবস্থান করার জন্য তার বক্তব্য পাওয়া সম্ভব হয়নি।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন পৌর প্যানেল মেয়র মোহাম্মদ ইকবাল রানা, কাউন্সিলর শহিদুল ইসলাম, তারেক সরকার, মহিলা কাউন্সিলর স্বর্ণা পারভিন, নার্গিস বেগম উষাসহ পৌরসভার কর্মচারী কর্মকর্তাবৃন্দ।