ঢাকা ০৫:৪৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ০৮ মে ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

জাতীয় গণহত্যা দিবসের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০১:২৭:৩০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ মার্চ ২০২৩
  • / ৪৪১ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নিজস্ব প্রতিবেদক: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ২৫ মার্চ গণহত্যার স্বীকৃতি আদায়ে জাতীয় সংঘসহ বিশ্বের সকলের কাছে আবেদন করব। শনিবার (২৫ মার্চ) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারি বাসভবন গণভবনে আওয়ামী লীগের সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের সভায় তিনি একথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘২৫ মার্চ গণহত্যার স্বীকৃতি যেন আদায় হয় তার জন্য জাতীয় সংঘসহ বিশ্বের সকলের কাছে আবেদন করব। সেই সময় যেভাবে তারা নিরস্ত্র ও ঘুমন্ত বাঙালির ওপর হামলা চালায়। যে বীভৎসভাবে দিনের পর দিন দীর্ঘ ৯ মাস হত্যাকাণ্ড চালিয়েছিলা। ৩০ লাখ মানুষ শহীদ হয়। সমস্ত ঘর-বাড়ি পুড়িয়ে দেওয়ায় তিন লাখ মানুষ গৃহহারা হয়েছে। সাড়ে ৭ কোটি জনসংখ্যার মধ্যে তিন কোটি মানুষই ছিল গৃহহারা। এক কোটি মানুষ শরণার্থী হয়ে ভারতে আশ্রয় নেয়। রাস্তায় রাস্তায় মানুষের লাশ পড়ে ছিলো। মানুষ দেখেছে, মানুষের লাশ শিয়াল-কুকুরে খেয়েছে। মেয়েদের ক্যাম্পে ধরে নিয়ে তাদের ওপর পাশবিক অত্যাচার করেছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, কাজেই আমরা বাংলাদেশে ও আন্তর্জাতিকভাবেও ২৫ মার্চ জাতীয় গণহত্যা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি পাক সেটাই চাই। এ ক্ষত নিয়েই আমাদের যাত্রা শুরু হয়েছিল। শহীদের রক্ত বৃথা যায় না। লাখো শহীদের রক্ত বৃথা যেতে পারে না।

নিউজটি শেয়ার করুন

জাতীয় গণহত্যা দিবসের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী

আপডেট সময় : ০১:২৭:৩০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ মার্চ ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ২৫ মার্চ গণহত্যার স্বীকৃতি আদায়ে জাতীয় সংঘসহ বিশ্বের সকলের কাছে আবেদন করব। শনিবার (২৫ মার্চ) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারি বাসভবন গণভবনে আওয়ামী লীগের সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের সভায় তিনি একথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘২৫ মার্চ গণহত্যার স্বীকৃতি যেন আদায় হয় তার জন্য জাতীয় সংঘসহ বিশ্বের সকলের কাছে আবেদন করব। সেই সময় যেভাবে তারা নিরস্ত্র ও ঘুমন্ত বাঙালির ওপর হামলা চালায়। যে বীভৎসভাবে দিনের পর দিন দীর্ঘ ৯ মাস হত্যাকাণ্ড চালিয়েছিলা। ৩০ লাখ মানুষ শহীদ হয়। সমস্ত ঘর-বাড়ি পুড়িয়ে দেওয়ায় তিন লাখ মানুষ গৃহহারা হয়েছে। সাড়ে ৭ কোটি জনসংখ্যার মধ্যে তিন কোটি মানুষই ছিল গৃহহারা। এক কোটি মানুষ শরণার্থী হয়ে ভারতে আশ্রয় নেয়। রাস্তায় রাস্তায় মানুষের লাশ পড়ে ছিলো। মানুষ দেখেছে, মানুষের লাশ শিয়াল-কুকুরে খেয়েছে। মেয়েদের ক্যাম্পে ধরে নিয়ে তাদের ওপর পাশবিক অত্যাচার করেছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, কাজেই আমরা বাংলাদেশে ও আন্তর্জাতিকভাবেও ২৫ মার্চ জাতীয় গণহত্যা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি পাক সেটাই চাই। এ ক্ষত নিয়েই আমাদের যাত্রা শুরু হয়েছিল। শহীদের রক্ত বৃথা যায় না। লাখো শহীদের রক্ত বৃথা যেতে পারে না।