ঢাকা ০৫:৫২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

কলাপাড়ায় সক্রিয় জাল টাকা সরবরাহ চক্রের সদস্যরা

এ এম মিজানুর রহমান বুলেট, কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ০৩:২৩:০৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪
  • / ৫৮৮ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

পবিত্র ঈদুল ফিতর কিংবা ঈদুল আযহা আসলেই পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় সক্রিয় হয়ে ওঠে জাল টাকা সরবরাহ চক্রের সদস্যরা।

এসময়টা বিভিন্ন ব্যাংক-বীমা, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে জাল টাকা চালানোর অপচেষ্টা অব্যাহত রাখে ওই চক্রটি। এতে বেশীর ভাগ অনভিজ্ঞ মানুষ প্রতারনার শিকার হচ্ছে। এসব জাল টাকার মধ্যে এক হাজার কিংবা পাঁচশত টাকার নোট অপেক্ষাকৃত বেশী বলে জানা গেছে। উপজেলার আলীপুর, মহিপুর, কুয়াকাটা এবং বালিয়াতলী -বানাতি এলাকায় ওই চক্রের সদস্যরা সবচেয়ে বেশী সক্রিয়।
এরা বেশীর ভাগ লেনদেন করে গ্রাম গঞ্জের দোকান পাট, গরু-ছাগলের হাট বাজার কিংবা জনবহুল সাপ্তাহিক হাট- বাজারে। এক হাজার  এবং পাঁচশত টাকার  জাল নোট এবং অরিজিনাল নোট গুলো দেখতে প্রায় একই রকম বলে অনেকের পক্ষে সহজেই চেনা সম্ভব হয় না। ফলে মানুষ প্রতারিত হচ্ছে অহরহ ।
বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান কিংবা ব্যাংক-বীমায় খবর নিয়ে জানা গেছে, এসব জাল চক্রের সদস্যরা টাকা খুচরা করার নামে জাল টাকা দিয়ে  ধরা পড়েছে। এতে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ ওই জাল টাকা পুড়ে ফেলেছে। তবে ব্যবসায়ীদের অনেকে নকল টাকা সনাক্ত করতে না পেরে লোকসানে পড়েছেন।
নাগরিক উদ্যোগ কলাপাড়ার আহবায়ক কমরেড নাসির তালুকদার জানান, গোয়েন্দা সংস্থার দূর্বলতার কারনে এ চক্রের সদস্যরা ধরা পড়ছে না। দেশ থেকে জাল টাকা চক্রের সদস্যদের নির্মূল করা জরুরী হয়ে পড়েছে।
সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) এর কলাপাড়ার সভাপতি শামসুল আলম বলেন’ প্রতারক চক্রের সদস্যদের জরুরী ভিত্তিতে সনাক্ত করে আইনের আওতায় আনা হোক।
কলাোড়া থানার ওসি মো: আলী আহম্মেদ বলেন,  তবে এ জাল টাকা চক্রের  সদস্যরা ঈদ, কোরবানিতে সক্রিয় হয়ে ওঠে। এ জাল টাকা চক্রের সদস্যদের দু’একজন ধরা পড়লেও বাকীরা রয়েছে ধরা ছোয়ার বাইরে। আমরা মুলহোতাদের গ্রেপ্তারের অপেক্ষায়।
বাখ//আর

নিউজটি শেয়ার করুন

কলাপাড়ায় সক্রিয় জাল টাকা সরবরাহ চক্রের সদস্যরা

আপডেট সময় : ০৩:২৩:০৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪

পবিত্র ঈদুল ফিতর কিংবা ঈদুল আযহা আসলেই পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় সক্রিয় হয়ে ওঠে জাল টাকা সরবরাহ চক্রের সদস্যরা।

এসময়টা বিভিন্ন ব্যাংক-বীমা, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে জাল টাকা চালানোর অপচেষ্টা অব্যাহত রাখে ওই চক্রটি। এতে বেশীর ভাগ অনভিজ্ঞ মানুষ প্রতারনার শিকার হচ্ছে। এসব জাল টাকার মধ্যে এক হাজার কিংবা পাঁচশত টাকার নোট অপেক্ষাকৃত বেশী বলে জানা গেছে। উপজেলার আলীপুর, মহিপুর, কুয়াকাটা এবং বালিয়াতলী -বানাতি এলাকায় ওই চক্রের সদস্যরা সবচেয়ে বেশী সক্রিয়।
এরা বেশীর ভাগ লেনদেন করে গ্রাম গঞ্জের দোকান পাট, গরু-ছাগলের হাট বাজার কিংবা জনবহুল সাপ্তাহিক হাট- বাজারে। এক হাজার  এবং পাঁচশত টাকার  জাল নোট এবং অরিজিনাল নোট গুলো দেখতে প্রায় একই রকম বলে অনেকের পক্ষে সহজেই চেনা সম্ভব হয় না। ফলে মানুষ প্রতারিত হচ্ছে অহরহ ।
বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান কিংবা ব্যাংক-বীমায় খবর নিয়ে জানা গেছে, এসব জাল চক্রের সদস্যরা টাকা খুচরা করার নামে জাল টাকা দিয়ে  ধরা পড়েছে। এতে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ ওই জাল টাকা পুড়ে ফেলেছে। তবে ব্যবসায়ীদের অনেকে নকল টাকা সনাক্ত করতে না পেরে লোকসানে পড়েছেন।
নাগরিক উদ্যোগ কলাপাড়ার আহবায়ক কমরেড নাসির তালুকদার জানান, গোয়েন্দা সংস্থার দূর্বলতার কারনে এ চক্রের সদস্যরা ধরা পড়ছে না। দেশ থেকে জাল টাকা চক্রের সদস্যদের নির্মূল করা জরুরী হয়ে পড়েছে।
সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) এর কলাপাড়ার সভাপতি শামসুল আলম বলেন’ প্রতারক চক্রের সদস্যদের জরুরী ভিত্তিতে সনাক্ত করে আইনের আওতায় আনা হোক।
কলাোড়া থানার ওসি মো: আলী আহম্মেদ বলেন,  তবে এ জাল টাকা চক্রের  সদস্যরা ঈদ, কোরবানিতে সক্রিয় হয়ে ওঠে। এ জাল টাকা চক্রের সদস্যদের দু’একজন ধরা পড়লেও বাকীরা রয়েছে ধরা ছোয়ার বাইরে। আমরা মুলহোতাদের গ্রেপ্তারের অপেক্ষায়।
বাখ//আর