ঢাকা ০২:৪৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৭ মে ২০২৪, ১২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

কম্বোডিয়ার বিরোধীদলীয় নেতার ২৭ বছরের কারাদণ্ড

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৩:৪৯:৪০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩ মার্চ ২০২৩
  • / ৪৭৬ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : 

কম্বোডিয়ায় প্রধান বিরোধীদলীয় ন্যাশনাল রেস্কিউ পার্টির (এনআরপি) নেতা কেম শোখাকে ২০১৭ সালে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। এরপর করোনা মহামারির কারণে তার বিচার কার্যক্রম ধীর হয়ে যায়। তবে দীর্ঘ সময় পর তাকে ২৭ বছরের দণ্ড দেওয়া হয়েছে।

শুক্রবার (৩ মার্চ) এ রায় দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

তার বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রী হুন সেনের সরকারকে উৎখাত করার জন্য বিদেশি শক্তির সঙ্গে ষড়যন্ত্র করার অভিযোগ আনা হয়েছে। বিশ্বের দীর্ঘ সময় ধরে ক্ষমতায় থাকা নেতাদের মধ্যে একজন হুন সেন। তিনি ১৯৮৫ সাল থেকে ক্ষমতায় রয়েছেন।

আগামী জুলাই মাসে কম্বোডিয়ায় নির্বাচন হওয়ার কথা। অধিকাংশই ধারণা করেন, হুন সেন আবার নির্বাচনে অংশ নেবেন। যদিও কেউ কেউ মনে করছেন তিনি তার বড় ছেলে হুন মানেতের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তরের পরিকল্পনা করছেন।

২০১৩ সালে একটি ভিডিও প্রকাশ পায়। সেখানে ৬৯ বছর বয়সী কেম শোখা বলেছিলেন তিনি মার্কিন গণতন্ত্রপন্থি গোষ্ঠীগুলোর কাছ থেকে সমর্থন পেয়েছেন। পরে ২০১৭ সালে তাকে প্রথম গ্রেফতার করা হয়।

তিনি ও তার আইনজীবী তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছেন। এই অভিযোগ ভিত্তিহীন বলেও দাবি করেন তিনি।
কেম শোখার ন্যাশনাল রেস্কিউ পার্টিকে ২০১৮ সালের নির্বাচনের আগে নিষিদ্ধ করা হয়। এর আগের নির্বাচনে দলটির জনপ্রিয়তা এতটাই বৃদ্ধি পেয়েছিল যে, বর্তমান ক্ষমতাসীন দলকে প্রায় ক্ষমতাচ্যুতই করে দিয়েছিল তারা।

২০১৮ সালে নিষিদ্ধ করার পর দলটির বড় নেতাদের বিভিন্ন অভিযোগে বিচার করা হয়। আবার অনেকে দেশ ছেড়ে চলে যান।

কম্বোডিয়ায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত ডব্লিউ প্যাট্রিক মারফি বলেন, এ মামলায় আইনের অপব্যবহার করা হয়েছে।

কেম শোখার আইনজীবী আং উদোম বলেন, এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করা হবে।

বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন ও পশ্চিমা সরকারগুলো তার বিরুদ্ধে অভিযোগ ভিত্তিহীন ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে নিন্দা জানিয়েছে।

গত মাসে, হুন সেন সরকার দেশটির স্বাধীন মিডিয়া আউটলেট ভয়েস অব ডেমোক্রেসি বন্ধ করে দেয়। জানা যায়, এটি একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে যেখানে তার ছেলেকে আক্রমণ করা হয়েছে এবং সরকারের সুনাম ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সূত্র: আল জাজিরা, বিবিসি।

নিউজটি শেয়ার করুন

কম্বোডিয়ার বিরোধীদলীয় নেতার ২৭ বছরের কারাদণ্ড

আপডেট সময় : ০৩:৪৯:৪০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩ মার্চ ২০২৩

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : 

কম্বোডিয়ায় প্রধান বিরোধীদলীয় ন্যাশনাল রেস্কিউ পার্টির (এনআরপি) নেতা কেম শোখাকে ২০১৭ সালে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। এরপর করোনা মহামারির কারণে তার বিচার কার্যক্রম ধীর হয়ে যায়। তবে দীর্ঘ সময় পর তাকে ২৭ বছরের দণ্ড দেওয়া হয়েছে।

শুক্রবার (৩ মার্চ) এ রায় দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

তার বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রী হুন সেনের সরকারকে উৎখাত করার জন্য বিদেশি শক্তির সঙ্গে ষড়যন্ত্র করার অভিযোগ আনা হয়েছে। বিশ্বের দীর্ঘ সময় ধরে ক্ষমতায় থাকা নেতাদের মধ্যে একজন হুন সেন। তিনি ১৯৮৫ সাল থেকে ক্ষমতায় রয়েছেন।

আগামী জুলাই মাসে কম্বোডিয়ায় নির্বাচন হওয়ার কথা। অধিকাংশই ধারণা করেন, হুন সেন আবার নির্বাচনে অংশ নেবেন। যদিও কেউ কেউ মনে করছেন তিনি তার বড় ছেলে হুন মানেতের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তরের পরিকল্পনা করছেন।

২০১৩ সালে একটি ভিডিও প্রকাশ পায়। সেখানে ৬৯ বছর বয়সী কেম শোখা বলেছিলেন তিনি মার্কিন গণতন্ত্রপন্থি গোষ্ঠীগুলোর কাছ থেকে সমর্থন পেয়েছেন। পরে ২০১৭ সালে তাকে প্রথম গ্রেফতার করা হয়।

তিনি ও তার আইনজীবী তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছেন। এই অভিযোগ ভিত্তিহীন বলেও দাবি করেন তিনি।
কেম শোখার ন্যাশনাল রেস্কিউ পার্টিকে ২০১৮ সালের নির্বাচনের আগে নিষিদ্ধ করা হয়। এর আগের নির্বাচনে দলটির জনপ্রিয়তা এতটাই বৃদ্ধি পেয়েছিল যে, বর্তমান ক্ষমতাসীন দলকে প্রায় ক্ষমতাচ্যুতই করে দিয়েছিল তারা।

২০১৮ সালে নিষিদ্ধ করার পর দলটির বড় নেতাদের বিভিন্ন অভিযোগে বিচার করা হয়। আবার অনেকে দেশ ছেড়ে চলে যান।

কম্বোডিয়ায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত ডব্লিউ প্যাট্রিক মারফি বলেন, এ মামলায় আইনের অপব্যবহার করা হয়েছে।

কেম শোখার আইনজীবী আং উদোম বলেন, এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করা হবে।

বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন ও পশ্চিমা সরকারগুলো তার বিরুদ্ধে অভিযোগ ভিত্তিহীন ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে নিন্দা জানিয়েছে।

গত মাসে, হুন সেন সরকার দেশটির স্বাধীন মিডিয়া আউটলেট ভয়েস অব ডেমোক্রেসি বন্ধ করে দেয়। জানা যায়, এটি একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে যেখানে তার ছেলেকে আক্রমণ করা হয়েছে এবং সরকারের সুনাম ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সূত্র: আল জাজিরা, বিবিসি।