ঢাকা ০৩:৩০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

আলফাডাঙ্গায় ঘূর্ণিঝড়ে লন্ডভন্ড ২২টি গ্রাম

বিশেষ প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ০২:৩৮:৫৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪
  • / ৪৪০ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি
ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলায় ঘূর্ণিঝড়ে দুইটি ইউনিয়নের অন্তত ২২ টি গ্রাম লন্ডভন্ড হওয়ার পর শতাধিক বসতঘর বিধ্বস্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এতে চলতি ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। বিদ্যুতের তার ছিড়ে বিদ্যুৎ সঞ্চালন বন্ধ হয়ে গেছে।
বুধবার (২৭ মার্চ) দিবাগত রাত ১ টার দিকে উপজেলার পাচুড়িয়া ও বানা ইউনিয়নের ঘূর্ণিঝড় ও শিলা বৃষ্টিতে ঘরবাড়ি, গাছপালা ও ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এতে অসংখ্য গাছপালা ভেঙে এবং উপড়ে পড়েছে। অনেক জায়গায় সড়কের উপরে গাছ পড়ে যানবাহন চলাচলে বিঘ্ন ঘটেছে। বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে অন্ধকার আচ্ছন্নতা  হয়ে যায় দুটি ইউনিয়নের  কয়েকটি গ্রাম।
বানা ইউনিয়নের কঠুরাকান্দি গ্রামের বাসিন্দারা জানান, বানা ইউনিয়নের শিরগ্রাম, গড়ানিয়া, পাকুড়িয়া,
টাবনী, টোনাপাড়া, শিয়ালদি চরপাড়া, জয়দেবপুর, আউশির হাট, কঠুরাকান্দি, মাজপাড়া, আড়পাড়াসহ অন্তত ১৪ টি গ্রামে ভয়াবহ ঝড় আঘাত হানে। ঝড়ে কাচাঁ-আধাপাকা ঘরবাড়ি, গাছপালা,পেঁয়াজ, রসুন, মশুরি,ধনিয়া, ধান, গমসহ কৃষি ফসলের ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হয়েছে। বিদ্যুতের তার ছিড়ে গ্রামগুলোতে বিদ্যুৎ সঞ্চালন বন্ধ হয়ে গেছে।
এ ব্যাপারে পাচুড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ মিজানুর রহমান জানান, আমি এই মুহুর্তে ঢাকায় আছি। তবে শুনেছি আমার পাচুড়িয়া ইউনিয়ন ও পার্শ্ববর্তী বানা ইউনিয়নে ঝড়ে ৯টি গ্রামে ব্যাপক ক্ষয় ক্ষতি হয়েছে।
আলফাডাঙ্গা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এ কে এম জাহিদুল হাসান জাহিদ জানান, বুধবার রাত একটার দিকে ঘূর্ণিঝড়ে দুই ইউনিয়নের অন্তত ২২টি গ্রামের প্রায় শতাধিক কাচাপাকা বাড়িঘর ও কয়েকশো গাছপালা উপড়ে যায়। বিস্তীর্ণ জমির ফসল বিনষ্ট হয়েছে। অনেকেই ঘরবাড়ি হারিয়ে খোলা আকাশের নিচে অবস্থান নেন। ঘটনাস্থলে পৌছে তাদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিতে কাজ শুরু করা হয়েছে।
পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির আলফাডাঙ্গা সাব জোনাল অফিসের এজিএম ফাহিম হাসান জানান, ঘূর্ণিঝড়ের ফলে সেখানে কয়েকটি গ্রামে বিদ্যুৎ সঞ্চালন বন্ধ রয়েছে। বিদ্যুতের তাঁর ছিড়ে গেছে,কয়েকটি খুটি ভেঙ্গে অনেকগুলো আঁকা বাকা হয়ে পড়েছে। বিদ্যুৎ সংযোগ চালু করতে কাজ চলছে।
ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো. কামরুল আহসান তালুকদার জানান, স্থানীয় উপজেলা প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিসহ সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে ঘটনাস্থলে পৌছে ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তা করতে। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্তদের সর্বোচ্চ সাহায্য সহযোগিতা করা হবে।
বাখ//আর

নিউজটি শেয়ার করুন

আলফাডাঙ্গায় ঘূর্ণিঝড়ে লন্ডভন্ড ২২টি গ্রাম

আপডেট সময় : ০২:৩৮:৫৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪
ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলায় ঘূর্ণিঝড়ে দুইটি ইউনিয়নের অন্তত ২২ টি গ্রাম লন্ডভন্ড হওয়ার পর শতাধিক বসতঘর বিধ্বস্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এতে চলতি ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। বিদ্যুতের তার ছিড়ে বিদ্যুৎ সঞ্চালন বন্ধ হয়ে গেছে।
বুধবার (২৭ মার্চ) দিবাগত রাত ১ টার দিকে উপজেলার পাচুড়িয়া ও বানা ইউনিয়নের ঘূর্ণিঝড় ও শিলা বৃষ্টিতে ঘরবাড়ি, গাছপালা ও ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এতে অসংখ্য গাছপালা ভেঙে এবং উপড়ে পড়েছে। অনেক জায়গায় সড়কের উপরে গাছ পড়ে যানবাহন চলাচলে বিঘ্ন ঘটেছে। বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে অন্ধকার আচ্ছন্নতা  হয়ে যায় দুটি ইউনিয়নের  কয়েকটি গ্রাম।
বানা ইউনিয়নের কঠুরাকান্দি গ্রামের বাসিন্দারা জানান, বানা ইউনিয়নের শিরগ্রাম, গড়ানিয়া, পাকুড়িয়া,
টাবনী, টোনাপাড়া, শিয়ালদি চরপাড়া, জয়দেবপুর, আউশির হাট, কঠুরাকান্দি, মাজপাড়া, আড়পাড়াসহ অন্তত ১৪ টি গ্রামে ভয়াবহ ঝড় আঘাত হানে। ঝড়ে কাচাঁ-আধাপাকা ঘরবাড়ি, গাছপালা,পেঁয়াজ, রসুন, মশুরি,ধনিয়া, ধান, গমসহ কৃষি ফসলের ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হয়েছে। বিদ্যুতের তার ছিড়ে গ্রামগুলোতে বিদ্যুৎ সঞ্চালন বন্ধ হয়ে গেছে।
এ ব্যাপারে পাচুড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ মিজানুর রহমান জানান, আমি এই মুহুর্তে ঢাকায় আছি। তবে শুনেছি আমার পাচুড়িয়া ইউনিয়ন ও পার্শ্ববর্তী বানা ইউনিয়নে ঝড়ে ৯টি গ্রামে ব্যাপক ক্ষয় ক্ষতি হয়েছে।
আলফাডাঙ্গা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এ কে এম জাহিদুল হাসান জাহিদ জানান, বুধবার রাত একটার দিকে ঘূর্ণিঝড়ে দুই ইউনিয়নের অন্তত ২২টি গ্রামের প্রায় শতাধিক কাচাপাকা বাড়িঘর ও কয়েকশো গাছপালা উপড়ে যায়। বিস্তীর্ণ জমির ফসল বিনষ্ট হয়েছে। অনেকেই ঘরবাড়ি হারিয়ে খোলা আকাশের নিচে অবস্থান নেন। ঘটনাস্থলে পৌছে তাদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিতে কাজ শুরু করা হয়েছে।
পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির আলফাডাঙ্গা সাব জোনাল অফিসের এজিএম ফাহিম হাসান জানান, ঘূর্ণিঝড়ের ফলে সেখানে কয়েকটি গ্রামে বিদ্যুৎ সঞ্চালন বন্ধ রয়েছে। বিদ্যুতের তাঁর ছিড়ে গেছে,কয়েকটি খুটি ভেঙ্গে অনেকগুলো আঁকা বাকা হয়ে পড়েছে। বিদ্যুৎ সংযোগ চালু করতে কাজ চলছে।
ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো. কামরুল আহসান তালুকদার জানান, স্থানীয় উপজেলা প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিসহ সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে ঘটনাস্থলে পৌছে ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তা করতে। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্তদের সর্বোচ্চ সাহায্য সহযোগিতা করা হবে।
বাখ//আর