আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে দেশে শিক্ষার মান বাড়ে : প্রধানমন্ত্রী
- আপডেট সময় : ০৯:৩২:০০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২৩
- / ৪৪৩ বার পড়া হয়েছে
নিজস্ব প্রতিবেদক :
আওয়ামী লীগ যখনই ক্ষমতায় আসে, তখন দেশের শিক্ষার হার ও মান বৃদ্ধি পায় বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বৃহস্পতিবার (১৯ জানুয়ারি) গণভবনে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের সমন্বয়ে গঠিত ‘বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় পরিষদ’-এর স্ট্যান্ডিং কমিটির সদস্যরা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে যান। এসময় তিনি এসব কথা বলেন।
পরে প্রধানমন্ত্রীর ডেপুটি প্রেস সেক্রেটারি কে এম শাখাওয়াত মুন সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, বর্তমান সরকার শিক্ষার মানোন্নয়ন, গবেষণা, উৎপাদন ও উৎকর্ষতার পাশাপাশি দক্ষতা উন্নয়নে গুরুত্ব দিয়েছে। একইসঙ্গে পরিকল্পিতভাবে পরিবেশের ভারসাম্য বজায় রেখে সরকার ধীরে ধীরে দেশকে শিল্পায়নের দিকেও এগিয়ে নিচ্ছে।
শিক্ষার্থীদের উপযুক্ত করে গড়ে তুলতে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের আরও দায়িত্বশীল ও মনোযোগী হওয়ার আহ্বান জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্নপূরণে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে সোনার ছেলে গড়ে তুলতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা যেন সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ থেকে দূরে থাকে, সে লক্ষ্যে পড়ালেখার পাশাপাশি খেলাধুলা, সংস্কৃতি চর্চা ও সৃজনশীল কাজে তাদের যুক্ত রাখতে হবে।
একসময় বিশ্ববিদ্যালয়ে অস্ত্রের ঝনঝনানি ছিল উল্লেখ করে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসেই বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে অস্ত্রের ঝনঝনানি বন্ধ করেছে। দেশে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে লৌহহস্তে।
বাংলাদেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের নিয়ে বিইউসি গঠন করা হয়েছে। প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন রয়েছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, এই অ্যাসোসিয়েশনের মাধ্যমে তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়নে নিজস্ব তহবিল সংগ্রহ করতে পারে এবং শিক্ষার্থীদের কল্যাণে উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে পারে। শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মধ্যে সুসম্পর্ক বজায় রাখার ওপর গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেন, পড়াশোনার পাশাপাশি প্রতিটি শিক্ষার্থীকে দেশের উন্নয়নে সময়ের উপযোগী মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে হবে।
শিক্ষার্থীদের দক্ষ মানবসম্পদ হিসেবে গড়ে তুলতে সব ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণে উপাচার্যদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে সরকারপ্রধান বলেন, পড়ালেখার পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের দেশের উন্নয়নে কাজের উপযোগী করে গড়ে তুলতে হবে। বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরা অত্যন্ত মেধাবী। তাদের একটু সুযোগ করে দিলে বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ালেখা শেষ করে বিদেশ থেকেও তারা উচ্চতর ডিগ্রি নিয়ে আসতে পারে।
অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের মাধ্যমে নিজস্ব তহবিল গড়ে তোলার পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, সব বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন রয়েছে। এর মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর উন্নয়ন ও শিক্ষার্থীদের কল্যাণে প্রকল্প বাস্তবায়নে তারা নিজস্ব ফান্ড তৈরি করতে পারে।
তরুণদের দক্ষতা উন্নয়নে সরকার গুরুত্ব দিয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, লেখাপড়া করে চাকরির পেছনে না ছুটে তরুণরা যাতে উদ্যোক্তা হতে পারে এবং অন্যদের চাকরি দিতে পারে সে জন্য পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ যখনই ক্ষমতায় আসে দেশে শিক্ষার হার ও মান বৃদ্ধি পায়। তার সরকার শিক্ষা, গবেষণা, উৎপাদন ও উৎকর্ষের পাশাপাশি দক্ষতা উন্নয়নে গুরুত্ব দিয়েছে। একই সঙ্গে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করে দেশকে ধীরে ধীরে শিল্পায়নের দিকে টেনে নিচ্ছে।
শেখ হাসিনা বলেন, তার তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের নির্দেশনায় সরকার ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তুলেছে। তিনি বলেন, জয় ইয়ং বাংলা ও সিআরআই-এর মাধ্যমে তরুণ প্রজন্মকে স্বাবলম্বী হতে উৎসাহিত করছেন। দেশের উন্নয়নের এই ধারাবাহিকতা বজায় রেখে ২০৪১ সালে একটি উন্নত, সমৃদ্ধ ও স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন প্রধানমন্ত্রী।
অনুষ্ঠানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের ৪৮টি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অংশ নেন।
এসময় বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যরা তাদের নিজ নিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সমস্যার কথা প্রধানমন্ত্রীর সামনে তুলে ধরেন। এসব সমস্যা পর্যায়ক্রমে সমাধানের আশ্বাস দেন সরকারপ্রধান।
এ সময় শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি ও শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া।