ঢাকা ০৫:০৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

মির্জা ফখরুলকে জাতির কাছে ক্ষমা চাইতে বললেন হানিফ

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১১:৫২:৩৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২২
  • / ৪৫৮ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

‘বর্তমান বাংলাদেশের চেয়ে পাকিস্তান অনেক ভালো ছিল’ বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এমন বক্তব্যের জন্য জাতির কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ।

সোমবার (১৯ সেপ্টেম্বর) ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সূত্রাপুর থানা এবং ৪২, ৪৩ ও ৪৪ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে তিনি এ আহ্বান জানান।

হানিফ বলেন, এই কথা বলার মধ্য দিয়ে প্রমাণ করেছেন, মির্জা ফখরুল পাকিস্তানের আদর্শে বিশ্বাসী। এ কথার মধ্য দিয়ে ৩০ লাখ শহীদকে অপমানিত করেছেন তিনি। মুক্তিযোদ্ধাদের অপমানিত করেছেন বিএনপি মহাসচিব।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, বাংলাদেশে পাকিস্তানের আদর্শের রাজনীতি করা যাবে না। নিঃশর্ত ক্ষমা চান, আর না হলে দেশের জনগণ আপনার পাকিস্তনপ্রীতির জবাব রাজপথে দেবে।

বিএনপিকে মিথ্যাচার, অভিযোগের রাজনীতি বন্ধ করার আহ্বান জানিয়ে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, তাদের দলের নেতা-কর্মীরা নিজেরা মারামারি করে আওয়ামী লীগের দোষ দেয়। গত কয়েক দিনে চট্টগ্রাম, বরিশাল, গাজীপুর এবং আজকেও পল্টনে বিএনপির নেতা-কর্মীরা নিজেরা মারামারি করেছেন। মিথ্যাচার, অভিযোগের রাজনীতি বন্ধ করুন।

আওয়ামী লীগ কোনো রাজনৈতিক দলের কর্মসূচিতে বাধা দেয় না উল্লেখ করে হানিফ বলেন, বিএনপি বলে আওয়ামী লীগ তাদের কর্মসূচিতে নাকি বাধা দেয়। আমরা কাউকে বাধা দেই না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, কোনো দলের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে বাধা না দেয়ার জন্য। কেউ আন্দোলনের নামে রাজপথে জ্বালাও-পোড়াও করলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ব্যবস্থা নেবে।

তিনি বলেন, কিন্তু আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের দিকে কেউ চড়াও হলে আমাদের দায়িত্ব আছে। আপনি আক্রমণ করবেন আর আমাদের চুপচাপ বসে থাকা সমীচীন হবে না।

আওয়ামী লীগের এ নেতা বলেন, আওয়ামী লীগ হত্যা, খুনের রাজনীতি করে না। এসব অভ্যাস আপনাদের আছে। ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত বিএনপি ক্ষমতায় ছিল। তাদের শাসনামলে আওয়ামী লীগের ২৬ হাজার নেতা-কর্মীকে প্রাণ দিতে হয়েছিল।

ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনের উদ্বোধন করেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু আহমেদ মন্নাফি। এছাড়া আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, আইন সম্পাদক অ্যাডভোকেট কাজী নজিবুল্লাহ হিরু ও দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

মির্জা ফখরুলকে জাতির কাছে ক্ষমা চাইতে বললেন হানিফ

আপডেট সময় : ১১:৫২:৩৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২২

‘বর্তমান বাংলাদেশের চেয়ে পাকিস্তান অনেক ভালো ছিল’ বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এমন বক্তব্যের জন্য জাতির কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ।

সোমবার (১৯ সেপ্টেম্বর) ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সূত্রাপুর থানা এবং ৪২, ৪৩ ও ৪৪ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে তিনি এ আহ্বান জানান।

হানিফ বলেন, এই কথা বলার মধ্য দিয়ে প্রমাণ করেছেন, মির্জা ফখরুল পাকিস্তানের আদর্শে বিশ্বাসী। এ কথার মধ্য দিয়ে ৩০ লাখ শহীদকে অপমানিত করেছেন তিনি। মুক্তিযোদ্ধাদের অপমানিত করেছেন বিএনপি মহাসচিব।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, বাংলাদেশে পাকিস্তানের আদর্শের রাজনীতি করা যাবে না। নিঃশর্ত ক্ষমা চান, আর না হলে দেশের জনগণ আপনার পাকিস্তনপ্রীতির জবাব রাজপথে দেবে।

বিএনপিকে মিথ্যাচার, অভিযোগের রাজনীতি বন্ধ করার আহ্বান জানিয়ে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, তাদের দলের নেতা-কর্মীরা নিজেরা মারামারি করে আওয়ামী লীগের দোষ দেয়। গত কয়েক দিনে চট্টগ্রাম, বরিশাল, গাজীপুর এবং আজকেও পল্টনে বিএনপির নেতা-কর্মীরা নিজেরা মারামারি করেছেন। মিথ্যাচার, অভিযোগের রাজনীতি বন্ধ করুন।

আওয়ামী লীগ কোনো রাজনৈতিক দলের কর্মসূচিতে বাধা দেয় না উল্লেখ করে হানিফ বলেন, বিএনপি বলে আওয়ামী লীগ তাদের কর্মসূচিতে নাকি বাধা দেয়। আমরা কাউকে বাধা দেই না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, কোনো দলের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে বাধা না দেয়ার জন্য। কেউ আন্দোলনের নামে রাজপথে জ্বালাও-পোড়াও করলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ব্যবস্থা নেবে।

তিনি বলেন, কিন্তু আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের দিকে কেউ চড়াও হলে আমাদের দায়িত্ব আছে। আপনি আক্রমণ করবেন আর আমাদের চুপচাপ বসে থাকা সমীচীন হবে না।

আওয়ামী লীগের এ নেতা বলেন, আওয়ামী লীগ হত্যা, খুনের রাজনীতি করে না। এসব অভ্যাস আপনাদের আছে। ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত বিএনপি ক্ষমতায় ছিল। তাদের শাসনামলে আওয়ামী লীগের ২৬ হাজার নেতা-কর্মীকে প্রাণ দিতে হয়েছিল।

ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনের উদ্বোধন করেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু আহমেদ মন্নাফি। এছাড়া আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, আইন সম্পাদক অ্যাডভোকেট কাজী নজিবুল্লাহ হিরু ও দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।