ঢাকা ০৮:৫১ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

কুমিল্লাকে ১৭৭ রানের লক্ষ্য দিল রংপুর

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৯:০৯:৪১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৬ জানুয়ারী ২০২৩
  • / ৪৪১ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

স্পোর্টস ডেস্ক : 

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) নবম আসরের দ্বিতীয় ম্যাচে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সকে ১৭৭ রানের টার্গেট দিয়েছে রংপুর রাইডার্স। টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৭৬ রান সংগ্রহ করে রংপুর রাইডার্স।

মিরপুর শের-ই বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে শুক্রবার (৬ জানুয়ারি) দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামে রংপুর রাইডার্স। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারের প্রথম দুই বলেই চার হাঁকিয়ে ঝড়ো ব্যাটিংয়ের শুরু করেন রনি। এরপর আর থামেননি ডানহাতি এ ওপেনার। কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের বোলারদের তুলোধোনা করে ১৯ বলে তুলে নেন ফিফটি। রনি মারমুখী খেললেও দেখেশুনে খেলতে থাকেন আরেক অপেনার নাইম শেখ। দু’জন মিলে ওপেনিং জুটিতে তোলেন ৮৪ রান।

১৯ বলের ঝোড়ো এ ফিফটিতে রেকর্ডের পাতায়ও নাম লিখিয়েছেন রনি। বাংলাদেশি ক্রিকেটারদের মধ্যে বিপিএলের দ্রুততম ফিফটির রেকর্ড এখন তার দখলে। রনির এমন দানবীয় ব্যাটিংয়ে ভালো শুরু পেয়ে যায় রংপুর। পাওয়ারপ্লের ৬ ওভারে কোনো উইকেট না হারিয়ে ৬৪ রান তোলে তার দল। ৩১ বলে ৬৭ রান করে খুশদীল শাহের বলে স্ট্যাম্পিং হয়ে ফেরেন রনি।

এরপর রনি তালুকদার আউট হলে প্রথম সাফল্য পায় কুমিল্লা। ৩১ বলে ৬৭ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলে আউট হন রনি। রনির বিদায়ের পর ক্রিজে আসেন শোয়েব মালিক। এরপর মালিককে সঙ্গে নিয়ে রানের চাকা সচল রাখেন নাইম। তবে, দলীয় ১১৫ রানে ৩৪ বলে ২৯ রান করে সাজঘরে ফিরে যান নাইম শেখ। তার বিদায়ের পর ক্রিজে আসেন সিকান্দার রাজা।

রাজাকে সঙ্গে নিয়ে রানের চাকা সচল রাখার চেষ্টা করেন শোয়েব মালিক। ক্রিজে এসে কিছুটা আগ্রাসী ব্যাটিং করতে থাকে রাজা। তবে দলীয় ১৩৪ রানে ১০ বলে ১২ রান করে আউট হন তিনি। রাজার বিদায়ের পর ক্রিজে আসেন অধিনায়ক নূরুল হাসান সোহান। ক্রিজে এসে রানের গতি বাড়ান তিনি। ইনিংসের ১৯তম ওভারে রান আউট হন শোয়েব মালিক।

দলীয় ১৬৩ রানে ২৬ বলে ৩৩ রান করে আউট হন শোয়েব। তার বিদায়ের পর ক্রিজে আসেন বেনি হাওয়েল। ইনিংসের ২০তম ওভারের চতুর্থ বলে আউট হন হাওয়েল। ৬ বলে ৮ রান করে আউত হন তিনি। তার বিদায়ের পর ক্রিজে আসেন মেহেদী হাসান। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ৪ উইকেট হারিয়ে ৫ রান সংগ্রহ করে রংপুর। সোহান ১১ বলে ১৯ ও মেহেদী ২ বলে ২ রানে অপরাজিত থাকেন। কুমিল্লার পক্ষে খুশদিল, মোসাদ্দেক, মোস্তাফিজ ও ফারুকী নেন ১টি করে উইকেট।

নিউজটি শেয়ার করুন

কুমিল্লাকে ১৭৭ রানের লক্ষ্য দিল রংপুর

আপডেট সময় : ০৯:০৯:৪১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৬ জানুয়ারী ২০২৩

স্পোর্টস ডেস্ক : 

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) নবম আসরের দ্বিতীয় ম্যাচে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সকে ১৭৭ রানের টার্গেট দিয়েছে রংপুর রাইডার্স। টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৭৬ রান সংগ্রহ করে রংপুর রাইডার্স।

মিরপুর শের-ই বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে শুক্রবার (৬ জানুয়ারি) দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামে রংপুর রাইডার্স। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারের প্রথম দুই বলেই চার হাঁকিয়ে ঝড়ো ব্যাটিংয়ের শুরু করেন রনি। এরপর আর থামেননি ডানহাতি এ ওপেনার। কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের বোলারদের তুলোধোনা করে ১৯ বলে তুলে নেন ফিফটি। রনি মারমুখী খেললেও দেখেশুনে খেলতে থাকেন আরেক অপেনার নাইম শেখ। দু’জন মিলে ওপেনিং জুটিতে তোলেন ৮৪ রান।

১৯ বলের ঝোড়ো এ ফিফটিতে রেকর্ডের পাতায়ও নাম লিখিয়েছেন রনি। বাংলাদেশি ক্রিকেটারদের মধ্যে বিপিএলের দ্রুততম ফিফটির রেকর্ড এখন তার দখলে। রনির এমন দানবীয় ব্যাটিংয়ে ভালো শুরু পেয়ে যায় রংপুর। পাওয়ারপ্লের ৬ ওভারে কোনো উইকেট না হারিয়ে ৬৪ রান তোলে তার দল। ৩১ বলে ৬৭ রান করে খুশদীল শাহের বলে স্ট্যাম্পিং হয়ে ফেরেন রনি।

এরপর রনি তালুকদার আউট হলে প্রথম সাফল্য পায় কুমিল্লা। ৩১ বলে ৬৭ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলে আউট হন রনি। রনির বিদায়ের পর ক্রিজে আসেন শোয়েব মালিক। এরপর মালিককে সঙ্গে নিয়ে রানের চাকা সচল রাখেন নাইম। তবে, দলীয় ১১৫ রানে ৩৪ বলে ২৯ রান করে সাজঘরে ফিরে যান নাইম শেখ। তার বিদায়ের পর ক্রিজে আসেন সিকান্দার রাজা।

রাজাকে সঙ্গে নিয়ে রানের চাকা সচল রাখার চেষ্টা করেন শোয়েব মালিক। ক্রিজে এসে কিছুটা আগ্রাসী ব্যাটিং করতে থাকে রাজা। তবে দলীয় ১৩৪ রানে ১০ বলে ১২ রান করে আউট হন তিনি। রাজার বিদায়ের পর ক্রিজে আসেন অধিনায়ক নূরুল হাসান সোহান। ক্রিজে এসে রানের গতি বাড়ান তিনি। ইনিংসের ১৯তম ওভারে রান আউট হন শোয়েব মালিক।

দলীয় ১৬৩ রানে ২৬ বলে ৩৩ রান করে আউট হন শোয়েব। তার বিদায়ের পর ক্রিজে আসেন বেনি হাওয়েল। ইনিংসের ২০তম ওভারের চতুর্থ বলে আউট হন হাওয়েল। ৬ বলে ৮ রান করে আউত হন তিনি। তার বিদায়ের পর ক্রিজে আসেন মেহেদী হাসান। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ৪ উইকেট হারিয়ে ৫ রান সংগ্রহ করে রংপুর। সোহান ১১ বলে ১৯ ও মেহেদী ২ বলে ২ রানে অপরাজিত থাকেন। কুমিল্লার পক্ষে খুশদিল, মোসাদ্দেক, মোস্তাফিজ ও ফারুকী নেন ১টি করে উইকেট।