ঢাকা ০৭:০৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে আমাদের আরেকটি মাইলফলক : সেতুমন্ত্রী

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৩:২৯:৪০ অপরাহ্ন, শনিবার, ১২ নভেম্বর ২০২২
  • / ৪৩৯ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে সড়ক বিভাগের ধারাবাহিক উন্নয়নের আরেকটি মাইলফলক বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

শনিবার (১২ নভেম্বর) গণভবনে ঢাকা-আশুলিয়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ কাজের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

এসময় সেতুমন্ত্রী বলেন, এই এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে আমাদের সড়ক বিভাগের ধারাবাহিক উন্নয়নের আরেকটি মাইলফলক। ইতোমধ্যে আমাদের সাহসের পদ্মা সেতু; পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে। এই সেতুর সুফল শুধু ২১টি জেলার মানুষ নয়, সারা বাংলাদেশ পাচ্ছে। এর পর প্রধানমন্ত্রী জাতিকে উপহার দিয়েছে শত সেতু একদিনে।

তিনি বলেন, কর্ণফুলী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেলের দক্ষিণাংশের টিউবের নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে। আগামী ২৬ নভেম্বর সেটির পরিদর্শন। আশা করছি, ডিসেম্বরের শেষে বা জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহ নাগাদ টানেলের উদ্বোধন করতে পারবো।

প্রধানমন্ত্রী একটার পর একটা প্রকল্পের উদ্বোধন করছেন, ডিসেম্বরে উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত থার্ড ফেজ এমআরটি প্রকল্পের উদ্বোধন করতে পারবেন। পাহাড় থেকে সমতল পর্যন্ত সারা বাংলাদেশে আমরা সড়ক যোগাযোগ নেটওয়ার্ক সম্প্রসারিত করেছি। আমাদের দেশে সীমান্ত সড়ক ছিল না। সেনা বাহিনী আমাদের সীমান্ত সড়ক নির্মাণ করছে। এটিও একটি নতুন সংযোজন, বলেন কাদের।

দেশের প্রথম কর্ণফুলী নদীর তলদেশে নির্মাণাধীন ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল’। টানেল চালু হলে দৈনিক ১৭ হাজার ২৬০ এবং বছরে ৭৬ লাখ যানবাহন চলাচল করতে পারবে। টানেল ঘিরে চট্টগ্রাম, বান্দরবান, কক্সবাজার জেলার যোগাযোগব্যবস্থার ব্যাপক পরিবর্তন আনা হচ্ছে। পাশাপাশি যোগাযোগব্যবস্থার সুবিধা নিয়ে নতুন শিল্প-কারখানা গড়ে তোলার উদ্যোগও ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে।

প্রকল্প সূত্রে জানা যায়, মূল টানেলের দৈর্ঘ্য ৩ দশমিক ৩২ কিলোমিটার। এর মধ্যে টানেলের প্রতিটি সুড়ঙ্গের দৈর্ঘ্য ২ দশমিক ৪৫ কিলোমিটার। দুই সুড়ঙ্গে দুটি করে মোট চারটি লেন থাকবে। মূল টানেলের সঙ্গে পশ্চিম ও পূর্ব প্রান্তে ৫ দশমিক ৩৫ কিলোমিটার সংযোগ সড়ক থাকবে। আর আনোয়ারা প্রান্তে রয়েছে ৭২৭ মিটার দীর্ঘ উড়ালসড়ক। কর্ণফুলী নদীর তলদেশ দিয়ে ১৮ থেকে ৩৬ মিটার গভীরতায় সুড়ঙ্গ তৈরি করা হয়েছে। প্রতিটি ৩৫ ফুট প্রশস্ত ও ১৬ ফুট উচ্চতার। টানেল নির্মাণে ব্যয় হচ্ছে ১০ হাজার ৩৭৪ কোটি টাকা।

এদিকে মেয়াদের শেষ মুহূর্তে এসে উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাবনা (ডিপিপি) সংশোধন করা হচ্ছে। মূলত ডলারের বিপরীতে টাকার দরপতন হওয়ায় ডিপিপি সংশোধন করতে হচ্ছে বলে জানান প্রকল্পসংশ্লিষ্ট প্রকৌশলীরা। সংশোধিত ডিপিপিতে প্রকল্প ব্যয় বৃদ্ধি করা হয়েছে ১৬৩ কোটি টাকা।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে আমাদের আরেকটি মাইলফলক : সেতুমন্ত্রী

আপডেট সময় : ০৩:২৯:৪০ অপরাহ্ন, শনিবার, ১২ নভেম্বর ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে সড়ক বিভাগের ধারাবাহিক উন্নয়নের আরেকটি মাইলফলক বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

শনিবার (১২ নভেম্বর) গণভবনে ঢাকা-আশুলিয়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ কাজের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

এসময় সেতুমন্ত্রী বলেন, এই এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে আমাদের সড়ক বিভাগের ধারাবাহিক উন্নয়নের আরেকটি মাইলফলক। ইতোমধ্যে আমাদের সাহসের পদ্মা সেতু; পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে। এই সেতুর সুফল শুধু ২১টি জেলার মানুষ নয়, সারা বাংলাদেশ পাচ্ছে। এর পর প্রধানমন্ত্রী জাতিকে উপহার দিয়েছে শত সেতু একদিনে।

তিনি বলেন, কর্ণফুলী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেলের দক্ষিণাংশের টিউবের নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে। আগামী ২৬ নভেম্বর সেটির পরিদর্শন। আশা করছি, ডিসেম্বরের শেষে বা জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহ নাগাদ টানেলের উদ্বোধন করতে পারবো।

প্রধানমন্ত্রী একটার পর একটা প্রকল্পের উদ্বোধন করছেন, ডিসেম্বরে উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত থার্ড ফেজ এমআরটি প্রকল্পের উদ্বোধন করতে পারবেন। পাহাড় থেকে সমতল পর্যন্ত সারা বাংলাদেশে আমরা সড়ক যোগাযোগ নেটওয়ার্ক সম্প্রসারিত করেছি। আমাদের দেশে সীমান্ত সড়ক ছিল না। সেনা বাহিনী আমাদের সীমান্ত সড়ক নির্মাণ করছে। এটিও একটি নতুন সংযোজন, বলেন কাদের।

দেশের প্রথম কর্ণফুলী নদীর তলদেশে নির্মাণাধীন ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল’। টানেল চালু হলে দৈনিক ১৭ হাজার ২৬০ এবং বছরে ৭৬ লাখ যানবাহন চলাচল করতে পারবে। টানেল ঘিরে চট্টগ্রাম, বান্দরবান, কক্সবাজার জেলার যোগাযোগব্যবস্থার ব্যাপক পরিবর্তন আনা হচ্ছে। পাশাপাশি যোগাযোগব্যবস্থার সুবিধা নিয়ে নতুন শিল্প-কারখানা গড়ে তোলার উদ্যোগও ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে।

প্রকল্প সূত্রে জানা যায়, মূল টানেলের দৈর্ঘ্য ৩ দশমিক ৩২ কিলোমিটার। এর মধ্যে টানেলের প্রতিটি সুড়ঙ্গের দৈর্ঘ্য ২ দশমিক ৪৫ কিলোমিটার। দুই সুড়ঙ্গে দুটি করে মোট চারটি লেন থাকবে। মূল টানেলের সঙ্গে পশ্চিম ও পূর্ব প্রান্তে ৫ দশমিক ৩৫ কিলোমিটার সংযোগ সড়ক থাকবে। আর আনোয়ারা প্রান্তে রয়েছে ৭২৭ মিটার দীর্ঘ উড়ালসড়ক। কর্ণফুলী নদীর তলদেশ দিয়ে ১৮ থেকে ৩৬ মিটার গভীরতায় সুড়ঙ্গ তৈরি করা হয়েছে। প্রতিটি ৩৫ ফুট প্রশস্ত ও ১৬ ফুট উচ্চতার। টানেল নির্মাণে ব্যয় হচ্ছে ১০ হাজার ৩৭৪ কোটি টাকা।

এদিকে মেয়াদের শেষ মুহূর্তে এসে উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাবনা (ডিপিপি) সংশোধন করা হচ্ছে। মূলত ডলারের বিপরীতে টাকার দরপতন হওয়ায় ডিপিপি সংশোধন করতে হচ্ছে বলে জানান প্রকল্পসংশ্লিষ্ট প্রকৌশলীরা। সংশোধিত ডিপিপিতে প্রকল্প ব্যয় বৃদ্ধি করা হয়েছে ১৬৩ কোটি টাকা।