ঢাকা ১২:৫৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০১ মে ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

বেলকুচিতে চাকরি দেয়ার নামে ২ প্রার্থীর কাছ থেকে ৭৬ লাখ টাকা আদায়ের অভিযোগ

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৯:৩৬:৩২ অপরাহ্ন, বুধবার, ১ মার্চ ২০২৩
  • / ৪৭৪ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি
আব্দুর রাজ্জাক বাবু, বেলকুচি (সিরাজগন্জ) প্রতিনিধি:
সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে জি এস কে এল উচ্চ বিদ্যালয়ে কম্পিউটার ল্যাব অপেরেটর ও অফিস সহায়ক্ এ দুই পদে চাকরি দেয়ার কথা বলে প্রধান শিক্ষক আবু মোহাম্মদ বরকত উল্লাহ ও ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি জিল্লুর রহমানের বিরুদ্ধে মোটা অংকের টাকা আদায়ের  অভিযোগ উঠেছে। তাদের বিরুদ্ধে জেলা কর্মকর্তা ও মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার জিএসকেএল উচ্চ বিদ্যালয়ের  কম্পিউটার ল্যাব অপারেটর এবং অফিস সহায়ক পদের জন্য দুই মাস আগে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। এর পর ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি জিল্লুর রহমান ও প্রধান শিক্ষক একাধিক প্রার্থীর সাথে যোগাযোগ করে  ৭২ লাখ  টাকা হাতিয়ে নেন। দুটি পদের জন্য অনেক প্রার্থীর কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নেয়ার বিষয়ে জানাজানি হলে প্রার্থীদের মাঝে চরম হতাশা হতাশা নেমে আসে। অনেকে জায়গা জমি বিক্রি করে চাকরি নেয়ার জন্য টাকা দিয়েছেন ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও প্রধান শিক্ষকের কাছে।
জানা যায়,  কম্পিউটার ল্যাব অপারেটর ও অফিস সহায়ক পদের জন্য খামার উল্লাপাড়া গ্রামের আসাদুলের ছেলে রেজাউল করিমের কাছ থেকে ১৬ লাখ টাকা, অফিস সহায়ক পদের জন্য রতন ঘোষের কাছ থেকে ১০ লাখ টাকা, আলমাস হোসেনের কাছ থেকে ১৫ লাখ টাকা এবং সাইদুল ইসলামের কাছ থেকে ১৩ লাখ টাকা নিয়োগের আগেই স্কুলের উন্নয়নের কথা বলে ঘুষ আদায় আদায় করা হয়েছে। এর আগেও নিরাপত্তা প্রহরী সড়াতৈল গ্রামের শামীম আহমেদের কাছ থেকে  ১২ লাখ  ও আয়া পদে নাসিমা খাতুন এর নিকট থেকে ১০ লাখ টাকা ঘুষ আদায় করে তাদেরকে নিয়োগ দেয়া হয়।
এলাকাবাসী জানান, ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি জিল্লুর রহমান রাজনৈতিকভাবে প্রভাবশালী হওয়ায় তার বিষয়ে কেউ মুখ খুলতে পারছে না । তবে অর্থের বিনিময়ে  নিয়োগের দেয়া হবে এ বিষয়টি এলাকাবাসী মেনে নিতে পারছেন না।
এ বিষয়ে জি এস কে এল উচ্চ  বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবু মোহাম্মদ  বরকত উল্লাহ  এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘কারো কাছ  থেকে কোনো প্রকার টাকা আমি নেই নাই। এটা ভিত্তিহীন অভিযোগ।’
জি এস কে এল উচ্চ  বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি জিল্লুর রহমান বলেন, ‘তদন্ত করে অর্থ আদায়ের  অভিযোগ যদি প্রমান পায়; তাহলে আমার বিরুদ্ধে ব্যবস্থাগ্রহন করবেন উধ্বর্তন কর্তৃপক্ষ।’
এদিকে, এ বিষয়ে বেলকুচি উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার এস এম গোলাম রেজা বলেন, ‘অফিস সহায়ক পদে অর্থের বিনিময়ে নিয়োগ দেয়া হচ্ছে এই মর্মে অভিযোগ পেয়েছি। আমরা তদন্ত কমিটি করেছি। তদন্তে অভিযোগ প্রমাণিত হলে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
অন্যদিকে, সিরাজগঞ্জ জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার কাজী সলিমুল্লাহ বলেন, ‘অভিযোগের বিষয়টি আমি এখনো জানিনা। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
বা/খ: এসআর।

নিউজটি শেয়ার করুন

বেলকুচিতে চাকরি দেয়ার নামে ২ প্রার্থীর কাছ থেকে ৭৬ লাখ টাকা আদায়ের অভিযোগ

আপডেট সময় : ০৯:৩৬:৩২ অপরাহ্ন, বুধবার, ১ মার্চ ২০২৩
আব্দুর রাজ্জাক বাবু, বেলকুচি (সিরাজগন্জ) প্রতিনিধি:
সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে জি এস কে এল উচ্চ বিদ্যালয়ে কম্পিউটার ল্যাব অপেরেটর ও অফিস সহায়ক্ এ দুই পদে চাকরি দেয়ার কথা বলে প্রধান শিক্ষক আবু মোহাম্মদ বরকত উল্লাহ ও ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি জিল্লুর রহমানের বিরুদ্ধে মোটা অংকের টাকা আদায়ের  অভিযোগ উঠেছে। তাদের বিরুদ্ধে জেলা কর্মকর্তা ও মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার জিএসকেএল উচ্চ বিদ্যালয়ের  কম্পিউটার ল্যাব অপারেটর এবং অফিস সহায়ক পদের জন্য দুই মাস আগে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। এর পর ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি জিল্লুর রহমান ও প্রধান শিক্ষক একাধিক প্রার্থীর সাথে যোগাযোগ করে  ৭২ লাখ  টাকা হাতিয়ে নেন। দুটি পদের জন্য অনেক প্রার্থীর কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নেয়ার বিষয়ে জানাজানি হলে প্রার্থীদের মাঝে চরম হতাশা হতাশা নেমে আসে। অনেকে জায়গা জমি বিক্রি করে চাকরি নেয়ার জন্য টাকা দিয়েছেন ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও প্রধান শিক্ষকের কাছে।
জানা যায়,  কম্পিউটার ল্যাব অপারেটর ও অফিস সহায়ক পদের জন্য খামার উল্লাপাড়া গ্রামের আসাদুলের ছেলে রেজাউল করিমের কাছ থেকে ১৬ লাখ টাকা, অফিস সহায়ক পদের জন্য রতন ঘোষের কাছ থেকে ১০ লাখ টাকা, আলমাস হোসেনের কাছ থেকে ১৫ লাখ টাকা এবং সাইদুল ইসলামের কাছ থেকে ১৩ লাখ টাকা নিয়োগের আগেই স্কুলের উন্নয়নের কথা বলে ঘুষ আদায় আদায় করা হয়েছে। এর আগেও নিরাপত্তা প্রহরী সড়াতৈল গ্রামের শামীম আহমেদের কাছ থেকে  ১২ লাখ  ও আয়া পদে নাসিমা খাতুন এর নিকট থেকে ১০ লাখ টাকা ঘুষ আদায় করে তাদেরকে নিয়োগ দেয়া হয়।
এলাকাবাসী জানান, ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি জিল্লুর রহমান রাজনৈতিকভাবে প্রভাবশালী হওয়ায় তার বিষয়ে কেউ মুখ খুলতে পারছে না । তবে অর্থের বিনিময়ে  নিয়োগের দেয়া হবে এ বিষয়টি এলাকাবাসী মেনে নিতে পারছেন না।
এ বিষয়ে জি এস কে এল উচ্চ  বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবু মোহাম্মদ  বরকত উল্লাহ  এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘কারো কাছ  থেকে কোনো প্রকার টাকা আমি নেই নাই। এটা ভিত্তিহীন অভিযোগ।’
জি এস কে এল উচ্চ  বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি জিল্লুর রহমান বলেন, ‘তদন্ত করে অর্থ আদায়ের  অভিযোগ যদি প্রমান পায়; তাহলে আমার বিরুদ্ধে ব্যবস্থাগ্রহন করবেন উধ্বর্তন কর্তৃপক্ষ।’
এদিকে, এ বিষয়ে বেলকুচি উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার এস এম গোলাম রেজা বলেন, ‘অফিস সহায়ক পদে অর্থের বিনিময়ে নিয়োগ দেয়া হচ্ছে এই মর্মে অভিযোগ পেয়েছি। আমরা তদন্ত কমিটি করেছি। তদন্তে অভিযোগ প্রমাণিত হলে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
অন্যদিকে, সিরাজগঞ্জ জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার কাজী সলিমুল্লাহ বলেন, ‘অভিযোগের বিষয়টি আমি এখনো জানিনা। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
বা/খ: এসআর।