৭.৬ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পে কাঁপল ইন্দোনেশিয়া
- আপডেট সময় : ১২:৩৯:২৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ জানুয়ারী ২০২৩
- / ৪৪১ বার পড়া হয়েছে
আন্তর্জাতিক ডেস্ক :
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ ইন্দোনেশিয়ায় তানিম্বার দ্বীপপুঞ্জে ৭ দশমিক ৬ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। এতে একজন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। ভূ-কম্পনের সময় আতঙ্কে লোকজন বাড়িঘর ছেড়ে রাস্তায় বেরিয়ে আসেন।
তানিম্বার দ্বীপপুঞ্জ হলো পূর্ব ইন্দোনেশিয়ার মালুকু প্রদেশের প্রায় ৩০টি দ্বীপের সমন্বয়ে গঠিত। ভূ-কম্পনের ফলে সুনামি সতর্কতা থাকলেও তিন ঘণ্টা পর তা তুলে নেওয়া হয়।
মঙ্গলবার (১০ জানুয়ারি) পৃথক দুই প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মঙ্গলবার (১০ জানুয়ারি) ইন্দোনেশিয়ার তানিম্বার অঞ্চলে ৭.৬ মাত্রার একটি ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে বলে ইউরোপিয়ান-মেডিটেরিনিয়ান সিমোলজিক্যাল সেন্টার (ইএমএসসি) জানিয়েছে। ভূপৃষ্ঠ থেকে ৯৭ কিলোমিটার (৬০.২৭ মাইল) গভীরে এই ভূমিকম্প হয়।
ভূমিকম্পের পরে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার এই দেশটিতে অন্তত চারটি আফটারশক রিপোর্ট করা হয়েছে যেগুলো উত্তর অস্ট্রেলিয়ার কিছু অংশেও অনুভূত হয়েছে। এছাড়া ইন্দোনেশিয়ার দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থার প্রাথমিক রিপোর্টে ভূমিকম্পের পর প্রধানত ভবনগুলোর হালকা থেকে মাঝারি ক্ষতির ইঙ্গিত রয়েছে বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
ইন্দোনেশিয়ার দুর্যোগ ব্যবস্থাপনাবিষয়ক সংস্থার কর্মকর্তারা জানান, ৩ থেকে ৫ সেকেন্ডের মতো সময়ে প্রবল কম্পন অনুভূত হয়। এতে একজন আহত হয়েছেন। ১৫টি বাড়ি ও দুটি স্কুল ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
ইন্দোনেশিয়ার ভূ-পদার্থবিদ্যা সংস্থা বিএমকেজি জানিয়েছে, স্থানীয়ভাবে ৭.৫ মাত্রার বলে পরিমাপ করা এই ভূমিকম্পটি স্থানীয় সময় মঙ্গলবার গভীর রাত ২টা ৪৭ মিনিটে ভূপৃষ্ঠের ১৩০ কিলোমিটার (৮০.৭৮ মাইল) গভীরতায় আঘাত হানে। পরে ভোর ৫টা ৪৩ মিনিটে সুনামির সতর্কতা তুলে নেওয়া হয়।
ইউরোপীয় ভূমধ্যসাগরীয় সিসমোলজিক্যাল সেন্টার ভূমিকম্পের মাত্রা ৭ দশমিক ৬ রেকর্ড করেছে। মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপও ৭ দশমিক ৬ মাত্রার ভূ-কম্পন রেকর্ড করে।
বিএমকেজি’র প্রধান দ্বিকোরিতা কর্নাবতী একটি সংবাদ সম্মেলনে বলেনে, ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থলের চারপাশে আমাদের চারটি জোয়ার পরিমাপক পর্যবেক্ষণের ওপর ভিত্তি করে … সমুদ্রপৃষ্ঠের কোনও অসঙ্গতি শনাক্ত করা যায়নি বা কোনও উল্লেখযোগ্য পরিবর্তনও হয়নি।
প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের একটি সক্রিয় ভূমিকম্পপ্রবণ এলাকার ওপর ইন্দোনেশিয়া অবস্থিত। এই অঞ্চলটিকে রিং অব ফায়ার বলা হয়। দেশটিতে আগেও বহুবার ভয়াবহ ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। ২০১৮ সালেও সুলাওয়েসি দ্বীপে ভূমিকম্পের আঘাতে ২ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হন। সূত্র: রয়টার্স।