৭ হাজার বন্দিকে মুক্তি দেবে মিয়ানমার জান্তা
- আপডেট সময় : ০৭:২৯:৩২ অপরাহ্ন, বুধবার, ৪ জানুয়ারী ২০২৩
- / ৪৪৩ বার পড়া হয়েছে
আন্তর্জাতিক ডেস্ক :
স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে সাধারণ ক্ষমার আওতায় ৭ হাজার ১২ জন কয়েদিকে মুক্তি দিয়েছে মিয়ানমারের ক্ষমতাসীন জান্তা।
বুধবার (৪ জানুয়ারি) দেশটির সরকারি টিভি চ্যানেল এমআরটিভিতে দেওয়া এক ভাষণে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন জান্তাপ্রধান জেনারেল মিন অং হ্লেইং।
দিবস উপলক্ষে দেওয়া ভাষণে জান্তা প্রধান মিয়ানমারকে সহযোগিতা অব্যাহত রাখার জন্য কয়েকটি দেশের প্রশংসা করেছেন। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
প্রায় দুই বছর আগে জনগণের ভোটে নির্বাচিত অং সান সু চির নেতৃত্বাধীন বেসামরিক সরকারকে উৎখাত করে ক্ষমতা দখল করে সেনাবাহিনী। ক্ষমতা দখলের পর আন্তর্জাতিক বিচ্ছিন্নতা ও পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার মুখে রয়েছে জান্তা।
ভাষণে জান্তাপ্রধান বলেন, মিয়ানমারের সাধারণ জনগণকে ৭৫তম স্বাধীনতা দিবসের শুভেচ্ছা। বিগত বিভিন্ন বছরের মতো এ বছরও স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে সাধারণ ক্ষমার আওতায় কিছু সংখ্যক কারাবন্দিকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। এ বছরের স্বাধীনতা দিবসে ৭ হাজার ১২ জন কয়েদিকে মুক্তি দিয়েছে সরকার। কয়েকটি আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক দেশ এবং সংস্থা ও ব্যক্তিবর্গকে ধন্যবাদ জানাতে চাই তাদের প্রতি যারা সব চাপ, সমালোচনা ও আক্রমণের মধ্যেও আমাদের সঙ্গে ইতিবাচকভাবে সহযোগিতা করেছেন সেজন্য তাদের প্রতি আমরা কৃতজ্ঞ।
পৃথক এক প্রতিবেদনে এমআরটিভি জানিয়েছে, যেসব কয়েদির বিরুদ্ধে হত্যা, ধর্ষণ, বিস্ফোরক মামলা, অবৈধ অস্ত্র ও মাদক এবং দুর্নীতির মামলা আছে— তাদেরকে এই মুক্তিপ্রাপ্তদের তালিকায় রাখা হয়নি।
২০২১ সালের ১ ফেব্রুয়ারি মিয়ানমারের গণতন্ত্রপন্থী নেত্রী অং সান সুচির নেতৃত্বাধীন সরকারকে হটিয়ে জাতীয় ক্ষমতা দখল করে দেশটির সামারিক বাহিনী। সুচিকে গ্রেপ্তার করে অজ্ঞাত কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়। অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া মিন অং হ্লেইং হন নতুন সামরিক সরকারের প্রধান।
আন্দোলনের প্রথম পর্যায়ে দৃশ্যত সংযমের পরিচয় দিলেও পরে তা দমনে নিরাপত্তা বাহিনীর কর্মীদের আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহারের নির্দেশ দেয় জান্তা সরকার। গত দুই বছরে মিয়ানমারে নিহত হয়েছেন আড়াই হাজারেও বেশি মানুষ।
আমাদের প্রতিবেশী দেশ চীন, ভারত, থাইল্যান্ড, লাওস ও বাংলাদেশের সঙ্গে আমরা ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছি এবং আমরা আশা করছি সীমান্তে স্থিতিশীলতা ও পারস্পরিক উন্নয়নের স্বার্থে ভবিষ্যতেও আমাদের এই ঐক্যবদ্ধ প্রয়াস অক্ষুন্ন থাকবে।
গত ৩০ ডিসেম্বর নেইপিদোর সামরিক আদালতে কথিত দুর্নীতির অভিযোগে অং সান সুচিকে ৭ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। তবে জান্তা মুখপাত্রদের দাবি, স্বাধীন আদালতের সব রকম নিয়মনীতি মেনেই সুচির মামলাগুলোর বিচারকাজ চলছে। সূত্র : রয়টার্স।