ঢাকা ০১:২৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৭ মে ২০২৪, ২৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

২৬৯ বছরের ইতিহাস-ঐতিহ্যের স্বাক্ষী জোড়বাংলা মন্দির

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৮:১৩:০৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৫ জুলাই ২০২৩
  • / ৫৮০ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

// শফিউল আযম, বিশেষ প্রতিনিধি //

“এসেছি বাঙালি পাহাড়পুরের বৌদ্ধবিহার থেকে, এসেছি বাঙালি জোড়বাংলার মন্দির বেদি থেকে” সৈয়দ শামসুল হক রচিত আমার পরিচয়’ কবিতাংশের এ লাইন দুখানি থেকে যে মনিস্দরটির নাম জেনেছি তারই কথা থেকে বলছি। ইতিহাস আর ঐতিহ্যেও লীলাভূমি মহাকালের পথ দিয়ে এগিয়ে চলছে জীবন রথের চাকা। সে পথে ছড়িয়ে ছিঁটিয়ে আছে কতো শত কীর্তি-স্মৃতিচিহ্নি; মুখ গুঁজে পড়ে আছে অতীত বিবরে। পাবনার ভূখন্ড ইতিহাসের নানা আকরে সমৃদ্ধ। এখানকার মানুষের জীবন আর জীবনের শিল্পকর্ম বৈচিত্র্যপূর্ণ স্বরলিপিতে গাঁথা। ঝিরিঝিরি নারিকেল পাতার ছাউনীতলের রুপশ্রীমন্ডিত এই পাবনা শহরের জন জীবনের বৈচিত্র্যের ইতিহাস সন্ধান আমাদেরকে কতোভাবে ভাবান্বিত করে।

ইতিহাসের জানালায় চোখ রেখে দেখি, পাবনা শহরের প্রাণকেন্দ্রে ৪ নং ওয়ার্ডের দক্ষিণ রাঘবপুরে (কালাচাঁদপাড়া) জোড়বাংলা মন্দিরটি অবস্থিত। এই জোড়বাংলা মন্দিরটি ইংরেজি ‘গ’ অক্ষরের মতো আকৃতি নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। ইটের তৈরী অনুচ্চ বেদীর উপর মন্দিরের মূল কাঠামো নির্মাণ করা হয়েছে।

এ-জোড়বাংলা মন্দিরটি কেবল ইটের পর ইট গেঁথে নির্মিত একটি ইমারত নয়, বরং শিল্পির আপন মনের মাধুরি মিশিয়ে খন্ড খন্ড টেরাকোটা ফলকে রচিত স্থাপত্যের একটি সার্থক শিল্পপ্রতিমা। সে-সময়ের চলমান জীবনের প্রতিচ্ছবি বিধৃত হয়েছে এ-টেরাকোটা শোভিত নকশায় ।

মন্দিরের সন্মূখ ফাসাদে দুটি স্তম্ভের ওপর বহু খাঁজবিশিষ্টি খিলানের মাধ্যমে মোট তিনটি উন্মুক্ত প্রবেশপথ সন্নিবেশিত হয়েছে। অলঙ্কৃত ফাসাদের দন্ডায়মান দুটি সুঠাম স্তম্ভ বহুভ’জাকৃতিতে তৈরি। সন্মুখ ফাসাদ ও স্তম্ভ আগাগোড়া টেরাকোটা অঙ্গভূষণে আবৃত যার সামন্যতম স্থানও অলঙ্কার-বর্জিত নয়। কেন্দ্রের প্রবেশ খিলানের ঠিক ওপরে টেরাকোটা নকশার ঘন্টা-গলায় সামনের দিকে অগ্রসরমান হাতি, খিলানের স্পানড্রিলে নৃত্যরত নারী, পানপাত্র হাতে নারী, তীর-ধনুক দিয়ে যুদ্ধ, মল্ল যুদ্ধ, যুগলমূর্তি, বিভিন্ন ভঙ্গিমায় নানা কর্মসম্পাদন, ঢোল, বাদক, গণেশ,পাল্কী যাহার দৃশ্য আকর্ষণীয়রুপে উৎকীর্ণ করা হয়েছে।

ফাসাদে বঙ্কিম ছাদ ও কার্নিশের সাথে সমন্বয় রেখে খোপ নকশার আনুভুমিক ও উল্লম্ব সারি সন্নিবেশিত হয়েছে। প্রত্যেকটি খোপে সহজ ও সাবলীল ভাবে বিভিন্ন সামাজিক এবং পৌরাণিক দৃশ্য যুগ্মমূর্তি ইত্যাদি উৎকীর্ন করা হয়েছে। স্তম্ভের নীচের সারিতে উৎকীর্ণ নকশা ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র খোপে বিভক্ত এবং এতে চলমান হংসের সারি, মুক্তার মালা ধারণকারী হংস, আনন্দমুখর পরিবেশ; যাতে নৃত্যরত নরনারী, ঢোল বাজনায় মত্ত বাদকবৃন্দ। রাজকীয় দৃপ্ত ভঙ্গিতে হাতি ও ঘোড়ায় চড়ে যাত্রা।

জোড়বাংলা মন্দিরটি আনুমানিক ১৬০৭ খ্রিস্টাব্দে নির্মিত। ব্রজমোহন ক্রোড়ী মতান্তরে বজ্রবল্লভ রায় ক্রোড়ী এটা প্রতিষ্ঠা করেন। তবে নির্মাণকালটা যে ঠিক কখন, তা নিশ্চিত হওয়ার মতো কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
চালারীতির মন্দিরের জনপ্রিয়তা এবং অলঙ্করণের খুঁটি-নাটি সাদৃশ্যের ভিত্তিতে প্রতীয়মান হয় যে, বাংলাদেশেই দোচালারীতির মন্দিরের উদ্ভব হয় এবং এখানে এ-রীতির চরম বিকাশ ঘটে। এ-রীতির সর্বশ্রেষ্ঠ নমুনা পাবনায় অবস্থিত আলোচ্য গোপীনাথ মতান্তরে রাধাগোবিন্দ মন্দিরটি (জোড়বাংলা মন্দির) ।

পাবনার জোড়বাংলা মন্দিরটি খড়ের দোচালা সদৃশ অগ্র-পশ্চাৎ সংযুক্ত দুটি প্রকোষ্ঠ দিয়ে গঠিত এবং দুটি দোচালার উপরিভাগের আচ্ছাদন বক্রাকারে নির্মিত। এ-মন্দিরটি আকারে বড় নয়। দুটি আয়তাকার কক্ষের সমন্বয়ে এ-মন্দির ইমারতটি নির্মিত হয়েছে। প্রথম কক্ষটি ৫,৯৯ মি: দৈর্র্ঘ্যে ও ২,৪৯ মি: প্রস্থে। দ্বিতীয় কক্ষটি ৬,১২ মি: দৈর্ঘ্যে এবং ২,২৯ মি: প্রস্থ। সম্পূর্ণ জোড়বাংলা মন্দিরের বাইরের দিকে দৈর্ঘ্য ৮,৮৪ মি: এবং প্রস্থ ৭,৯২ মি:। এখানে পাশাপাশি দুটি দোচালা কক্ষ এক সঙ্গে যুক্ত হয়ে জোড়বাংলা মন্দিরটি সৃষ্টি করেছে। সংযুক্ত জোড় দোচালার প্রথম দোচালাটি অলিন্দ এবং দ্বিতীয়টি গর্ভগৃহ। প্রথম দোচালা থেকে গর্ভগৃহে ঢোকার জন্য অভ্যন্তরভাগে প্রবেশপথ দ্বারা সংযোগ সাধন করা হয়েছে। দ্বিতীয় অর্থাৎ পশ্চাতের দোচালা কক্ষটি গর্ভগৃহ হিসাবে ব্যবহৃত হয়।

ব্রিটিশ শাসনামল থেকেই এই ইমারতটি প্রত্নতত্ব ও জাদুঘর অধিদপ্তর কর্তৃক সংরক্ষণের জন্য গৃহীত হয়। ১৮৯৭ সালের ভূমিকম্পে মন্দিরের যথেষ্ট ক্ষতি সাধিত হয়। এক কালে এখানে গোপীনাথের মূর্তি ছিল। নিয়মিত তার পূজাও হতো। সেখান থেকেই গোপীনাথের মন্দির হিসেবে খ্যাতি লাভ করে। এখানে রাধা-কৃষ্ণের মূর্তি ছিল বলেও জানা যায়। ১৯১০ সালে স্থানীয় কালী মন্দিরে গোপীনাথের মূর্তিটি সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় এবং তখন থেকে তা ওখানেই আছে। গোপীনাথ মন্দিরের দেয়াল ও স্তম্ভে এক সময় প্রচুর পোড়ামাটির চিত্রফলক অলংকৃত ছিল। দেশ ভাগের পর দীর্ঘদিন যাবৎ অনাদরে, অবহেলায় পড়ে ছিল মন্দিরটি। পরবর্তীতে আইয়ুব খানের আমলে ১৯৬০ এর দশকে পাবনা জেলা প্রশাসকের প্রচেষ্টায় ইমারতটির আমূল সংস্কার করা হয়। সাম্প্রতিক সময়ে বৃষ্টি ও আর্দ্রতার কারণে পোড়ামাটির ফলক ক্ষয়ে গেছে এবং কাঠামোতেও নকশার অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া মুশকিল হয়ে পড়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

২৬৯ বছরের ইতিহাস-ঐতিহ্যের স্বাক্ষী জোড়বাংলা মন্দির

আপডেট সময় : ০৮:১৩:০৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৫ জুলাই ২০২৩

// শফিউল আযম, বিশেষ প্রতিনিধি //

“এসেছি বাঙালি পাহাড়পুরের বৌদ্ধবিহার থেকে, এসেছি বাঙালি জোড়বাংলার মন্দির বেদি থেকে” সৈয়দ শামসুল হক রচিত আমার পরিচয়’ কবিতাংশের এ লাইন দুখানি থেকে যে মনিস্দরটির নাম জেনেছি তারই কথা থেকে বলছি। ইতিহাস আর ঐতিহ্যেও লীলাভূমি মহাকালের পথ দিয়ে এগিয়ে চলছে জীবন রথের চাকা। সে পথে ছড়িয়ে ছিঁটিয়ে আছে কতো শত কীর্তি-স্মৃতিচিহ্নি; মুখ গুঁজে পড়ে আছে অতীত বিবরে। পাবনার ভূখন্ড ইতিহাসের নানা আকরে সমৃদ্ধ। এখানকার মানুষের জীবন আর জীবনের শিল্পকর্ম বৈচিত্র্যপূর্ণ স্বরলিপিতে গাঁথা। ঝিরিঝিরি নারিকেল পাতার ছাউনীতলের রুপশ্রীমন্ডিত এই পাবনা শহরের জন জীবনের বৈচিত্র্যের ইতিহাস সন্ধান আমাদেরকে কতোভাবে ভাবান্বিত করে।

ইতিহাসের জানালায় চোখ রেখে দেখি, পাবনা শহরের প্রাণকেন্দ্রে ৪ নং ওয়ার্ডের দক্ষিণ রাঘবপুরে (কালাচাঁদপাড়া) জোড়বাংলা মন্দিরটি অবস্থিত। এই জোড়বাংলা মন্দিরটি ইংরেজি ‘গ’ অক্ষরের মতো আকৃতি নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। ইটের তৈরী অনুচ্চ বেদীর উপর মন্দিরের মূল কাঠামো নির্মাণ করা হয়েছে।

এ-জোড়বাংলা মন্দিরটি কেবল ইটের পর ইট গেঁথে নির্মিত একটি ইমারত নয়, বরং শিল্পির আপন মনের মাধুরি মিশিয়ে খন্ড খন্ড টেরাকোটা ফলকে রচিত স্থাপত্যের একটি সার্থক শিল্পপ্রতিমা। সে-সময়ের চলমান জীবনের প্রতিচ্ছবি বিধৃত হয়েছে এ-টেরাকোটা শোভিত নকশায় ।

মন্দিরের সন্মূখ ফাসাদে দুটি স্তম্ভের ওপর বহু খাঁজবিশিষ্টি খিলানের মাধ্যমে মোট তিনটি উন্মুক্ত প্রবেশপথ সন্নিবেশিত হয়েছে। অলঙ্কৃত ফাসাদের দন্ডায়মান দুটি সুঠাম স্তম্ভ বহুভ’জাকৃতিতে তৈরি। সন্মুখ ফাসাদ ও স্তম্ভ আগাগোড়া টেরাকোটা অঙ্গভূষণে আবৃত যার সামন্যতম স্থানও অলঙ্কার-বর্জিত নয়। কেন্দ্রের প্রবেশ খিলানের ঠিক ওপরে টেরাকোটা নকশার ঘন্টা-গলায় সামনের দিকে অগ্রসরমান হাতি, খিলানের স্পানড্রিলে নৃত্যরত নারী, পানপাত্র হাতে নারী, তীর-ধনুক দিয়ে যুদ্ধ, মল্ল যুদ্ধ, যুগলমূর্তি, বিভিন্ন ভঙ্গিমায় নানা কর্মসম্পাদন, ঢোল, বাদক, গণেশ,পাল্কী যাহার দৃশ্য আকর্ষণীয়রুপে উৎকীর্ণ করা হয়েছে।

ফাসাদে বঙ্কিম ছাদ ও কার্নিশের সাথে সমন্বয় রেখে খোপ নকশার আনুভুমিক ও উল্লম্ব সারি সন্নিবেশিত হয়েছে। প্রত্যেকটি খোপে সহজ ও সাবলীল ভাবে বিভিন্ন সামাজিক এবং পৌরাণিক দৃশ্য যুগ্মমূর্তি ইত্যাদি উৎকীর্ন করা হয়েছে। স্তম্ভের নীচের সারিতে উৎকীর্ণ নকশা ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র খোপে বিভক্ত এবং এতে চলমান হংসের সারি, মুক্তার মালা ধারণকারী হংস, আনন্দমুখর পরিবেশ; যাতে নৃত্যরত নরনারী, ঢোল বাজনায় মত্ত বাদকবৃন্দ। রাজকীয় দৃপ্ত ভঙ্গিতে হাতি ও ঘোড়ায় চড়ে যাত্রা।

জোড়বাংলা মন্দিরটি আনুমানিক ১৬০৭ খ্রিস্টাব্দে নির্মিত। ব্রজমোহন ক্রোড়ী মতান্তরে বজ্রবল্লভ রায় ক্রোড়ী এটা প্রতিষ্ঠা করেন। তবে নির্মাণকালটা যে ঠিক কখন, তা নিশ্চিত হওয়ার মতো কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
চালারীতির মন্দিরের জনপ্রিয়তা এবং অলঙ্করণের খুঁটি-নাটি সাদৃশ্যের ভিত্তিতে প্রতীয়মান হয় যে, বাংলাদেশেই দোচালারীতির মন্দিরের উদ্ভব হয় এবং এখানে এ-রীতির চরম বিকাশ ঘটে। এ-রীতির সর্বশ্রেষ্ঠ নমুনা পাবনায় অবস্থিত আলোচ্য গোপীনাথ মতান্তরে রাধাগোবিন্দ মন্দিরটি (জোড়বাংলা মন্দির) ।

পাবনার জোড়বাংলা মন্দিরটি খড়ের দোচালা সদৃশ অগ্র-পশ্চাৎ সংযুক্ত দুটি প্রকোষ্ঠ দিয়ে গঠিত এবং দুটি দোচালার উপরিভাগের আচ্ছাদন বক্রাকারে নির্মিত। এ-মন্দিরটি আকারে বড় নয়। দুটি আয়তাকার কক্ষের সমন্বয়ে এ-মন্দির ইমারতটি নির্মিত হয়েছে। প্রথম কক্ষটি ৫,৯৯ মি: দৈর্র্ঘ্যে ও ২,৪৯ মি: প্রস্থে। দ্বিতীয় কক্ষটি ৬,১২ মি: দৈর্ঘ্যে এবং ২,২৯ মি: প্রস্থ। সম্পূর্ণ জোড়বাংলা মন্দিরের বাইরের দিকে দৈর্ঘ্য ৮,৮৪ মি: এবং প্রস্থ ৭,৯২ মি:। এখানে পাশাপাশি দুটি দোচালা কক্ষ এক সঙ্গে যুক্ত হয়ে জোড়বাংলা মন্দিরটি সৃষ্টি করেছে। সংযুক্ত জোড় দোচালার প্রথম দোচালাটি অলিন্দ এবং দ্বিতীয়টি গর্ভগৃহ। প্রথম দোচালা থেকে গর্ভগৃহে ঢোকার জন্য অভ্যন্তরভাগে প্রবেশপথ দ্বারা সংযোগ সাধন করা হয়েছে। দ্বিতীয় অর্থাৎ পশ্চাতের দোচালা কক্ষটি গর্ভগৃহ হিসাবে ব্যবহৃত হয়।

ব্রিটিশ শাসনামল থেকেই এই ইমারতটি প্রত্নতত্ব ও জাদুঘর অধিদপ্তর কর্তৃক সংরক্ষণের জন্য গৃহীত হয়। ১৮৯৭ সালের ভূমিকম্পে মন্দিরের যথেষ্ট ক্ষতি সাধিত হয়। এক কালে এখানে গোপীনাথের মূর্তি ছিল। নিয়মিত তার পূজাও হতো। সেখান থেকেই গোপীনাথের মন্দির হিসেবে খ্যাতি লাভ করে। এখানে রাধা-কৃষ্ণের মূর্তি ছিল বলেও জানা যায়। ১৯১০ সালে স্থানীয় কালী মন্দিরে গোপীনাথের মূর্তিটি সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় এবং তখন থেকে তা ওখানেই আছে। গোপীনাথ মন্দিরের দেয়াল ও স্তম্ভে এক সময় প্রচুর পোড়ামাটির চিত্রফলক অলংকৃত ছিল। দেশ ভাগের পর দীর্ঘদিন যাবৎ অনাদরে, অবহেলায় পড়ে ছিল মন্দিরটি। পরবর্তীতে আইয়ুব খানের আমলে ১৯৬০ এর দশকে পাবনা জেলা প্রশাসকের প্রচেষ্টায় ইমারতটির আমূল সংস্কার করা হয়। সাম্প্রতিক সময়ে বৃষ্টি ও আর্দ্রতার কারণে পোড়ামাটির ফলক ক্ষয়ে গেছে এবং কাঠামোতেও নকশার অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া মুশকিল হয়ে পড়েছে।