হাওর এলাকার ১৯ টি নদী খননের প্রকল্প শীঘ্রই গ্রহণ করা হবে : পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী
- আপডেট সময় : ০৭:৩৬:৫৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ মার্চ ২০২৩
- / ৪৪২ বার পড়া হয়েছে
রাজু আহমেদ রমজান, সুনামগঞ্জ:
হাওরের স্থায়ী বাঁধ বা নদী খননের প্রকল্প খুব ব্যয় বহুল। এসব প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে অনেক সময় লাগে। বড় প্রকল্প বাস্তবায়ন করার আগে বিশেষজ্ঞ সমীক্ষার প্রয়োজন হয়। হাওরের টেকসই কাজে তড়িঘড়ি করা যাবে না। গেল তিন বছর ধরে বৈশ্বিক মন্দা চলছে। বাংলাদেশ মন্দার বাইরে নয়। মন্দার মধ্যেও বাংলাদেশে প্রধানমন্ত্রীর প্রকল্প অনুমোদন দিচ্ছেন। হাওরের কাজ থেমে নেই, চলছে। এজন্য একটু ধৈর্য ধরতে হবে। আগামীতে হাওরের উন্নয়নের জন্য ভালো প্রকল্প গ্রহণ করা হবে। শীঘ্রই হাওর এলাকার ১৯ টি নদী খননের প্রকল্প গ্রহণ করা হবে। সে জন্য কাজ চলছে। এটি বাস্তবায়ন হলে বাঁধ নিয়ে এতো কথা হবে না। বুধবার (১৫ মার্চ) দুপুরে সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার বরাম হাওরের তুফানখালী ফসল রক্ষা বাধ পরিদর্শন শেষে উপরোক্ত কথাগুলো বলেন পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক এমপি।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য শামীমা আক্তার খানম, পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মল্লিক সাঈদ মাহবুব, জেলা প্রশাসক দিদারে আলম মোহাম্মদ মাকসুদ চৌধুরী, পানি উন্নয়ন বোর্ডের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী এস এম শহীদুল ইসলাম, পূর্বাঞ্চলের প্রধান প্রকৌশলী খুশি মোহন সরকার, তত্বাবধায়ক প্রকৌশলী প্রবীর কুমার গোস্বামী, সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মামুন হাওলাদার, সামছু দোহাসহ পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মচারী ও কর্মকর্তাগণ।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, অর্থছাড়ে বিলম্ব হয়নি। প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটি যথাসময়ে টাকা পেয়েছে। এবারই প্রথম একশো কোটি টাকা ছাড় দেয়া হয়েছে। প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটি যতটুকু কাজ করছে ততটুকুর বিল পাবে। হাওরের ৯৫ ভাগ বাঁধের কাজ শেষ হয়েছে। ডেট লাইন মেনে হাওরের ফসল রক্ষা বাঁধের কাজ শেষ করা সম্ভব নয়। প্রাকৃতিক কারণে হাওরের বাঁধের কাজ আগ পিছু হয়ে শেষ হয়। এ বছর অনেক জায়গায় পানি থাকার পরেও জেলা প্রশাসন প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটি গঠন করেছেন। অতীতে হাওরের পানি নেমে যাওয়ার পর প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটি গঠন করা হতো। এ বছর পানি থাকার পরেও অনেক আগে প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটি গঠন করা হয়েছে। হাওরের মাটি বাঁধ তৈরির উপযোগী হলে বাঁধ তৈরি করা হয়। এখন কিছু কিছু বাঁধে ড্রেসিং এর কাজ চলছে। বাঁধে ঘাস লাগানোর পরে বলা যায় বাঁধের কাজ শেষ হয়েছে। হাওর এলাকায় ঘাসের অভাব রয়েছে তারপরও চেষ্টা করা হচ্ছে ঘাস লাগানোর জন্য। আজকে বৃষ্টি হওয়ায় বাঁধের ঘাস ও হাওরের ফসল দুইয়ের জন্য ভালো হয়েছে। বৃষ্টি না হওয়ার কারণে বাঁধের ঘাস মরে যাচ্ছিল ; এখন সে ঘাস সজীব হবে। অল্প বৃষ্টি হাওরের ফসলের জন্য আশীর্বাদ বেশি বৃষ্টি হাওরের জন্য বিপদজনক। পরে প্রতিমন্ত্রী দিরাই ও শাল্লা উপজেলার টাংনির হাওর, জলডোবা, জয়পুর উদগলবিল হাওরের ফসল রক্ষা বাঁধ পরিদর্শন করেন।
প্রসঙ্গত, চলতি বছর ১ হাজার ৭২ টি প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির মাধ্যমে ২০৩ কোটি টাকা ব্যয়ে ৪৩ টি হাওরে ৭৪৫ কিলোমিটার ডুবন্ত ফসল রক্ষা বাঁধ নির্মাণ করে পানি উন্নয়ন বোর্ড। বাঁধ তৈরির জন্য আজ পর্যন্ত পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় ১০০ কোটি টাকা ছাড় দিয়েছে। এবছর ২ লাখ ২৩ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো আবাদ করেছেন জেলার ৪ লক্ষাধিক কৃষক।
বা/খ: এসআর।