ঢাকা ০৮:৩১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

স্বামী আবিষ্কার করেন প্রেমময় মাখামাখি

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৯:৩৮:১৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২৩
  • / ৪৪৮ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : 

সিঙ্গাপুরের তিন সন্তানের একজন মা। অনলাইনে পরিচয়ের পর অন্য এক পুরুষের প্রেমে পড়েছিলেন। এতটাই গভীর হয়ে যায় সম্পর্ক যে, তিনি তার কমপক্ষে দুই লাখ ডলার মূল্যের ইন্সুরেন্স তুলে দেন ওই পুরুষের হাতে। আর নিজের স্বামীকে দেন তালাক।

৪০ বছর বয়সী এই নারী তার প্রেমিককে খুব বেশি বিশ্বাস করেছিলেন। তার এই প্রেমিক নিজেকে যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনীর একজন ডাক্তার বলে পরিচয় দিয়েছিলেন। বলেছিলেন, তিনি দক্ষিণ সুদানে মিশনে থাকার সময় সন্ত্রাসীরা তাকে গুলি করেছে।

এ জন্য সেখানে হাসপাতালের বিল পরিশোধ করতে তার অর্থের প্রয়োজন। অমনি ওই ইন্সুরেন্স তার হাতে তুলে দেন ওই নারী। তাদের এই প্রেমময় মাখামাখি আবিষ্কার করে ফেলেন ওই নারীর স্বামী। তিনি অর্থ হস্তান্তরের বিষয়টি পুলিশে রিপোর্ট করেন। যখন পুলিশ ওই নারীকে জানালো যে, তিনি ফাঁদে পা দিয়েছেন তখন তা বিশ্বাসই করতে চাননি। কিন্তু যখন তিনি বিশ্বাস করলেন, তখন অনেক দেরি হয়ে গেছে। এ খবর দিয়েছে অনলাইন এশিয়া ওয়ান।

বুধবার (১৮ জানুয়ারি) এ বিষয়ে কথা বলেন পুলিশের ডেপুটি এসিসট্যান্ট কমিশনার আইলিন ইয়াপ। সুনটেক সিঙ্গাপুর কনভেনশন অ্যান্ড এক্সিবিশন সেন্টারে ‘স্ক্যামিনার! এসিটি এগেইনস্ট স্ক্যামস’ ইভেন্টে তিনি বুধবার বক্তব্য রাখছিলেন। এই অধিবেশনের মডারেটর ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সান সুয়েলিং। এতে ইয়াপ বলেন, ওই নারী বিশ্বাস করেছিলেন, যখন ওই প্রতারক প্রেমিক বলেছেন তিনি সিঙ্গাপুর আসবেন এবং তার তিন সন্তানের দায়ভার নেবেন। ওই নারীর তিন সন্তানের বয়স ১২ বছর, ৯ বছর এবং দুই বছর। ওই নারী একজন একাউন্টেন্ট। তাকে তিন মাস ধরে বোঝানোর চেষ্টা করেন পুলিশ কর্মকর্তারা।

তারা তাকে বলেন যে, তিনি একটি ভালবাসার ফাঁদে পা দিয়েছেন। তারা দেখতে পান যে, ওই প্রতারক প্রেমিক এই নারীর কাছে যেসব ছবি পাঠিয়েছে তাতে তাকে একটি হাসপাতালে দেখা যায়। কিন্তু এই ছবি ফটোশপ ব্যবহার করে বানানো হয়েছে। ইয়াপ বলেন, আমার কর্মকর্তারা অনেকবার ওই নারীর সঙ্গে কথা বলেছেন। কিন্তু তিনি কিছুতেই আমাদেরকে বিশ্বাস করছিলেন না।

শেষ পর্যন্ত তিনি দেখতে পান যে, ওই প্রেমিক যে ইমেইল পাঠিয়েছে তা ওই হাসপাতালের ইমেইল। ততক্ষণে ওই ভণ্ড প্রেমিকের হাতে চলে গেছে দুই লাখ ডলার। তার মধ্য থেকে তারা মাত্র এক লাখ ৭০ হাজার ডলার উদ্ধার করতে পেরেছেন।

ডিএসি ইয়াপ বলেন, ওই নারী আর্থিক ক্ষতির চেয়েও বেশি ক্ষতির মুখে পড়েছিলেন। তার স্বামী বলেছেন, তারা আর সম্পর্ক পুনঃস্থাপন করবেন না। ফলে দুর্ভোগে পড়েছে তাদের তিনটি সন্তান। তাদেরকে বন্ধুবান্ধব ও আত্মীয়দের কাছে দেয়া হয়েছে। সূত্র : এশিয়া ওয়ান।

নিউজটি শেয়ার করুন

স্বামী আবিষ্কার করেন প্রেমময় মাখামাখি

আপডেট সময় : ০৯:৩৮:১৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২৩

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : 

সিঙ্গাপুরের তিন সন্তানের একজন মা। অনলাইনে পরিচয়ের পর অন্য এক পুরুষের প্রেমে পড়েছিলেন। এতটাই গভীর হয়ে যায় সম্পর্ক যে, তিনি তার কমপক্ষে দুই লাখ ডলার মূল্যের ইন্সুরেন্স তুলে দেন ওই পুরুষের হাতে। আর নিজের স্বামীকে দেন তালাক।

৪০ বছর বয়সী এই নারী তার প্রেমিককে খুব বেশি বিশ্বাস করেছিলেন। তার এই প্রেমিক নিজেকে যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনীর একজন ডাক্তার বলে পরিচয় দিয়েছিলেন। বলেছিলেন, তিনি দক্ষিণ সুদানে মিশনে থাকার সময় সন্ত্রাসীরা তাকে গুলি করেছে।

এ জন্য সেখানে হাসপাতালের বিল পরিশোধ করতে তার অর্থের প্রয়োজন। অমনি ওই ইন্সুরেন্স তার হাতে তুলে দেন ওই নারী। তাদের এই প্রেমময় মাখামাখি আবিষ্কার করে ফেলেন ওই নারীর স্বামী। তিনি অর্থ হস্তান্তরের বিষয়টি পুলিশে রিপোর্ট করেন। যখন পুলিশ ওই নারীকে জানালো যে, তিনি ফাঁদে পা দিয়েছেন তখন তা বিশ্বাসই করতে চাননি। কিন্তু যখন তিনি বিশ্বাস করলেন, তখন অনেক দেরি হয়ে গেছে। এ খবর দিয়েছে অনলাইন এশিয়া ওয়ান।

বুধবার (১৮ জানুয়ারি) এ বিষয়ে কথা বলেন পুলিশের ডেপুটি এসিসট্যান্ট কমিশনার আইলিন ইয়াপ। সুনটেক সিঙ্গাপুর কনভেনশন অ্যান্ড এক্সিবিশন সেন্টারে ‘স্ক্যামিনার! এসিটি এগেইনস্ট স্ক্যামস’ ইভেন্টে তিনি বুধবার বক্তব্য রাখছিলেন। এই অধিবেশনের মডারেটর ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সান সুয়েলিং। এতে ইয়াপ বলেন, ওই নারী বিশ্বাস করেছিলেন, যখন ওই প্রতারক প্রেমিক বলেছেন তিনি সিঙ্গাপুর আসবেন এবং তার তিন সন্তানের দায়ভার নেবেন। ওই নারীর তিন সন্তানের বয়স ১২ বছর, ৯ বছর এবং দুই বছর। ওই নারী একজন একাউন্টেন্ট। তাকে তিন মাস ধরে বোঝানোর চেষ্টা করেন পুলিশ কর্মকর্তারা।

তারা তাকে বলেন যে, তিনি একটি ভালবাসার ফাঁদে পা দিয়েছেন। তারা দেখতে পান যে, ওই প্রতারক প্রেমিক এই নারীর কাছে যেসব ছবি পাঠিয়েছে তাতে তাকে একটি হাসপাতালে দেখা যায়। কিন্তু এই ছবি ফটোশপ ব্যবহার করে বানানো হয়েছে। ইয়াপ বলেন, আমার কর্মকর্তারা অনেকবার ওই নারীর সঙ্গে কথা বলেছেন। কিন্তু তিনি কিছুতেই আমাদেরকে বিশ্বাস করছিলেন না।

শেষ পর্যন্ত তিনি দেখতে পান যে, ওই প্রেমিক যে ইমেইল পাঠিয়েছে তা ওই হাসপাতালের ইমেইল। ততক্ষণে ওই ভণ্ড প্রেমিকের হাতে চলে গেছে দুই লাখ ডলার। তার মধ্য থেকে তারা মাত্র এক লাখ ৭০ হাজার ডলার উদ্ধার করতে পেরেছেন।

ডিএসি ইয়াপ বলেন, ওই নারী আর্থিক ক্ষতির চেয়েও বেশি ক্ষতির মুখে পড়েছিলেন। তার স্বামী বলেছেন, তারা আর সম্পর্ক পুনঃস্থাপন করবেন না। ফলে দুর্ভোগে পড়েছে তাদের তিনটি সন্তান। তাদেরকে বন্ধুবান্ধব ও আত্মীয়দের কাছে দেয়া হয়েছে। সূত্র : এশিয়া ওয়ান।