ঢাকা ০৭:০৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৭ মে ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

স্বাগতিকদের সহজেই হারিয়ে চট্টগ্রামপর্ব শুরু সাকিবের বরিশালের

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৬:৪২:২৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৩ জানুয়ারী ২০২৩
  • / ৪৩৮ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

স্পোর্টস ডেস্ক : 

বিপিএলে নিজেদের মাঠে প্রথম ম্যাচেই স্বাগতিক দর্শকদের হতাশা উপহার দিলো চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। সাকিব আল হাসানের ফরচুন বরিশাল সহজেই হারালো শুভাগতহোমের দলকে। চট্টগ্রাম পর্বের প্রথম ম্যাচে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সকে ২৬ রানে হারিয়েছে ফরচুন বরিশাল।

শুক্রবার (১৩ জানুয়ারি) জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে টসে হেরে প্রথমে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ২০২ রান সংগ্রহ করে ফরচুন বরিশাল। ২০৩ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৭৬ রান সংগ্রহ করতে সক্ষম হয় চট্টগ্রাম।

টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ভালো শুরু করে ফরচুন বরিশাল। শুরু থেকেই আক্রমণাত্নক খেলতে থাকে দুই উদ্বোধনী ব্যাটার এনামুল বিজয় ও মেহেদী মিরাজ। তবে দলীয় ৩৩ রানে ১২ বলে ২৪ রান করে আউট হন মেহেদী মিরাজ। এরপর ক্রিজে এসে ভালো শুরুর আশা জাগিয়েও আউট হন বরিশালের অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। দলীয় ৪৬ রানে ৩ বলে ৮ রান করে ফিরে যান সাজঘরে।

সাকিবের বিদায়ের পর ইব্রাহিম জাদরানকে সঙ্গে নিয়ে রানের চাকা সচল রাখেন বিজয়। তবে দলীয় ৭১ রানে ২১ বলে ৩০ রান করে আউট হন বিজয়। এরপর মাহমুদুল্লাহ রিয়াদকে সঙ্গে নিয়ে ৪৯ রানের জুটি গড়েন ইব্রাহিম জাদরান। তবে দলীয় ১২০ রানে ১৭ বলে ২৫ রান করে আউট হন মাহমুদুল্লাহ।

মাহমুদুল্লাহর বিদায়ের পর দ্রুতই আউট হন ইব্রাহিম জাদরান। দুই রানের অর্ধশতক মিস করেন তিনি। ৩৩ বলে ৪৮ রান করে ফিরে যান ইব্রাহিম জাদরান। জাদরানের বিদায়ের পরও বরিশালের রানের চাকা সচল রাখেন ইফতিখার আহমেদ। তবে দলীয় ১৬৮ রানে পর পর দুই উইকেট হারায় ফরচুন বরিশাল। ৫ বলে ৬ রান করিম জানাত ও এক বলে খেলে রানের খাতা না খুলেই আউট হন চতুরাঙ্গ ডি সিলভা।

পর পর দুই বলে দুই উইকেট নিয়ে হ্যাট্রিকের আশা জাগান পেসার আবু জায়েদ রাহি। তবে হ্যাট্রিক করতে পারেননি তিনি। ইনিংসের ১৯তম ওভারে শেষ তিন বলে তিন ছক্কা হাঁকান ইফতিখার আহমেদ। ইনিংসের শেষ ওভারের দুই চার মেরে ২৫ বলে নিজের অর্ধশতক পূরণ করেন ইফতিখার আহমেদ। শেষ বলে ছক্কা হাঁকিয়ে ইনিংস শেষ করেন তিনি।

শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ২০২ রানের বড় সংগ্রহ পায় ফরচুন বরিশাল। ইফতিখার আহমেদ ২৬ বলে ৫৭ ও কামরুল রাব্বি ২ বলে ২ রান করে অপরাজিত থাকেন। চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩টি উইকেট নেন আবু জায়েদ রাহি।

২০৩ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সকে ভালো শুরু এনে দেন দুই উদ্বোধনী ব্যাটার ম্যাক্স ও দাউদ ও উসমান খান। আগ্রাসী ব্যাটিং করতে থাকেন দু’জন। তবে দলীয় ৪৮ রানে উইকেট হারায় চট্টগ্রাম। ১৯ বলে ৩৬ রান করে আউট হন উসমান খান। তবে এরপর ক্রিজে আসা উন্মুক্ত চাঁদকে সঙ্গে নিয়ে রানের চাকা সচল রাখেন ম্যাক্স ও দাউদ। পাওয়ার প্লের ৬ ওভারে ১ উইকেট হারিয়ে ৫৭ রান সংগ্রহ করে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স।

তবে দলীয় ৮১ রানে ২৯ বলে ২৯ রান করে সাজঘরে ফিরে যান ম্যাক্স ও দাউদ। তার বিদায়ের পর দ্রুতই আউট হন উন্মুক্ত চাঁদ। এরপর আফিফ হোসেন ও জিয়াউর রহমান মিলে লড়াই করার চেষ্টা করেন। শেষ ৪ ওভারে জয়ের জন্য ৮২ রান প্রয়োজন হয় চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের। দ্রুত রান তুলতে গিয়ে দলীয় ১৩০ রানে ২১ বলে ২৮ রান করে সাজঘরে ফিরে যান আফিফ হোসেন।

আফিফের বিদায়ের পর ক্রিজে আসেন অধিনায়ক শুভাগত হোম। শুভাগতকে সঙ্গে নিয়ে লড়াই চালিয়ে যান জিয়াউর রহমান। ঝড়ো ব্যাটিং করতে থাকেন তিনি। শেষ ওভারে জয়ের জন্য ৩৬ রান প্রয়োজন হয় চট্টগ্রামের।

শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ১৭৬ রান সংগ্রহ করতে সক্ষম হয় চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। জিয়াউর ২৫ বলে ৪৭ ও শুভাগত ৬ বলে ১০ রানে অপরাজিত থাকেন। বরিশালের পক্ষে সাকিব, খালেদ, কামরুল ও করিম জানাত নেন ১টি করে উইকেট।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

স্বাগতিকদের সহজেই হারিয়ে চট্টগ্রামপর্ব শুরু সাকিবের বরিশালের

আপডেট সময় : ০৬:৪২:২৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৩ জানুয়ারী ২০২৩

স্পোর্টস ডেস্ক : 

বিপিএলে নিজেদের মাঠে প্রথম ম্যাচেই স্বাগতিক দর্শকদের হতাশা উপহার দিলো চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। সাকিব আল হাসানের ফরচুন বরিশাল সহজেই হারালো শুভাগতহোমের দলকে। চট্টগ্রাম পর্বের প্রথম ম্যাচে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সকে ২৬ রানে হারিয়েছে ফরচুন বরিশাল।

শুক্রবার (১৩ জানুয়ারি) জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে টসে হেরে প্রথমে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ২০২ রান সংগ্রহ করে ফরচুন বরিশাল। ২০৩ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৭৬ রান সংগ্রহ করতে সক্ষম হয় চট্টগ্রাম।

টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ভালো শুরু করে ফরচুন বরিশাল। শুরু থেকেই আক্রমণাত্নক খেলতে থাকে দুই উদ্বোধনী ব্যাটার এনামুল বিজয় ও মেহেদী মিরাজ। তবে দলীয় ৩৩ রানে ১২ বলে ২৪ রান করে আউট হন মেহেদী মিরাজ। এরপর ক্রিজে এসে ভালো শুরুর আশা জাগিয়েও আউট হন বরিশালের অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। দলীয় ৪৬ রানে ৩ বলে ৮ রান করে ফিরে যান সাজঘরে।

সাকিবের বিদায়ের পর ইব্রাহিম জাদরানকে সঙ্গে নিয়ে রানের চাকা সচল রাখেন বিজয়। তবে দলীয় ৭১ রানে ২১ বলে ৩০ রান করে আউট হন বিজয়। এরপর মাহমুদুল্লাহ রিয়াদকে সঙ্গে নিয়ে ৪৯ রানের জুটি গড়েন ইব্রাহিম জাদরান। তবে দলীয় ১২০ রানে ১৭ বলে ২৫ রান করে আউট হন মাহমুদুল্লাহ।

মাহমুদুল্লাহর বিদায়ের পর দ্রুতই আউট হন ইব্রাহিম জাদরান। দুই রানের অর্ধশতক মিস করেন তিনি। ৩৩ বলে ৪৮ রান করে ফিরে যান ইব্রাহিম জাদরান। জাদরানের বিদায়ের পরও বরিশালের রানের চাকা সচল রাখেন ইফতিখার আহমেদ। তবে দলীয় ১৬৮ রানে পর পর দুই উইকেট হারায় ফরচুন বরিশাল। ৫ বলে ৬ রান করিম জানাত ও এক বলে খেলে রানের খাতা না খুলেই আউট হন চতুরাঙ্গ ডি সিলভা।

পর পর দুই বলে দুই উইকেট নিয়ে হ্যাট্রিকের আশা জাগান পেসার আবু জায়েদ রাহি। তবে হ্যাট্রিক করতে পারেননি তিনি। ইনিংসের ১৯তম ওভারে শেষ তিন বলে তিন ছক্কা হাঁকান ইফতিখার আহমেদ। ইনিংসের শেষ ওভারের দুই চার মেরে ২৫ বলে নিজের অর্ধশতক পূরণ করেন ইফতিখার আহমেদ। শেষ বলে ছক্কা হাঁকিয়ে ইনিংস শেষ করেন তিনি।

শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ২০২ রানের বড় সংগ্রহ পায় ফরচুন বরিশাল। ইফতিখার আহমেদ ২৬ বলে ৫৭ ও কামরুল রাব্বি ২ বলে ২ রান করে অপরাজিত থাকেন। চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩টি উইকেট নেন আবু জায়েদ রাহি।

২০৩ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সকে ভালো শুরু এনে দেন দুই উদ্বোধনী ব্যাটার ম্যাক্স ও দাউদ ও উসমান খান। আগ্রাসী ব্যাটিং করতে থাকেন দু’জন। তবে দলীয় ৪৮ রানে উইকেট হারায় চট্টগ্রাম। ১৯ বলে ৩৬ রান করে আউট হন উসমান খান। তবে এরপর ক্রিজে আসা উন্মুক্ত চাঁদকে সঙ্গে নিয়ে রানের চাকা সচল রাখেন ম্যাক্স ও দাউদ। পাওয়ার প্লের ৬ ওভারে ১ উইকেট হারিয়ে ৫৭ রান সংগ্রহ করে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স।

তবে দলীয় ৮১ রানে ২৯ বলে ২৯ রান করে সাজঘরে ফিরে যান ম্যাক্স ও দাউদ। তার বিদায়ের পর দ্রুতই আউট হন উন্মুক্ত চাঁদ। এরপর আফিফ হোসেন ও জিয়াউর রহমান মিলে লড়াই করার চেষ্টা করেন। শেষ ৪ ওভারে জয়ের জন্য ৮২ রান প্রয়োজন হয় চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের। দ্রুত রান তুলতে গিয়ে দলীয় ১৩০ রানে ২১ বলে ২৮ রান করে সাজঘরে ফিরে যান আফিফ হোসেন।

আফিফের বিদায়ের পর ক্রিজে আসেন অধিনায়ক শুভাগত হোম। শুভাগতকে সঙ্গে নিয়ে লড়াই চালিয়ে যান জিয়াউর রহমান। ঝড়ো ব্যাটিং করতে থাকেন তিনি। শেষ ওভারে জয়ের জন্য ৩৬ রান প্রয়োজন হয় চট্টগ্রামের।

শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ১৭৬ রান সংগ্রহ করতে সক্ষম হয় চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। জিয়াউর ২৫ বলে ৪৭ ও শুভাগত ৬ বলে ১০ রানে অপরাজিত থাকেন। বরিশালের পক্ষে সাকিব, খালেদ, কামরুল ও করিম জানাত নেন ১টি করে উইকেট।