নোয়াখালীর সেনবাগের সেবারহাট বাজারের চাঞ্চল্যকর কলেজ ছাত্র শাওন হত্যা মামলা তিন আসামী গ্রেফতার করেছে র‌্যাব ও পুলিশ। গ্রেফতারকৃতরা হচ্ছে – মামলার ৩নং আসামী সেনবাগ উপজেলার বীর নারায়নপুর গ্রামের নওশাত প্রকাশ নুসাদ (২০), ৪নং আাসামী দক্ষিন রাজারামপুর গ্রামের নুরনবীর ছেলে আরাফাত (২১) ও ৭নং আসামী দক্ষিণ রাজারামপুর গ্রামের মোস্তফার ছেলে দিদার হোসেন প্রকাশ শামীম (১৯)।

শনিবার দিবাগত গভীর রাতে শামীমকে সেনবাগের সিমান্তবর্তী বেগমগঞ্জ উপজেলার জমিদারহাট বাজার সংলগ্ন মনোয়ারা জেনারেল হাসপাতাল এলাকা থেকে র‌্যাব-১১ এবং নওশাদ প্রকাশ নুসাদ ও আরাফাতকে সিলেটের সুনামগঞ্জ থেকে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় গ্রেফতার করে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস.আই খোরশেদ আলমের নেতৃত্বে সঙ্গীয় পুলিশ ফোর্স।

গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করে সেনবাগ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ নাজিম উদ্দিন জানান, এক জনকে র‌্যাব -১১ গ্রেফতার করে থানায় হস্তান্তর করে। অপর দুইজনকে রাতে সিলেটের সুনামগঞ্জ থেকে গ্রেফতার করা সেনবাগে উদ্যেশ্যে রওয়ানা দিয়েছে। থানায় আসলে পরবর্তী আইন ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বাকী আসামীদের গ্রেফতারের প্রচেষ্টা অব্যহত রয়েছে।

উল্লেখ্য, গত ১৭ এপ্রিল বুধবার রাত সোয়া ৮টার দিকে উপজেলার প্রধান বানিজ্য কেন্দ্র সেবারহাট বাজারে বৈশাখী মেলায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ‘এফ-১০’ নামের একদল কিশোর গ্যাং সদস্যদের চুরিকাঘাতে সেনবাগ উপজেলার মোহাম্মদপুর ইউপির ১নং ওয়ার্ড উত্তর রাজারামপুর গ্রামের জমাদার বাড়ির সৌদি প্রবাসী জসিম উদ্দিন কচির ছেলে মাহিরুল ইসলাম শাওন (২০) নিহত হয়। শাওন ফেনীর দাগনভূঁঞা সরকারি ইকবাল মেমোরিয়াল ডিগ্রী কলেজের দ্বাদ্বশ শ্রেণীর ছাত্র ছিলো। এ ঘটনায় জাহিদুল ইসলাম প্রকাশ পিয়াস (২১) ও মেহেদী (২৩) আহত হয়েছে। এদের মধ্যে পিয়াসের অবস্থা সংটাপন্ন। ওই হত্যাকান্ডের ঘটনায় নিহত শাওনের মা আঞ্জুমান আরা রুমা বাদি হয়ে ১০ জনের নাম উল্লেখ সহ আরো অনেকের নামে সেনবাগ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করে। মামলা ১৩, তারিখ ১৮-০৪-২০২৪ ইং।

হত্যাকান্ডের ঘটনার ৪দিন অতিবাহিত হলেও কোন আসামী গ্রেফতার না হওয়ায় শনিবার (২০ এপ্রিল) বিকেলে আসামীদের গ্রেফতারের দাবী জানিয়ে এলাকাবাসী ও সহপাঠিরা সেবারহাট বাজারে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করে। এসময় আসামীদের গ্রেফতারে ২৪ ঘন্টার আল্টিমেটাম ঘোষণা করা হয়েছিল। এরপর র‌্যাব ও পুলিশ বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তিন আসামীকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।