ঢাকা ০২:৩০ অপরাহ্ন, সোমবার, ০৬ মে ২০২৪, ২৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

সুনামগঞ্জে বাঁধের কাজে অনিময়-দুর্নীতি, প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৮:৩৮:০৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ১ মার্চ ২০২৩
  • / ৪৫২ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

রাজু আহমেদ রমজান, সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি :

সুনামগঞ্জ জেলায় হাওরের বাঁধের কাজ ধীরগতি, অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনার বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছে হাওর বাঁচাও আন্দোলন সুনামগঞ্জ। এতে উল্লেখ করা হয়েছে গতবারের চাইতে এবার দ্বিগুণ বরাদ্দ ও শতকরা ৫০ ভাগ অতিরিক্ত অপ্রয়োজনীয় পিআইসি প্রকল্প গ্রহণ করে একে অপরের যোগসাজশে সরকারের টাকা লুটপাটের মহোৎসব চালানো হচ্ছে।

বুধবার (১ মার্চ) দুপুরে সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে স্মারকলিপি গ্রহন করেন জেলা প্রশাসক দিদারে আলম মোহাম্মদ মাকসুদ চৌধুরী। স্মারকলিপি প্রদান করেন হাওর বাঁচাও আন্দোলন কেন্দ্রীয় কমিটির উপদেষ্টা বিকাশ রঞ্জন চৌধুরী, সহ-সভাপতি চিত্ত রঞ্জন তালুকদার, সাধারণ সম্পাদক বিজন সেন রায়, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নির্মল ভট্টাচার্য, বাঁধ বিষয়ক সম্পাদক রাজু আহমেদ, প্রচার সম্পাদক আনোয়ারুল হক, হাওর বাঁচাও আন্দোলন সুনামগঞ্জের সভাপতি ইয়াকুব বখত বাহলুল, সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল হক মিলন, সাংগঠনিক সম্পাদক শহীদ নূর আহমেদ, সদস্য চন্দন রায়, হাওর বাঁচাও আন্দোলন সুনামগঞ্জ সদর উপজেলা শাখার সভাপতি স্বপন দাস প্রমুখ।

স্মারকলিপিতে বলা হয়, কাবিটা নীতিমালা ২০১৭ অনুযায়ী ২০২২ সনের ১৫ ডিসেম্বর থেকে ফসলরক্ষা বাঁধের কাজ শুরু করার কথা। কিন্তু প্রকল্প গ্রহণ ও অনুমোদনে অব্যবস্থাপনা ও অনৈতিকতার আশ্রয় নেওয়ায় প্রকল্প গ্রহণ ও অনুমোদনে বিলম্ব হয়। ফলে কাজ শুরু করতেও বিলম্ব হয়। আমরা সরেজমিন ঘুরে দেখেছি এখনো অর্ধেক কাজ বাকি। তাই এবারও ২৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে কোনো বাঁধই সম্পন্ন করা হয়নি। প্রকল্পের সময় বর্ধিত করা হলেও, অতিবৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে বাঁধ ভেঙ্গে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে। যথা সময়ে কাজ শুরু করতে না পারা এবং কাজ শেষ করতে না পারায় কাজও টেকসই হবেনা। যার ফলে বাধগুলো বন্যাঝুঁকিতে থেকে যাচ্ছে।

স্মারকলিপিতে আরও বলা হয়, হাওরে দুর্নীতিবাজ সিন্ডিকেটের কারণে প্রকৃত কৃষকরা কার্যকরী বাঁধের সুরক্ষা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। বানানো কৃষক দিয়ে প্রকল্প অনুমোদন ও বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। কৃষক নয় এমন ব্যক্তিও নানাভাবে পেয়ে যাচ্ছেন পিআইসি। চলতি বছর বন্যার দোহাই দিয়ে বাঁধের বরাদ্দ, প্রকল্পের পরিমাণ, পিআইসি গঠনে অনিয়ম, অপ্রয়োজনীয় প্রকল্প, অক্ষত ও অল্প ক্ষতিস্তস্থ’ প্রকল্পে বিপুল বরাদ্দ দিয়ে সরকারি টাকা অপচয়ের মহোৎসব চলছে।

প্রিওয়ার্ক ও পোস্ট ওয়ার্কে চরম দুর্নীতির মাধ্যমে সরকারের অর্থ অপচয় ও লুটতরাজ করা হচ্ছে উল্লেখ করে নেতৃবৃন্দ বলেন, আমার ঘুরে দেখেছি এখনো জেলার ১২৮টি ঝুঁকিপূর্ণ ক্লোজারে মাটি ফেলা হয়নি। দুর্বাঘাস লাগানো ও কমপেকশন বাকি রয়ে গেছে। আমাদের সংগঠনের জেলা পর্যায়ের বিভিন্ন নেতা ও উপজেলা এবং ইউনিয়ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ ১২ উপজেলার অন্তত পাঁচ শতাধিক পিআইসির কাজ পরিদর্শন করেছেন। কিছু কিছু বাঁধের কাজের গতি সন্তোষজনক হলেও বেশিরভাগ বাঁধের কাজের গতি মন্থর। বাধের কাজে নীতিমালা মানা হচ্ছেনা কোথাও। বাঁধের প্রকল্প এলাকার সাইনবোর্ডের সাথে তথ্যের মিল পাওয়া যাচ্ছে না।

স্মারকলিপি গ্রহন করে জেলা প্রশাসক দিদারে আলম মোহাম্মদ মাকসুদ চৌধুরী বলেন, ৭ই মার্চের মধ্যে বাঁধের কাজ শেষ করতে হবে। এক্ষেত্রে কোন অনিয়ম-দুর্নীতি হলে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।

বা/খ: জই

নিউজটি শেয়ার করুন

সুনামগঞ্জে বাঁধের কাজে অনিময়-দুর্নীতি, প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি

আপডেট সময় : ০৮:৩৮:০৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ১ মার্চ ২০২৩

রাজু আহমেদ রমজান, সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি :

সুনামগঞ্জ জেলায় হাওরের বাঁধের কাজ ধীরগতি, অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনার বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছে হাওর বাঁচাও আন্দোলন সুনামগঞ্জ। এতে উল্লেখ করা হয়েছে গতবারের চাইতে এবার দ্বিগুণ বরাদ্দ ও শতকরা ৫০ ভাগ অতিরিক্ত অপ্রয়োজনীয় পিআইসি প্রকল্প গ্রহণ করে একে অপরের যোগসাজশে সরকারের টাকা লুটপাটের মহোৎসব চালানো হচ্ছে।

বুধবার (১ মার্চ) দুপুরে সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে স্মারকলিপি গ্রহন করেন জেলা প্রশাসক দিদারে আলম মোহাম্মদ মাকসুদ চৌধুরী। স্মারকলিপি প্রদান করেন হাওর বাঁচাও আন্দোলন কেন্দ্রীয় কমিটির উপদেষ্টা বিকাশ রঞ্জন চৌধুরী, সহ-সভাপতি চিত্ত রঞ্জন তালুকদার, সাধারণ সম্পাদক বিজন সেন রায়, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নির্মল ভট্টাচার্য, বাঁধ বিষয়ক সম্পাদক রাজু আহমেদ, প্রচার সম্পাদক আনোয়ারুল হক, হাওর বাঁচাও আন্দোলন সুনামগঞ্জের সভাপতি ইয়াকুব বখত বাহলুল, সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল হক মিলন, সাংগঠনিক সম্পাদক শহীদ নূর আহমেদ, সদস্য চন্দন রায়, হাওর বাঁচাও আন্দোলন সুনামগঞ্জ সদর উপজেলা শাখার সভাপতি স্বপন দাস প্রমুখ।

স্মারকলিপিতে বলা হয়, কাবিটা নীতিমালা ২০১৭ অনুযায়ী ২০২২ সনের ১৫ ডিসেম্বর থেকে ফসলরক্ষা বাঁধের কাজ শুরু করার কথা। কিন্তু প্রকল্প গ্রহণ ও অনুমোদনে অব্যবস্থাপনা ও অনৈতিকতার আশ্রয় নেওয়ায় প্রকল্প গ্রহণ ও অনুমোদনে বিলম্ব হয়। ফলে কাজ শুরু করতেও বিলম্ব হয়। আমরা সরেজমিন ঘুরে দেখেছি এখনো অর্ধেক কাজ বাকি। তাই এবারও ২৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে কোনো বাঁধই সম্পন্ন করা হয়নি। প্রকল্পের সময় বর্ধিত করা হলেও, অতিবৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে বাঁধ ভেঙ্গে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে। যথা সময়ে কাজ শুরু করতে না পারা এবং কাজ শেষ করতে না পারায় কাজও টেকসই হবেনা। যার ফলে বাধগুলো বন্যাঝুঁকিতে থেকে যাচ্ছে।

স্মারকলিপিতে আরও বলা হয়, হাওরে দুর্নীতিবাজ সিন্ডিকেটের কারণে প্রকৃত কৃষকরা কার্যকরী বাঁধের সুরক্ষা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। বানানো কৃষক দিয়ে প্রকল্প অনুমোদন ও বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। কৃষক নয় এমন ব্যক্তিও নানাভাবে পেয়ে যাচ্ছেন পিআইসি। চলতি বছর বন্যার দোহাই দিয়ে বাঁধের বরাদ্দ, প্রকল্পের পরিমাণ, পিআইসি গঠনে অনিয়ম, অপ্রয়োজনীয় প্রকল্প, অক্ষত ও অল্প ক্ষতিস্তস্থ’ প্রকল্পে বিপুল বরাদ্দ দিয়ে সরকারি টাকা অপচয়ের মহোৎসব চলছে।

প্রিওয়ার্ক ও পোস্ট ওয়ার্কে চরম দুর্নীতির মাধ্যমে সরকারের অর্থ অপচয় ও লুটতরাজ করা হচ্ছে উল্লেখ করে নেতৃবৃন্দ বলেন, আমার ঘুরে দেখেছি এখনো জেলার ১২৮টি ঝুঁকিপূর্ণ ক্লোজারে মাটি ফেলা হয়নি। দুর্বাঘাস লাগানো ও কমপেকশন বাকি রয়ে গেছে। আমাদের সংগঠনের জেলা পর্যায়ের বিভিন্ন নেতা ও উপজেলা এবং ইউনিয়ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ ১২ উপজেলার অন্তত পাঁচ শতাধিক পিআইসির কাজ পরিদর্শন করেছেন। কিছু কিছু বাঁধের কাজের গতি সন্তোষজনক হলেও বেশিরভাগ বাঁধের কাজের গতি মন্থর। বাধের কাজে নীতিমালা মানা হচ্ছেনা কোথাও। বাঁধের প্রকল্প এলাকার সাইনবোর্ডের সাথে তথ্যের মিল পাওয়া যাচ্ছে না।

স্মারকলিপি গ্রহন করে জেলা প্রশাসক দিদারে আলম মোহাম্মদ মাকসুদ চৌধুরী বলেন, ৭ই মার্চের মধ্যে বাঁধের কাজ শেষ করতে হবে। এক্ষেত্রে কোন অনিয়ম-দুর্নীতি হলে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।

বা/খ: জই