ঢাকা ১০:০৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

উপজেলা নির্বাচনে প্রায় ৭০ শতাংশ ব্যবসায়ী চেয়ারম্যান প্রার্থী

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ০১:২৫:৩৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ৬ মে ২০২৪
  • / ৪৩২ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

আগামী ৮ মে অনুষ্ঠেয় প্রথম ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে লড়ছেন এমন ১৩ জন মন্ত্রী-এমপিদের স্বজন বলে জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। সোমবার (৬ মে) টিআইবির ‘উপজেলা পরিষদ নির্বাচন-২০২৪ (প্রথম ধাপ) হলফনামা বিশ্লেষণ ও ফলাফল’ শীর্ষক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, পাঁচ বছরে অস্থাবর সম্পদ অর্জনে সংসদ সদস্যদের চেয়ে এগিয়ে আছেন উপজেলা পরিষদের জনপ্রতিনিধিরা। এ সময়ে সংসদ সদস্যদের সম্পদ বৃদ্ধির হার সর্বোচ্চ ৩ হাজার ৬৫ শতাংশ, যেখানে একজন চেয়ারম্যানের সম্পদ বৃদ্ধির হার ৪ হাজার ২০০ শতাংশের বেশি।

প্রথম ধাপের উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থীদের মধ্যে ৬৯ দশমিক ৮৬ শতাংশই ব্যবসায়ী। পাশাপাশি ঋণ আছে ২৩ দশমিক ৪১ শতাংশ প্রার্থীর এবং ১৬ দশমিক ৬৩ শতাংশ প্রার্থী মামলার আসামি। এ ছাড়া চেয়ারম্যান প্রার্থীদের মধ্যে ১৩ জন মন্ত্রী-এমপিদের স্বজন।

টিআইবি বলছে, প্রথম ধাপের ১৫২টি উপজেলার মধ্যে ১৪৪টির প্রার্থীদের হলফনামা নির্বাচন কমিশন প্রকাশ করেছে, বাকি আটটি করেনি। ১৫২টি উপজেলার তিনটি নির্বাচনের প্রায় ৪ হাজার ৮০০টি হলফনামায় দেওয়া আট ধরনের তথ্যের বহুমাত্রিক ও তুলনামূলক বিশ্লেষণ করা হয়েছে।

স্থানীয় সরকার নির্বাচনে মন্ত্রী-এমপিদের হস্তক্ষেপ বড় আলোচনার বিষয় হলেও এবার স্বজনদের মনোনয়ন নিয়ে চলছে বিতর্ক। প্রথম ধাপে প্রথম পর্বে মন্ত্রী-এমপিদের স্বজন ১৩ জন। প্রার্থী হওয়ায় এগিয়ে ভাইয়েরা; চাচাতো ভাই, খালাতো ভাই, জামাতা, ভাইয়ের ছেলে আছেন এ তালিকায়।

তারা হলেন- মাদারীপুর সদর উপজেলার চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী আসিবুর রহমান, সুবর্ণচর উপজেলার আতাহার ইশরাক চৌধুরী, সারিয়াকান্দি উপজেলার মোহাম্মদ সাখাওয়াত হোসেন, বেড়া উপজেলার চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী মো. আব্দুল বাতেন ও আব্দুল কাদের, নাজিরপুর উপজেলার এস এম নূর ই আলম, সোনাতলা উপজেলার মিনহাদুজ্জামান, বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার সফিকুল ইসলাম ও আলী আফসার, কুষ্টিয়া সদরের আতাউর রহমান, ধনবাড়ী উপজেলার হারুন অর রশীদ, মাদারীপুর সদরের পাভেলুর রহমান এবং রামগড় উপজেলার চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী বিশ্ব প্রদীপ কারবারী।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ৫ বছরে অস্থাবর সম্পদ বৃদ্ধিতে উপজেলা পরিষদের জনপ্রতিনিধিরা পেছনে ফেলেছেন সংসদ সদস্যদের। এ ক্ষেত্রে অস্থাবর সম্পদের ভিত্তিতে কোটিপতি প্রার্থীদের শীর্ষ ২০ জনের তালিকা করেছে টিআইবি। এর মধ্যে তালিকার শীর্ষে থাকা গোপালগঞ্জ সদর উপজেলায় চেয়ারম্যান প্রার্থী কামরুজ্জামান ভূইয়ার মোট অস্থাবর সম্পদের পরিমাণ ২৫ দশমিক ২৪ কোটি টাকা। পাশাপাশি ২ নম্বরে থাকা রংপুরের কাউনিয়া উপজেলায় চেয়ারম্যান প্রার্থী আনোয়ারুল ইসলামের মোট অস্থাবর সম্পদের পরিমাণ ২০ দশমিক ৩০ কোটি টাকা। এ ছাড়া তালিকার শীর্ষ তিনে থাকা নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী আতাহার ইশরাক শাহাব চৌধুরীর অস্থাবর সম্পদের পরিমাণ ১৮ দশমিক ৮৫ কোটি টাকা।

বিএনপি এ নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিলেও অমান্য করে প্রথম ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করায় ৭৩ জনকে বহিষ্কার করেছে দলটি। স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে অংশগ্রহণ করা ২২ জামায়াত নেতা পরবর্তী সময়ে দলের সিদ্ধান্তে সরে দাঁড়ান।

উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী প্রার্থীর অধিকাংশই ‘আওয়ামী লীগ দলীয় স্বতন্ত্র প্রার্থী’। যদিও বেশিরভাগ স্বতন্ত্র প্রার্থীই দলের স্থানীয় নেতৃত্বের সমর্থনপুষ্ট।

নিউজটি শেয়ার করুন

উপজেলা নির্বাচনে প্রায় ৭০ শতাংশ ব্যবসায়ী চেয়ারম্যান প্রার্থী

আপডেট সময় : ০১:২৫:৩৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ৬ মে ২০২৪

আগামী ৮ মে অনুষ্ঠেয় প্রথম ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে লড়ছেন এমন ১৩ জন মন্ত্রী-এমপিদের স্বজন বলে জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। সোমবার (৬ মে) টিআইবির ‘উপজেলা পরিষদ নির্বাচন-২০২৪ (প্রথম ধাপ) হলফনামা বিশ্লেষণ ও ফলাফল’ শীর্ষক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, পাঁচ বছরে অস্থাবর সম্পদ অর্জনে সংসদ সদস্যদের চেয়ে এগিয়ে আছেন উপজেলা পরিষদের জনপ্রতিনিধিরা। এ সময়ে সংসদ সদস্যদের সম্পদ বৃদ্ধির হার সর্বোচ্চ ৩ হাজার ৬৫ শতাংশ, যেখানে একজন চেয়ারম্যানের সম্পদ বৃদ্ধির হার ৪ হাজার ২০০ শতাংশের বেশি।

প্রথম ধাপের উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থীদের মধ্যে ৬৯ দশমিক ৮৬ শতাংশই ব্যবসায়ী। পাশাপাশি ঋণ আছে ২৩ দশমিক ৪১ শতাংশ প্রার্থীর এবং ১৬ দশমিক ৬৩ শতাংশ প্রার্থী মামলার আসামি। এ ছাড়া চেয়ারম্যান প্রার্থীদের মধ্যে ১৩ জন মন্ত্রী-এমপিদের স্বজন।

টিআইবি বলছে, প্রথম ধাপের ১৫২টি উপজেলার মধ্যে ১৪৪টির প্রার্থীদের হলফনামা নির্বাচন কমিশন প্রকাশ করেছে, বাকি আটটি করেনি। ১৫২টি উপজেলার তিনটি নির্বাচনের প্রায় ৪ হাজার ৮০০টি হলফনামায় দেওয়া আট ধরনের তথ্যের বহুমাত্রিক ও তুলনামূলক বিশ্লেষণ করা হয়েছে।

স্থানীয় সরকার নির্বাচনে মন্ত্রী-এমপিদের হস্তক্ষেপ বড় আলোচনার বিষয় হলেও এবার স্বজনদের মনোনয়ন নিয়ে চলছে বিতর্ক। প্রথম ধাপে প্রথম পর্বে মন্ত্রী-এমপিদের স্বজন ১৩ জন। প্রার্থী হওয়ায় এগিয়ে ভাইয়েরা; চাচাতো ভাই, খালাতো ভাই, জামাতা, ভাইয়ের ছেলে আছেন এ তালিকায়।

তারা হলেন- মাদারীপুর সদর উপজেলার চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী আসিবুর রহমান, সুবর্ণচর উপজেলার আতাহার ইশরাক চৌধুরী, সারিয়াকান্দি উপজেলার মোহাম্মদ সাখাওয়াত হোসেন, বেড়া উপজেলার চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী মো. আব্দুল বাতেন ও আব্দুল কাদের, নাজিরপুর উপজেলার এস এম নূর ই আলম, সোনাতলা উপজেলার মিনহাদুজ্জামান, বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার সফিকুল ইসলাম ও আলী আফসার, কুষ্টিয়া সদরের আতাউর রহমান, ধনবাড়ী উপজেলার হারুন অর রশীদ, মাদারীপুর সদরের পাভেলুর রহমান এবং রামগড় উপজেলার চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী বিশ্ব প্রদীপ কারবারী।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ৫ বছরে অস্থাবর সম্পদ বৃদ্ধিতে উপজেলা পরিষদের জনপ্রতিনিধিরা পেছনে ফেলেছেন সংসদ সদস্যদের। এ ক্ষেত্রে অস্থাবর সম্পদের ভিত্তিতে কোটিপতি প্রার্থীদের শীর্ষ ২০ জনের তালিকা করেছে টিআইবি। এর মধ্যে তালিকার শীর্ষে থাকা গোপালগঞ্জ সদর উপজেলায় চেয়ারম্যান প্রার্থী কামরুজ্জামান ভূইয়ার মোট অস্থাবর সম্পদের পরিমাণ ২৫ দশমিক ২৪ কোটি টাকা। পাশাপাশি ২ নম্বরে থাকা রংপুরের কাউনিয়া উপজেলায় চেয়ারম্যান প্রার্থী আনোয়ারুল ইসলামের মোট অস্থাবর সম্পদের পরিমাণ ২০ দশমিক ৩০ কোটি টাকা। এ ছাড়া তালিকার শীর্ষ তিনে থাকা নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী আতাহার ইশরাক শাহাব চৌধুরীর অস্থাবর সম্পদের পরিমাণ ১৮ দশমিক ৮৫ কোটি টাকা।

বিএনপি এ নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিলেও অমান্য করে প্রথম ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করায় ৭৩ জনকে বহিষ্কার করেছে দলটি। স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে অংশগ্রহণ করা ২২ জামায়াত নেতা পরবর্তী সময়ে দলের সিদ্ধান্তে সরে দাঁড়ান।

উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী প্রার্থীর অধিকাংশই ‘আওয়ামী লীগ দলীয় স্বতন্ত্র প্রার্থী’। যদিও বেশিরভাগ স্বতন্ত্র প্রার্থীই দলের স্থানীয় নেতৃত্বের সমর্থনপুষ্ট।