সিনিয়র রিপোর্টার, সিরাজগঞ্জ :

সিরাজগঞ্জ প্রেসক্লাবের নতুন ১৯ সদস্যকে বাদ দিয়ে চুড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করার অভিযোগে দায়ের করা মামলা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত সিরাজগঞ্জ প্রেসক্লাবে কার্যনির্বাহী কমিটি গঠন করতে না পারে সে মর্মে আহবায়ক কমিটি, নির্বাচন কমিশন ও নির্বাচন ট্রাইব্যুনালের ওপর অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার আদেশ দিয়েছেন আদালত।

বুধবার দুপুরে সিরাজগঞ্জ সদর সিনিয়র সহকারী জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ সুলতান উদ্দিন প্রধান এ আদেশ দেন। এই আদালতের সেরেস্তাদার আল-আমিন এতথ্য নিশ্চিত করেছেন।

গত ৭ মার্চ দৈনিক যুগান্তর পত্রিকার জেলা প্রতিনিধি জেহাদুল ইসলাম, দৈনিক আমাদের নতুন সময় পত্রিকার জেলা প্রতিনিধি সোহাগ হাসান জয় ও আরটিভির জেলা প্রতিনিধি (দক্ষিণ) ইউসুফ দেওয়ান রাজু বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।

মামলার আরজি সূত্রে জানা যায়, নতুন অন্তর্ভূক্ত ১৯জন সদস্য দীর্ঘদিন ধরে দেশের বহুল প্রচারিত দৈনিক ও বেসরকারি টিভি চ্যানেলে সুনামের সাথে কাজ করে আসছেন। পেশাদার সাংবাদিক হওয়া সত্বেও প্রেসক্লাবের একটি চক্রের কারণে তারা বারবার প্রেসক্লাবে সদস্য পদের আবেদন করেও কোন ফল পাননি। তবে, বর্তমান কার্যনির্বাহী কমিটি নতুন সদস্য নেওয়ার জন্য সার্চ কমিটি গঠন করে সকল কাগজপত্র যাচাই-বাছাইয়ের মাধ্যমে গত ১৫ জানুয়ারি ১৯ জনকে সদস্যপদ প্রদান করেন। এরপর প্রেস ক্লাবের সদস্যদের একটি অংশ গত ২০ ফেব্রুয়ারি ১৯ সদস্যকে বাদ দিয়ে সাধারন সভা আহবান করে। সভায় শহিদুল ইসলাম ফিলিপসকে আহবায়ক করে ৩ সদস্যর একটি কমিটি গঠন করে। পরবর্তীতে এই আহবায়ক কমিটি ৪৭ সদস্যের একটি চুড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করে গত ২৭ ফেব্রুয়ারি ৩ সদস্যর একটি নির্বাচন কমিশন গঠন করে এবং আগামী ২৩ মার্চ নির্বাচনের দিন ধার্য্য করে। এই ভোটার তালিকায় নতুন ১৯ জন সদস্যকে অন্তর্ভূক্ত করা হয়নি।

নতুন ১৯ জন সদস্যকে বাদ দিয়ে আহবায়ক কমিটি গঠন করে চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করলে গত ৭ মার্চ দৈনিক যুগান্তরের জেলা প্রতিনিধি জেহাদুল ইসলাম সহ তিন সাংবাদিক আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। ৯ মার্চ মামলাটির শুনানীর দিন ধার্য্য করে আদালত। তবে বিবাদীপক্ষ সময়ের আবেদন করলে নির্বাচনী কার্যক্রমের উপর স্থিতিবস্থা বজায় রাখার নির্দেশ দিয়ে গত ১৪ মার্চ শুনানীর দিন ধার্য্য করেন আদালত। শুনানী শেষে আজ বুধবার আদালত সিরাজগঞ্জ প্রেসক্লাবে কার্যনির্বাহী কমিটি গঠন করতে না পারে সে মর্মে আহবায়ক কমিটি, নির্বাচন কমিশন ও নির্বাচন ট্রাইব্যুনালের ওপর অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার আদেশ প্রদান করেন।

এ ব্যাপারে মামলার ১নং বাদী জেহাদুল ইসলাম বলেন, একটি স্বার্থান্বেষী চক্র জেলার কর্মরত সাংবাদিকদের একমাত্র প্রিয় সংগঠন সিরাজগঞ্জ প্রেসক্লাবকে কুক্ষিগত করে রাখতে চান। এরই ধানাবাহিকতায় নতুন ১৯জন সদস্যকে বাদ দিয়ে চক্রটি অগঠণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় পাতানো নির্বাচনের পাঁয়তারা করছিলেন। এ নিয়ে বারবার কথা বলেও কোন কাজ হয়নি। তাই আমরা সঠিক বিচারের জন্য আদালতের শরণাপন্ন হই।

বা/খ: জই