ঢাকা ০৫:০৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৭ মে ২০২৪, ২৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

সরকার পতন এখন সময়ের ব্যাপার মাত্র: মোশাররফ

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৪:১৮:১৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ জানুয়ারী ২০২৩
  • / ৪৩৭ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, কেউ আপসে ক্ষমতা ছেড়ে যায় না। তাদের বিরুদ্ধে গণঅভ্যুত্থান ঘটানোর বিকল্প নেই। অতীতে যেমন ছাত্র-জনতা গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে এরশাদকে হটিয়েছে, তেমনই গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে এ সরকার বিদায় নেওয়া এখন সময়ের ব্যাপার মাত্র।

শনিবার (২১ জানুয়ারি) দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের আবদুস সালাম হলে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। জিয়াউর রহমানের ৮৭তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদ, বহুদলীয় গণতন্ত্র ও শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান শীর্ষক এ আলোচনা সভার আয়োজন করে ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব)।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের বিদায় করা হলো আমাদের প্রথম দফা। যেভাবে দেশ চলছে সেভাবে চলতে পারে না। জনগণকে চাপাবাজি করে দমিয়ে রাখতে পারবে না। আমরা দেশে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়ন করতে চাই। এজন্য ২৭ দফা প্রণয়ন করা হয়েছে। শহীদ জিয়াউর রহমান যে লক্ষ্যে বাংলাদেশ গড়তে চেয়েছিলেন সেগুলো বর্তমান সরকার ধ্বংস করেছে।

খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, একটি আধুনিক ও যুগোপযোগী স্বনির্ভর বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার জন্য জিয়াউর রহমান নানামুখী পদক্ষেপ নিয়েছিলেন। মুক্তবাজার অর্থনীতি চালু করেন তিনি। আজ বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করতে বিদেশে শ্রমিক প্রেরণ শুরু করেন। গার্মেন্টস শিল্প প্রতিষ্ঠা করেছেন। খাদ্য উৎপাদন বাড়িয়েছিলেন। মাত্র সাড়ে তিন বছর তিনি শাসন করেছেন। এমন কোনো খাত নেই যেখানে জিয়াউর রহমানের উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি।

তিনি বলেন, আজ দেশে গণতন্ত্র নেই। বিএনপির প্রায় ছয়শ কর্মী গুম। এক হাজারের বেশি মানুষ খুন। খালেদা জিয়াকে বিনা কারণে মিথ্যা মামলা দিয়ে কারাগারে রাখা হয়েছে। এটা জনবিচ্ছিন্ন সরকার। জনগণের প্রতি তাদের দায়বদ্ধতা নেই। ১১ লাখ কোটি টাকা লুট করে বিদেশে পাচার করা হয়েছে। দেশের অর্থনীতি ধ্বংসের মুখে। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, জ্বালানির দাম বেড়েছে। এমতাবস্থায় জনগণ আওয়াজ তুলেছে যে, আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকলে কোনো সংকটের সমাধান হবে না। যারা অর্থনীতি ধ্বংস করেছে তারা এর পুনর্গঠন করতে পারবে না। তাদের বিদায় না দিলে দেশকে মেরামত করা যাবে না।

খন্দকার মোশাররফ বলেন, জিয়াউর রহমান নিজে স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে প্রথমে বিদ্রোহ করেন। তার নেতৃত্বে দেশবাসী মুক্তিযুদ্ধ করেছিল। কিন্তু আজকের হাইব্রিড সরকার তাদের ব্যর্থতা ঢাকতে তাকে পাকিস্তানের চর হিসেবে পরিচিত করাতে অপচেষ্টা চালাচ্ছে। অথচ বিদেশি গণমাধ্যমে এবং বিভিন্ন লেখকের বইয়ে জিয়াউর রহমানকে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষক হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু আওয়ামী লীগ সেটা বিকৃত করছে। প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের ভুল ইতিহাস শেখাচ্ছে। সত্য কিন্তু কখনো চাপা থাকে না। ইতিহাস একদিন প্রতিষ্ঠিত হবেই। আওয়ামী লীগের এই ইতিহাস বিকৃতির বিরুদ্ধে যার যার অবস্থান থেকে সোচ্চার হওয়াসহ প্রতিবাদ করতে হবে।

তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান দুটি ক্রান্তিকালে জাতিকে দিক-নির্দেশনা দিয়েছেন। একটি ২৫ মার্চের পর, আরেকটি ৭ নভেম্বর। আজকে ক্ষমতাসীনরা নিজেদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী বলে দাবি করে। অন্যদিকে বিএনপি হলো বীর মুক্তিযোদ্ধাদের দল। আওয়ামী লীগে কোনো খেতাবপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা নেই। আমাদের দলে এখনও শাহজাহান ওমরের মতো খেতাবপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা জীবিত আছেন। এগুলো জীবন্ত ইতিহাস।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, একটি আধুনিক ও যুগোপযোগী স্বনির্ভর বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় জিয়াউর রহমান নানামুখী পদক্ষেপ নিয়েছিলেন। তিনি মুক্তবাজার অর্থনীতি চালু করেন। বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করতে বিদেশে শ্রমিক পাঠানো শুরু করেন। গার্মেন্টস শিল্প প্রতিষ্ঠা করেছেন। তিনি খাদ্য উৎপাদন করে বিদেশে চাল রপ্তানি করেছিলেন। মাত্র সাড়ে তিন বছর তিনি শাসন করেছেন। এমন কোনো খাত নেই যেখানে জিয়াউর রহমানের উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি।

তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান বিভিন্ন জাতি-গোষ্ঠীকে নিয়ে বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদ প্রণয়ন করেন। তার ঘোষিত ১৯ দফা এবং দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার ‘ভিশন ২০৩০‘ এর আলোকে রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের রূপরেখা ঘোষণা দিয়েছি।

ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, আজকে ক্ষমতাসীনরা নিজেদেরকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী বলে দাবি করে। অন্যদিকে বিএনপি হলো মুক্তিযোদ্ধাদের দল। আওয়ামী লীগে কোনো খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা নেই। আমাদের দলে এখনো শাহজাহান ওমরের মতো খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা জীবিত আছেন। এগুলোতো জীবন্ত ইতিহাস।

তিনি বলেন, কোনো স্বৈরাচার সরকার আপোসে ক্ষমতা ছেড়ে যায় না। তাদের বিরুদ্ধে গণঅভ্যুত্থান ঘটানোর বিকল্প নেই। অতীতে যেমন ছাত্র-জনতা গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে স্বৈরাচার এরশাদকে হটিয়েছে, তেমনই যেকোনো মুহূর্তে এই সরকার গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে বিদায় নেবে।

দলের ৬শ’র বেশি নেতাকর্মী গুম হয়েছে উল্লেখ করে বিএনপির এই নেতা বলেন, আজ দেশে গণতন্ত্র নেই। এক হাজারের বেশি মানুষ খুন। খালেদা জিয়াকে বিনা কারণে মিথ্যা মামলা দিয়ে কারাগারে রাখা হয়েছে। এটা জনবিচ্ছিন্ন সরকার। সরকারের জনগণের প্রতি দায়বদ্ধতা নেই। তারা ১১ লাখ কোটি টাকা লুট করে বিদেশে পাচার করেছে। দেশের অর্থনীতি আজ ধ্বংসের মুখে। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, জ্বালানির দাম বেড়েছে। তারা দলীয়করণের মাধ্যমে বিচার ব্যবস্থা ধ্বংস করেছে। এমতাবস্থায় জনগণ আওয়াজ তুলেছে, আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকলে কোনো সংকটের সমাধান হবে না। যারা অর্থনীতি ধ্বংস করেছে তারা এর পুনর্গঠন করতে পারবে না। তাদের বিদায় না দিলে দেশকে মেরামত করা যাবে না।

ড্যাবের সভাপতি অধ্যাপক ডা. হারুন আল রশিদের সভাপতিত্বে ও মহাসচিব ডা. মো. আবদুস সালামের সার্বিক তত্ত্বাবধানে এবং ডা. মো. ফখরুজ্জামান ফখরুল ও ডা. মেহেদী হাসানের পরিচালনায় সভায় আরও বক্তব্য দেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. ফরহাদ হালিম ডোনার, সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের সদস্য সচিব কাদের গণি চৌধুরী, ড্যাবের ডা. মোসাদ্দেক হোসেন বিশ্বাস ডাম্বেল, কোষাধ্যক্ষ ডা. জহিরুল ইসলাম শাকিল, ডা. শহিদুর রহমান, অধ্যাপক ডা. বজলুল গণি ভূঁইয়া, অধ্যাপক ডা. একেএম আমিনুল হক, ডা. মো. শহিদুল হাসান বাবুল, ডা. আ ক ম আনোয়ার হোসেন মুকুল, ডা. মো. ইব্রাহিম রহমান রনি, প্রকৌশলী মো. হানিফ, এ্যামট্যাবের মহাসচিব বিপ্লবুজ্জামান বিপ্লব, নার্সেস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সভাপতি বিলকিস জাহান চৌধুরী প্রমুখ।

নিউজটি শেয়ার করুন

সরকার পতন এখন সময়ের ব্যাপার মাত্র: মোশাররফ

আপডেট সময় : ০৪:১৮:১৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ জানুয়ারী ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, কেউ আপসে ক্ষমতা ছেড়ে যায় না। তাদের বিরুদ্ধে গণঅভ্যুত্থান ঘটানোর বিকল্প নেই। অতীতে যেমন ছাত্র-জনতা গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে এরশাদকে হটিয়েছে, তেমনই গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে এ সরকার বিদায় নেওয়া এখন সময়ের ব্যাপার মাত্র।

শনিবার (২১ জানুয়ারি) দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের আবদুস সালাম হলে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। জিয়াউর রহমানের ৮৭তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদ, বহুদলীয় গণতন্ত্র ও শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান শীর্ষক এ আলোচনা সভার আয়োজন করে ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব)।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের বিদায় করা হলো আমাদের প্রথম দফা। যেভাবে দেশ চলছে সেভাবে চলতে পারে না। জনগণকে চাপাবাজি করে দমিয়ে রাখতে পারবে না। আমরা দেশে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়ন করতে চাই। এজন্য ২৭ দফা প্রণয়ন করা হয়েছে। শহীদ জিয়াউর রহমান যে লক্ষ্যে বাংলাদেশ গড়তে চেয়েছিলেন সেগুলো বর্তমান সরকার ধ্বংস করেছে।

খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, একটি আধুনিক ও যুগোপযোগী স্বনির্ভর বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার জন্য জিয়াউর রহমান নানামুখী পদক্ষেপ নিয়েছিলেন। মুক্তবাজার অর্থনীতি চালু করেন তিনি। আজ বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করতে বিদেশে শ্রমিক প্রেরণ শুরু করেন। গার্মেন্টস শিল্প প্রতিষ্ঠা করেছেন। খাদ্য উৎপাদন বাড়িয়েছিলেন। মাত্র সাড়ে তিন বছর তিনি শাসন করেছেন। এমন কোনো খাত নেই যেখানে জিয়াউর রহমানের উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি।

তিনি বলেন, আজ দেশে গণতন্ত্র নেই। বিএনপির প্রায় ছয়শ কর্মী গুম। এক হাজারের বেশি মানুষ খুন। খালেদা জিয়াকে বিনা কারণে মিথ্যা মামলা দিয়ে কারাগারে রাখা হয়েছে। এটা জনবিচ্ছিন্ন সরকার। জনগণের প্রতি তাদের দায়বদ্ধতা নেই। ১১ লাখ কোটি টাকা লুট করে বিদেশে পাচার করা হয়েছে। দেশের অর্থনীতি ধ্বংসের মুখে। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, জ্বালানির দাম বেড়েছে। এমতাবস্থায় জনগণ আওয়াজ তুলেছে যে, আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকলে কোনো সংকটের সমাধান হবে না। যারা অর্থনীতি ধ্বংস করেছে তারা এর পুনর্গঠন করতে পারবে না। তাদের বিদায় না দিলে দেশকে মেরামত করা যাবে না।

খন্দকার মোশাররফ বলেন, জিয়াউর রহমান নিজে স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে প্রথমে বিদ্রোহ করেন। তার নেতৃত্বে দেশবাসী মুক্তিযুদ্ধ করেছিল। কিন্তু আজকের হাইব্রিড সরকার তাদের ব্যর্থতা ঢাকতে তাকে পাকিস্তানের চর হিসেবে পরিচিত করাতে অপচেষ্টা চালাচ্ছে। অথচ বিদেশি গণমাধ্যমে এবং বিভিন্ন লেখকের বইয়ে জিয়াউর রহমানকে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষক হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু আওয়ামী লীগ সেটা বিকৃত করছে। প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের ভুল ইতিহাস শেখাচ্ছে। সত্য কিন্তু কখনো চাপা থাকে না। ইতিহাস একদিন প্রতিষ্ঠিত হবেই। আওয়ামী লীগের এই ইতিহাস বিকৃতির বিরুদ্ধে যার যার অবস্থান থেকে সোচ্চার হওয়াসহ প্রতিবাদ করতে হবে।

তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান দুটি ক্রান্তিকালে জাতিকে দিক-নির্দেশনা দিয়েছেন। একটি ২৫ মার্চের পর, আরেকটি ৭ নভেম্বর। আজকে ক্ষমতাসীনরা নিজেদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী বলে দাবি করে। অন্যদিকে বিএনপি হলো বীর মুক্তিযোদ্ধাদের দল। আওয়ামী লীগে কোনো খেতাবপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা নেই। আমাদের দলে এখনও শাহজাহান ওমরের মতো খেতাবপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা জীবিত আছেন। এগুলো জীবন্ত ইতিহাস।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, একটি আধুনিক ও যুগোপযোগী স্বনির্ভর বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় জিয়াউর রহমান নানামুখী পদক্ষেপ নিয়েছিলেন। তিনি মুক্তবাজার অর্থনীতি চালু করেন। বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করতে বিদেশে শ্রমিক পাঠানো শুরু করেন। গার্মেন্টস শিল্প প্রতিষ্ঠা করেছেন। তিনি খাদ্য উৎপাদন করে বিদেশে চাল রপ্তানি করেছিলেন। মাত্র সাড়ে তিন বছর তিনি শাসন করেছেন। এমন কোনো খাত নেই যেখানে জিয়াউর রহমানের উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি।

তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান বিভিন্ন জাতি-গোষ্ঠীকে নিয়ে বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদ প্রণয়ন করেন। তার ঘোষিত ১৯ দফা এবং দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার ‘ভিশন ২০৩০‘ এর আলোকে রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের রূপরেখা ঘোষণা দিয়েছি।

ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, আজকে ক্ষমতাসীনরা নিজেদেরকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী বলে দাবি করে। অন্যদিকে বিএনপি হলো মুক্তিযোদ্ধাদের দল। আওয়ামী লীগে কোনো খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা নেই। আমাদের দলে এখনো শাহজাহান ওমরের মতো খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা জীবিত আছেন। এগুলোতো জীবন্ত ইতিহাস।

তিনি বলেন, কোনো স্বৈরাচার সরকার আপোসে ক্ষমতা ছেড়ে যায় না। তাদের বিরুদ্ধে গণঅভ্যুত্থান ঘটানোর বিকল্প নেই। অতীতে যেমন ছাত্র-জনতা গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে স্বৈরাচার এরশাদকে হটিয়েছে, তেমনই যেকোনো মুহূর্তে এই সরকার গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে বিদায় নেবে।

দলের ৬শ’র বেশি নেতাকর্মী গুম হয়েছে উল্লেখ করে বিএনপির এই নেতা বলেন, আজ দেশে গণতন্ত্র নেই। এক হাজারের বেশি মানুষ খুন। খালেদা জিয়াকে বিনা কারণে মিথ্যা মামলা দিয়ে কারাগারে রাখা হয়েছে। এটা জনবিচ্ছিন্ন সরকার। সরকারের জনগণের প্রতি দায়বদ্ধতা নেই। তারা ১১ লাখ কোটি টাকা লুট করে বিদেশে পাচার করেছে। দেশের অর্থনীতি আজ ধ্বংসের মুখে। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, জ্বালানির দাম বেড়েছে। তারা দলীয়করণের মাধ্যমে বিচার ব্যবস্থা ধ্বংস করেছে। এমতাবস্থায় জনগণ আওয়াজ তুলেছে, আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকলে কোনো সংকটের সমাধান হবে না। যারা অর্থনীতি ধ্বংস করেছে তারা এর পুনর্গঠন করতে পারবে না। তাদের বিদায় না দিলে দেশকে মেরামত করা যাবে না।

ড্যাবের সভাপতি অধ্যাপক ডা. হারুন আল রশিদের সভাপতিত্বে ও মহাসচিব ডা. মো. আবদুস সালামের সার্বিক তত্ত্বাবধানে এবং ডা. মো. ফখরুজ্জামান ফখরুল ও ডা. মেহেদী হাসানের পরিচালনায় সভায় আরও বক্তব্য দেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. ফরহাদ হালিম ডোনার, সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের সদস্য সচিব কাদের গণি চৌধুরী, ড্যাবের ডা. মোসাদ্দেক হোসেন বিশ্বাস ডাম্বেল, কোষাধ্যক্ষ ডা. জহিরুল ইসলাম শাকিল, ডা. শহিদুর রহমান, অধ্যাপক ডা. বজলুল গণি ভূঁইয়া, অধ্যাপক ডা. একেএম আমিনুল হক, ডা. মো. শহিদুল হাসান বাবুল, ডা. আ ক ম আনোয়ার হোসেন মুকুল, ডা. মো. ইব্রাহিম রহমান রনি, প্রকৌশলী মো. হানিফ, এ্যামট্যাবের মহাসচিব বিপ্লবুজ্জামান বিপ্লব, নার্সেস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সভাপতি বিলকিস জাহান চৌধুরী প্রমুখ।