ঢাকা ০১:৩৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৫ মে ২০২৪, ১০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

সরকারের পাতা ফাঁদে পা দেবে না বিএনপি: ফখরুল

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৬:২০:০৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩ ডিসেম্বর ২০২২
  • / ৪৪৬ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

রাজশাহী ব্যুরো অফিস : 

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, অতীতের মতো এবারও ঢাকার সমাবেশ পল্টনেই হবে। কোনও অবস্থাতেই সরকারের পাতা ফাঁদে পা দিয়ে অন্য কোথাও সমাবেশ করবে না বিএনপি।

শনিবার (৩ ডিসেম্বর) বিকেলে রাজশাহীর হাজী মুহম্মদ মহসীন সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে (মাদরাসা মাঠ) বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের সমালোচনা করে মির্জা ফখরুল বলেন, কাটাছেঁড়া সংবিধানের আইন মেনে সরকারের অধীনে নির্বাচনে যাবে না বিএনপি। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনেই নির্বাচন দিতে হবে। অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলকারী সরকার বিএনপিকে ভয় পায়। ভয় পায় নিরপেক্ষ নির্বাচন দিতে। কিন্তু দেশ ও দেশের মানুষকে রক্ষার পাশাপাশি সরকারের দুঃশাসন বন্ধ করা, নিত্য পণ্যপর দাম কমিয়ে দেশকে স্থিতিশীল করা সর্বোপরি দেশে গণতন্ত্রকে প্রতিষ্ঠিত করতে তারেক জিয়ার নির্দেশে বিএনপি যে আন্দোলন শুরু করেছে সেটি বানচালে সবরকম চেষ্টা করছে সরকার। এজন্য তারা করছে নানা কূটকৌশল।

বিএনপির এই নেতা বলেন, বিগত কয়েক বছরে বিএনপির ৬০০ নেতাকর্মী গুম করা হয়েছে। ৯ জনকে মৃত্যুদণ্ড আর ২৫ জনকে মিথ্যা মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। সরকার যখন দেখতে পাচ্ছে, দেশের মানুষ আর তাদের পছন্দ করছে না তখন সরকারের অধীনে পাতানো নির্বাচন করতে চাচ্ছে।

তিনি বলেন, বিএনপি আন্দোলনের মাধ্যমে খালেদা জিয়ার মুক্তি, তারেক জিয়াকে দেশে ফিরিয়ে আনাসহ দেশে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠায় বদ্ধপরিকর। এ জন্য দেশের বিভাগীয় আন্দোলন শেষে আগামী ১০ ডিসেম্বর ঢাকার সম্মেলনকেও সফল করতে সবাইকে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানান।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ১০ তারিখের সমাবেশ নিয়ে সরকারের ঘুম হারাম হয়ে গেছে। সেদিন নাকি তারা উড়ে যাবে। জনগণের প্রতি তাদের আস্থা নেই। চোরের মন পুলিশ পুলিশ। নয়াপল্টনে এর আগে অনেক সমাবেশ করেছি, তখন তো সমস্যা হয়নি। এখন কেন এত সমস্যা?

মির্জা ফখরুল বলেন, যে দেশে গণতন্ত্রকে প্রতিদিন হত্যা করা হচ্ছে, সেই দেশের সরকার প্রতিদিন সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচনের কথা বলছে। সরকারের বিরুদ্ধে কথা বললেই ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দিয়ে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। আমরা কোন দেশে বাস করছি, যে দেশে প্রধানমন্ত্রী খারাপ কাজ করলেও সমালোচনা করা যায় না। আওয়ামী লীগ সরকারের মন্ত্র একটাই- যেমন করেই হোক ক্ষমতায় বসে থাকা।

বিএনপির এই জ্যেষ্ঠ নেতা বলেন, নিজেদের পকেট ভারী করে জনগণকে গরিবে রূপান্তরিত করছে এ সরকার। পরিকল্পিতভাবে আমাদের রাজনৈতিক কাঠামোকে ধ্বংস করে দিচ্ছে তারা। তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া বাংলার মাটিতে আর কোনো নির্বাচন হবে না। দশ তারিখের (১০ ডিসেম্বর) সমাবেশকেও ভয় পাচ্ছে আওয়ামী লীগ সরকার।

ফখরুল আরও বলেন, এই দেশে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া কোনো নির্বাচন হতে দেওয়া হবে না। নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে সরকারকে বাধ্য করা হবে। তরুণদের দুর্বার আন্দোলনে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটবে।
ফখরুল বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার সবসময় দুঃস্বপ্ন দেখছে এই বুঝি তাদের গদি গেলো। যেটাকে আমরা বলি ‘চোরের মন পুলিশ পুলিশ’। তারা হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করছে। আওয়ামী লীগ নেতারা এখন লুটেরা দলে পরিণত হয়েছে।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, রাজশাহী থেকেই ১৯৬৯ সালে যখন আইয়ুব খানের বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু হয়, তখন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক শামসুজ্জোহা নিজের বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দিয়েছিলেন। রাজশাহীর মাটি বিএনপির ঘাঁটি। রাজশাহীর মাটি উর্বর। জিয়াউর রহমানের বাড়িও রাজশাহীর বগুড়াতে। পদ্মা, মহানন্দা নদী বেষ্টিত জনতা আজ রুখে দাঁড়িয়েছে। পাবনার ঈশ্বরদীর জাকারিয়া পিন্টুসহ ৯ জনকে অন্যায়ভাবে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে। ২৫ জনের যাবজ্জীবন দিয়েছে। তাতে কি আপনারা ভয় পাবেন? তাতে কী পাবনার লোক ভয় পাবেন?

মির্জা ফখরুল বলেন, আওয়ামী লীগ এখন আর রাজনৈতিক দল নেই। লুটেরাদের দলে পরিণত হয়েছে। তাই এই সরকারকে ভয় পাওয়ার কিছু নেই। হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করা হচ্ছে। ব্যাংক খালি করা হচ্ছে। রিজার্ভ খালি করা হচ্ছে। সেখানে ৩৭ জন কৃষককে ২৫ হাজার টাকার জন্য জেলে দিয়েছে।

তিনি আরো বলেন, এই সরকার আমাদের রাজনৈতিক কাঠামো নষ্ট করেছে। আওয়ামী লীগের ডাকা হরতালে ১১ জনকে গান পাউডার দিয়ে হত্যা করা হয়েছে।

মির্জা ফখরুল বলেন, গত ১৪ বছরে ১৯ লাখ কোটি টাকা পাচার হয়েছে। মেগা উন্নয়নের কথা বলে, বিনা পয়সার সার দিবে, চাল দিবে, ঘরে ঘরে চাকরি দিবে। এখন আমাদের ছেলেরা চাকরি পায় না।

তিনি বলেন, রাজশাহী এখন উর্বর হয়েছে। ধানের শীষকে প্রতিষ্ঠিত করতে হবে। আমাদের আন্দোলন বিএনপিকে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য নয়, তারেক রহমানকে দেশে আনার জন্য নয়, আমাদের আন্দোলন মানুষের অধিকার ফিরিয়ে আনার জন্য। আর কতকাল মানুষ কষ্ট করবে। মানুষের দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে। অর্ধনৈতিক অবস্থায় ধস নেমেছে। নিরপেক্ষ সরকারের মাধ্যমেই পার্লামেন্ট গঠন করা হবে। জাতীয় সরকার গঠন করা হবে। ১৪ থেকে ১৫ বছর ধরে আমরা অনেক নির্যাতিত হচ্ছি। আমাদের অনেক নেতাকর্মী গুম হয়েছে। ইলিয়াস আলীর মেয়ে এখনো পথ চেয়ে থাকে কখন বাবা আসবে। এই পরিবেশ থেকে আমাদের বেরিয়ে আসতে হবে।

গণসমাবেশে সভাপতিত্ব করেন রাজশাহী মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাড. এরশাদ আলী ঈসা। পরিচালনা করেন রাজশাহী মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব মামুনুর রশিদ। আরও বক্তব্য রাখেন- বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, সেলিনা রহমান, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মিজানুর রহমান মিনু, রাজশাহী বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাড. রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলুসহ  স্থানীয় ও শীর্ষ পর্যায়ের নেতারা।

এদিকে, গণসমাবেশকে ঘিরে আজ মিছিল ও  স্লোগানে মুখর ছিল রাজশাহী। গণসমাবেশ ঘিরে সকাল থেকেই সভাস্থলে আসতে থাকেন আশপাশের জেলা-উপজেলা, থানা-ইউনিয়নের নেতাকর্মীরা। জেলা নেতাদের পাশাপাশি সভায় যোগ দেন কেন্দ্রীয় নেতারা।

নিউজটি শেয়ার করুন

সরকারের পাতা ফাঁদে পা দেবে না বিএনপি: ফখরুল

আপডেট সময় : ০৬:২০:০৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩ ডিসেম্বর ২০২২

রাজশাহী ব্যুরো অফিস : 

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, অতীতের মতো এবারও ঢাকার সমাবেশ পল্টনেই হবে। কোনও অবস্থাতেই সরকারের পাতা ফাঁদে পা দিয়ে অন্য কোথাও সমাবেশ করবে না বিএনপি।

শনিবার (৩ ডিসেম্বর) বিকেলে রাজশাহীর হাজী মুহম্মদ মহসীন সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে (মাদরাসা মাঠ) বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের সমালোচনা করে মির্জা ফখরুল বলেন, কাটাছেঁড়া সংবিধানের আইন মেনে সরকারের অধীনে নির্বাচনে যাবে না বিএনপি। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনেই নির্বাচন দিতে হবে। অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলকারী সরকার বিএনপিকে ভয় পায়। ভয় পায় নিরপেক্ষ নির্বাচন দিতে। কিন্তু দেশ ও দেশের মানুষকে রক্ষার পাশাপাশি সরকারের দুঃশাসন বন্ধ করা, নিত্য পণ্যপর দাম কমিয়ে দেশকে স্থিতিশীল করা সর্বোপরি দেশে গণতন্ত্রকে প্রতিষ্ঠিত করতে তারেক জিয়ার নির্দেশে বিএনপি যে আন্দোলন শুরু করেছে সেটি বানচালে সবরকম চেষ্টা করছে সরকার। এজন্য তারা করছে নানা কূটকৌশল।

বিএনপির এই নেতা বলেন, বিগত কয়েক বছরে বিএনপির ৬০০ নেতাকর্মী গুম করা হয়েছে। ৯ জনকে মৃত্যুদণ্ড আর ২৫ জনকে মিথ্যা মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। সরকার যখন দেখতে পাচ্ছে, দেশের মানুষ আর তাদের পছন্দ করছে না তখন সরকারের অধীনে পাতানো নির্বাচন করতে চাচ্ছে।

তিনি বলেন, বিএনপি আন্দোলনের মাধ্যমে খালেদা জিয়ার মুক্তি, তারেক জিয়াকে দেশে ফিরিয়ে আনাসহ দেশে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠায় বদ্ধপরিকর। এ জন্য দেশের বিভাগীয় আন্দোলন শেষে আগামী ১০ ডিসেম্বর ঢাকার সম্মেলনকেও সফল করতে সবাইকে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানান।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ১০ তারিখের সমাবেশ নিয়ে সরকারের ঘুম হারাম হয়ে গেছে। সেদিন নাকি তারা উড়ে যাবে। জনগণের প্রতি তাদের আস্থা নেই। চোরের মন পুলিশ পুলিশ। নয়াপল্টনে এর আগে অনেক সমাবেশ করেছি, তখন তো সমস্যা হয়নি। এখন কেন এত সমস্যা?

মির্জা ফখরুল বলেন, যে দেশে গণতন্ত্রকে প্রতিদিন হত্যা করা হচ্ছে, সেই দেশের সরকার প্রতিদিন সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচনের কথা বলছে। সরকারের বিরুদ্ধে কথা বললেই ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দিয়ে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। আমরা কোন দেশে বাস করছি, যে দেশে প্রধানমন্ত্রী খারাপ কাজ করলেও সমালোচনা করা যায় না। আওয়ামী লীগ সরকারের মন্ত্র একটাই- যেমন করেই হোক ক্ষমতায় বসে থাকা।

বিএনপির এই জ্যেষ্ঠ নেতা বলেন, নিজেদের পকেট ভারী করে জনগণকে গরিবে রূপান্তরিত করছে এ সরকার। পরিকল্পিতভাবে আমাদের রাজনৈতিক কাঠামোকে ধ্বংস করে দিচ্ছে তারা। তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া বাংলার মাটিতে আর কোনো নির্বাচন হবে না। দশ তারিখের (১০ ডিসেম্বর) সমাবেশকেও ভয় পাচ্ছে আওয়ামী লীগ সরকার।

ফখরুল আরও বলেন, এই দেশে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া কোনো নির্বাচন হতে দেওয়া হবে না। নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে সরকারকে বাধ্য করা হবে। তরুণদের দুর্বার আন্দোলনে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটবে।
ফখরুল বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার সবসময় দুঃস্বপ্ন দেখছে এই বুঝি তাদের গদি গেলো। যেটাকে আমরা বলি ‘চোরের মন পুলিশ পুলিশ’। তারা হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করছে। আওয়ামী লীগ নেতারা এখন লুটেরা দলে পরিণত হয়েছে।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, রাজশাহী থেকেই ১৯৬৯ সালে যখন আইয়ুব খানের বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু হয়, তখন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক শামসুজ্জোহা নিজের বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দিয়েছিলেন। রাজশাহীর মাটি বিএনপির ঘাঁটি। রাজশাহীর মাটি উর্বর। জিয়াউর রহমানের বাড়িও রাজশাহীর বগুড়াতে। পদ্মা, মহানন্দা নদী বেষ্টিত জনতা আজ রুখে দাঁড়িয়েছে। পাবনার ঈশ্বরদীর জাকারিয়া পিন্টুসহ ৯ জনকে অন্যায়ভাবে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে। ২৫ জনের যাবজ্জীবন দিয়েছে। তাতে কি আপনারা ভয় পাবেন? তাতে কী পাবনার লোক ভয় পাবেন?

মির্জা ফখরুল বলেন, আওয়ামী লীগ এখন আর রাজনৈতিক দল নেই। লুটেরাদের দলে পরিণত হয়েছে। তাই এই সরকারকে ভয় পাওয়ার কিছু নেই। হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করা হচ্ছে। ব্যাংক খালি করা হচ্ছে। রিজার্ভ খালি করা হচ্ছে। সেখানে ৩৭ জন কৃষককে ২৫ হাজার টাকার জন্য জেলে দিয়েছে।

তিনি আরো বলেন, এই সরকার আমাদের রাজনৈতিক কাঠামো নষ্ট করেছে। আওয়ামী লীগের ডাকা হরতালে ১১ জনকে গান পাউডার দিয়ে হত্যা করা হয়েছে।

মির্জা ফখরুল বলেন, গত ১৪ বছরে ১৯ লাখ কোটি টাকা পাচার হয়েছে। মেগা উন্নয়নের কথা বলে, বিনা পয়সার সার দিবে, চাল দিবে, ঘরে ঘরে চাকরি দিবে। এখন আমাদের ছেলেরা চাকরি পায় না।

তিনি বলেন, রাজশাহী এখন উর্বর হয়েছে। ধানের শীষকে প্রতিষ্ঠিত করতে হবে। আমাদের আন্দোলন বিএনপিকে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য নয়, তারেক রহমানকে দেশে আনার জন্য নয়, আমাদের আন্দোলন মানুষের অধিকার ফিরিয়ে আনার জন্য। আর কতকাল মানুষ কষ্ট করবে। মানুষের দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে। অর্ধনৈতিক অবস্থায় ধস নেমেছে। নিরপেক্ষ সরকারের মাধ্যমেই পার্লামেন্ট গঠন করা হবে। জাতীয় সরকার গঠন করা হবে। ১৪ থেকে ১৫ বছর ধরে আমরা অনেক নির্যাতিত হচ্ছি। আমাদের অনেক নেতাকর্মী গুম হয়েছে। ইলিয়াস আলীর মেয়ে এখনো পথ চেয়ে থাকে কখন বাবা আসবে। এই পরিবেশ থেকে আমাদের বেরিয়ে আসতে হবে।

গণসমাবেশে সভাপতিত্ব করেন রাজশাহী মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাড. এরশাদ আলী ঈসা। পরিচালনা করেন রাজশাহী মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব মামুনুর রশিদ। আরও বক্তব্য রাখেন- বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, সেলিনা রহমান, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মিজানুর রহমান মিনু, রাজশাহী বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাড. রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলুসহ  স্থানীয় ও শীর্ষ পর্যায়ের নেতারা।

এদিকে, গণসমাবেশকে ঘিরে আজ মিছিল ও  স্লোগানে মুখর ছিল রাজশাহী। গণসমাবেশ ঘিরে সকাল থেকেই সভাস্থলে আসতে থাকেন আশপাশের জেলা-উপজেলা, থানা-ইউনিয়নের নেতাকর্মীরা। জেলা নেতাদের পাশাপাশি সভায় যোগ দেন কেন্দ্রীয় নেতারা।