ঢাকা ০১:৫১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৭ জুন ২০২৪, ২ আষাঢ় ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

পাইকগাছার চাঁদখালী গরুর হাটের কারণে ব্যাহত ২ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষা ব্যবস্থা

আশরাফুল ইসলাম সবুজ, পাইকগাছা প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ০৩:৫০:৩৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ মে ২০২৪
  • / ৪২৬ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি
খুলনার পাইকগাছার চাঁদখালী ইউনিয়নের গরু হাটের কারণে ২টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষা ব্যাবস্থা ব্যাহত হচ্ছে। হাটের পাশে রয়েছে চাঁদখালী বহুমুখি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, চাঁদখালী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ও বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকসহ কয়েকটি বেসরকারী সংস্থা। আর গরুহাট সংলগ্ন দুটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে রয়েছে ৯ শতাধিক ছাত্র-ছাত্রী। ওই সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ও অফিসে যেতে হলে গরু হাটের উপর দিয়েই যেতে হয়।
ফলে ভীত -ভীতির মধ্যদিয়ে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা ঝুকি নিয়ে গরু হাটের মাঝ দিয়ে স্কুলে যায়। আর তাই রবিবার আসলেই অবিভাবকরা গরু হাট দিয়ে ছেলে মেয়েদের স্কুলে যাওয়া আসা নিয়ে থাকেন শংকায়। এমনি অনেক অবিভাবকই তাদের ছেলে-মেয়েদের ঐ দিন স্কুলে পাঠান না।
জানা যায়, সম্প্রতি গরু হাটের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় এক ব্যক্তিকে গরু শিং দিয়ে আঘাত করলে সে গুরুতর আহত হয়। বিশেষ করে বর্ষাকালে ওই স্থান দিয়ে আসার সময় শিক্ষার্থীদের গায়ে গরুর মলমুত্র লেগে তাদের পোশাক নষ্ট হয়ে যায়। সে সময় বাড়িতে যেয়ে তাদের পোশাক পরিবর্ত করে পুনরায় স্কুলে আসতে হয়।
আর গরু হাটের কারণে শিক্ষার্থীদের স্কুলে আসা-যাওয়া ঝুকিপূর্ণ হওয়ায় অনেক অবিভাবকরা তাদের ছেলে-মেয়েদের অন্য স্কুলে ভর্তি করছেন বলে জানান বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। তাই এলাকাবাসী, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকবৃন্দ ও শিক্ষার্থীরা সহ অভিভাবকরা অচিরেই গরু হাটটি অন্যত্র সরিয়ে নেয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
চাঁদখালী বহুমুখী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের একাধিক শিক্ষার্থীরা জানান, রবিবার আসলে জীবনের ঝুকি নিয়ে হাটের মধ্য দিয়ে তাদের স্কুলে আসতে হয়। বিশেষ করে বর্ষাকালে ওই স্থান দিয়ে আসলে তাদের গায়ে গরুর মলমুত্র লেগে যায়।সেই সময় বাড়ি যেয়ে পোশাক পরিবর্ত করে পুনরায় স্কুলে আসতে হয়। তাই গরু হাটটি দ্রুত স্থানান্তরের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে জোর দাবি জানান তারা।
চাঁদখালী বহুমুখী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ও বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ আমিনুল ইসলাম জানান, গরু হাটটি অন্যতরে সরিয়ে নিলে ঐতিহ্যবাহী এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি আরো ভালো ফলাফল করতো।আর  গরু হাটের কারণে অবিভাবকরা তাদের ছেলে মেয়েদের এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি করতে চায়না। তাই গরু হাটটি অন্যতরে সরিয়ে নিলে এলাকার মানুষ নিশ্চিন্তে তাদের ছেলে মেয়েদের এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তি করবে। চাঁদখালি বহুমুখী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ খায়রুল ইসলাম বলেন, গরু হাটের জন্য এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছাত্র ছাত্রীদের ঝুঁকি নিয়ে স্কুলে আসতে হয়।
এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এসএসসি পরীক্ষার একটি কেন্দ্র। এখানে বিগত দিনে অন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানরা আমাদের এই কেন্দ্রে এসএসসি পরীক্ষার জন্য কেন্দ্র নির্ধারণ করতেন।কিন্তু বর্তমানে গরু হাটের জন্য তারা তাদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান অন্য কেন্দ্রে নিয়ে গেছেন।
এ বিষয়ে চাঁদখালী বহুমুখী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি ও চাঁদখালী ইউপি চেয়ারম্যান শাহজাদা মোঃ আবু ইলিয়াস বলেন, চাঁদখালী গরু হাটটি অনেক পুরাতন। এই গরু হাটের করণে দুটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রীরা জীবনের ঝুকি স্কুলে আসা যাওয়া করে। হাটে গরুর ডাকাডাকি ও লোকজনের চেচামেচির কারণে শ্রেনী কক্ষে শিক্ষকদের পাঠদান ব্যাহত হয়।
একই সাথে শিক্ষার্থীদের শিক্ষা গ্রহনে মনযোগ ও নষ্ট হয়। তাই গরু হাট টি অন্যতরে স্থানান্তরিত করলে প্রতিষ্ঠান দুটির শিক্ষা ব্যবস্থা আরো উন্নতি হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষন করেন তিনি।
বাখ//আর

নিউজটি শেয়ার করুন

পাইকগাছার চাঁদখালী গরুর হাটের কারণে ব্যাহত ২ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষা ব্যবস্থা

আপডেট সময় : ০৩:৫০:৩৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ মে ২০২৪
খুলনার পাইকগাছার চাঁদখালী ইউনিয়নের গরু হাটের কারণে ২টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষা ব্যাবস্থা ব্যাহত হচ্ছে। হাটের পাশে রয়েছে চাঁদখালী বহুমুখি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, চাঁদখালী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ও বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকসহ কয়েকটি বেসরকারী সংস্থা। আর গরুহাট সংলগ্ন দুটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে রয়েছে ৯ শতাধিক ছাত্র-ছাত্রী। ওই সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ও অফিসে যেতে হলে গরু হাটের উপর দিয়েই যেতে হয়।
ফলে ভীত -ভীতির মধ্যদিয়ে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা ঝুকি নিয়ে গরু হাটের মাঝ দিয়ে স্কুলে যায়। আর তাই রবিবার আসলেই অবিভাবকরা গরু হাট দিয়ে ছেলে মেয়েদের স্কুলে যাওয়া আসা নিয়ে থাকেন শংকায়। এমনি অনেক অবিভাবকই তাদের ছেলে-মেয়েদের ঐ দিন স্কুলে পাঠান না।
জানা যায়, সম্প্রতি গরু হাটের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় এক ব্যক্তিকে গরু শিং দিয়ে আঘাত করলে সে গুরুতর আহত হয়। বিশেষ করে বর্ষাকালে ওই স্থান দিয়ে আসার সময় শিক্ষার্থীদের গায়ে গরুর মলমুত্র লেগে তাদের পোশাক নষ্ট হয়ে যায়। সে সময় বাড়িতে যেয়ে তাদের পোশাক পরিবর্ত করে পুনরায় স্কুলে আসতে হয়।
আর গরু হাটের কারণে শিক্ষার্থীদের স্কুলে আসা-যাওয়া ঝুকিপূর্ণ হওয়ায় অনেক অবিভাবকরা তাদের ছেলে-মেয়েদের অন্য স্কুলে ভর্তি করছেন বলে জানান বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। তাই এলাকাবাসী, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকবৃন্দ ও শিক্ষার্থীরা সহ অভিভাবকরা অচিরেই গরু হাটটি অন্যত্র সরিয়ে নেয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
চাঁদখালী বহুমুখী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের একাধিক শিক্ষার্থীরা জানান, রবিবার আসলে জীবনের ঝুকি নিয়ে হাটের মধ্য দিয়ে তাদের স্কুলে আসতে হয়। বিশেষ করে বর্ষাকালে ওই স্থান দিয়ে আসলে তাদের গায়ে গরুর মলমুত্র লেগে যায়।সেই সময় বাড়ি যেয়ে পোশাক পরিবর্ত করে পুনরায় স্কুলে আসতে হয়। তাই গরু হাটটি দ্রুত স্থানান্তরের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে জোর দাবি জানান তারা।
চাঁদখালী বহুমুখী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ও বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ আমিনুল ইসলাম জানান, গরু হাটটি অন্যতরে সরিয়ে নিলে ঐতিহ্যবাহী এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি আরো ভালো ফলাফল করতো।আর  গরু হাটের কারণে অবিভাবকরা তাদের ছেলে মেয়েদের এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি করতে চায়না। তাই গরু হাটটি অন্যতরে সরিয়ে নিলে এলাকার মানুষ নিশ্চিন্তে তাদের ছেলে মেয়েদের এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তি করবে। চাঁদখালি বহুমুখী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ খায়রুল ইসলাম বলেন, গরু হাটের জন্য এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছাত্র ছাত্রীদের ঝুঁকি নিয়ে স্কুলে আসতে হয়।
এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এসএসসি পরীক্ষার একটি কেন্দ্র। এখানে বিগত দিনে অন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানরা আমাদের এই কেন্দ্রে এসএসসি পরীক্ষার জন্য কেন্দ্র নির্ধারণ করতেন।কিন্তু বর্তমানে গরু হাটের জন্য তারা তাদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান অন্য কেন্দ্রে নিয়ে গেছেন।
এ বিষয়ে চাঁদখালী বহুমুখী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি ও চাঁদখালী ইউপি চেয়ারম্যান শাহজাদা মোঃ আবু ইলিয়াস বলেন, চাঁদখালী গরু হাটটি অনেক পুরাতন। এই গরু হাটের করণে দুটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রীরা জীবনের ঝুকি স্কুলে আসা যাওয়া করে। হাটে গরুর ডাকাডাকি ও লোকজনের চেচামেচির কারণে শ্রেনী কক্ষে শিক্ষকদের পাঠদান ব্যাহত হয়।
একই সাথে শিক্ষার্থীদের শিক্ষা গ্রহনে মনযোগ ও নষ্ট হয়। তাই গরু হাট টি অন্যতরে স্থানান্তরিত করলে প্রতিষ্ঠান দুটির শিক্ষা ব্যবস্থা আরো উন্নতি হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষন করেন তিনি।
বাখ//আর