ঢাকা ১২:০৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৫ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

সপ্তাহের একদিনের বেশি অফিস করেননা নেছারাবাদ হাসপাতালের কর্মরত বিশেষজ্ঞ ডাক্তাররা

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ০৩:২৪:১০ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৮ মার্চ ২০২৪
  • / ৫০৮ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি
নেছারাবাদ উপজেলা হাসপাতালে নিয়মিত কর্মস্থলে না এসে ঠিকমত বেতন তুলে নিচ্ছেন এখানকার কর্মরত তিনজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তার। তাদের বিরুদ্ধে সপ্তাহে একদিন কর্মস্থলে এসে হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর দিয়ে পছন্দের ক্লিনিক, প্রাইভেট হাসপাতালে চেম্বার করার অভিযোগ রয়েছে। ওই বিশেষজ্ঞ ডাক্তাররা হলেন, গাইনি কনসাল্টেট ডা: ইন্দ্রানী কর, নাক,কান গলা (ই,এন,টি) ডা: শরীফুল ইসলাম, সার্জারি ডাক্তার মো: মশিউর রহমান। তারা সবাই নেছারাবাদ উপজেলা হাসপাতালে পৃথক পৃথক বিশেষজ্ঞ পোষ্টে চাকরি করছেন।
স্থানীয়দের অভিযোগ হাসপাতালে বিশেষজ্ঞ ডাক্তার থাকা স্বত্ত্বেও রোগীদের বিভিন্ন ক্লিনিক প্রাইভেট হাসপাতালে গিয়ে মোটা টাকার ফি দিয়ে ডাক্তার দেখাতে হচ্ছে। নিয়মিত তারা হাসপাতালে না আসায় গরীব রোগীরা বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, নেছারাবাদ উপজেলা হাসপাতালে দশজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পদ রয়েছে। এর মধ্যে সাতজনের পোষ্ট খালি রয়েছে এক যুগেরও বেশি সময় ধরে। বাকি তিনজনের পোষ্ট এখানে থাকলেও তারা মাসে তিন থেকে চার দিনের বেশি আসেননা হাসপাতালে। তারা নিয়মিত কর্মস্থলে না আসায় রোগীরা কাঙ্খিত সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।
নাম না প্রকাশ শর্তে হাসপাতালের এক সিনিয়র নার্স জানান, এখানে বিশেষজ্ঞ তিনজন ডাক্তারের কেউ নিয়মিত কর্মস্থলে আসেনা। গাইনি বিভাগের ডাক্তার ইন্দ্রানী কর প্রতি সপ্তাহের রবিবার একদিন আসেন হাসপাতালে। রবিবার দুপুরে এসেই চলে যান উপজেলার আবেদআলী প্রাইভেট হাসপাতালে। শুক্রবার চেম্বার করেন উপজেলার সন্ধ্যা নদীর পশ্চিম পাড়স্থ জাহানারা ক্লিনিকে।  বাকি দিনগুলো কোথায় বসেন তা কারো জানা নেই। নাক কান গলা (ই,এন,টি) ডাক্তার শফিকুল ইসলাম রুমেন আসেন সপ্তাহের প্রতি বুধবার একদিন। বাকি দিনগুলো তিনি হাসপাতালে আসেননা। এছাড়া সর্জারি ডাক্তার মশিউর রহমান তিনি হাসপাতালে আসেন প্রতি মঙ্গলবার। বাকি ছয়দিন কোথায় বসেন তা হাসপাতালের কারো জানা নেই।
নেছারাবাদ উপজেলা হাসপাতালে কর্মস্থল থাকা স্বত্ত্বেও সপ্তাহে একদিন হাসপাতালে এসে অফিস করার কারণ জানতে চাইলে নাক কান গলা বিশেষজ্ঞ ডাক্তার শফিকুল ইসলাম রুমেন বলেন, আমি যে মাপের ডাক্তার তাতে এখানে আমার পোষায়না। তারপরও একদিন এসে অনেক রোগী দেখি। আমি বদলি নিয়ে বরিশাল শহরে যাওয়ার চেষ্টা করছি। এ বিষয়ে কথা বলার জন্য হাসপাতালে গিয়েও কর্মরত বাকি দুইজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের সাক্ষাৎ মেলেনি। এক পর্যায়ে গাইনি কনসালটেন্ট ডাক্তার ইন্দ্রানী করের ফোনে কল দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।
নেছারাবাদ উপজেলা স্বাস্থ্য ও প:প: কর্মকর্তা ডা: ফিরোজ কিবরিয়া জানান, তাদের কর্মস্থল এখানে থাকা স্বত্ত্বেও তাদের তিনজনের সবাই সপ্তাহের একদিন অফিস করেন। বাকি দিনগুলো তারা কোথায় থাকেন তা জানেননা ডা: ফিরোজ কিবরিয়া। তিনি আরো বলেন, তাদের নিয়মিত অফিস করার জন্য তাগিদ দিলেও আমলে নিচ্ছেননা তিন জনের কেহই।

নিউজটি শেয়ার করুন

সপ্তাহের একদিনের বেশি অফিস করেননা নেছারাবাদ হাসপাতালের কর্মরত বিশেষজ্ঞ ডাক্তাররা

আপডেট সময় : ০৩:২৪:১০ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৮ মার্চ ২০২৪
নেছারাবাদ উপজেলা হাসপাতালে নিয়মিত কর্মস্থলে না এসে ঠিকমত বেতন তুলে নিচ্ছেন এখানকার কর্মরত তিনজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তার। তাদের বিরুদ্ধে সপ্তাহে একদিন কর্মস্থলে এসে হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর দিয়ে পছন্দের ক্লিনিক, প্রাইভেট হাসপাতালে চেম্বার করার অভিযোগ রয়েছে। ওই বিশেষজ্ঞ ডাক্তাররা হলেন, গাইনি কনসাল্টেট ডা: ইন্দ্রানী কর, নাক,কান গলা (ই,এন,টি) ডা: শরীফুল ইসলাম, সার্জারি ডাক্তার মো: মশিউর রহমান। তারা সবাই নেছারাবাদ উপজেলা হাসপাতালে পৃথক পৃথক বিশেষজ্ঞ পোষ্টে চাকরি করছেন।
স্থানীয়দের অভিযোগ হাসপাতালে বিশেষজ্ঞ ডাক্তার থাকা স্বত্ত্বেও রোগীদের বিভিন্ন ক্লিনিক প্রাইভেট হাসপাতালে গিয়ে মোটা টাকার ফি দিয়ে ডাক্তার দেখাতে হচ্ছে। নিয়মিত তারা হাসপাতালে না আসায় গরীব রোগীরা বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, নেছারাবাদ উপজেলা হাসপাতালে দশজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পদ রয়েছে। এর মধ্যে সাতজনের পোষ্ট খালি রয়েছে এক যুগেরও বেশি সময় ধরে। বাকি তিনজনের পোষ্ট এখানে থাকলেও তারা মাসে তিন থেকে চার দিনের বেশি আসেননা হাসপাতালে। তারা নিয়মিত কর্মস্থলে না আসায় রোগীরা কাঙ্খিত সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।
নাম না প্রকাশ শর্তে হাসপাতালের এক সিনিয়র নার্স জানান, এখানে বিশেষজ্ঞ তিনজন ডাক্তারের কেউ নিয়মিত কর্মস্থলে আসেনা। গাইনি বিভাগের ডাক্তার ইন্দ্রানী কর প্রতি সপ্তাহের রবিবার একদিন আসেন হাসপাতালে। রবিবার দুপুরে এসেই চলে যান উপজেলার আবেদআলী প্রাইভেট হাসপাতালে। শুক্রবার চেম্বার করেন উপজেলার সন্ধ্যা নদীর পশ্চিম পাড়স্থ জাহানারা ক্লিনিকে।  বাকি দিনগুলো কোথায় বসেন তা কারো জানা নেই। নাক কান গলা (ই,এন,টি) ডাক্তার শফিকুল ইসলাম রুমেন আসেন সপ্তাহের প্রতি বুধবার একদিন। বাকি দিনগুলো তিনি হাসপাতালে আসেননা। এছাড়া সর্জারি ডাক্তার মশিউর রহমান তিনি হাসপাতালে আসেন প্রতি মঙ্গলবার। বাকি ছয়দিন কোথায় বসেন তা হাসপাতালের কারো জানা নেই।
নেছারাবাদ উপজেলা হাসপাতালে কর্মস্থল থাকা স্বত্ত্বেও সপ্তাহে একদিন হাসপাতালে এসে অফিস করার কারণ জানতে চাইলে নাক কান গলা বিশেষজ্ঞ ডাক্তার শফিকুল ইসলাম রুমেন বলেন, আমি যে মাপের ডাক্তার তাতে এখানে আমার পোষায়না। তারপরও একদিন এসে অনেক রোগী দেখি। আমি বদলি নিয়ে বরিশাল শহরে যাওয়ার চেষ্টা করছি। এ বিষয়ে কথা বলার জন্য হাসপাতালে গিয়েও কর্মরত বাকি দুইজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের সাক্ষাৎ মেলেনি। এক পর্যায়ে গাইনি কনসালটেন্ট ডাক্তার ইন্দ্রানী করের ফোনে কল দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।
নেছারাবাদ উপজেলা স্বাস্থ্য ও প:প: কর্মকর্তা ডা: ফিরোজ কিবরিয়া জানান, তাদের কর্মস্থল এখানে থাকা স্বত্ত্বেও তাদের তিনজনের সবাই সপ্তাহের একদিন অফিস করেন। বাকি দিনগুলো তারা কোথায় থাকেন তা জানেননা ডা: ফিরোজ কিবরিয়া। তিনি আরো বলেন, তাদের নিয়মিত অফিস করার জন্য তাগিদ দিলেও আমলে নিচ্ছেননা তিন জনের কেহই।