ঢাকা ০৮:৩০ অপরাহ্ন, সোমবার, ০৬ মে ২০২৪, ২৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

শ্রীপুরে ধানক্ষেতে পার্চিং পদ্ধতি কৃষকদের মাঝে ব্যাপক সাড়া

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৬:১০:৩৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ মার্চ ২০২৩
  • / ৪৩০ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

আশরাফ হোসেন পল্টু, শ্রীপুর (মাগুরা) প্রতিনিধি :

বোরো ধানক্ষেতে পোকা দমনে পার্চিং পদ্ধতি প্রয়োগে সুফল পাচ্ছেন মাগুরার শ্রীপুর উপজেলার কৃষককুল। এ পদ্ধতি ব্যবহারে কৃষকদের মাঝে ব্যাপক সাড়া পড়েছে।

মাগুরার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবু নাসের বেগ মাঠে নেমে নিজ হাতে কৃষকের ধানক্ষেতে গাছের ডাল ও বাঁশের কঞ্চি পুঁতে পার্চিং পদ্ধতির উদ্বোধন ঘোষণা করেন। ধানক্ষেতে পুঁতা ডালে বিভিন্ন প্রজাতীর পাখি বসে ক্ষেতের ক্ষতিকর পোকা খেয়ে ফেলছে। এতে কীটনাশক প্রয়োগ না করেই ক্ষেতের ক্ষতিকর পোকা দমন সহজ হচ্ছে এবং খরচের বিষয়েও কৃষকরা সুফল পাচ্ছেন। ফলে এলাকার কৃষকরা সুফল পাওয়ায় কীটনাশকের পরিবর্তে পার্চিং পদ্ধতির দিকে বিশেষভাবে ঝুকে পড়েছেন।

চলতি মৌসুমে মাগুরার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবু নাসের বেগ ও কৃষি সম্প্র্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মোহাম্মাদ রফিকুজ্জামান, শ্রীপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার কমলেশ মজুমদার একযোগে মাগুরার সদর, শ্রীপুর, শালিখা ও মহম্মদপুর উপজেলার বোরো ধানক্ষেতের পার্চিং কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন।

এ বিষয়ে শ্রীপুর গ্রামের কৃষক ও উপজেলা কৃষকলীগের সভাপতি নজরুল ইসলাম মোল্যা বলেন, পার্চিং পদ্ধতির ফলে পাখিরা মাঠের পোকামাকড় খেয়ে ফেলছে । এতে ফসলের রোগবালাই অনেকাংশে কমে গেছে। এতে ফসলের উৎপাদন খরচও কমে গেছে। কৃষকেরা আনন্দের সঙ্গে এ পদ্ধতি প্রয়োগ করে লাভবানও হচ্ছেন।

উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ সালমা জাহান নিপা জানান, কৃষকেরা ধানক্ষেতের পোকামাকড় দমনে সাধারণত বিভিন্ন ধরনের কীটনাশক ব্যবহার করে থাকেন। কীটনাশকযুুক্ত ফসল মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। পরিবেশবান্ধব পার্চিং কার্যক্রম পদ্ধতির সুফল সর্বত্র ছড়িয়ে পড়লে কৃষককুল বিষমুক্ত ফসল ঘরে তুলতে পারবে সেইসাথে চাষের খরচও হ্রাস পাবে এবং মানব স্বাস্থ্য ঝুঁকি কমবে, নিরাপদ খাদ্য উৎপাদিত হবে।

 

বা/খ: জই

নিউজটি শেয়ার করুন

শ্রীপুরে ধানক্ষেতে পার্চিং পদ্ধতি কৃষকদের মাঝে ব্যাপক সাড়া

আপডেট সময় : ০৬:১০:৩৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ মার্চ ২০২৩

আশরাফ হোসেন পল্টু, শ্রীপুর (মাগুরা) প্রতিনিধি :

বোরো ধানক্ষেতে পোকা দমনে পার্চিং পদ্ধতি প্রয়োগে সুফল পাচ্ছেন মাগুরার শ্রীপুর উপজেলার কৃষককুল। এ পদ্ধতি ব্যবহারে কৃষকদের মাঝে ব্যাপক সাড়া পড়েছে।

মাগুরার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবু নাসের বেগ মাঠে নেমে নিজ হাতে কৃষকের ধানক্ষেতে গাছের ডাল ও বাঁশের কঞ্চি পুঁতে পার্চিং পদ্ধতির উদ্বোধন ঘোষণা করেন। ধানক্ষেতে পুঁতা ডালে বিভিন্ন প্রজাতীর পাখি বসে ক্ষেতের ক্ষতিকর পোকা খেয়ে ফেলছে। এতে কীটনাশক প্রয়োগ না করেই ক্ষেতের ক্ষতিকর পোকা দমন সহজ হচ্ছে এবং খরচের বিষয়েও কৃষকরা সুফল পাচ্ছেন। ফলে এলাকার কৃষকরা সুফল পাওয়ায় কীটনাশকের পরিবর্তে পার্চিং পদ্ধতির দিকে বিশেষভাবে ঝুকে পড়েছেন।

চলতি মৌসুমে মাগুরার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবু নাসের বেগ ও কৃষি সম্প্র্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মোহাম্মাদ রফিকুজ্জামান, শ্রীপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার কমলেশ মজুমদার একযোগে মাগুরার সদর, শ্রীপুর, শালিখা ও মহম্মদপুর উপজেলার বোরো ধানক্ষেতের পার্চিং কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন।

এ বিষয়ে শ্রীপুর গ্রামের কৃষক ও উপজেলা কৃষকলীগের সভাপতি নজরুল ইসলাম মোল্যা বলেন, পার্চিং পদ্ধতির ফলে পাখিরা মাঠের পোকামাকড় খেয়ে ফেলছে । এতে ফসলের রোগবালাই অনেকাংশে কমে গেছে। এতে ফসলের উৎপাদন খরচও কমে গেছে। কৃষকেরা আনন্দের সঙ্গে এ পদ্ধতি প্রয়োগ করে লাভবানও হচ্ছেন।

উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ সালমা জাহান নিপা জানান, কৃষকেরা ধানক্ষেতের পোকামাকড় দমনে সাধারণত বিভিন্ন ধরনের কীটনাশক ব্যবহার করে থাকেন। কীটনাশকযুুক্ত ফসল মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। পরিবেশবান্ধব পার্চিং কার্যক্রম পদ্ধতির সুফল সর্বত্র ছড়িয়ে পড়লে কৃষককুল বিষমুক্ত ফসল ঘরে তুলতে পারবে সেইসাথে চাষের খরচও হ্রাস পাবে এবং মানব স্বাস্থ্য ঝুঁকি কমবে, নিরাপদ খাদ্য উৎপাদিত হবে।

 

বা/খ: জই