ঢাকা ১০:৫৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

শ্রীনগর উপজেলা আ.লীগের সাধারন সম্পাদক পদে নৌকার বিপক্ষে বিজয়ী মামুনের প্রার্থীতা ঘোষণা 

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৮:১৮:১৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৪ মে ২০২৩
  • / ৪৪৭ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি
// শ্রীনগর (মুন্সীগঞ্জ) সংবাদদাতা //
মুন্সীগঞ্জ জেলার শ্রীনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনে সাধারন সম্পাদক পদে প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ মসিউর রহমান মামুন। রবিবার বেলা ১১ টায় তার মার্কেটের
পেছনে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় তিনি এ ঘোষণা দেন। বিদ্রোহী হয়েও তিনি আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক পদে প্রার্থীতা ঘোষণা করায় ত্যাগী আওয়ামী লীগার ও নেতাকর্মীদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি
হয়েছে।
গত নির্বাচনে মসিউর রহমান মামুন আওয়ামী লীগের প্রার্থী আলহাজ্ব তোফাজ্জল হোসেনের বিরুদ্ধে বিদ্রোহী প্রার্থী হিসাবে নির্বাচন করে  মুন্সীগঞ্জ জেলা যুবলীগের অর্থ বিষয়ক সম্পাদক মসিউর রহমান মামুন বিজয়ী হন। সংগঠনের স্বার্থ পরিপন্থি কার্যক্রম ও সংগঠনিক শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে মসিউর রহমান মামুনকে দল থেকে বহিস্কার করা হয়। গেল ইউপি নির্বাচনে নৌকার বিপক্ষের প্রার্থীদের নির্বাচনী সভায়ও মসিউর রহমান মামুনকে দেখা গেছে। এছাড়া বিভিন্ন সময় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠন থেকে অব্যাহতি পাওয়া নেতাদের নিয়ে মসিউর রহমান মামুন দলীয় গ্রুপিং শুরু করেন। এতে দলের মধ্যে বিভাজনের সৃষ্টি হয়েছে।
জানা গেছে, মোঃ মসিউর রহমান মামুন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করলে আওয়ামী লীগের জাতীয় কমিটির সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সংগঠনের গঠনতন্ত্রের ১৭ (৬) এবং ৪৭ (২) ধারা মোতাবেক সংগঠনের স্বার্থ পরিপন্থি কর্মকান্ড শৃঙ্খলা ভঙ্গ না করার শর্তে তাকে ক্ষমা প্রদর্শন করা হয়। গত ২৫ জানুয়ারি আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক ওবায়দুল কাদের স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে মসিউর রহমার মামুনকে
ক্ষমা প্রদর্শন করা করা হয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় আওয়ামী লীগের একাধিক নেতা বলেছেন, মসিউর রহমান মামুন নৌকার বিপক্ষে নির্বাচন করে বিজয়ী হয়েছেন। দল থেকে বহিস্কৃত নেতাদের নিয়ে বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনেও নৌকার
বিরোধিতা করেছেন। দলীয় নেতা হয়েও দলের বিরোধীতা করায় ১৪টি ইউনিয়নের মধ্যে ৯টিতে নৌকার ভরাডুবি হয়। সদর ইউনিয়নেই বিএনপির এক নেতা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। এর পর থেকেই বিএনপির ওই নেতাসহ
আওয়ামী লীগ বিরোধী অনেকের সাথে তার সুসম্পর্ক গড়ে উঠেছে। বিষয়টি এখন ওপেন সিক্রেট।
২০১৭ সালেল ২৬ মার্চ মসিউর রহমান মামুন ও গোলাম সারোয়ার কবির গ্রুপের সাথে তৎকালীন মুন্সীগঞ্জ-১ আসনের আওয়ামী লীগের এমপি সুকুমার রঞ্জন ঘোষের উপস্থিতিতে সংঘর্ষ ও গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। ওই দিনই
সুকুমার রঞ্জন ঘোষ অসুস্থতায় এলাকা ছাড়েন। এর পর গত ৬ বছরে তিনি আর এলাকামুখী হননি। সুকুমার রঞ্জন ঘোষবিহীন সুসংগঠিত আওয়ামী লীগ ছিন্ন বিচ্ছিন্ন হয়ে পরে। অথচ সেই মামুন আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দেয়ায় ত্যাগীরা নির্বাচন বয়কট করতে পারেন।
মুন্সীগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক আলহাজ লুৎফর রহমান জানান, যারা সাধারন ক্ষমা পেয়েছেন তারা যদি নিজ নিজ ইউনিয়নের আওতায় কাউন্সিলর হতে পারেন তাহলে ভোট দেয়ার পাশাপাশি প্রার্থী হিসেবে
প্রতিদ্বন্দ্বিতাও করতে পারবেন।
শ্রীনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে আগামী ২০ মে তারিখে। সভাপতি পদে আলহাজ্ব  তোফাজ্জল হোসেনের নাম শোনা গেলেও সাধারন সম্পাদক পদে প্রার্থী হয়েছেন বেশ কয়েকজন। তাদের মধ্যে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মসিউর রহমান মামুন, ভাইস চেয়ারম্যান ওয়াহিদুর রহমান জিঠু, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আবুল কালাম আজাদ ডালু, ভাগ্যকুল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক মনির হোসেন মিতুল ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মিনহাজ উদ্দিনের নাম শোনা যাচ্ছে।
বা/খ: এসআর।

নিউজটি শেয়ার করুন

শ্রীনগর উপজেলা আ.লীগের সাধারন সম্পাদক পদে নৌকার বিপক্ষে বিজয়ী মামুনের প্রার্থীতা ঘোষণা 

আপডেট সময় : ০৮:১৮:১৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৪ মে ২০২৩
// শ্রীনগর (মুন্সীগঞ্জ) সংবাদদাতা //
মুন্সীগঞ্জ জেলার শ্রীনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনে সাধারন সম্পাদক পদে প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ মসিউর রহমান মামুন। রবিবার বেলা ১১ টায় তার মার্কেটের
পেছনে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় তিনি এ ঘোষণা দেন। বিদ্রোহী হয়েও তিনি আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক পদে প্রার্থীতা ঘোষণা করায় ত্যাগী আওয়ামী লীগার ও নেতাকর্মীদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি
হয়েছে।
গত নির্বাচনে মসিউর রহমান মামুন আওয়ামী লীগের প্রার্থী আলহাজ্ব তোফাজ্জল হোসেনের বিরুদ্ধে বিদ্রোহী প্রার্থী হিসাবে নির্বাচন করে  মুন্সীগঞ্জ জেলা যুবলীগের অর্থ বিষয়ক সম্পাদক মসিউর রহমান মামুন বিজয়ী হন। সংগঠনের স্বার্থ পরিপন্থি কার্যক্রম ও সংগঠনিক শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে মসিউর রহমান মামুনকে দল থেকে বহিস্কার করা হয়। গেল ইউপি নির্বাচনে নৌকার বিপক্ষের প্রার্থীদের নির্বাচনী সভায়ও মসিউর রহমান মামুনকে দেখা গেছে। এছাড়া বিভিন্ন সময় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠন থেকে অব্যাহতি পাওয়া নেতাদের নিয়ে মসিউর রহমান মামুন দলীয় গ্রুপিং শুরু করেন। এতে দলের মধ্যে বিভাজনের সৃষ্টি হয়েছে।
জানা গেছে, মোঃ মসিউর রহমান মামুন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করলে আওয়ামী লীগের জাতীয় কমিটির সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সংগঠনের গঠনতন্ত্রের ১৭ (৬) এবং ৪৭ (২) ধারা মোতাবেক সংগঠনের স্বার্থ পরিপন্থি কর্মকান্ড শৃঙ্খলা ভঙ্গ না করার শর্তে তাকে ক্ষমা প্রদর্শন করা হয়। গত ২৫ জানুয়ারি আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক ওবায়দুল কাদের স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে মসিউর রহমার মামুনকে
ক্ষমা প্রদর্শন করা করা হয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় আওয়ামী লীগের একাধিক নেতা বলেছেন, মসিউর রহমান মামুন নৌকার বিপক্ষে নির্বাচন করে বিজয়ী হয়েছেন। দল থেকে বহিস্কৃত নেতাদের নিয়ে বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনেও নৌকার
বিরোধিতা করেছেন। দলীয় নেতা হয়েও দলের বিরোধীতা করায় ১৪টি ইউনিয়নের মধ্যে ৯টিতে নৌকার ভরাডুবি হয়। সদর ইউনিয়নেই বিএনপির এক নেতা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। এর পর থেকেই বিএনপির ওই নেতাসহ
আওয়ামী লীগ বিরোধী অনেকের সাথে তার সুসম্পর্ক গড়ে উঠেছে। বিষয়টি এখন ওপেন সিক্রেট।
২০১৭ সালেল ২৬ মার্চ মসিউর রহমান মামুন ও গোলাম সারোয়ার কবির গ্রুপের সাথে তৎকালীন মুন্সীগঞ্জ-১ আসনের আওয়ামী লীগের এমপি সুকুমার রঞ্জন ঘোষের উপস্থিতিতে সংঘর্ষ ও গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। ওই দিনই
সুকুমার রঞ্জন ঘোষ অসুস্থতায় এলাকা ছাড়েন। এর পর গত ৬ বছরে তিনি আর এলাকামুখী হননি। সুকুমার রঞ্জন ঘোষবিহীন সুসংগঠিত আওয়ামী লীগ ছিন্ন বিচ্ছিন্ন হয়ে পরে। অথচ সেই মামুন আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দেয়ায় ত্যাগীরা নির্বাচন বয়কট করতে পারেন।
মুন্সীগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক আলহাজ লুৎফর রহমান জানান, যারা সাধারন ক্ষমা পেয়েছেন তারা যদি নিজ নিজ ইউনিয়নের আওতায় কাউন্সিলর হতে পারেন তাহলে ভোট দেয়ার পাশাপাশি প্রার্থী হিসেবে
প্রতিদ্বন্দ্বিতাও করতে পারবেন।
শ্রীনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে আগামী ২০ মে তারিখে। সভাপতি পদে আলহাজ্ব  তোফাজ্জল হোসেনের নাম শোনা গেলেও সাধারন সম্পাদক পদে প্রার্থী হয়েছেন বেশ কয়েকজন। তাদের মধ্যে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মসিউর রহমান মামুন, ভাইস চেয়ারম্যান ওয়াহিদুর রহমান জিঠু, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আবুল কালাম আজাদ ডালু, ভাগ্যকুল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক মনির হোসেন মিতুল ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মিনহাজ উদ্দিনের নাম শোনা যাচ্ছে।
বা/খ: এসআর।