ঢাকা ০৯:১৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৫ মে ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

শ্রীনগরে পাট চাষে লোকশানের আশংকা

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৩:৫৭:৫৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৯ জুলাই ২০২৩
  • / ৪৬৮ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি
// শ্রীনগর (মুন্সীগঞ্জ) প্রতিনিধি //
শ্রীনগরে সোনালী আঁশ হিসেবে পরিচিত পাটের কাঙ্খিত বাজার মূল্য না পাওয়ায় লোকসানের শঙ্কা করছেন স্থানীয় কৃষকরা। শুকনো পাটের মণ বিকিকিনি হচ্ছে ১৯শ’ টাকা থেকে ২২শ’ টাকা করে। কিছুদিন আগেও স্থানীয়ভাবে পাট বেশী দরে কেনাবেচা হওয়ায় পাট চাষীরা লাভের স্বপ্ন দেখেন। হঠাৎ পাটের বাজার মূল্য হ্রাস পাওয়ায় লোকসানের শঙ্কায় পড়েছেন তারা।
উপজেলায় এ বছর প্রায় ১৮০ হেক্টর জমিতে বিভিন্ন জাতের পাট চাষ হয়েছে। পাট ক্ষেতের প্রদর্শনী ১টি। বর্ষার ভরা মৌসুমে পরিমাণের চেয়ে কম পানি থাকায় কাটা পাট জাগ দেওয়া নিয়ে অনেক কৃষক ভোগান্তির শিকার হন। লক্ষ্য করা গেছে, জমির কাছাকাছি খাল ও চকে পর্যাপ্ত পানির অভাবে প্রায় ৬/৭ কিলোমিটার দূরের চকের পানিতে কৃষকদের পাট জাগ দিতে।
স্থানীয়রা জানান, এক সময় উপজেলাব্যাপী ব্যাপক পাটের চাষ করা হলেও নানান চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন পাট চাষ থেকে প্রান্তিক কৃষক এ চাষে আগ্রহ হারাচ্ছেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, গেল বছর উপজেলায় পাট চাষ হয়েছে প্রায় ২০০ হেক্টর জমিতে। প্রদর্শনীর ক্ষেত ছিল ১০টি। উপজেলার পূর্ব অঞ্চলের কুকুটিয়া, আটপাড়া, তন্তর, পাটাভোগ, বীরতারা ইউনিয়নের দুই ফসলির কিছু কিছু জমিতে এখনও পাট চাষ হচ্ছে।
উপজেলার নাগরভোগের মো. শুভ বলেন, পাটাভোগের বেজগাঁও দেড়কানি জমিতে (২১০ শতাংশ জমি) পাট চাষ করি। জমির পাশে হরপাড়া খালে পানি না থাকায় পাট জাগ দিতে ৭ কিলোমিটার দূরে কর্কটপাড়ার চকে নিচ্ছি। এখানে পানি থাকায় পাট জাগ দিচ্ছি। এতো খাটা খাটোনী ও অতিরিক্ত খরচ করে পাট চাষে কোন লাভের লক্ষণ দেখছি না।
বীরতারার আমির হোসেন বলেন, এলাকায় পাটের কোন পাইকার আসছে না। অর্থের জোগান দিতে শুক্রবার সকালে পার্শ্ববর্তী সিরাজদিখান উপজেলার তালতলা বাজারে গিয়ে পাট বিক্রি করি।
প্রতি মণ পাট বিক্রি করা হয় ১৯৫০ টাকা করে। এতে ব্যয় খরচ উঠে আসবে না। পাটের বাজার মূল্য বৃদ্ধি না হলে লোকসানের মুখে পরবেন স্থানীয় পাট চাষীরা।

নিউজটি শেয়ার করুন

শ্রীনগরে পাট চাষে লোকশানের আশংকা

আপডেট সময় : ০৩:৫৭:৫৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৯ জুলাই ২০২৩
// শ্রীনগর (মুন্সীগঞ্জ) প্রতিনিধি //
শ্রীনগরে সোনালী আঁশ হিসেবে পরিচিত পাটের কাঙ্খিত বাজার মূল্য না পাওয়ায় লোকসানের শঙ্কা করছেন স্থানীয় কৃষকরা। শুকনো পাটের মণ বিকিকিনি হচ্ছে ১৯শ’ টাকা থেকে ২২শ’ টাকা করে। কিছুদিন আগেও স্থানীয়ভাবে পাট বেশী দরে কেনাবেচা হওয়ায় পাট চাষীরা লাভের স্বপ্ন দেখেন। হঠাৎ পাটের বাজার মূল্য হ্রাস পাওয়ায় লোকসানের শঙ্কায় পড়েছেন তারা।
উপজেলায় এ বছর প্রায় ১৮০ হেক্টর জমিতে বিভিন্ন জাতের পাট চাষ হয়েছে। পাট ক্ষেতের প্রদর্শনী ১টি। বর্ষার ভরা মৌসুমে পরিমাণের চেয়ে কম পানি থাকায় কাটা পাট জাগ দেওয়া নিয়ে অনেক কৃষক ভোগান্তির শিকার হন। লক্ষ্য করা গেছে, জমির কাছাকাছি খাল ও চকে পর্যাপ্ত পানির অভাবে প্রায় ৬/৭ কিলোমিটার দূরের চকের পানিতে কৃষকদের পাট জাগ দিতে।
স্থানীয়রা জানান, এক সময় উপজেলাব্যাপী ব্যাপক পাটের চাষ করা হলেও নানান চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন পাট চাষ থেকে প্রান্তিক কৃষক এ চাষে আগ্রহ হারাচ্ছেন।
আরও পড়ুন : ধর্ষণ চেষ্টা মামলার প্রধান আসামী ময়মনসিংহ থেকে গ্রেফতার
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, গেল বছর উপজেলায় পাট চাষ হয়েছে প্রায় ২০০ হেক্টর জমিতে। প্রদর্শনীর ক্ষেত ছিল ১০টি। উপজেলার পূর্ব অঞ্চলের কুকুটিয়া, আটপাড়া, তন্তর, পাটাভোগ, বীরতারা ইউনিয়নের দুই ফসলির কিছু কিছু জমিতে এখনও পাট চাষ হচ্ছে।
উপজেলার নাগরভোগের মো. শুভ বলেন, পাটাভোগের বেজগাঁও দেড়কানি জমিতে (২১০ শতাংশ জমি) পাট চাষ করি। জমির পাশে হরপাড়া খালে পানি না থাকায় পাট জাগ দিতে ৭ কিলোমিটার দূরে কর্কটপাড়ার চকে নিচ্ছি। এখানে পানি থাকায় পাট জাগ দিচ্ছি। এতো খাটা খাটোনী ও অতিরিক্ত খরচ করে পাট চাষে কোন লাভের লক্ষণ দেখছি না।
বীরতারার আমির হোসেন বলেন, এলাকায় পাটের কোন পাইকার আসছে না। অর্থের জোগান দিতে শুক্রবার সকালে পার্শ্ববর্তী সিরাজদিখান উপজেলার তালতলা বাজারে গিয়ে পাট বিক্রি করি।
প্রতি মণ পাট বিক্রি করা হয় ১৯৫০ টাকা করে। এতে ব্যয় খরচ উঠে আসবে না। পাটের বাজার মূল্য বৃদ্ধি না হলে লোকসানের মুখে পরবেন স্থানীয় পাট চাষীরা।