ঢাকা ০৫:৪৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

শুধু সরকার নয়, আ.লীগও জনগণের পাশে দাঁড়িয়েছে: প্রধানমন্ত্রী

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৬:৪৪:২৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ৭ জানুয়ারী ২০২৩
  • / ৪৩৯ বার পড়া হয়েছে

টুঙ্গিপাড়ায় আওয়ামী লীগের যৌথ সভায় বক্তব্য রাখছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

গোপালগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি

শুধু আওয়ামী লীগ সরকার নয়, দল হিসেবে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরাও যেকোনো প্রয়োজনে জনগণের পাশে দাঁড়িয়েছেন বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

শনিবার (৭ জানুয়ারি) দুপুরে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া উপজেলা কার্যালয়ে আওয়ামী লীগের জাতীয় কমিটি, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটি ও উপদেষ্টা পরিষদের প্রথম যৌথসভায় সূচনা বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সভার কার্যক্রম শুরুর আগে শোকপ্রস্তাব গৃহীত হয়।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ যতদিন ক্ষমতায় আছে, মানুষের কষ্ট দূর করার জন্য যা যা করণীয় সেটা করে যাবে। আওয়ামী লীগ সরকার সব সময় মানুষের পাশে আছে। বাংলার মানুষের আর্থসামাজিক উন্নয়নে আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। যা যা করণীয় সেটা আমরা করব। শুধু সরকারই নয়, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা সব সময় মানুষের পাশে থাকে এবং আছে।

তিনি বলেন, আমরা সর্বদা জনগণের পাশে আছি। জনগণের সেবা করাই আমাদের মূলমন্ত্র। দেশবাসীকে দুর্ভোগ থেকে মুক্তি দিতে যা যা প্রয়োজন আওয়ামী লীগ সরকার সবই করে যাচ্ছে। জনগণের সেবাই আওয়ামী লীগের একমাত্র মূলমন্ত্র।

শেখ হাসিনা বলেন, করোনা ও যেকোনো দুর্যোগে আওয়ামী লীগ এবং এর সহযোগী সংগঠনের জনগণের পাশে দাঁড়ানো থেকে প্রমাণিত হয় যে, দল সর্বদা জনগণের প্রতিটি দুঃখ-কষ্টে পাশে থাকে।

আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, নবগঠিত কমিটির সব সদস্য দেশবাসীর আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন নিশ্চিত করতে এবং ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি উন্নত, সমৃদ্ধ ও স্মার্ট দেশে রূপান্তরের স্বপ্ন বাস্তবায়নে কাজ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

4525236

তিনি বলেন, আমাদের (আওয়ামী লীগের) নীতি হচ্ছে, জনগণের দুঃখ-কষ্টে তাদের পাশে দাঁড়ানো। কারণ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেশবাসীকে একটি সুন্দর জীবন দিতে চেয়েছিলেন। আমরাও সেই লক্ষ্য বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, গ্রামপর্যায়ে মানুষের উন্নয়ন হচ্ছে। আমরা সবার জন্য বাসস্থানের ব্যবস্থা করছি। জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলায় কোনো মানুষ গৃহহীন থাকবে না। বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সঙ্কটের মধ্যেও আমরা আমাদের দেশের মানুষের যাতে কষ্ট না হয় সে পদক্ষেপ নিয়েছি। কোনো জমি অনাবাদি থাকবে না। সেজন্য সাধারণ মানুষকে আহ্বান জানাই। আমাদের নিজেদের প্রয়োজন অনুযায়ী যেন আমরা নিজেরাই সব কিছু উৎপাদন করতে পারি, সে লক্ষ্যে কাজ চলছে।

বাংলাদেশ নিয়ে আর কেউ ছিনিমিনি খেলতে পারবে না মন্তব্য করে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘আমরা কাউকে দেশ নিয়ে ছিনিমিনি খেলতে দেব না। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা নিয়ে দেশ চলবে। এই মাটিতে বসে প্রতিজ্ঞা নিচ্ছি, বাংলাদেশের মানুষের আর্থ-সামাজিক উন্নতির কেউ যাতে গতিরোধ করতে না পারে, তার জন্য আওয়ামী লীগের তৃণমূল পর্যন্ত প্রতিটি নেতাকর্মী সজাগ থাকবে, দৃঢ় থাকবে। যেকোনো অপকর্মের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ করবে। এই প্রতিজ্ঞা নিয়ে জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে তুলব।

এর আগে পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচি হিসেবে দুপুর ১টা ১০ মিনিটে দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে নিয়ে বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন প্রধানমন্ত্রী। পরে বঙ্গবন্ধুর স্মৃতি বিজড়িত মধুমতি নদীতে বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল বোট ল্যান্ডিং র‌্যাম্প, মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবনসহ গোপালগঞ্জ, কোটালীপাড়া ও টুঙ্গিপাড়া উপজেলার ২৮টি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সন্ধ্যায় তিনি সড়ক পথে টুঙ্গিপাড়া থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হবেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

শুধু সরকার নয়, আ.লীগও জনগণের পাশে দাঁড়িয়েছে: প্রধানমন্ত্রী

আপডেট সময় : ০৬:৪৪:২৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ৭ জানুয়ারী ২০২৩

গোপালগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি

শুধু আওয়ামী লীগ সরকার নয়, দল হিসেবে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরাও যেকোনো প্রয়োজনে জনগণের পাশে দাঁড়িয়েছেন বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

শনিবার (৭ জানুয়ারি) দুপুরে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া উপজেলা কার্যালয়ে আওয়ামী লীগের জাতীয় কমিটি, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটি ও উপদেষ্টা পরিষদের প্রথম যৌথসভায় সূচনা বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সভার কার্যক্রম শুরুর আগে শোকপ্রস্তাব গৃহীত হয়।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ যতদিন ক্ষমতায় আছে, মানুষের কষ্ট দূর করার জন্য যা যা করণীয় সেটা করে যাবে। আওয়ামী লীগ সরকার সব সময় মানুষের পাশে আছে। বাংলার মানুষের আর্থসামাজিক উন্নয়নে আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। যা যা করণীয় সেটা আমরা করব। শুধু সরকারই নয়, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা সব সময় মানুষের পাশে থাকে এবং আছে।

তিনি বলেন, আমরা সর্বদা জনগণের পাশে আছি। জনগণের সেবা করাই আমাদের মূলমন্ত্র। দেশবাসীকে দুর্ভোগ থেকে মুক্তি দিতে যা যা প্রয়োজন আওয়ামী লীগ সরকার সবই করে যাচ্ছে। জনগণের সেবাই আওয়ামী লীগের একমাত্র মূলমন্ত্র।

শেখ হাসিনা বলেন, করোনা ও যেকোনো দুর্যোগে আওয়ামী লীগ এবং এর সহযোগী সংগঠনের জনগণের পাশে দাঁড়ানো থেকে প্রমাণিত হয় যে, দল সর্বদা জনগণের প্রতিটি দুঃখ-কষ্টে পাশে থাকে।

আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, নবগঠিত কমিটির সব সদস্য দেশবাসীর আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন নিশ্চিত করতে এবং ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি উন্নত, সমৃদ্ধ ও স্মার্ট দেশে রূপান্তরের স্বপ্ন বাস্তবায়নে কাজ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

4525236

তিনি বলেন, আমাদের (আওয়ামী লীগের) নীতি হচ্ছে, জনগণের দুঃখ-কষ্টে তাদের পাশে দাঁড়ানো। কারণ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেশবাসীকে একটি সুন্দর জীবন দিতে চেয়েছিলেন। আমরাও সেই লক্ষ্য বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, গ্রামপর্যায়ে মানুষের উন্নয়ন হচ্ছে। আমরা সবার জন্য বাসস্থানের ব্যবস্থা করছি। জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলায় কোনো মানুষ গৃহহীন থাকবে না। বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সঙ্কটের মধ্যেও আমরা আমাদের দেশের মানুষের যাতে কষ্ট না হয় সে পদক্ষেপ নিয়েছি। কোনো জমি অনাবাদি থাকবে না। সেজন্য সাধারণ মানুষকে আহ্বান জানাই। আমাদের নিজেদের প্রয়োজন অনুযায়ী যেন আমরা নিজেরাই সব কিছু উৎপাদন করতে পারি, সে লক্ষ্যে কাজ চলছে।

বাংলাদেশ নিয়ে আর কেউ ছিনিমিনি খেলতে পারবে না মন্তব্য করে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘আমরা কাউকে দেশ নিয়ে ছিনিমিনি খেলতে দেব না। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা নিয়ে দেশ চলবে। এই মাটিতে বসে প্রতিজ্ঞা নিচ্ছি, বাংলাদেশের মানুষের আর্থ-সামাজিক উন্নতির কেউ যাতে গতিরোধ করতে না পারে, তার জন্য আওয়ামী লীগের তৃণমূল পর্যন্ত প্রতিটি নেতাকর্মী সজাগ থাকবে, দৃঢ় থাকবে। যেকোনো অপকর্মের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ করবে। এই প্রতিজ্ঞা নিয়ে জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে তুলব।

এর আগে পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচি হিসেবে দুপুর ১টা ১০ মিনিটে দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে নিয়ে বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন প্রধানমন্ত্রী। পরে বঙ্গবন্ধুর স্মৃতি বিজড়িত মধুমতি নদীতে বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল বোট ল্যান্ডিং র‌্যাম্প, মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবনসহ গোপালগঞ্জ, কোটালীপাড়া ও টুঙ্গিপাড়া উপজেলার ২৮টি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সন্ধ্যায় তিনি সড়ক পথে টুঙ্গিপাড়া থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হবেন।