শিশু লামের বাদাম বিক্রি করে চলে পরিবার
- আপডেট সময় : ০১:৪৯:৪৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৪ জুলাই ২০২৩
- / ৪৮২ বার পড়া হয়েছে
// বাদশা সেকেন্দার ভুট্টো , ডিমলা (নীলফামারী) প্রতিনিধি //
নীলফামারীর ডিমলা বাদাম বিক্রি করে চলে শিশু লামের পরিবার। ২২ জুলাই তখন বাজে বিকেল ৫ টা ঠিক এমন সময়ে বাতাসের সাথে ভেসে আসছে শিশু লামের হাক-ডাক, বাদাম বুট লাগবে নেন না ভাই বাদাম। তবে সবাই যেন শুনেও শুনছেন না তার কথা। এভাবেই হাক ডাক দিয়েই দিন শেষ হয় ১০ বছর বয়সী শিশু সন্তান লামের। এক দুই কথায় শিশু লাম তার সংগ্রামী জীবনের গল্প বর্ণনা করে। লাম বলে তার বাবাও একজন বাদাম বিক্রিতা। নিজের মা নেই তিন ভাই ও সৎ মাসহ তার বসবাস।
লাম ডিমলা উপজেলার নাউতারা ইউনিয়নের গ্রামীণ ব্যাংক সংলগ্ন গ্রামের সহিদার রহমানের ছেলে। নাউতারা এমই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ২য় শ্রেণির ছাত্র। কিছুটা বুঝতে শেখার পর সংসারে দুঃখ লাঘব করার জন্য সে স্কুল ব্যাগ ছেড়ে হাতে তুলে নিয়েছে বাদামের গামলা। ভাগ্যের নির্মম পরিহাসের কারণে উড়ন্ত বয়সে দুরন্তের সময় শিশু লামের হাত বাদাম বিক্রেতা। প্রতিদিন ভোরে ২-৩ কেজি বাদাম বাড়ি থেকে ভেজে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত তার বাবা সহ সেটা বেচে যা লাভ হয় তা দিয়ে মাছ জোটে না, কোনো মতে শাকসবজি আর চাল কিনে বাসায় ফিরতে হয়।
চোখ মুছতে মুছতে লাম বলে মাঝে মাঝে রাতে যে অল্পদুটো ভাত থাকে তাই সকালে পান্তা ভাত ভর্তা পিঁয়াজ দিয়ে খাইয়ে বাদাম নিয়ে বেরোই পড়ি। সংবাদকর্মী সরজমিনে গিয়ে তার পরিবারের সাথে কথা বললে তার বাবা
কান্না জড়িত কন্ঠে লামের বাবা বলেন, লামের বয়স যখন ৭ মাস ঠিক তখনই তার মা লাইজু আক্তার মৃত্যুবরণ করেন। অনেক কষ্টে লাম আমি বাদাম বেচা টাকা দিয়েই এক আধবেলা খেয়ে না খেয়ে আমাদের সংসার চলছে। বাবা ছেলে প্রতিদিন সকালে ডালিয়া তিস্তা ব্রিজ এলাকাসহ বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে ঘুরে বাদাম বিক্রি করে।
এই বিষয়ে নাউতারা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আশিক ইমতিয়াজ মোর্শেদ মনি সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি বলেন, বিষয়টি আমি সংবাদকর্মীর ফেসবুক দেখেছি । তাৎক্ষণিক গ্রাম পুলিশের মাধ্যমে বিস্তারিত খবর নিয়েছি। আমি খুব তারাতারি লামের পরিবারের সার্বিক সহযোগিতার ব্যবস্থা করব।