ঢাকা ১১:২৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪, ২৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

ভাত খেতে দিতে দেরি হওয়ায়

শাহজাদপুরে স্বামীর মারপিটে স্ত্রী হত্যার অভিযোগ

স্টাফ রিপোর্টার
  • আপডেট সময় : ০৬:৪২:৫৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ অক্টোবর ২০২৩
  • / ৭২৪ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার নরিনা ইউনিয়নের বাতিয়া পূর্বপাড়া গ্রামে গত বুধবার দুপুরে ভাত খেতে দিতে দেরি হওয়ায় স্বামী আব্দুর রশিদ ঠান্ডুর (৬৫) মারপিটে স্ত্রী হনুফা খাতুন (৬০) নিহত হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ঘটনার পর নিহতের লাশ তড়িঘড়ি করে দাফনের চেষ্টা করলে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য সিরাজগঞ্জ বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে। এ ঘটনায় নিহতের ছোট ছেলে আব্দুল মজিদ বাদী হয়ে শাহজাদপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেছে।

এ বিষয়ে এরাকাবাসী জানায়, বুধবার জোহরের আজানের পর বাইরে থেকে এসে আব্দুর রশিদ ঠান্ডু তার স্ত্রী হনুফা খাতুনের কাছে ভাত খেতে দিতে বলে। হনুফা নামাজ শেষে করে খেতে দিবে বলে নিজ ঘরে নামাজ শুরু করে। এতে আব্দুর রশিদ চরম ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে এবং নামাজ শেষ হতেই স্ত্রী হনুফাকে বকাঝকা ও মারপিট শুরু করে। এতে হনুফা দরজার চৌকাঠের উপর পড়ে গিয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যায়। পরিবারের লোকজন বিষয়টি গোপন করে তড়িঘড়ি করে লাশ দাফনের চেষ্টা করে। খবর পেয়ে পুলিশ এ দিন রাতে ঘটনাস্থল থেকে নিহতের লাশ উদ্ধার করে বৃহস্পতিবার সকালে ময়না তদন্তের জন্য নিহতের লাশ সিরাজগঞ্জ বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।

এলাকাবাসি আরও জানায়, আব্দুর রশিদ ঠান্ডু একটু বদরাগী ও খ্যাপাটে গোছের মানুষ। অল্পতেই তিনি রেগে গিয়ে মারপিট করেন। প্রায়ই স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে মারপিট ও ঝগড়ার ঘটনা ঘটতো। এ বিষয়ে নিহতের মেঝ ছেলে আব্দুল হামিদ বলেন, ঘটনার সময় আমি বাড়িতে ছিলাম না। পরে এসে জানতে পারলাম, বাবা-মায়ের ঝগড়ার এক পর্যায়ে মা হনুফা খাতুন দরজার চৌকাঠের উপর পড়ে গিয়ে মারা গেছে। আমরা এটা স্বাভাবিক মৃত্যু ভেবে লাশ দাফনের ব্যবস্থা করি।

এ বিষয়ে নিহত হনুফার ৩ ছেলের বউ ফিরোজা খাতুন, সায়ফা খাতুন ও আরিফা খাতুন জানায়, আমরা যার যার ঘরে ছিলাম। তাদের দু‘জনের মধ্যে ঝগড়ার এক পর্যায়ে জোরে ধুম করে পড়ে যাওয়ার শব্দ শুনে আমরা ঘর থেকে ছুটে এসে দেখি শ্বাশুরি চৌকাঠের উপর পড়ে মারা গেছে।

এ বিষয়ে গ্রাম প্রধান জুলফিকার আলী বলেন, উভয় পরিবারের সম্মতিতে আমরা লাশ দাফনের ব্যবস্থা করি। খবর পেয়ে পুলিশ লাশ দাফনে বাঁধা দিয়ে ময়না বদন্তের জন্য নিয়ে যায়। এ বিষয়ে নিহতের চাচাতো ভাই নরিনা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবু শামীমের সাথে একাধিকবার কথা বলার চেষ্টা করলে তিনি এ বিষয়ে কোনো কথা বলেননি।

এ বিষয়ে শাহজাদপুর থানার ওসি খায়রুল বাসার বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য সিরাজগঞ্জ বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়না তদন্তের রিপোর্ট হাতে পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।

 

বাখ//আর

নিউজটি শেয়ার করুন

ভাত খেতে দিতে দেরি হওয়ায়

শাহজাদপুরে স্বামীর মারপিটে স্ত্রী হত্যার অভিযোগ

আপডেট সময় : ০৬:৪২:৫৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ অক্টোবর ২০২৩

সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার নরিনা ইউনিয়নের বাতিয়া পূর্বপাড়া গ্রামে গত বুধবার দুপুরে ভাত খেতে দিতে দেরি হওয়ায় স্বামী আব্দুর রশিদ ঠান্ডুর (৬৫) মারপিটে স্ত্রী হনুফা খাতুন (৬০) নিহত হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ঘটনার পর নিহতের লাশ তড়িঘড়ি করে দাফনের চেষ্টা করলে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য সিরাজগঞ্জ বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে। এ ঘটনায় নিহতের ছোট ছেলে আব্দুল মজিদ বাদী হয়ে শাহজাদপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেছে।

এ বিষয়ে এরাকাবাসী জানায়, বুধবার জোহরের আজানের পর বাইরে থেকে এসে আব্দুর রশিদ ঠান্ডু তার স্ত্রী হনুফা খাতুনের কাছে ভাত খেতে দিতে বলে। হনুফা নামাজ শেষে করে খেতে দিবে বলে নিজ ঘরে নামাজ শুরু করে। এতে আব্দুর রশিদ চরম ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে এবং নামাজ শেষ হতেই স্ত্রী হনুফাকে বকাঝকা ও মারপিট শুরু করে। এতে হনুফা দরজার চৌকাঠের উপর পড়ে গিয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যায়। পরিবারের লোকজন বিষয়টি গোপন করে তড়িঘড়ি করে লাশ দাফনের চেষ্টা করে। খবর পেয়ে পুলিশ এ দিন রাতে ঘটনাস্থল থেকে নিহতের লাশ উদ্ধার করে বৃহস্পতিবার সকালে ময়না তদন্তের জন্য নিহতের লাশ সিরাজগঞ্জ বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।

এলাকাবাসি আরও জানায়, আব্দুর রশিদ ঠান্ডু একটু বদরাগী ও খ্যাপাটে গোছের মানুষ। অল্পতেই তিনি রেগে গিয়ে মারপিট করেন। প্রায়ই স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে মারপিট ও ঝগড়ার ঘটনা ঘটতো। এ বিষয়ে নিহতের মেঝ ছেলে আব্দুল হামিদ বলেন, ঘটনার সময় আমি বাড়িতে ছিলাম না। পরে এসে জানতে পারলাম, বাবা-মায়ের ঝগড়ার এক পর্যায়ে মা হনুফা খাতুন দরজার চৌকাঠের উপর পড়ে গিয়ে মারা গেছে। আমরা এটা স্বাভাবিক মৃত্যু ভেবে লাশ দাফনের ব্যবস্থা করি।

এ বিষয়ে নিহত হনুফার ৩ ছেলের বউ ফিরোজা খাতুন, সায়ফা খাতুন ও আরিফা খাতুন জানায়, আমরা যার যার ঘরে ছিলাম। তাদের দু‘জনের মধ্যে ঝগড়ার এক পর্যায়ে জোরে ধুম করে পড়ে যাওয়ার শব্দ শুনে আমরা ঘর থেকে ছুটে এসে দেখি শ্বাশুরি চৌকাঠের উপর পড়ে মারা গেছে।

এ বিষয়ে গ্রাম প্রধান জুলফিকার আলী বলেন, উভয় পরিবারের সম্মতিতে আমরা লাশ দাফনের ব্যবস্থা করি। খবর পেয়ে পুলিশ লাশ দাফনে বাঁধা দিয়ে ময়না বদন্তের জন্য নিয়ে যায়। এ বিষয়ে নিহতের চাচাতো ভাই নরিনা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবু শামীমের সাথে একাধিকবার কথা বলার চেষ্টা করলে তিনি এ বিষয়ে কোনো কথা বলেননি।

এ বিষয়ে শাহজাদপুর থানার ওসি খায়রুল বাসার বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য সিরাজগঞ্জ বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়না তদন্তের রিপোর্ট হাতে পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।

 

বাখ//আর