ঢাকা ০১:৩৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৯ মে ২০২৪, ১৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

শাহজাদপুরে গরু জবাই করে ভুরিভোজ; অতপরঃ দু’দ্রুপের সংঘর্ষে আহত ২০

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৩:৫৯:৪৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ৯ নভেম্বর ২০২২
  • / ৪৫৭ বার পড়া হয়েছে

শাহজাদপুরের বড় ধুনাইল গ্রামে সংঘর্ষের পর পুলিশ দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করে

বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

শাহজাদপুর (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি :

হুরাসাগর নদী তীরের দেড়’শ বিঘা জমির মালিকানা ও ভোগ-দখল নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার রূপবাটি ইউনিয়নের বড় ধুনাইল গ্রামে মুসা গ্রুপ ও হালিম গ্রুপের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে নারী, পুরুষসহ উভয় পক্ষের কমপক্ষে ২০ জন গ্রামবাসী আহত হয়েছে।

বুধবার (৯ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ৯ টায় উভয় পক্ষের লোকজন লাঠি, ফালা, টেটা, হাসুয়াসহ দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। আধাঘন্টা ব্যাপী এ সংঘর্ষ চলাকালে ইটপাটকেল নিক্ষেপ, টেটা- ফালা নিক্ষেপসহ চারটি বাড়িঘর ও একটি দোকান ভাংচুরের ঘটনা ঘটে। এ সময় উভয় পক্ষের দুইজন ফালাবিদ্ধসহ ২০ জন আহত হয়েছে। আহতরা হলেন, মুসা গ্রুপের ইব্রাহিম মোল্লা (৬০), রাসেল (৩৬), আসাদ (৪৫), মজিরন (৫০), সাইফুল (৩৫), দীন আমিন (৪০), রাউজ (১৯), ও হালিম গ্রুপের সাবেক মেম্বর আব্দুর রাজ্জাক শেখ (৪২), নুর মোহাম্মদ (৩৮), রওশন আলী (৩৬), ফারুক হোসনে (৩২), ইউসুফ আলী (৩০), আব্দুল হালিম ব্যাপারী (৩৫), আনছার মোল্লা (৪২), ইয়াকুব আলী (২৬), শুকুর মোল্লা (৩৪)। আহতদের শাহজাদপুর, এনায়েতপুর, সিরাজগঞ্জ ও পাবনার বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎস সেবা দেয়া হচ্ছে। গুরুতর আহতরা হলেন, ইব্রাহিম মোল্লা (৬০), ফালাবিদ্ধ নূর মোহাম্মদ ও রাউজকে শাহজাদপুর ও সিরাজগঞ্জ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এছাড়া, মাথায় গুরুতর আঘাতপ্রাপ্ত মজিরন (৫০)কে এনায়েতপুর খাজা ইউনুস আলী মেডিকেল কলেজ এন্ড হসপিটালের আইসিইউতে ভর্তি করা হয়েছে। তার অবস্থা শংকাজনক বলে জানা গেছে।

এদিকে, সংঘর্ষের খবর পেয়ে শাহজাদপুর থানা পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে উভয় পক্ষের লোকজনকে ছত্রভঙ্গ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। পরে শাহজাদপুর থানার এসআই আহাদের নেতৃত্বে একদল পুলিশ উভয় গ্রুপের বিভিন্ন বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে ফালা, ঢালসহ বিপুল পরিমাণ দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করে।

এলাকাবাসী জানায়, উপজেলার রূপবাটি ইউনিয়নের হুরাসাগর নদী পাড়ের দেড়’শ বিঘা জমির মানিকানা ও ভোগ দখল নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে মুসা গ্রুপ ও হালিম গ্রুপের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিলো। একপর্যায়ে হালিম গ্রুপের লোকজন ৮০ হাজার টাকার একটি গরু এনে তা জবাই করে ভুরিভোজ করে হামলা সংঘর্ষের প্রস্তুতি নেয়। এরই ধারাবাহিকতায় বুধবার (৯ নভেম্বর) সকালে হালিম শেখ, লালন মোল্লা, সাবেক ইউপি সদস্য মালেক, মতিন মোল্লা ও আকছেদ ব্যাপারীর নেতৃত্বে হালিম গ্রুপের সমর্থকরা অতর্কিত মুসা গ্রুপের ওপর হামলা চালালে উভয়পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বেঁধে যায়। এ সময় উভয় পক্ষ দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষ চলাকালে মহসিন, নিজাম, খোকন ও দীন আমিনের বাড়ি ও জামাল মোল্লার দোকান ভাংচুরের ঘটনা ঘটে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত উভয় পক্ষই মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছে।

এ ব্যাপারে শাহজাদপুর থানার ইন্সপেক্টর (অপারেশন) আব্দুল মজিদ জানান, খবর পেয়ে শাহজাদপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।

বা/খ: এসআর

নিউজটি শেয়ার করুন

শাহজাদপুরে গরু জবাই করে ভুরিভোজ; অতপরঃ দু’দ্রুপের সংঘর্ষে আহত ২০

আপডেট সময় : ০৩:৫৯:৪৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ৯ নভেম্বর ২০২২

শাহজাদপুর (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি :

হুরাসাগর নদী তীরের দেড়’শ বিঘা জমির মালিকানা ও ভোগ-দখল নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার রূপবাটি ইউনিয়নের বড় ধুনাইল গ্রামে মুসা গ্রুপ ও হালিম গ্রুপের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে নারী, পুরুষসহ উভয় পক্ষের কমপক্ষে ২০ জন গ্রামবাসী আহত হয়েছে।

বুধবার (৯ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ৯ টায় উভয় পক্ষের লোকজন লাঠি, ফালা, টেটা, হাসুয়াসহ দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। আধাঘন্টা ব্যাপী এ সংঘর্ষ চলাকালে ইটপাটকেল নিক্ষেপ, টেটা- ফালা নিক্ষেপসহ চারটি বাড়িঘর ও একটি দোকান ভাংচুরের ঘটনা ঘটে। এ সময় উভয় পক্ষের দুইজন ফালাবিদ্ধসহ ২০ জন আহত হয়েছে। আহতরা হলেন, মুসা গ্রুপের ইব্রাহিম মোল্লা (৬০), রাসেল (৩৬), আসাদ (৪৫), মজিরন (৫০), সাইফুল (৩৫), দীন আমিন (৪০), রাউজ (১৯), ও হালিম গ্রুপের সাবেক মেম্বর আব্দুর রাজ্জাক শেখ (৪২), নুর মোহাম্মদ (৩৮), রওশন আলী (৩৬), ফারুক হোসনে (৩২), ইউসুফ আলী (৩০), আব্দুল হালিম ব্যাপারী (৩৫), আনছার মোল্লা (৪২), ইয়াকুব আলী (২৬), শুকুর মোল্লা (৩৪)। আহতদের শাহজাদপুর, এনায়েতপুর, সিরাজগঞ্জ ও পাবনার বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎস সেবা দেয়া হচ্ছে। গুরুতর আহতরা হলেন, ইব্রাহিম মোল্লা (৬০), ফালাবিদ্ধ নূর মোহাম্মদ ও রাউজকে শাহজাদপুর ও সিরাজগঞ্জ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এছাড়া, মাথায় গুরুতর আঘাতপ্রাপ্ত মজিরন (৫০)কে এনায়েতপুর খাজা ইউনুস আলী মেডিকেল কলেজ এন্ড হসপিটালের আইসিইউতে ভর্তি করা হয়েছে। তার অবস্থা শংকাজনক বলে জানা গেছে।

এদিকে, সংঘর্ষের খবর পেয়ে শাহজাদপুর থানা পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে উভয় পক্ষের লোকজনকে ছত্রভঙ্গ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। পরে শাহজাদপুর থানার এসআই আহাদের নেতৃত্বে একদল পুলিশ উভয় গ্রুপের বিভিন্ন বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে ফালা, ঢালসহ বিপুল পরিমাণ দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করে।

এলাকাবাসী জানায়, উপজেলার রূপবাটি ইউনিয়নের হুরাসাগর নদী পাড়ের দেড়’শ বিঘা জমির মানিকানা ও ভোগ দখল নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে মুসা গ্রুপ ও হালিম গ্রুপের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিলো। একপর্যায়ে হালিম গ্রুপের লোকজন ৮০ হাজার টাকার একটি গরু এনে তা জবাই করে ভুরিভোজ করে হামলা সংঘর্ষের প্রস্তুতি নেয়। এরই ধারাবাহিকতায় বুধবার (৯ নভেম্বর) সকালে হালিম শেখ, লালন মোল্লা, সাবেক ইউপি সদস্য মালেক, মতিন মোল্লা ও আকছেদ ব্যাপারীর নেতৃত্বে হালিম গ্রুপের সমর্থকরা অতর্কিত মুসা গ্রুপের ওপর হামলা চালালে উভয়পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বেঁধে যায়। এ সময় উভয় পক্ষ দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষ চলাকালে মহসিন, নিজাম, খোকন ও দীন আমিনের বাড়ি ও জামাল মোল্লার দোকান ভাংচুরের ঘটনা ঘটে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত উভয় পক্ষই মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছে।

এ ব্যাপারে শাহজাদপুর থানার ইন্সপেক্টর (অপারেশন) আব্দুল মজিদ জানান, খবর পেয়ে শাহজাদপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।

বা/খ: এসআর