ঢাকা ০৫:১৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

লখনৌকে ৫৬ রানে হারিয়েছে গুজরাট

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৮:৩৫:৩৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ৭ মে ২০২৩
  • / ৪৫০ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ক্রীড়া ডেস্ক: পয়েন্ট টেবিলের ওপরের সারির দুই দলের লড়াই। দুই অধিনায়ক ক্রুনাল পান্ডিয়া ও হার্দিক পান্ডিয়া সম্পর্কে সহোদর। ভাইয়ের বিপক্ষে ভাইয়ের লড়াইয়ে শেষ হাসি হাসলেন ছোটভাই হার্দিক। আইপিএলে আজ রোববার (৭ মে) মুখোমুখি হয় গুজরাট টাইটান্স ও লখনৌ সুপার জায়ান্ট। বর্তমান চ্যাম্পিয়ন গুজরাটকে কেন এবারও শিরোপার অন্যতম দাবিদার ভাবা হয়, তা আবার প্রমাণ করলেন তারা। আজকের ম্যাচে লখনৌকে ৫৬ রানের বড় ব্যবধানে হারায় গুজরাট।

আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে মাত্র দুই উইকেট হারিয়ে ২২৭ রান করে গুজরাট। জবাবে ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৭১ রানে থামে লখনৌ।

আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে টস জিতে ছোট ভাই হার্দিকের দল গুজরাটকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় ক্রুনালের লখনৌ। ক্রুনাল কি তখন ঘুণাক্ষরেও টের পেয়েছিলেন, তার দলের উপর দিয়ে টর্নেডো বইয়ে দেবেন গুজরাটের ব্যাটাররা!

ঋদ্ধিমান সাহা ও শুভমান গিলের ওপেনিং জুটিতে ১২.১ ওভারে আসে ১৪২ রান। আভেশ খানের বলে আউট হওয়ার আগে ৪৩ বলে ৮১ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলেন সাহা। ১০ চার ও ৪ ছয়ে ইনিংসটি সাজান সাহা। আরেক ওপেনার গিল অপরাজিত থাকেন ৫১ বলে ৯৪ রানে। তার ইনিংসে চার ছিল মাত্র দুটি, ছক্কা সাতটি!

হাত খুলে খেলতে চেয়েছিলেন হার্দিক পান্ডিয়া, কিন্তু ১৫ বলে ২৫ রান করে আউট হন মহসিন খানের বলে। ক্যাচ ধরেন বড়ভাই ক্রুনাল পান্ডিয়া। ১২ বলে ২১ রান করে গিলের সঙ্গে অপরাজিত থাকেন ডেভিড মিলার। গুজরাট পায় দুই উইকেটে ২২৭ রানের পাহাড়সম পুঁজি।

লখনৌর পক্ষে দুই উইকেটের একটি নেন মহসিন খান, আরেকটি আভেশ খান।

এত বিশার লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে যেভাবে শুরু করা দরকার, সেভাবেই করেছেন লখনৌর দুই ওপেনার কাইল মায়ার্স ও কুইন্টন ডি কক। ৮.২ ওভারে ৮৮ রানের জুটি গড়েন দুজন। ৩২ বলে ৪৮ রান করে মোহিত শর্মার বলে রশিদ খানের হাতে ক্যাচ তুলে ফেরেন মায়ার্স। ৪১ বলে ৭০ রান করা ডি কককে বোল্ড করেন রশিদ। দুই ওপেনার চলে যাওয়ার পর খেই হারিয়ে ফেলে লখনৌ। দ্রুতই ফিরে যান দিপক হুদা (১১), মার্কাস স্টয়নিস (৪) ও নিকোলাস পুরান (৩)। সেখান থেকে আর জয়ের জন্য লড়াইটা চালিয়ে যেতে পারেনি লখনৌ। শেষ দিকে আয়ুশ বাদোনির ১১ বলে ২১ রান কেবল হারের ব্যবধানই কমিয়েছে। শেষ পর্যন্ত ২০ ওভার শেষে জয় থেকে ৫৬ রান দূরে ১৭১ রানে থামে লখনৌ।

গুজরাটের পক্ষে চার উইকেট শিকার করেন মোহিত শর্মা। একটি করে উইকেট পান রশিদ খান ও মোহাম্মদ শামি।

এই জয়ে ১১ ম্যাচ শেষে ১৬ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষেই আছে গুজরাট। ১১ ম্যাচে ১১ পয়েন্ট নিয়ে লখনৌর অবস্থান তিনে।

নিউজটি শেয়ার করুন

লখনৌকে ৫৬ রানে হারিয়েছে গুজরাট

আপডেট সময় : ০৮:৩৫:৩৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ৭ মে ২০২৩

ক্রীড়া ডেস্ক: পয়েন্ট টেবিলের ওপরের সারির দুই দলের লড়াই। দুই অধিনায়ক ক্রুনাল পান্ডিয়া ও হার্দিক পান্ডিয়া সম্পর্কে সহোদর। ভাইয়ের বিপক্ষে ভাইয়ের লড়াইয়ে শেষ হাসি হাসলেন ছোটভাই হার্দিক। আইপিএলে আজ রোববার (৭ মে) মুখোমুখি হয় গুজরাট টাইটান্স ও লখনৌ সুপার জায়ান্ট। বর্তমান চ্যাম্পিয়ন গুজরাটকে কেন এবারও শিরোপার অন্যতম দাবিদার ভাবা হয়, তা আবার প্রমাণ করলেন তারা। আজকের ম্যাচে লখনৌকে ৫৬ রানের বড় ব্যবধানে হারায় গুজরাট।

আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে মাত্র দুই উইকেট হারিয়ে ২২৭ রান করে গুজরাট। জবাবে ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৭১ রানে থামে লখনৌ।

আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে টস জিতে ছোট ভাই হার্দিকের দল গুজরাটকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় ক্রুনালের লখনৌ। ক্রুনাল কি তখন ঘুণাক্ষরেও টের পেয়েছিলেন, তার দলের উপর দিয়ে টর্নেডো বইয়ে দেবেন গুজরাটের ব্যাটাররা!

ঋদ্ধিমান সাহা ও শুভমান গিলের ওপেনিং জুটিতে ১২.১ ওভারে আসে ১৪২ রান। আভেশ খানের বলে আউট হওয়ার আগে ৪৩ বলে ৮১ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলেন সাহা। ১০ চার ও ৪ ছয়ে ইনিংসটি সাজান সাহা। আরেক ওপেনার গিল অপরাজিত থাকেন ৫১ বলে ৯৪ রানে। তার ইনিংসে চার ছিল মাত্র দুটি, ছক্কা সাতটি!

হাত খুলে খেলতে চেয়েছিলেন হার্দিক পান্ডিয়া, কিন্তু ১৫ বলে ২৫ রান করে আউট হন মহসিন খানের বলে। ক্যাচ ধরেন বড়ভাই ক্রুনাল পান্ডিয়া। ১২ বলে ২১ রান করে গিলের সঙ্গে অপরাজিত থাকেন ডেভিড মিলার। গুজরাট পায় দুই উইকেটে ২২৭ রানের পাহাড়সম পুঁজি।

লখনৌর পক্ষে দুই উইকেটের একটি নেন মহসিন খান, আরেকটি আভেশ খান।

এত বিশার লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে যেভাবে শুরু করা দরকার, সেভাবেই করেছেন লখনৌর দুই ওপেনার কাইল মায়ার্স ও কুইন্টন ডি কক। ৮.২ ওভারে ৮৮ রানের জুটি গড়েন দুজন। ৩২ বলে ৪৮ রান করে মোহিত শর্মার বলে রশিদ খানের হাতে ক্যাচ তুলে ফেরেন মায়ার্স। ৪১ বলে ৭০ রান করা ডি কককে বোল্ড করেন রশিদ। দুই ওপেনার চলে যাওয়ার পর খেই হারিয়ে ফেলে লখনৌ। দ্রুতই ফিরে যান দিপক হুদা (১১), মার্কাস স্টয়নিস (৪) ও নিকোলাস পুরান (৩)। সেখান থেকে আর জয়ের জন্য লড়াইটা চালিয়ে যেতে পারেনি লখনৌ। শেষ দিকে আয়ুশ বাদোনির ১১ বলে ২১ রান কেবল হারের ব্যবধানই কমিয়েছে। শেষ পর্যন্ত ২০ ওভার শেষে জয় থেকে ৫৬ রান দূরে ১৭১ রানে থামে লখনৌ।

গুজরাটের পক্ষে চার উইকেট শিকার করেন মোহিত শর্মা। একটি করে উইকেট পান রশিদ খান ও মোহাম্মদ শামি।

এই জয়ে ১১ ম্যাচ শেষে ১৬ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষেই আছে গুজরাট। ১১ ম্যাচে ১১ পয়েন্ট নিয়ে লখনৌর অবস্থান তিনে।