ঢাকা ০৬:৪৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৫ মে ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

‘রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে টালবাহানা করছে মিয়ানমার’

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১১:২৯:৪২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ মার্চ ২০২৩
  • / ৪৪৭ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নিজস্ব প্রতিবেদক: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, মানবিক কারণে সাময়িক আশ্রয় দেয়া হলেও রোহিঙ্গারা এখন দেশের জন্য বড় বোঝা। কিন্তু এদের ফিরিয়ে নিতে টালবাহানা করছে মিয়ানমার সরকার।

যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক সিএনএন টেলিভিশনে দেয়া সাক্ষাতকারে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে মিয়ানমারের ওপর চাপ প্রয়োগে বিশ্বনেতাদের আহবান জানান প্রধানমন্ত্রী। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ থামাতে বিশ্ব সম্প্রদায়ের জোরালো পদক্ষেপ চেয়েছেন তিনি।

সম্প্রতি ঢাকায় গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাক্ষাতকারটি নিয়েছেন সিএনএন ইন্টারন্যাশনালের বিজনেস করেসপন্ডেন্ট রিচার্ড কোয়েস্ট। দেশের এবং আন্তর্জাতিক সম সাময়িক বিষয় নিয়ে কোয়েস্টের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন শেখ হাসিনা। সাক্ষাতকারের একটি অংশ সোমবার রাতে প্রচারিত হয়।

সাক্ষাৎকারে রোহিঙ্গাদের বিষয়ে সরকারপ্রধান বলেন, কক্সবাজারে আশ্রয় নেয়া ১২ লক্ষাধিক রোহিঙ্গাকে তাদের নিজ দেশ মিয়ানমারে ফেরত যেতে হবে। তাদের কারণে ওই অঞ্চলের আর্থ-সামাজিক ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। তাদের ফেরত পাঠাতে বিশ্বের শক্তিধর দেশগুলোকে আরও জোরালো ভূমিকা নিতে হবে।

তিনি বলেন, আমরা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহবান জানিয়েছি তারা যেনো তাদের নাগরিকদের দেশে নিতে মিয়ানমারকে চাপ দেয়। আমরা সংলাপও শুরু করেছি। কিন্তু তারা সঠিকভাবে সাড়া দিচ্ছে না। এটাই সমস্যা।

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রশ্নে শেখ হাসিনা বলেন, সংলাপের মাধ্যমে সব সমস্যার সমাধান করা যায়। এই যুদ্ধ বন্ধে বিশ্ব সম্প্রদায়ের প্রচেষ্টা জোরদার করা উচিত।

তিনি বলেন, আমাদের পররাষ্ট্রনীতি অত্যন্ত স্পষ্ট, সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারও সঙ্গে বিদ্বেষ নয়। আক্রমণ, যুদ্ধ মানবাধিকার লঙ্ঘন আমরা সমর্থন করি না। সব পক্ষকেই যুদ্ধ বন্ধে এগিয়ে আসতে হবে।

চীনের সঙ্গে সম্পর্ক এবং তাদের ঋণ নেওয়ার বিষয়ে আরেক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সক্ষমতার বাইরে এবং অপ্রয়োজনীয় কোন ঋণ তার সরকার নেয়নি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা ঋণ নেওয়ার ক্ষেত্রে সতর্ক থাকি। অকারণে আমাদের সরকার কোনো ঋণ বা কোনো প্রকল্প নেয় না। আমরা বিবেচনা করি, কোন প্রকল্প থেকে দেশের মানুষ কি সুবিধা পাবো।

সাক্ষাতকারের দ্বিতীয় পর্ব বুধবার প্রচারিত হবে সিএনএনে।

নিউজটি শেয়ার করুন

‘রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে টালবাহানা করছে মিয়ানমার’

আপডেট সময় : ১১:২৯:৪২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ মার্চ ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, মানবিক কারণে সাময়িক আশ্রয় দেয়া হলেও রোহিঙ্গারা এখন দেশের জন্য বড় বোঝা। কিন্তু এদের ফিরিয়ে নিতে টালবাহানা করছে মিয়ানমার সরকার।

যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক সিএনএন টেলিভিশনে দেয়া সাক্ষাতকারে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে মিয়ানমারের ওপর চাপ প্রয়োগে বিশ্বনেতাদের আহবান জানান প্রধানমন্ত্রী। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ থামাতে বিশ্ব সম্প্রদায়ের জোরালো পদক্ষেপ চেয়েছেন তিনি।

সম্প্রতি ঢাকায় গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাক্ষাতকারটি নিয়েছেন সিএনএন ইন্টারন্যাশনালের বিজনেস করেসপন্ডেন্ট রিচার্ড কোয়েস্ট। দেশের এবং আন্তর্জাতিক সম সাময়িক বিষয় নিয়ে কোয়েস্টের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন শেখ হাসিনা। সাক্ষাতকারের একটি অংশ সোমবার রাতে প্রচারিত হয়।

সাক্ষাৎকারে রোহিঙ্গাদের বিষয়ে সরকারপ্রধান বলেন, কক্সবাজারে আশ্রয় নেয়া ১২ লক্ষাধিক রোহিঙ্গাকে তাদের নিজ দেশ মিয়ানমারে ফেরত যেতে হবে। তাদের কারণে ওই অঞ্চলের আর্থ-সামাজিক ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। তাদের ফেরত পাঠাতে বিশ্বের শক্তিধর দেশগুলোকে আরও জোরালো ভূমিকা নিতে হবে।

তিনি বলেন, আমরা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহবান জানিয়েছি তারা যেনো তাদের নাগরিকদের দেশে নিতে মিয়ানমারকে চাপ দেয়। আমরা সংলাপও শুরু করেছি। কিন্তু তারা সঠিকভাবে সাড়া দিচ্ছে না। এটাই সমস্যা।

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রশ্নে শেখ হাসিনা বলেন, সংলাপের মাধ্যমে সব সমস্যার সমাধান করা যায়। এই যুদ্ধ বন্ধে বিশ্ব সম্প্রদায়ের প্রচেষ্টা জোরদার করা উচিত।

তিনি বলেন, আমাদের পররাষ্ট্রনীতি অত্যন্ত স্পষ্ট, সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারও সঙ্গে বিদ্বেষ নয়। আক্রমণ, যুদ্ধ মানবাধিকার লঙ্ঘন আমরা সমর্থন করি না। সব পক্ষকেই যুদ্ধ বন্ধে এগিয়ে আসতে হবে।

চীনের সঙ্গে সম্পর্ক এবং তাদের ঋণ নেওয়ার বিষয়ে আরেক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সক্ষমতার বাইরে এবং অপ্রয়োজনীয় কোন ঋণ তার সরকার নেয়নি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা ঋণ নেওয়ার ক্ষেত্রে সতর্ক থাকি। অকারণে আমাদের সরকার কোনো ঋণ বা কোনো প্রকল্প নেয় না। আমরা বিবেচনা করি, কোন প্রকল্প থেকে দেশের মানুষ কি সুবিধা পাবো।

সাক্ষাতকারের দ্বিতীয় পর্ব বুধবার প্রচারিত হবে সিএনএনে।