ঢাকা ০৫:৪৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৭ মে ২০২৪, ২৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

রোহিঙ্গা ইস্যুতে প্রত্যাশিত সহযোগিতা পাচ্ছে না বাংলাদেশ : পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৪:০৫:০০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ জানুয়ারী ২০২৩
  • / ৪৩৯ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

বাংলাদেশের মতো ছোট দেশ রোহিঙ্গাদের জন্য বিলিয়ন ডলার খরচ করলেও আন্তর্জাতিক মহলের কাছ থেকে প্রত্যাশিত সহযোগিতা মিলছে না বলে অভিযোগ করেছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম।

শনিবার (২১ জানুয়ারি) রাজধানীতে ‘বাংলাদেশ ও ইন্দো-প্যাসিফিক সহযোগিতা: অগ্রাধিকারমূলক সমস্যা ও উদ্বেগ’ নিয়ে আয়োজিত এক সংলাপে এ অভিযোগ করেন তিনি।

রোহিঙ্গা প্রসঙ্গে প্রতিমন্ত্রী বলেন, মিয়ানমারের সঙ্গে যেকোনো আনুষ্ঠানিক এবং অনানুষ্ঠানিক আলোচনার জন্য বাংলাদেশের দ্বার উন্মুক্ত। বড় দেশগুলোর মধ্যে ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চল নিয়ে প্রতিযোগিতা রয়েছে। জাতীয় সার্বভৌমত্ব ও আন্তর্জাতিক আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থেকে চলবে বাংলাদেশ। শান্তিপূর্ণ ও স্থিতিশীল অবস্থায় থেকে এই প্রতিযোগিতা করা উচিত।

তিনি বলেন, নীতিগতভাবে উন্মুক্ত ও শান্তিপূর্ণ ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চল চায় বাংলাদেশ। এ নিয়ে নিজস্ব কর্ম কৌশল প্রণয়ন করছে ঢাকা। তবে এখনই ইন্দো-প্যাসিফিক ইকোনমিক ফ্রেমওয়ার্কের (আইপিইএফ) মতো কোনো মুক্ত বাণিজ্য ফোরামে যোগ দেয়ার সিদ্ধান্তে আসেনি বাংলদেশ।
তিনি আরো বলেন, রোহিঙ্গা সঙ্কট সমাধানে আমরা এখনো যেকোনো আলোচনার জন্যে দাঁড় খুলে রেখেছি। জাতীয় স্বার্থ এবং নিরাপত্তায় রোহিঙ্গা ইস্যুতে কোনো সমঝোতা করবো না।

পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্যাসিফিক অঞ্চলের দুই তৃতীয়াংশ বাণিজ্য ভারত মহাসাগর কেন্দ্রিক। সুস্থ প্রতিযোগিতা বজায় থাকুক এটা বাংলাদেশের প্রত্যাশা। বাইরের কোনো শক্তির হস্তক্ষেপ কখনোই প্রত্যাশা করিনি। দারিদ্র্যতার বিরুদ্ধে ইকোনমিক ডিপ্লোম্যাসিতে গুরুত্ব দিয়ে আসছে বাংলাদেশ। নিয়মতান্ত্রিক সমুদ্র বাণিজ্য, বিনিয়োগ বাড়াতে সব সময় বদ্ধপরিকর।

শাহরিয়ার আলম বলেন, গঠনতান্ত্রিকভাবে সব আঞ্চলিক সংগঠনের সঙ্গে মিলেমিশে এগুচ্ছে বাংলাদেশ। এ নিয়ে কোনো ধরনের সন্দেহের অবকাশ নেই। খুব শিগগিরই আমাদের নিজস্ব স্ট্রাটেজি গড়ে উঠবে। বাংলাদেশ এখনো মুক্তবাণিজ্যের চুক্তিতে যেতে রাজি হলেও সব সময় নিজের স্বার্থ কেন্দ্রিক দর কষাকষির পক্ষে।

তিনি বলেন, রেহিঙ্গা সংকটের উৎস মিয়ানমার। সমাধানও সেখানে। যেকোনো সময় খোলা মনে আলাপ-আলোচনায় রাজি বাংলাদেশ। মানবতার ক্ষেত্রে উদারতা দেখালেও কখনোই নিরাপত্তা ইস্যুতে কোনো ছাড় দেবে না বাংলাদেশ।

তিনি বলেন, আরসা ও আরএসওর পারস্পরিক সংঘাত হচ্ছে, রোহিঙ্গা ক্যাম্পে নতুন মাত্রা পাচ্ছে। দিন দিন সঙ্কট-নিরাপত্তায় আরও জটিলতার দিকে যাচ্ছে। এটা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।

পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, সব সমস্যার সমাধান হয়, শুধু রোহিঙ্গা সমাধানের আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সহযোগিতা সেভাবে হয় না। এত ব্যয়ের বোঝা ও দায়, বাংলাদেশের বহন করা আর সম্ভব নয়।

তিনি বলেন, সবাইকে একটা বিষয় মনে রাখতে হবে, জাতিসংঘের শেখ হাসিনা সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব দিয়ে রেখেছেন। সে মতেই এ সঙ্কটের সমাধানের পথে হাঁটতে হবে।

তিনি আরও বলেন, ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধে নতুন করে ভাবাচ্ছে বাংলাদেশের মতো দেশগুলোকে। বাংলাদেশের নিজস্ব ভারত মহাসাগরীয় কৌশল এরইমধ্য বিভিন্ন আঞ্চলিক সংগঠনের সঙ্গে শান্তিপূর্ণভাবে থেকে স্পষ্ট করেছে। কোনো ভুল বোঝাবুঝির অবকাশ নেই।

নিউজটি শেয়ার করুন

রোহিঙ্গা ইস্যুতে প্রত্যাশিত সহযোগিতা পাচ্ছে না বাংলাদেশ : পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী

আপডেট সময় : ০৪:০৫:০০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ জানুয়ারী ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

বাংলাদেশের মতো ছোট দেশ রোহিঙ্গাদের জন্য বিলিয়ন ডলার খরচ করলেও আন্তর্জাতিক মহলের কাছ থেকে প্রত্যাশিত সহযোগিতা মিলছে না বলে অভিযোগ করেছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম।

শনিবার (২১ জানুয়ারি) রাজধানীতে ‘বাংলাদেশ ও ইন্দো-প্যাসিফিক সহযোগিতা: অগ্রাধিকারমূলক সমস্যা ও উদ্বেগ’ নিয়ে আয়োজিত এক সংলাপে এ অভিযোগ করেন তিনি।

রোহিঙ্গা প্রসঙ্গে প্রতিমন্ত্রী বলেন, মিয়ানমারের সঙ্গে যেকোনো আনুষ্ঠানিক এবং অনানুষ্ঠানিক আলোচনার জন্য বাংলাদেশের দ্বার উন্মুক্ত। বড় দেশগুলোর মধ্যে ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চল নিয়ে প্রতিযোগিতা রয়েছে। জাতীয় সার্বভৌমত্ব ও আন্তর্জাতিক আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থেকে চলবে বাংলাদেশ। শান্তিপূর্ণ ও স্থিতিশীল অবস্থায় থেকে এই প্রতিযোগিতা করা উচিত।

তিনি বলেন, নীতিগতভাবে উন্মুক্ত ও শান্তিপূর্ণ ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চল চায় বাংলাদেশ। এ নিয়ে নিজস্ব কর্ম কৌশল প্রণয়ন করছে ঢাকা। তবে এখনই ইন্দো-প্যাসিফিক ইকোনমিক ফ্রেমওয়ার্কের (আইপিইএফ) মতো কোনো মুক্ত বাণিজ্য ফোরামে যোগ দেয়ার সিদ্ধান্তে আসেনি বাংলদেশ।
তিনি আরো বলেন, রোহিঙ্গা সঙ্কট সমাধানে আমরা এখনো যেকোনো আলোচনার জন্যে দাঁড় খুলে রেখেছি। জাতীয় স্বার্থ এবং নিরাপত্তায় রোহিঙ্গা ইস্যুতে কোনো সমঝোতা করবো না।

পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্যাসিফিক অঞ্চলের দুই তৃতীয়াংশ বাণিজ্য ভারত মহাসাগর কেন্দ্রিক। সুস্থ প্রতিযোগিতা বজায় থাকুক এটা বাংলাদেশের প্রত্যাশা। বাইরের কোনো শক্তির হস্তক্ষেপ কখনোই প্রত্যাশা করিনি। দারিদ্র্যতার বিরুদ্ধে ইকোনমিক ডিপ্লোম্যাসিতে গুরুত্ব দিয়ে আসছে বাংলাদেশ। নিয়মতান্ত্রিক সমুদ্র বাণিজ্য, বিনিয়োগ বাড়াতে সব সময় বদ্ধপরিকর।

শাহরিয়ার আলম বলেন, গঠনতান্ত্রিকভাবে সব আঞ্চলিক সংগঠনের সঙ্গে মিলেমিশে এগুচ্ছে বাংলাদেশ। এ নিয়ে কোনো ধরনের সন্দেহের অবকাশ নেই। খুব শিগগিরই আমাদের নিজস্ব স্ট্রাটেজি গড়ে উঠবে। বাংলাদেশ এখনো মুক্তবাণিজ্যের চুক্তিতে যেতে রাজি হলেও সব সময় নিজের স্বার্থ কেন্দ্রিক দর কষাকষির পক্ষে।

তিনি বলেন, রেহিঙ্গা সংকটের উৎস মিয়ানমার। সমাধানও সেখানে। যেকোনো সময় খোলা মনে আলাপ-আলোচনায় রাজি বাংলাদেশ। মানবতার ক্ষেত্রে উদারতা দেখালেও কখনোই নিরাপত্তা ইস্যুতে কোনো ছাড় দেবে না বাংলাদেশ।

তিনি বলেন, আরসা ও আরএসওর পারস্পরিক সংঘাত হচ্ছে, রোহিঙ্গা ক্যাম্পে নতুন মাত্রা পাচ্ছে। দিন দিন সঙ্কট-নিরাপত্তায় আরও জটিলতার দিকে যাচ্ছে। এটা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।

পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, সব সমস্যার সমাধান হয়, শুধু রোহিঙ্গা সমাধানের আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সহযোগিতা সেভাবে হয় না। এত ব্যয়ের বোঝা ও দায়, বাংলাদেশের বহন করা আর সম্ভব নয়।

তিনি বলেন, সবাইকে একটা বিষয় মনে রাখতে হবে, জাতিসংঘের শেখ হাসিনা সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব দিয়ে রেখেছেন। সে মতেই এ সঙ্কটের সমাধানের পথে হাঁটতে হবে।

তিনি আরও বলেন, ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধে নতুন করে ভাবাচ্ছে বাংলাদেশের মতো দেশগুলোকে। বাংলাদেশের নিজস্ব ভারত মহাসাগরীয় কৌশল এরইমধ্য বিভিন্ন আঞ্চলিক সংগঠনের সঙ্গে শান্তিপূর্ণভাবে থেকে স্পষ্ট করেছে। কোনো ভুল বোঝাবুঝির অবকাশ নেই।