ঢাকা ১০:৩৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪, ২৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

শাহজাদপুরে সুন্দরভাবে সম্পন্ন করলো ওরা প্রতিমা বির্সজনের কাজ

রিয়েল হিরো ওরা ৩৪ জন

// শামছুর রহমান শিশির //
  • আপডেট সময় : ০৮:৩১:০৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৩
  • / ৬০৭ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ওরা রিয়েল হিরো, ওরা বাহুবলী ৩৪ জন ! চিত্ত, শ্রীপতি, শিবু, সুনীল, লালচাঁদ, বাবলু, শ্রীমান্ত, মামুন, অজিদ, কমল, পলাশ, অনো, জয়, হৃদয়, ছোট হৃদয়, সুজিত, সুদেব, সুকুমার, চঞ্চল, সুশান্ত, জয়দেব, বাসু, শুভ, রাহুল, গোপাল, প্রদীপ, বিপ্লব, কাত্তিক, তুফান, গণেশ, সঞ্জয়, কাজল, অরুণ ও স্বাধীন- ওরা রিয়েল হিরো ৩৪ জন। সিরাজগঞ্জ জেলার শাহজাদপুর পৌর এলাকার আদিবাসী পরিবারের সন্তান ওরা। অতীতে ওদের পূর্বপুরুষেরা কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে বিভিন্ন স্থানে পালকিতে বহনের কাজে নিযুক্ত থাকলেও কালের আবর্তনে সময়ের পরিধিতে বর্তমানে ওরা শাহজাদপুর পৌর এলাকায় পরিচ্ছন্নকর্মী হিসেবে কাজ করে জীবীকা নির্বাহ করছে।

কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কালজয়ী ছোট গল্প ‘পোষ্টমাষ্টার’ এর রতন চরিত্রটি শাহজাদপুরের আদিবাসী পরিবারে কোন এক তরুণীকে ঘিরেই আবর্তিত বলে ওদের দাবী। ১৮৯০ সালের ২০ জানুয়ারি কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর জমিদারি দেখাশোনার কাজে শাহজাদপুরে এসেছিলেন। সেই সময় কবিগুরুর সাথে হরিজন সম্প্রদায়ের আঁধা যাযাবর আদিবাসী বাগদি শশীনাথ বাগদি, অটোল বাগদি, কেদার নাথ বাগদি ও মুরালি বাগদিসহ ৯টি বাগদি পরিবারের পরিচয় ঘটে। ওদের সরলতা আর স্বকীয়তাবোধ কবিগুরুকে প্রভাবিত করে এবং কবিগুরু ওদের ভারতের বর্ধমান জেলা থেকে শাহজাদপুরে নিয়ে আসেন। ওই ৯ পরিবারকে কবিগুরু তাঁর পালকি বাহকের কাজ দেন ও বসবাসের জন্য ৩ বিঘা ১৭ শতক জমিও ওদের নামে বন্দোবস্ত দিলেও বর্তমানে মাত্র কয়েক শতক জমির ওপর ওরা মানবেতরভাবে জীবনযাপন করে আসছে।

গত বছরের বিজয় দশমী উপলক্ষে ‘বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ’ শাহজাদপুর পৌর শাখার সভাপতি রতন বসাক ও সাধারন সম্পাদক মানিক সরকার প্রথমবারের মতো শাহজাদপুর পৌর এলাকার থানারঘাট করতোয়া নদীর ঘাটে প্রতিমা বিসর্জনের জন্য স্বেচ্ছাসেবীর দায়িত্ব অর্পণ করেন ওদের ওপর। সেই গুরুদায়িত্ব ওরা কাঁধে নিয়ে পৌর এলাকার প্রতিমাগুলো যথাযথ মর্যাদায় বির্সজন কাজ সম্পন্ন করে ব্যাপক প্রশংসা কুড়িয়েছিলো। তারই ধারাবাহিকতায় গতবারের মতো এবারও ওরা যথাযথ ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের সাথে শাহজাদপুরের থানারঘাটে করতোয়া নদীতে দেবীদুর্গাসহ প্রতিমা বিজর্সনের কাজ সুন্দর ও সুশৃংখলভাবে সম্পন্ন করে আবারও রিয়েল হিরো হিসেবে নিজেদের প্রমান করেছে।

স্থানীয় সনাতন ধর্মাবলম্বীরা জানান, ‘বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ’ শাহজাদপুর পৌর শাখার বলিষ্ঠ সভাপতি রতন বসাক ও বিপ্লবী সাধারন সম্পাদক এবং বাংলা খবর বিডি’র প্রকাশক  মানিক কুমার সরকার, উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি অসীম কুমার সাহা বানী, সাধারন সম্পাদক বাসুদেব দত্তসহ পৌর ও উপজেলা পূজা উদযাপন কমিটির নেতৃবৃন্দদের তদারকি ও নির্দেশনায় স্বেচ্ছাসেবী ওরা রিয়েল হিরো ৩৪ জন সুন্দর ও সুশৃঙ্খলভাবে ‘মা দুর্গা’সহ সকল প্রতিমাগুলোর বিসর্জন কাজ সম্পন্ন করে ব্যাপক প্রশংসা কুঁড়িয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

শাহজাদপুরে সুন্দরভাবে সম্পন্ন করলো ওরা প্রতিমা বির্সজনের কাজ

রিয়েল হিরো ওরা ৩৪ জন

আপডেট সময় : ০৮:৩১:০৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৩

ওরা রিয়েল হিরো, ওরা বাহুবলী ৩৪ জন ! চিত্ত, শ্রীপতি, শিবু, সুনীল, লালচাঁদ, বাবলু, শ্রীমান্ত, মামুন, অজিদ, কমল, পলাশ, অনো, জয়, হৃদয়, ছোট হৃদয়, সুজিত, সুদেব, সুকুমার, চঞ্চল, সুশান্ত, জয়দেব, বাসু, শুভ, রাহুল, গোপাল, প্রদীপ, বিপ্লব, কাত্তিক, তুফান, গণেশ, সঞ্জয়, কাজল, অরুণ ও স্বাধীন- ওরা রিয়েল হিরো ৩৪ জন। সিরাজগঞ্জ জেলার শাহজাদপুর পৌর এলাকার আদিবাসী পরিবারের সন্তান ওরা। অতীতে ওদের পূর্বপুরুষেরা কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে বিভিন্ন স্থানে পালকিতে বহনের কাজে নিযুক্ত থাকলেও কালের আবর্তনে সময়ের পরিধিতে বর্তমানে ওরা শাহজাদপুর পৌর এলাকায় পরিচ্ছন্নকর্মী হিসেবে কাজ করে জীবীকা নির্বাহ করছে।

কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কালজয়ী ছোট গল্প ‘পোষ্টমাষ্টার’ এর রতন চরিত্রটি শাহজাদপুরের আদিবাসী পরিবারে কোন এক তরুণীকে ঘিরেই আবর্তিত বলে ওদের দাবী। ১৮৯০ সালের ২০ জানুয়ারি কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর জমিদারি দেখাশোনার কাজে শাহজাদপুরে এসেছিলেন। সেই সময় কবিগুরুর সাথে হরিজন সম্প্রদায়ের আঁধা যাযাবর আদিবাসী বাগদি শশীনাথ বাগদি, অটোল বাগদি, কেদার নাথ বাগদি ও মুরালি বাগদিসহ ৯টি বাগদি পরিবারের পরিচয় ঘটে। ওদের সরলতা আর স্বকীয়তাবোধ কবিগুরুকে প্রভাবিত করে এবং কবিগুরু ওদের ভারতের বর্ধমান জেলা থেকে শাহজাদপুরে নিয়ে আসেন। ওই ৯ পরিবারকে কবিগুরু তাঁর পালকি বাহকের কাজ দেন ও বসবাসের জন্য ৩ বিঘা ১৭ শতক জমিও ওদের নামে বন্দোবস্ত দিলেও বর্তমানে মাত্র কয়েক শতক জমির ওপর ওরা মানবেতরভাবে জীবনযাপন করে আসছে।

গত বছরের বিজয় দশমী উপলক্ষে ‘বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ’ শাহজাদপুর পৌর শাখার সভাপতি রতন বসাক ও সাধারন সম্পাদক মানিক সরকার প্রথমবারের মতো শাহজাদপুর পৌর এলাকার থানারঘাট করতোয়া নদীর ঘাটে প্রতিমা বিসর্জনের জন্য স্বেচ্ছাসেবীর দায়িত্ব অর্পণ করেন ওদের ওপর। সেই গুরুদায়িত্ব ওরা কাঁধে নিয়ে পৌর এলাকার প্রতিমাগুলো যথাযথ মর্যাদায় বির্সজন কাজ সম্পন্ন করে ব্যাপক প্রশংসা কুড়িয়েছিলো। তারই ধারাবাহিকতায় গতবারের মতো এবারও ওরা যথাযথ ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের সাথে শাহজাদপুরের থানারঘাটে করতোয়া নদীতে দেবীদুর্গাসহ প্রতিমা বিজর্সনের কাজ সুন্দর ও সুশৃংখলভাবে সম্পন্ন করে আবারও রিয়েল হিরো হিসেবে নিজেদের প্রমান করেছে।

স্থানীয় সনাতন ধর্মাবলম্বীরা জানান, ‘বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ’ শাহজাদপুর পৌর শাখার বলিষ্ঠ সভাপতি রতন বসাক ও বিপ্লবী সাধারন সম্পাদক এবং বাংলা খবর বিডি’র প্রকাশক  মানিক কুমার সরকার, উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি অসীম কুমার সাহা বানী, সাধারন সম্পাদক বাসুদেব দত্তসহ পৌর ও উপজেলা পূজা উদযাপন কমিটির নেতৃবৃন্দদের তদারকি ও নির্দেশনায় স্বেচ্ছাসেবী ওরা রিয়েল হিরো ৩৪ জন সুন্দর ও সুশৃঙ্খলভাবে ‘মা দুর্গা’সহ সকল প্রতিমাগুলোর বিসর্জন কাজ সম্পন্ন করে ব্যাপক প্রশংসা কুঁড়িয়েছে।