ঢাকা ০৭:৫৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৫ মে ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

রাজারহাটে শত্রুতামূলক রাস্তা বন্ধ করায় শিক্ষক শিক্ষাথী ও জনগণের দুর্ভোগ চরমে

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৫:৩৮:২৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ মে ২০২৩
  • / ৪৬৮ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

// আসাদুজ্জামান আসাদ, রাজারহাট (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি //

রাজারহাটে শত্রুতামূলকভাবে সরকারি রেকর্ড ভূক্ত রাস্তা বন্ধ করায় একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম ব্যহত হচ্ছে। পাশাপাশি শিক্ষক শিক্ষাথী ও এলাকাবাসীর নিজ বসতবাড়িতে যাতায়াতে চরম দুর্ভোগের সৃষ্টি হয়েছে। অভিযোগের প্রেক্ষিতে রাজারহাট উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান জাহিদ ইকবাল সোহরাওয়ার্দী বাপ্পী সরেজমিন পরিদর্শন করেন।

এলাকাবাসী অভিযোগ করেন, উপজেলার নাজিমখান ইউনিয়নের মনারকুটি তেলিপাড়া গ্রামে অবস্থিত হযরত হালিমা সাদীয়া (রাঃ) বালিকা নুরাণী ও হাফিজিয়া মাদরাসাসহ ওই গ্রামে ৩০ থেকে ৩৫টি পরিবারের বসতবাড়ি। সরকারি খাস খতিয়ান ভূক্ত যাতায়াতের একমাত্র সংযোগ সড়কটি এসএ এবং বিএস রেকর্ডে সরকারের ১নং খতিয়ান অন্তর্ভূক্ত। দীর্ঘ ১২বছর ধরে এই রাস্তাটি সবার জন্য উম্মুক্ত থাকলেও সম্প্রতি একই গ্রামের শহিদুল ইসলাম গং রাস্তাটির জমি নিজের দাবি করে টিনের ঘের দিয়ে বন্ধ করে দেন। এতে করে মাদরাসার দেড় শতাধিক শিক্ষার্থী, শিক্ষক এবং গ্রামের শতাধিক মানুষের যাতায়াতের অন্যতম রাস্তাটি বন্ধ হয়ে যায়। ফলে নিরুপায় হয়ে তারা বিকল্প জমির আইলা রাস্তা দিয়ে অনেক কষ্টে যাতায়াত করতে বাধ্য হচ্ছেন । বর্তমানে বর্ষা শুরু হওয়ায় পানি ও কর্দমাক্ত জমির আইল রাস্তাটি দিয়ে চলাচল দুঃসহ কষ্টকর হয়ে পড়েছে। নিরুপায় হয়ে সমস্যার নিরসন দাবিতে জনপ্রতিনিধিসহ বিভিন্ন দপ্তরে ধর্না দিচ্ছেন তারা।

এ নিয়ে হযরত হালিমা সাদীয়া (রাঃ) বালিকা নুরাণী ও হাফিজিয়া মাদরাসার পরিচালক আব্দুর রহমান গত ১০মে সমস্যার নিরসনের দাবীতে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ করেছেন।

সরেজমিন পরিদর্শনকালে প্রতিবেশি নুরনবী বলেন, বর্তমানে বর্ষা শুরু হওয়ায় পানি ও কর্দমাক্ত জমির আইল রাস্তাটি দিয়ে চলাচল দুঃসহ কষ্টকর হয়ে পড়েছে।

আব্দুল আজিজ ও রোস্তম আলীসহ অনেকেই জানান, রাস্তার কারণে সন্তানদের লেখাপড়া বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়ে পড়েছে।

অভিযুক্ত শহিদুল ইসলাম বলেন, এটি যদি রাস্তার জায়গা হয়ে থাকে এবং অন্যদের দখলে থাকা অংশ যদি ছেড়ে দেয় তাহলে আমিও ছেড়ে দেব।

উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান জাহিদ ইকবাল সোহরাওয়ার্দ্দী বাপ্পী অভিযোগের সত্যতা স্বীকার করে বলেন, এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

রাজারহাটে শত্রুতামূলক রাস্তা বন্ধ করায় শিক্ষক শিক্ষাথী ও জনগণের দুর্ভোগ চরমে

আপডেট সময় : ০৫:৩৮:২৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ মে ২০২৩

// আসাদুজ্জামান আসাদ, রাজারহাট (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি //

রাজারহাটে শত্রুতামূলকভাবে সরকারি রেকর্ড ভূক্ত রাস্তা বন্ধ করায় একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম ব্যহত হচ্ছে। পাশাপাশি শিক্ষক শিক্ষাথী ও এলাকাবাসীর নিজ বসতবাড়িতে যাতায়াতে চরম দুর্ভোগের সৃষ্টি হয়েছে। অভিযোগের প্রেক্ষিতে রাজারহাট উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান জাহিদ ইকবাল সোহরাওয়ার্দী বাপ্পী সরেজমিন পরিদর্শন করেন।

এলাকাবাসী অভিযোগ করেন, উপজেলার নাজিমখান ইউনিয়নের মনারকুটি তেলিপাড়া গ্রামে অবস্থিত হযরত হালিমা সাদীয়া (রাঃ) বালিকা নুরাণী ও হাফিজিয়া মাদরাসাসহ ওই গ্রামে ৩০ থেকে ৩৫টি পরিবারের বসতবাড়ি। সরকারি খাস খতিয়ান ভূক্ত যাতায়াতের একমাত্র সংযোগ সড়কটি এসএ এবং বিএস রেকর্ডে সরকারের ১নং খতিয়ান অন্তর্ভূক্ত। দীর্ঘ ১২বছর ধরে এই রাস্তাটি সবার জন্য উম্মুক্ত থাকলেও সম্প্রতি একই গ্রামের শহিদুল ইসলাম গং রাস্তাটির জমি নিজের দাবি করে টিনের ঘের দিয়ে বন্ধ করে দেন। এতে করে মাদরাসার দেড় শতাধিক শিক্ষার্থী, শিক্ষক এবং গ্রামের শতাধিক মানুষের যাতায়াতের অন্যতম রাস্তাটি বন্ধ হয়ে যায়। ফলে নিরুপায় হয়ে তারা বিকল্প জমির আইলা রাস্তা দিয়ে অনেক কষ্টে যাতায়াত করতে বাধ্য হচ্ছেন । বর্তমানে বর্ষা শুরু হওয়ায় পানি ও কর্দমাক্ত জমির আইল রাস্তাটি দিয়ে চলাচল দুঃসহ কষ্টকর হয়ে পড়েছে। নিরুপায় হয়ে সমস্যার নিরসন দাবিতে জনপ্রতিনিধিসহ বিভিন্ন দপ্তরে ধর্না দিচ্ছেন তারা।

এ নিয়ে হযরত হালিমা সাদীয়া (রাঃ) বালিকা নুরাণী ও হাফিজিয়া মাদরাসার পরিচালক আব্দুর রহমান গত ১০মে সমস্যার নিরসনের দাবীতে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ করেছেন।

সরেজমিন পরিদর্শনকালে প্রতিবেশি নুরনবী বলেন, বর্তমানে বর্ষা শুরু হওয়ায় পানি ও কর্দমাক্ত জমির আইল রাস্তাটি দিয়ে চলাচল দুঃসহ কষ্টকর হয়ে পড়েছে।

আব্দুল আজিজ ও রোস্তম আলীসহ অনেকেই জানান, রাস্তার কারণে সন্তানদের লেখাপড়া বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়ে পড়েছে।

অভিযুক্ত শহিদুল ইসলাম বলেন, এটি যদি রাস্তার জায়গা হয়ে থাকে এবং অন্যদের দখলে থাকা অংশ যদি ছেড়ে দেয় তাহলে আমিও ছেড়ে দেব।

উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান জাহিদ ইকবাল সোহরাওয়ার্দ্দী বাপ্পী অভিযোগের সত্যতা স্বীকার করে বলেন, এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।