ঢাকা ১০:৫৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ে চিত্রাঙ্গদা পরিবেশনার মধ্য দিয়ে শেষ হলো তিন দিনব্যাপী কর্মশালার

রাজেশ দত্ত ও ভরত সাহা
  • আপডেট সময় : ১১:২৩:৩০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২২ এপ্রিল ২০২৪
  • / ৪৮১ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

২১ এপ্রিল ২০২৪ (রবিবার) সন্ধ্যায় শাহজাদপুরে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নামে প্রতিষ্ঠিত রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ে “রবীন্দ্র নৃত্যনাট্য: গঠনশৈলী ও পরিবেশনারীতি” শীর্ষক তিন দিনব্যাপী কর্মশালা শেষ হয়েছে।

 

রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগীত বিভাগ আয়োজিত কর্মশালাটি বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবন-১ এর গীতাঞ্জলি স্টুডিও থিয়েটারে গত ১৯ এপ্রিল  শুরু হয়েছিল। কর্মশালার সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ শাহ্ আজম।

 

প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য ড. শাহ্ আজম বলেন, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর খুব অল্প বয়স থেকেই ভেবেছেন নারীমুক্তি বিষয়ে।  তার প্রথম বিলেতভ্রমণ  এবং সেখানকার মুক্ত জীবন-যাপন দৃষ্টে এদেশের বদ্ধ জীবনের জন্য তাঁর মনে ক্ষোভ হতাশা বিরাগ এমনসব অনুভব একত্রিত হয়। তিনি মুক্তির উপায় খোঁজেন। তাঁর সাহিত্যকর্মে সেই বার্তাটি নানাভাবে ব্যক্ত হয়। রাজা, মুক্তধারা, অচলায়তন প্রভৃতি নাটকে সেসব কথা নানামাত্রিক আকার লাভ করেছে। রবীন্দ্রনাথের নৃত্যনাট্য, গীতিনাট্যগুলো একদিকে যেমন আমাদের রসতৃষ্ণা পরিতৃপ্ত করে অন্যদিকে আমাদের নবতর চিন্তায় উদবোধিত করে। এই কর্মশালায় নৃত্যনাট্যের গঠনশৈলী ও পরিবেশনরীতির ব্যবহারিক বিষয়গুলো শিক্ষার্থীদের অন্তরে গেঁথে দেয়ার জন্য ‘চিত্রাঙ্গদা’ নৃত্যনাট্যকে নির্বাচন করা হয়েছে, সেটি তরুণ শিক্ষার্থীদের জন্য অত্যন্ত উপযোগী হয়েছে বলেই মনে হয় । নারীমুক্তি বিষয়ে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের চিন্তার একটি প্রান্তকে এই নাটকের মাধ্যমে খুঁজে পাওয়া যায়। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের দর্শন ও তাঁর সৃষ্টিকর্মকে চির অম্লান রাখার মহৎ ব্রত যাপন করছে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়। জাতির পিতা, হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন এবং তাঁর সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা যে মহৎ প্রত্যাশা নিয়ে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত করেছেন, সেই স্বপ্নের বাস্তবায়নে নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ঝাঁক তরুণ মেধাবী  শিক্ষক-শিক্ষার্থী।  কর্মশালা থেকে অর্জিত জ্ঞান- কৌশল  আমাদের শিক্ষার্থীরা দেশের সংস্কৃতি সেবায় প্রয়োগ করবে বলে আমার প্রত্যাশা।

নিউজটি শেয়ার করুন

রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ে চিত্রাঙ্গদা পরিবেশনার মধ্য দিয়ে শেষ হলো তিন দিনব্যাপী কর্মশালার

আপডেট সময় : ১১:২৩:৩০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২২ এপ্রিল ২০২৪

২১ এপ্রিল ২০২৪ (রবিবার) সন্ধ্যায় শাহজাদপুরে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নামে প্রতিষ্ঠিত রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ে “রবীন্দ্র নৃত্যনাট্য: গঠনশৈলী ও পরিবেশনারীতি” শীর্ষক তিন দিনব্যাপী কর্মশালা শেষ হয়েছে।

 

রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগীত বিভাগ আয়োজিত কর্মশালাটি বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবন-১ এর গীতাঞ্জলি স্টুডিও থিয়েটারে গত ১৯ এপ্রিল  শুরু হয়েছিল। কর্মশালার সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ শাহ্ আজম।

 

প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য ড. শাহ্ আজম বলেন, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর খুব অল্প বয়স থেকেই ভেবেছেন নারীমুক্তি বিষয়ে।  তার প্রথম বিলেতভ্রমণ  এবং সেখানকার মুক্ত জীবন-যাপন দৃষ্টে এদেশের বদ্ধ জীবনের জন্য তাঁর মনে ক্ষোভ হতাশা বিরাগ এমনসব অনুভব একত্রিত হয়। তিনি মুক্তির উপায় খোঁজেন। তাঁর সাহিত্যকর্মে সেই বার্তাটি নানাভাবে ব্যক্ত হয়। রাজা, মুক্তধারা, অচলায়তন প্রভৃতি নাটকে সেসব কথা নানামাত্রিক আকার লাভ করেছে। রবীন্দ্রনাথের নৃত্যনাট্য, গীতিনাট্যগুলো একদিকে যেমন আমাদের রসতৃষ্ণা পরিতৃপ্ত করে অন্যদিকে আমাদের নবতর চিন্তায় উদবোধিত করে। এই কর্মশালায় নৃত্যনাট্যের গঠনশৈলী ও পরিবেশনরীতির ব্যবহারিক বিষয়গুলো শিক্ষার্থীদের অন্তরে গেঁথে দেয়ার জন্য ‘চিত্রাঙ্গদা’ নৃত্যনাট্যকে নির্বাচন করা হয়েছে, সেটি তরুণ শিক্ষার্থীদের জন্য অত্যন্ত উপযোগী হয়েছে বলেই মনে হয় । নারীমুক্তি বিষয়ে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের চিন্তার একটি প্রান্তকে এই নাটকের মাধ্যমে খুঁজে পাওয়া যায়। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের দর্শন ও তাঁর সৃষ্টিকর্মকে চির অম্লান রাখার মহৎ ব্রত যাপন করছে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়। জাতির পিতা, হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন এবং তাঁর সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা যে মহৎ প্রত্যাশা নিয়ে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত করেছেন, সেই স্বপ্নের বাস্তবায়নে নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ঝাঁক তরুণ মেধাবী  শিক্ষক-শিক্ষার্থী।  কর্মশালা থেকে অর্জিত জ্ঞান- কৌশল  আমাদের শিক্ষার্থীরা দেশের সংস্কৃতি সেবায় প্রয়োগ করবে বলে আমার প্রত্যাশা।