ঢাকা ১১:২০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪, ২৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিকাশে আত্মনিয়োগ করাই হোক জেলহত্যা দিবসের শপথ : রবীন্দ্র উপাচার্য

রাজেশ দত্ত ও ভরত সাহা
  • আপডেট সময় : ০২:১৫:১০ অপরাহ্ন, শনিবার, ৪ নভেম্বর ২০২৩
  • / ৬৪২ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি
জেলহত্যা দিবস উপলক্ষ্যে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় আয়োজিত ওয়েবিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য প্রফেসর ড. মো: শাহ্ আজম বলেন, জেলের ভেতরে ১৯৭৫ সালের এইদিনে আমাদের জাতীয় চার নেতাকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। ৩ নভেম্বর আমাদের ইতিহাসের এক কলঙ্কময় দিন। দেশকে পাকিস্তানি ধারায় পরিচালিত করতে যারা ষড়যন্ত্র করেছিল, মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে যারা দেশ থেকে মুছে দিতে চেয়েছিল, জাতির পিতাকে যারা হত্যা করেছিল, হত্যাকাণ্ডের মাধ্যমে যারা ক্ষমতা করায়ত্ত করেছিল, তারাই জেলহত্যার এই জঘন্য অপরাধের আসামি।
আমাদের চার নেতা, সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমদ, ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলী, এ এইচ এম কামারুজ্জামান এঁরা সকলেই মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্বদানকারী নেতা। তাঁরা জাতির পিতার বিশ্বস্ত সহচর, তাঁরা বঙ্গবন্ধুর সাথে, আওয়ামী লীগের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করেননি বলেই এভাবে তাঁদের প্রাণ দিতে হয়েছে। তাঁদের রক্তের ঋণ শোধ করতে, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিকাশে আত্মনিয়োগ করাই হোক জেলহত্যা দিবসের শপথ।
ওয়েবিনারে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি ড. মো: ফখরুল ইসলাম বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের পর ৩ নভেম্বর আরও এক কলঙ্কিত দিন। জেলখানার মতো নিরাপদ স্থানে জাতীয় নেতাদের হত্যা ইতিহাসের নজিরবিহীন, মর্মান্তিক ঘটনা। নেতার প্রতি, আদর্শের প্রতি এমন আনুগত্যের নিদর্শন রেখে তাঁরা আমাদের জন্য শিক্ষা ও অনুপ্রেরণার বার্তা দিয়ে গেছেন। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশগড়ার সংগ্রামে নিজেদের সর্বান্তকরণে নিয়োজিত করার মাধ্যমে নেতাদের রক্তের ঋণ শোধ করতে আমাদের সচেষ্ট হতে হবে।
ওয়েবিনারে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার জনাব মোঃ সোহরাব আলী, বিভিন্ন বিভাগের চেয়ারম্যানবৃন্দ, শিক্ষকগণ, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণ সংযুক্ত ছিলেন।
বাখ/আর

নিউজটি শেয়ার করুন

মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিকাশে আত্মনিয়োগ করাই হোক জেলহত্যা দিবসের শপথ : রবীন্দ্র উপাচার্য

আপডেট সময় : ০২:১৫:১০ অপরাহ্ন, শনিবার, ৪ নভেম্বর ২০২৩
জেলহত্যা দিবস উপলক্ষ্যে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় আয়োজিত ওয়েবিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য প্রফেসর ড. মো: শাহ্ আজম বলেন, জেলের ভেতরে ১৯৭৫ সালের এইদিনে আমাদের জাতীয় চার নেতাকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। ৩ নভেম্বর আমাদের ইতিহাসের এক কলঙ্কময় দিন। দেশকে পাকিস্তানি ধারায় পরিচালিত করতে যারা ষড়যন্ত্র করেছিল, মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে যারা দেশ থেকে মুছে দিতে চেয়েছিল, জাতির পিতাকে যারা হত্যা করেছিল, হত্যাকাণ্ডের মাধ্যমে যারা ক্ষমতা করায়ত্ত করেছিল, তারাই জেলহত্যার এই জঘন্য অপরাধের আসামি।
আমাদের চার নেতা, সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমদ, ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলী, এ এইচ এম কামারুজ্জামান এঁরা সকলেই মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্বদানকারী নেতা। তাঁরা জাতির পিতার বিশ্বস্ত সহচর, তাঁরা বঙ্গবন্ধুর সাথে, আওয়ামী লীগের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করেননি বলেই এভাবে তাঁদের প্রাণ দিতে হয়েছে। তাঁদের রক্তের ঋণ শোধ করতে, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিকাশে আত্মনিয়োগ করাই হোক জেলহত্যা দিবসের শপথ।
ওয়েবিনারে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি ড. মো: ফখরুল ইসলাম বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের পর ৩ নভেম্বর আরও এক কলঙ্কিত দিন। জেলখানার মতো নিরাপদ স্থানে জাতীয় নেতাদের হত্যা ইতিহাসের নজিরবিহীন, মর্মান্তিক ঘটনা। নেতার প্রতি, আদর্শের প্রতি এমন আনুগত্যের নিদর্শন রেখে তাঁরা আমাদের জন্য শিক্ষা ও অনুপ্রেরণার বার্তা দিয়ে গেছেন। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশগড়ার সংগ্রামে নিজেদের সর্বান্তকরণে নিয়োজিত করার মাধ্যমে নেতাদের রক্তের ঋণ শোধ করতে আমাদের সচেষ্ট হতে হবে।
ওয়েবিনারে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার জনাব মোঃ সোহরাব আলী, বিভিন্ন বিভাগের চেয়ারম্যানবৃন্দ, শিক্ষকগণ, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণ সংযুক্ত ছিলেন।
বাখ/আর