ঢাকা ০৮:৫০ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

মীরসরাইয়ে সাংবাদিকের ওপর মোটরসাইকেল চোর সিন্ডিকেটের হামলা

মীরসরাই প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ১১:৫৭:৫৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ১০ এপ্রিল ২০২৪
  • / ৬৪৮ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি
মীরসরাইয়ে উপজেলার অপরাধ বিষয়ক সাংবাদিক আশরাফের উপর অতর্কিত হামলা চালিয়েছে মোটরসাইকেল চোর সিন্ডিকেটের সদস্যরা। হামলায় মারাত্মক জখম প্রাপ্ত হয়েছেন তিনি।
মঙ্গলবার ( ৯ এপ্রিল) রাত সাড়ে ১১টায় মীরসরাই পৌরবাজারে এই হামলার ঘটনা ঘটে। হামলার ঘটনায় সাংবাদিক আশরাফ তাৎক্ষণিক আইনের আশ্রয় চেয়ে ৮ জনের নাম উল্লেখ করে মিরসরাই থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযুক্তরা হলেন, ১২ নং খৈয়াছড়া ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ড পশ্চিম গোভনীয়া এলাকার তরকারী ব্যবসায়ী তোতা মিয়ার ছেলে ইফতেখার আহমেদ হৃদয় (২৮), একই এলাকার নিজাম উদ্দিন (২৮),  আবদুল রহিম (২৭), নুর উদ্দিন সুমন (২৭), সাইফুল সজীব (২৮), সৈকত (২৬), আরমান হোসেন (২৮), সাইফুল (২৭ ) সহ অজ্ঞাত নামা ৫ থেকে ৬ জন।
মীরসরাই থানায় করা সাংবাদিক আশরাফের লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে জানা যায়, গত দুই এপ্রিল দিন দুপুরে মিরসরাই ডাক বাংলো এলাকার একটি ভাড়া বাসার পার্কিং থেকে একটি মোটরসাইকেল চুরি হয়ে যায়। মোটরসাইকেল চুরির একটি ভিডিও ফুটেজ সাংবাদিক আশরাফের হাতে আসলে সেটা তিনি ফেসবুকে আপলোড করে চোরদের ধরিয়ে দিতে অনুরোধ করেন। ভিডিওটি আপলোড দেয়ার পর থেকে সাংবাদিক আশরাফের ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানের আশপাশের অপরিচিতদের আনাগোনা বেড়ে যায়। মোটরসাইকেল চুরির ২য় দিনে ৪ যুবক চুরি হয়ে যাওয়া মোটরসাইকেল মালিকের বাসায় গিয়ে উপর্যপুরী দরজায় আঘাত করে দ্রুত পালিয়ে যায়। এমন একটি ভিডিও ফুটেজ সাংবাদিক আশরাফের হাতে আসলে তাদের পরিচয় সনাক্ত করার জন্য ফেসবুকে আপলোড দেন। আপলোড দেয়ার ৫ মিনিটের মধ্যে সাংবাদিক আশরাফ ইফতেখার আহমেদ হৃদয় নামের যুবকটি একজন মোটরসাইকেল চোর চক্রের সদস্য বলে তথ্য পেয়ে ভিডিওটি সরিয়ে ফেলেন। ভিডিওটি সরিয়ে ফেলার ১৭ থেকে ১৮ ঘন্টা পর ৭ এপ্রিল সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টার দিকে ১০ থেকে ১২ যুবক সাংবাদিক আশরাফের ব্যাবসায় প্রতিষ্ঠানে গিয়ে হামলা চালায়। এ সময় সন্ত্রাসীরা সাংবাদিক আশরাফের ব্যাবসায় প্রতিষ্ঠানের মালামাল তছনছ করে প্রায় অর্ধলক্ষ টাকার ক্ষয়ক্ষতি করে। এছাড়া তাকে দোকান থেকে উঠিয়ে নেয়ার চেষ্টা করে। এ সময় মীরসরাই থানা পুলিশের এসআই আশরাফুলসহ দুইজন পুলিশ অফিসার ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়।  পরবর্তীতে ৯ এপ্রিল রাত সাড়ে এগারোটায় মীরসরাই পৌর বাজারে ফল কিনতে গেলে সেখানে ইফতেখার আহমেদ হৃদয়ের নেতৃত্বে ১৪ থেকে ১৫ যুবক অতর্কিত এলোপাথাড়ি হামলা চালিয়ে গুরুতর আহত করে।
এ সময় বাজারের লোকজন ঝড়ো হয়ে সাংবাদিক আশরাফকে উদ্ধার করে নিরাপত্তার স্বার্থে মীরসরাই থানায় পৌঁছিয়ে দেয়।
সাংবাদিক আশরাফ উদ্দিন জানান, ইফতেখার আহমেদ হৃদয় এলাকায় একজন চিহ্নিত সন্ত্রাসী। সে মোটরসাইকেল ও দোকান চুরির নেতৃত্ব দেয়। এলাকায় উঠতি বয়সের যুবকদের দিয়ে ইয়াবা ও গাঁজা ব্যবসায় করে। সে বহিরাগত চোরদের এনে নিজের ঘরে রাখে এবং এলাকায় মোটরসাইকেল ও দোকান পাট চুরির নেতৃত্ব দেয় আড়াল থেকে। এসব কর্মকাণ্ডের জন্য তার নাম জানা থাকলের সামনাসামনি তাকে কখনো চিনতাম না। তাই তাকে ভিডিওতে দেখে চিনতে পারি নাই। ভিডিওটি আপলোড দেয়ার পর ৫ মিনিটের মধ্যে যখন তার পরিচয় নিশ্চিত হই তখনি ভিডিওটি মুছে ফেলি। বুঝতে পেরেছে যে তাদের মোটরসাইকেল চুরির তথ্য আমার হাতে চলে এসেছে তাই ক্ষিপ্ত হয়ে প্রথমে আমার ব্যাবসায় ট্রতিষ্ঠান ও পরবর্তীতে আমার উপর অতর্কিত হামলা চালিয়েছে। আমি তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।
মীরসরাই থানা অফিসার ইনচার্জ শহিদুল ইসলাম জানান, সাংবাদিক আশরাফের উপর হামলার খবর পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এছাড়া সাংবাদিক আশরাফ বাদি হয়ে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। আমরা তার অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত করে দোষীদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় নিয়ে আসতে কাজ করছি।
মীরসরাই সার্কেল এএসপি মনিরুল ইসলাম জানান, সাংবাদিক আশরাফের উপর হামলার ঘটনায় পুলিশ আইনি প্রক্রিয়ায় অগ্রসর হচ্ছে। হামলাকারীদের কাওকে ছাড় দেয়া হবে না।

নিউজটি শেয়ার করুন

মীরসরাইয়ে সাংবাদিকের ওপর মোটরসাইকেল চোর সিন্ডিকেটের হামলা

আপডেট সময় : ১১:৫৭:৫৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ১০ এপ্রিল ২০২৪
মীরসরাইয়ে উপজেলার অপরাধ বিষয়ক সাংবাদিক আশরাফের উপর অতর্কিত হামলা চালিয়েছে মোটরসাইকেল চোর সিন্ডিকেটের সদস্যরা। হামলায় মারাত্মক জখম প্রাপ্ত হয়েছেন তিনি।
মঙ্গলবার ( ৯ এপ্রিল) রাত সাড়ে ১১টায় মীরসরাই পৌরবাজারে এই হামলার ঘটনা ঘটে। হামলার ঘটনায় সাংবাদিক আশরাফ তাৎক্ষণিক আইনের আশ্রয় চেয়ে ৮ জনের নাম উল্লেখ করে মিরসরাই থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযুক্তরা হলেন, ১২ নং খৈয়াছড়া ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ড পশ্চিম গোভনীয়া এলাকার তরকারী ব্যবসায়ী তোতা মিয়ার ছেলে ইফতেখার আহমেদ হৃদয় (২৮), একই এলাকার নিজাম উদ্দিন (২৮),  আবদুল রহিম (২৭), নুর উদ্দিন সুমন (২৭), সাইফুল সজীব (২৮), সৈকত (২৬), আরমান হোসেন (২৮), সাইফুল (২৭ ) সহ অজ্ঞাত নামা ৫ থেকে ৬ জন।
মীরসরাই থানায় করা সাংবাদিক আশরাফের লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে জানা যায়, গত দুই এপ্রিল দিন দুপুরে মিরসরাই ডাক বাংলো এলাকার একটি ভাড়া বাসার পার্কিং থেকে একটি মোটরসাইকেল চুরি হয়ে যায়। মোটরসাইকেল চুরির একটি ভিডিও ফুটেজ সাংবাদিক আশরাফের হাতে আসলে সেটা তিনি ফেসবুকে আপলোড করে চোরদের ধরিয়ে দিতে অনুরোধ করেন। ভিডিওটি আপলোড দেয়ার পর থেকে সাংবাদিক আশরাফের ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানের আশপাশের অপরিচিতদের আনাগোনা বেড়ে যায়। মোটরসাইকেল চুরির ২য় দিনে ৪ যুবক চুরি হয়ে যাওয়া মোটরসাইকেল মালিকের বাসায় গিয়ে উপর্যপুরী দরজায় আঘাত করে দ্রুত পালিয়ে যায়। এমন একটি ভিডিও ফুটেজ সাংবাদিক আশরাফের হাতে আসলে তাদের পরিচয় সনাক্ত করার জন্য ফেসবুকে আপলোড দেন। আপলোড দেয়ার ৫ মিনিটের মধ্যে সাংবাদিক আশরাফ ইফতেখার আহমেদ হৃদয় নামের যুবকটি একজন মোটরসাইকেল চোর চক্রের সদস্য বলে তথ্য পেয়ে ভিডিওটি সরিয়ে ফেলেন। ভিডিওটি সরিয়ে ফেলার ১৭ থেকে ১৮ ঘন্টা পর ৭ এপ্রিল সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টার দিকে ১০ থেকে ১২ যুবক সাংবাদিক আশরাফের ব্যাবসায় প্রতিষ্ঠানে গিয়ে হামলা চালায়। এ সময় সন্ত্রাসীরা সাংবাদিক আশরাফের ব্যাবসায় প্রতিষ্ঠানের মালামাল তছনছ করে প্রায় অর্ধলক্ষ টাকার ক্ষয়ক্ষতি করে। এছাড়া তাকে দোকান থেকে উঠিয়ে নেয়ার চেষ্টা করে। এ সময় মীরসরাই থানা পুলিশের এসআই আশরাফুলসহ দুইজন পুলিশ অফিসার ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়।  পরবর্তীতে ৯ এপ্রিল রাত সাড়ে এগারোটায় মীরসরাই পৌর বাজারে ফল কিনতে গেলে সেখানে ইফতেখার আহমেদ হৃদয়ের নেতৃত্বে ১৪ থেকে ১৫ যুবক অতর্কিত এলোপাথাড়ি হামলা চালিয়ে গুরুতর আহত করে।
এ সময় বাজারের লোকজন ঝড়ো হয়ে সাংবাদিক আশরাফকে উদ্ধার করে নিরাপত্তার স্বার্থে মীরসরাই থানায় পৌঁছিয়ে দেয়।
সাংবাদিক আশরাফ উদ্দিন জানান, ইফতেখার আহমেদ হৃদয় এলাকায় একজন চিহ্নিত সন্ত্রাসী। সে মোটরসাইকেল ও দোকান চুরির নেতৃত্ব দেয়। এলাকায় উঠতি বয়সের যুবকদের দিয়ে ইয়াবা ও গাঁজা ব্যবসায় করে। সে বহিরাগত চোরদের এনে নিজের ঘরে রাখে এবং এলাকায় মোটরসাইকেল ও দোকান পাট চুরির নেতৃত্ব দেয় আড়াল থেকে। এসব কর্মকাণ্ডের জন্য তার নাম জানা থাকলের সামনাসামনি তাকে কখনো চিনতাম না। তাই তাকে ভিডিওতে দেখে চিনতে পারি নাই। ভিডিওটি আপলোড দেয়ার পর ৫ মিনিটের মধ্যে যখন তার পরিচয় নিশ্চিত হই তখনি ভিডিওটি মুছে ফেলি। বুঝতে পেরেছে যে তাদের মোটরসাইকেল চুরির তথ্য আমার হাতে চলে এসেছে তাই ক্ষিপ্ত হয়ে প্রথমে আমার ব্যাবসায় ট্রতিষ্ঠান ও পরবর্তীতে আমার উপর অতর্কিত হামলা চালিয়েছে। আমি তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।
মীরসরাই থানা অফিসার ইনচার্জ শহিদুল ইসলাম জানান, সাংবাদিক আশরাফের উপর হামলার খবর পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এছাড়া সাংবাদিক আশরাফ বাদি হয়ে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। আমরা তার অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত করে দোষীদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় নিয়ে আসতে কাজ করছি।
মীরসরাই সার্কেল এএসপি মনিরুল ইসলাম জানান, সাংবাদিক আশরাফের উপর হামলার ঘটনায় পুলিশ আইনি প্রক্রিয়ায় অগ্রসর হচ্ছে। হামলাকারীদের কাওকে ছাড় দেয়া হবে না।