ঢাকা ১২:২৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৫ মে ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

মার্কিন শ্রম অধিকার নীতি নিয়ে যা জানাল বাংলাদেশ দূতাবাস

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ১১:৫৫:১৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৩
  • / ৫৮৬ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নতুন মার্কিন শ্রম অধিকারের নীতির প্রভাব বাংলাদেশেও পড়তে পারে বলে শঙ্কা জানিয়েছে ওয়াশিংটনে বাংলাদেশ দূতাবাস। যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশ দূতাবাসের কমার্স মিনিস্টার সেলিম রেজা বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিবের কাছে ২০ নভেম্বর পাঠানো এক চিঠিতে এ বিষয়ে সতর্ক করেছে।

সম্প্রতি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ঘোষণা দিয়েছেন, যারা শ্রমিকদের অধিকারের বিরুদ্ধে যাবে, শ্রমিকদের হুমকি দেবেন কিংবা ভয় দেখাবেন, তাদের ওপরও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হবে।

চিঠিতে জানানো হয়, মার্কিন শ্রমবিষয়ক স্মারক বাংলাদেশের জন্য এমন একটি বার্তা, যাতে শ্রম অধিকারের অজুহাতে আমেরিকা যে কোনো ব্যবস্থা নিতে পারে। এ স্মারক বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাতে প্রভাব ফেলতে পারে বলেও শঙ্কা জানানো হয়েছে।

ওয়াশিংটনের বাংলাদেশ দূতাবাস জানায়, আগে থেকেই বিষয়টি আমলে নেওয়া উচিত। স্মারকের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট বিবেচনায় শঙ্কিত হওয়ার অনেক কারণ রয়েছে বলেও চিঠিতে উল্লেখ করা হয়।

চিঠিতে আরও বলা হয়, স্মারক অনুসারে বিদেশে যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাসগুলো শ্রম–সংক্রান্ত বিষয়গুলো নিয়ে সরাসরি কাজ করতে পারবে। তাই এই নীতি আগ্রহী মার্কিন দূত বা মিশনগুলোকে দেশি বা অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করতে উৎসাহিত করতে পারে। এটা মনে হচ্ছে, শ্রম অধিকার লঙ্ঘন হয়েছে এমনটি তারা মনে করলে বা বিশ্বাস করলে এই নীতি ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান কিংবা রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে আরোপ করার সুযোগ রয়েছে।

বাংলাদেশের দূতাবাসের চিঠিতে জানায়, স্মারকের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটের বিবেচনায় শঙ্কিত হওয়ার অনেক কারণ রয়েছে। এই স্মারকে শ্রম অধিকারের বিষয়ে যা বলা হয়েছে, তার পেছনে রাজনীতি রয়েছে এবং যুক্তরাষ্ট্র নানাভাবে এই রাজনৈতিক অভিপ্রায় ব্যবহার করতে পারে।

চিঠিতে বলা হয়, সে কারণে এই স্মারক বাংলাদেশের জন্য একটি বার্তা। কারণ, শ্রম অধিকারের অজুহাতে স্মারকে উল্লেখ করা যেকোনো পদক্ষেপ যুক্তরাষ্ট্র নিতে পারে। এই স্মারকের প্রভাব বাংলাদেশের পোশাক খাতের ওপর পড়তে পারে, এবং সংশ্লিষ্ট সবাইকে অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে বিষয়টি বিবেচনায় নিতে হবে।

প্রেসিডেন্ট বাইডেন শ্রমিকদের ক্ষমতায়ন, শ্রম অধিকার ও শ্রমিকদের মানসম্মত জীবনযাপন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ওই প্রেসিডেন্সিয়াল মেমোরেন্ডাম সই করার পর ১৬ নভেম্বর পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন তা আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করে বলেন, যারা শ্রমিকদের অধিকারের বিরুদ্ধে যাবেন, শ্রমিকদের হুমকি দেবেন কিংবা ভয় দেখাবেন, তাদের ওপর প্রয়োজনে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হবে।

রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) তথ্য অনুযায়ী, গত ২০২২-২৩ অর্থবছরে যুক্তরাষ্ট্রে ৯৭০ কোটি মার্কিন ডলারের বাংলাদেশি পণ্য রপ্তানি হয়েছে, যার মধ্যে তৈরি পোশাক রপ্তানির পরিমাণ ছিল ৮৫১ কোটি ডলার।

নিউজটি শেয়ার করুন

মার্কিন শ্রম অধিকার নীতি নিয়ে যা জানাল বাংলাদেশ দূতাবাস

আপডেট সময় : ১১:৫৫:১৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৩

নতুন মার্কিন শ্রম অধিকারের নীতির প্রভাব বাংলাদেশেও পড়তে পারে বলে শঙ্কা জানিয়েছে ওয়াশিংটনে বাংলাদেশ দূতাবাস। যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশ দূতাবাসের কমার্স মিনিস্টার সেলিম রেজা বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিবের কাছে ২০ নভেম্বর পাঠানো এক চিঠিতে এ বিষয়ে সতর্ক করেছে।

সম্প্রতি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ঘোষণা দিয়েছেন, যারা শ্রমিকদের অধিকারের বিরুদ্ধে যাবে, শ্রমিকদের হুমকি দেবেন কিংবা ভয় দেখাবেন, তাদের ওপরও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হবে।

চিঠিতে জানানো হয়, মার্কিন শ্রমবিষয়ক স্মারক বাংলাদেশের জন্য এমন একটি বার্তা, যাতে শ্রম অধিকারের অজুহাতে আমেরিকা যে কোনো ব্যবস্থা নিতে পারে। এ স্মারক বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাতে প্রভাব ফেলতে পারে বলেও শঙ্কা জানানো হয়েছে।

ওয়াশিংটনের বাংলাদেশ দূতাবাস জানায়, আগে থেকেই বিষয়টি আমলে নেওয়া উচিত। স্মারকের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট বিবেচনায় শঙ্কিত হওয়ার অনেক কারণ রয়েছে বলেও চিঠিতে উল্লেখ করা হয়।

চিঠিতে আরও বলা হয়, স্মারক অনুসারে বিদেশে যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাসগুলো শ্রম–সংক্রান্ত বিষয়গুলো নিয়ে সরাসরি কাজ করতে পারবে। তাই এই নীতি আগ্রহী মার্কিন দূত বা মিশনগুলোকে দেশি বা অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করতে উৎসাহিত করতে পারে। এটা মনে হচ্ছে, শ্রম অধিকার লঙ্ঘন হয়েছে এমনটি তারা মনে করলে বা বিশ্বাস করলে এই নীতি ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান কিংবা রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে আরোপ করার সুযোগ রয়েছে।

বাংলাদেশের দূতাবাসের চিঠিতে জানায়, স্মারকের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটের বিবেচনায় শঙ্কিত হওয়ার অনেক কারণ রয়েছে। এই স্মারকে শ্রম অধিকারের বিষয়ে যা বলা হয়েছে, তার পেছনে রাজনীতি রয়েছে এবং যুক্তরাষ্ট্র নানাভাবে এই রাজনৈতিক অভিপ্রায় ব্যবহার করতে পারে।

চিঠিতে বলা হয়, সে কারণে এই স্মারক বাংলাদেশের জন্য একটি বার্তা। কারণ, শ্রম অধিকারের অজুহাতে স্মারকে উল্লেখ করা যেকোনো পদক্ষেপ যুক্তরাষ্ট্র নিতে পারে। এই স্মারকের প্রভাব বাংলাদেশের পোশাক খাতের ওপর পড়তে পারে, এবং সংশ্লিষ্ট সবাইকে অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে বিষয়টি বিবেচনায় নিতে হবে।

প্রেসিডেন্ট বাইডেন শ্রমিকদের ক্ষমতায়ন, শ্রম অধিকার ও শ্রমিকদের মানসম্মত জীবনযাপন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ওই প্রেসিডেন্সিয়াল মেমোরেন্ডাম সই করার পর ১৬ নভেম্বর পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন তা আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করে বলেন, যারা শ্রমিকদের অধিকারের বিরুদ্ধে যাবেন, শ্রমিকদের হুমকি দেবেন কিংবা ভয় দেখাবেন, তাদের ওপর প্রয়োজনে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হবে।

রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) তথ্য অনুযায়ী, গত ২০২২-২৩ অর্থবছরে যুক্তরাষ্ট্রে ৯৭০ কোটি মার্কিন ডলারের বাংলাদেশি পণ্য রপ্তানি হয়েছে, যার মধ্যে তৈরি পোশাক রপ্তানির পরিমাণ ছিল ৮৫১ কোটি ডলার।