ঢাকা ০৯:০১ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

প্রধান শিক্ষক নেই ৪৬ বিদ্যালয়ে সহকারীর ৪০ পদ শূন্য

ভাঙ্গুড়া (পাবনা) প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ১১:২৮:২৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৫ মে ২০২৪
  • / ৪৩৫ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

পাবনার ভাঙ্গুড়ায় ৪৬ টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক নেই। আবার সহকারী শিক্ষকের পদও শূন্য রয়েছে ৪০টি। এসব বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন, পাঠদান ও দাপ্তরিক কাজও করতে হয়। ফলে পাঠদান কার্যক্রম চরম বিঘ্ন ঘটছে।এতে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে ক্ষুদে শিক্ষার্থীরা। দীর্ঘদিন ধরে প্রধান শিক্ষক পদে পদোন্নতি,অবসর ও মৃত্যুজনিত কারণে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।

উপজেলা শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার একটি পৌরসভা ও ৬ টি ইউনিয়নে ৯৯ টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। এর মধ্যে ৪৬ টি বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক নেই। আর সহকারী শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে ৪০ টি।

জানা গেছে, এসকল বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক না থাকলে প্রধান শিক্ষককে দাপ্তরিক কাজের পাশাপাশি অনেকগুলো ক্লাস নিতে হয়। আবার প্রধান শিক্ষক না থাকলে সহকারী শিক্ষককে প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন ও দাপ্তরিক কাজ করতে হয়। এতে করে ঠিকমতো ক্লাস নেওয়া সম্ভব হয়ে ওঠে না। সবমিলিয়ে শিক্ষক সংকটের কারণে পাঠদান ব্যহত হওয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে এখানকার ক্ষুদে শিক্ষার্থীরা।

উপজেলার চাচকিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো. রুহুল আমিন বলেন, বিদ্যালয়টিতে বর্তমানে মাত্র দু’জন শিক্ষক রয়েছেন তারা ।এর আগে একজন শিক্ষক ডেপুটেশনে ছিলেন,মেয়াদ শেষ হওয়ায় চলে গেছেন।বর্তমানে দু’জন মিলে শিক্ষার্থীদের পাঠদান ও দাপ্তরিক কাজ করা খুব কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে।

কাজিটোল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো.হাসিনুজ্জামান বলেন, সেখানে প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকের দু’টি পদ শূন্য রয়েছে । শিক্ষক সংকটের কারণে স্কুল চালাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে তাদের।

পরমানন্দপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নুরুজ্জামান সবুজ বলেন, দীর্ঘদিন ধরে একজন সহকারী শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে। দাপ্তরিক কাজের পাশাপাশি তাকেও পুরোদমে ক্লাস নিতে হয়।

এ বিষয়ে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো.সেকেন্দার আলী বলেন, প্রধান শিক্ষক পদে পদোন্নতির জন্য সহকারী শিক্ষকদের প্রস্তাব জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে পাঠানো হয়েছে।আর শূন্য পদে নতুন নিয়োগ হলে সহকারী শিক্ষকের সংকটও কেটে যাবে।

 

বাখ//আর

নিউজটি শেয়ার করুন

প্রধান শিক্ষক নেই ৪৬ বিদ্যালয়ে সহকারীর ৪০ পদ শূন্য

আপডেট সময় : ১১:২৮:২৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৫ মে ২০২৪

পাবনার ভাঙ্গুড়ায় ৪৬ টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক নেই। আবার সহকারী শিক্ষকের পদও শূন্য রয়েছে ৪০টি। এসব বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন, পাঠদান ও দাপ্তরিক কাজও করতে হয়। ফলে পাঠদান কার্যক্রম চরম বিঘ্ন ঘটছে।এতে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে ক্ষুদে শিক্ষার্থীরা। দীর্ঘদিন ধরে প্রধান শিক্ষক পদে পদোন্নতি,অবসর ও মৃত্যুজনিত কারণে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।

উপজেলা শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার একটি পৌরসভা ও ৬ টি ইউনিয়নে ৯৯ টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। এর মধ্যে ৪৬ টি বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক নেই। আর সহকারী শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে ৪০ টি।

জানা গেছে, এসকল বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক না থাকলে প্রধান শিক্ষককে দাপ্তরিক কাজের পাশাপাশি অনেকগুলো ক্লাস নিতে হয়। আবার প্রধান শিক্ষক না থাকলে সহকারী শিক্ষককে প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন ও দাপ্তরিক কাজ করতে হয়। এতে করে ঠিকমতো ক্লাস নেওয়া সম্ভব হয়ে ওঠে না। সবমিলিয়ে শিক্ষক সংকটের কারণে পাঠদান ব্যহত হওয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে এখানকার ক্ষুদে শিক্ষার্থীরা।

উপজেলার চাচকিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো. রুহুল আমিন বলেন, বিদ্যালয়টিতে বর্তমানে মাত্র দু’জন শিক্ষক রয়েছেন তারা ।এর আগে একজন শিক্ষক ডেপুটেশনে ছিলেন,মেয়াদ শেষ হওয়ায় চলে গেছেন।বর্তমানে দু’জন মিলে শিক্ষার্থীদের পাঠদান ও দাপ্তরিক কাজ করা খুব কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে।

কাজিটোল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো.হাসিনুজ্জামান বলেন, সেখানে প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকের দু’টি পদ শূন্য রয়েছে । শিক্ষক সংকটের কারণে স্কুল চালাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে তাদের।

পরমানন্দপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নুরুজ্জামান সবুজ বলেন, দীর্ঘদিন ধরে একজন সহকারী শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে। দাপ্তরিক কাজের পাশাপাশি তাকেও পুরোদমে ক্লাস নিতে হয়।

এ বিষয়ে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো.সেকেন্দার আলী বলেন, প্রধান শিক্ষক পদে পদোন্নতির জন্য সহকারী শিক্ষকদের প্রস্তাব জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে পাঠানো হয়েছে।আর শূন্য পদে নতুন নিয়োগ হলে সহকারী শিক্ষকের সংকটও কেটে যাবে।

 

বাখ//আর