ঢাকা ১০:১৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০৬ মে ২০২৪, ২৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

মহাকাশে প্রাণী পাঠাল ইরান

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০১:৩৬:০৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৭ ডিসেম্বর ২০২৩
  • / ৫৮৭ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

মানব মিশনের প্রস্তুতির অংশ হিসেবে মহাকাশে প্রাণী বহনকারী একটি ক্যাপসুল পাঠিয়েছে ইরান। গতকাল বুধবার দেশটির রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম ক্যাপসুল বহনকারী একটি রকেট উৎক্ষেপণের ভিডিও প্রকাশ করেছে। এটি ভূপৃষ্ঠ থেকে ১৩০ কিলোমিটার উচ্চতায় সফলভাবে কক্ষপথে পাঠানো হয়েছে বলে দাবি করা হয়।

আল জাজিরার প্রতিবেদনে জানা যায়, নিজেদের তৈরি ‘সালমান’ রকেট ৫০০ কেজি ওজনের একটি ক্যাপসুল বহন করছে। যা ইরানের মহাকাশ কর্মসূচির ইতিহাসে সফলভাবে বহন করা সবচেয়ে ভারী বায়ো-ক্যাপসুল। তবে রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম কিংবা টেলিযোগাযোগমন্ত্রী ইসা জারেপুর নিশ্চিত করেননি যে ক্যাপসুলে কী ধরনের প্রাণী ছিল।

ক্যাপসুলটি ইরানের স্পেস এজেন্সির নির্দেশনায় বিজ্ঞান, গবেষণা ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের মহাকাশ বিভাগ তৈরি করেছে। আর রকেটটি দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মহাকাশ শাখা এবং সশস্ত্র বাহিনীর লজিস্টিকসে তৈরি করা হয়েছে।

স্পেস এজেন্সির মুখপাত্র হোসেইন দালিরিয়ান সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটার) একটি ভিডিও প্রকাশ করেন। সঙ্গে লেখেন, ‘একটি নতুন আঙ্গিকে বায়ো-ক্যাপসুল উৎক্ষেপণ করা হলো।’

দালিরিয়ান জানান, প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির প্রশাসন মহাকাশে মানুষ পাঠানোর ইরানের দীর্ঘমেয়াদী লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছে। তারই অগ্রগতির অংশ এই বায়ো–ক্যাপসুল অভিযান।

ইরানের টেলিযোগাযোগমন্ত্রী ইসা জারেপুর বলেছেন, তেহরান শিগগিরই নতুন প্রজন্মের বায়ো-ক্যাপসুলগুলোর সাব-অরবিটাল পরীক্ষা চালাবে। এর মধ্য দিয়ে ইরান মহাকাশ বিষয়ক চূড়ান্ত লক্ষ্যের অনেক কাছে পৌঁছে যাবে বলে তিনি প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন।

তিনি আরও বলেন, ‘আজ যে ক্যাপসুলটি পাঠানো হয়েছে তা একজন মানুষকে বহন করার ক্ষমতা রাখে। বর্তমানে এটির সাব-অরবিটাল পরীক্ষা চলছে। মহাকাশে মানুষ পাঠাতে ইরানের হয়তো আর কয়েক বছর লাগতে পারে।’

এর আগে ২০১০ সালে ইরান একটি ‘কাভশগার’ বা এক্সপ্লোরার নামক ক্যারিয়ার ব্যবহার করে মহাকাশে জীবন্ত প্রাণীসহ প্রথম বায়ো-ক্যাপসুল পাঠিয়েছিল। এরপর ২০১৩ সংশ্লিষ্টরা দাবি করেন, দুটি বানরকে মহাকাশে পাঠানো হয়েছিল এবং তাদের ফিরিয়েও আনা হয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

মহাকাশে প্রাণী পাঠাল ইরান

আপডেট সময় : ০১:৩৬:০৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৭ ডিসেম্বর ২০২৩

মানব মিশনের প্রস্তুতির অংশ হিসেবে মহাকাশে প্রাণী বহনকারী একটি ক্যাপসুল পাঠিয়েছে ইরান। গতকাল বুধবার দেশটির রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম ক্যাপসুল বহনকারী একটি রকেট উৎক্ষেপণের ভিডিও প্রকাশ করেছে। এটি ভূপৃষ্ঠ থেকে ১৩০ কিলোমিটার উচ্চতায় সফলভাবে কক্ষপথে পাঠানো হয়েছে বলে দাবি করা হয়।

আল জাজিরার প্রতিবেদনে জানা যায়, নিজেদের তৈরি ‘সালমান’ রকেট ৫০০ কেজি ওজনের একটি ক্যাপসুল বহন করছে। যা ইরানের মহাকাশ কর্মসূচির ইতিহাসে সফলভাবে বহন করা সবচেয়ে ভারী বায়ো-ক্যাপসুল। তবে রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম কিংবা টেলিযোগাযোগমন্ত্রী ইসা জারেপুর নিশ্চিত করেননি যে ক্যাপসুলে কী ধরনের প্রাণী ছিল।

ক্যাপসুলটি ইরানের স্পেস এজেন্সির নির্দেশনায় বিজ্ঞান, গবেষণা ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের মহাকাশ বিভাগ তৈরি করেছে। আর রকেটটি দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মহাকাশ শাখা এবং সশস্ত্র বাহিনীর লজিস্টিকসে তৈরি করা হয়েছে।

স্পেস এজেন্সির মুখপাত্র হোসেইন দালিরিয়ান সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটার) একটি ভিডিও প্রকাশ করেন। সঙ্গে লেখেন, ‘একটি নতুন আঙ্গিকে বায়ো-ক্যাপসুল উৎক্ষেপণ করা হলো।’

দালিরিয়ান জানান, প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির প্রশাসন মহাকাশে মানুষ পাঠানোর ইরানের দীর্ঘমেয়াদী লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছে। তারই অগ্রগতির অংশ এই বায়ো–ক্যাপসুল অভিযান।

ইরানের টেলিযোগাযোগমন্ত্রী ইসা জারেপুর বলেছেন, তেহরান শিগগিরই নতুন প্রজন্মের বায়ো-ক্যাপসুলগুলোর সাব-অরবিটাল পরীক্ষা চালাবে। এর মধ্য দিয়ে ইরান মহাকাশ বিষয়ক চূড়ান্ত লক্ষ্যের অনেক কাছে পৌঁছে যাবে বলে তিনি প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন।

তিনি আরও বলেন, ‘আজ যে ক্যাপসুলটি পাঠানো হয়েছে তা একজন মানুষকে বহন করার ক্ষমতা রাখে। বর্তমানে এটির সাব-অরবিটাল পরীক্ষা চলছে। মহাকাশে মানুষ পাঠাতে ইরানের হয়তো আর কয়েক বছর লাগতে পারে।’

এর আগে ২০১০ সালে ইরান একটি ‘কাভশগার’ বা এক্সপ্লোরার নামক ক্যারিয়ার ব্যবহার করে মহাকাশে জীবন্ত প্রাণীসহ প্রথম বায়ো-ক্যাপসুল পাঠিয়েছিল। এরপর ২০১৩ সংশ্লিষ্টরা দাবি করেন, দুটি বানরকে মহাকাশে পাঠানো হয়েছিল এবং তাদের ফিরিয়েও আনা হয়েছে।