ঢাকা ০৪:১৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

নোয়াখালীতে ভুল অস্ত্রোপচারে নবজাতকসহ প্রসূতির মৃত্যু : হাসপাতাল ভাঙচুর

// কাজী মো. ফখরুল ইসলাম, নোয়াখালী প্রতিনিধি //
  • আপডেট সময় : ০৯:১৫:৪০ অপরাহ্ন, রবিবার, ৫ মে ২০২৪
  • / ৪৫০ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নোয়াখালীর মাইজদীতে ভুল অস্ত্রোপচারে নবজাতকসহ প্রসূতি মায়ের মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় রোগীর স্বজনরা হাসপাতালে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর করেছে। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। শনিবার (৪ মে) রাত সাড়ে ৮টার দিকে মাইজদী আধুনিক হাসপাতালে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত সীমা আক্তার (২১) বেগমগঞ্জ উপজেলার কাদিরপুর ইউনিয়নের লন্ডন মার্কেট এলাকার জহির উদ্দিনের স্ত্রী এবং নোয়াখালী পৌরসভার ১নম্বর ওয়ার্ডের ইউসুফ সওদাগর বাড়ির মোঃ হারুনের মেয়ে। নিহতের স্বজনরা জানান, শুক্রবার দুপুরে সীমাকে মাইজদী আধুনিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে দুপুর ২টার দিকে চিকিৎসক আশিকা কবির অস্ত্রোপচার করে সন্তান প্রসব করান। কিন্তু অপারেশনের সময় তার জরায়ুর রক্তনালী কেটে ফেলায় অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হয় বলে অভিযোগ উঠেছে।

পরে বিষয়টি গোপন রেখে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ রোগীকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (ঢামেক) প্রেরণ করে। সেখানে নেওয়ার পর ডাক্তার সীমাকে মৃত ঘোষণা করে। অন্যদিকে তার নবজাতক সন্তানকে চট্টগ্রাম নিয়ে গেলে সেও সেখানে মারা যায়। এ ঘটনায় ক্ষিপ্ত হয়ে শনিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে নিহতের স্বজন ও এলাকাবাসী মাইজদী আধুনিক হাসপাতালে ভাঙচুর চালায়।

নোয়াখালী জেলা সিভিল সার্জন ডা. মাসুম ইফতেখার বলেন, অভিযোগ পেয়ে তাৎক্ষণিক সদর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. নুসরাত নাঈমা জাবিনকে ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে। পরবর্তীতে তদন্ত করে এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। মাইজদী আধুনিক হাসপাতালের চেয়ারম্যান রফিকুল বারী আলমগীর ভাঙচুরের সত্যতা স্বীকার করে বলেন, এ নিয়ে আমরা রোগীর স্বজনদের সঙ্গে বসেছি। কোনো ডাক্তারই ইচ্ছাকৃতভাবে কাউকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেয় না।

সুধারাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর জাহেদুল হক রনি বলেন, ‘খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। তবে গভীররাত পর্যন্ত এ বিষয়ে কেউ থানায় অভিযোগ দায়ের করেনি’। খবর নিয়ে জানা গেছে, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বৈঠক করে রোগীর স্বজন ও স্থানীয় প্রভাবশালীদেরকে টাকার বিনিময়ে ম্যানেজ করেছেন। তাই এ নিয়ে থানায় কোনো অভিযোগ করা হয়নি।

নিউজটি শেয়ার করুন

নোয়াখালীতে ভুল অস্ত্রোপচারে নবজাতকসহ প্রসূতির মৃত্যু : হাসপাতাল ভাঙচুর

আপডেট সময় : ০৯:১৫:৪০ অপরাহ্ন, রবিবার, ৫ মে ২০২৪

নোয়াখালীর মাইজদীতে ভুল অস্ত্রোপচারে নবজাতকসহ প্রসূতি মায়ের মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় রোগীর স্বজনরা হাসপাতালে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর করেছে। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। শনিবার (৪ মে) রাত সাড়ে ৮টার দিকে মাইজদী আধুনিক হাসপাতালে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত সীমা আক্তার (২১) বেগমগঞ্জ উপজেলার কাদিরপুর ইউনিয়নের লন্ডন মার্কেট এলাকার জহির উদ্দিনের স্ত্রী এবং নোয়াখালী পৌরসভার ১নম্বর ওয়ার্ডের ইউসুফ সওদাগর বাড়ির মোঃ হারুনের মেয়ে। নিহতের স্বজনরা জানান, শুক্রবার দুপুরে সীমাকে মাইজদী আধুনিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে দুপুর ২টার দিকে চিকিৎসক আশিকা কবির অস্ত্রোপচার করে সন্তান প্রসব করান। কিন্তু অপারেশনের সময় তার জরায়ুর রক্তনালী কেটে ফেলায় অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হয় বলে অভিযোগ উঠেছে।

পরে বিষয়টি গোপন রেখে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ রোগীকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (ঢামেক) প্রেরণ করে। সেখানে নেওয়ার পর ডাক্তার সীমাকে মৃত ঘোষণা করে। অন্যদিকে তার নবজাতক সন্তানকে চট্টগ্রাম নিয়ে গেলে সেও সেখানে মারা যায়। এ ঘটনায় ক্ষিপ্ত হয়ে শনিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে নিহতের স্বজন ও এলাকাবাসী মাইজদী আধুনিক হাসপাতালে ভাঙচুর চালায়।

নোয়াখালী জেলা সিভিল সার্জন ডা. মাসুম ইফতেখার বলেন, অভিযোগ পেয়ে তাৎক্ষণিক সদর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. নুসরাত নাঈমা জাবিনকে ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে। পরবর্তীতে তদন্ত করে এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। মাইজদী আধুনিক হাসপাতালের চেয়ারম্যান রফিকুল বারী আলমগীর ভাঙচুরের সত্যতা স্বীকার করে বলেন, এ নিয়ে আমরা রোগীর স্বজনদের সঙ্গে বসেছি। কোনো ডাক্তারই ইচ্ছাকৃতভাবে কাউকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেয় না।

সুধারাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর জাহেদুল হক রনি বলেন, ‘খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। তবে গভীররাত পর্যন্ত এ বিষয়ে কেউ থানায় অভিযোগ দায়ের করেনি’। খবর নিয়ে জানা গেছে, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বৈঠক করে রোগীর স্বজন ও স্থানীয় প্রভাবশালীদেরকে টাকার বিনিময়ে ম্যানেজ করেছেন। তাই এ নিয়ে থানায় কোনো অভিযোগ করা হয়নি।