ঢাকা ০৯:২৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১১ মে ২০২৪, ২৮ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

ভারতে ২ হাজার রুপির নোট তুলে নেওয়ার ঘোষণা

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১০:২৪:২৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ মে ২০২৩
  • / ৪৪৬ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ভারতে আবারও নোটবন্দি! বছর সাত আগে বাজারে ২০০০ রুপির নোট ছেড়েছিল ভারতের রিজার্ভ ব্যাংক। শুক্রবার ফের এক বিবৃতিতে ভারতের নিয়ামক ব্যাংক আরবিআই জানিয়ে দিল, পুরনো ২০০০ রুপির নোটগুলো বাজার থেকে সরিয়ে নেওয়া হবে। সেজন্য সমস্ত সরকারি বেসরকারি ব্যাংককে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময় দেওয়া হয়েছে। এখনও দু’হাজার রুপির যে নোট বাজারে আছে তা তুলে নেওয়া হবে ওই সময়ের মধ্যে। তারপর নতুন নোট বাজারে আনা হবে, ইঙ্গিত দিয়েছে তারা।

রিজার্ভ ব্যাংক জানিয়েছে গ্রাহকদের এখনই আতঙ্কিত, উদ্বিগ্ন হওয়ার কোনো কারণ নেই। কারণ বাজারে যে ২০০০ রুপির নোট আছে তা আপাতত বৈধ থাকবে। আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বৈধ থাকবে ২০০০ রুপির নোট। গ্রাহকরা ব্যাংকে ২০০০ রুপির নোট জমা দিয়ে পরিবর্তে অন্য নোট নিতে পারবেন। একসঙ্গে ব্যাংকে ২০,০০০ রুপি পর্যন্ত ২০০০ রুপির নোট জমা দেওয়া যাবে। আরবিআই কড়াভাবে জানিয়ে দিয়েছে এটা নোটবন্দি নয়। ২ হাজার রুপির নোট এখনও বৈধ। তাই এটি বিমুদ্রাকরণ নয়। ২০০০ টাকা দিয়ে জিনিসপত্রও কিনতে পারেন। ২০০০ রুপির নোট নিতে এখনও কেউ অস্বীকার করতে পারবে না। তবে সেই সময়সীমা ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। ততদিন পর্যন্ত লেনদেন করতে পারবেন। নোটগুলি ব্যাংকে জমা দিতে পারেন গ্রাহক। অথবা অন্য কোনো ব্যাংকে নোট পরিবর্তন করতে পারেন।

২০১৬সালের ৮ই নভেম্বর রাতে আচমকাই ঘোষনা দিয়ে তখনকার পাঁচশো ও হাজার রুপির নোট বাতিল করে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার। পরিবর্তে কিছুদিন পর নতুন পাঁচশো ও দু’হাজার রুপির নোট বাজারে আনে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। কিন্তু প্রথম থেকেই দু’হাজার রুপির নোটটি নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়। এমন কথাও প্রচার হয়ে যায়, ওই নোটের মধ্যে চিপ বসানো আছে। তারফলে রুপি হাত বদলের যাবতীয় তথ্য সরকারের কাছে চলে যায়। এরফলে অনেকেই ২০০০ এর নোট নিতে চাইতেন না। বড় নোট ভাঙ্গতেও সমস্যায় পড়েছিলেন ক্রেতা বিক্রেতারা। একসময় ধীরে ধীরে বাজারে বা এটিএমেও উধাও হতে শুরু করে গোলাপী রং এর নোট টি।

নেই নেই করে যে দু’হাজার রুপির নোট বাজারে আছে সেগুলোর ৮৯ শতাংশই ২০১৬-র নভেম্বরের পরে বাজারে ছাড়া হয়েছিল। এদিনের ঘোষণায় ব্যাংকগুলোতে এখনই ২০০০ রুপির নোট ইস্যু করা থেকে বিরত থাকতে বলেছে আরবিআই। সদ্য মার্চ মাসে ২০২৩ সালে বাজারে থাকা এই ব্যাংকনোটগুলোর মূল্য ৩.৬২ লাখ কোটি রুপিতে দাঁড়ায়। যা ২০১৮ সালের ৩১ মার্চে ছিল ৬.৭৩ লাখ কোটি রুপি।

প্রসঙ্গত নোটের একটি সম্ভাব্য জীবনচক্র রয়েছে ৪ থেকে ৫ বছরের। সেই নিরিখেই রিজার্ভ ব্যাংকের নয়া পদক্ষেপ বলে মনে করা হচ্ছে। যদিও বিশেষজ্ঞরা বলছে ২০০০ রুপির নোটে কালো টাকার সঞ্চয় পরিমাণ বেড়ে যাওয়ার প্রবণতা লক্ষ্য করেছিল কেন্দ্রীয় সরকার। তার জন্যই ফের এমন পদক্ষেপ নিতে ফের বাধ্য হল কেন্দ্রীয় সরকার।

বাজার থেকে ২০০০ রুপির নোট রিজার্ভ ব্যাংক তুলে নিচ্ছে কী না এই বিষয়ে শেষ বিগত অধিবেশনেই কেন্দ্রীয় অর্থ প্রতিমন্ত্রী পঙ্কজ চৌধুরী এক প্রশ্নের জবাবে জানান, দু’হাজার রুপির নোট নিয়ে সরকারের নতুন কোনো ভাবনাচিন্তা নেই। বাজারে ওই নোট না থাকার প্রসঙ্গটি এড়িয়ে যান তিনি।

শুক্রবার আচমকা ঘোষণা দিয়ে আরবিআই ফের নোট বাতিলের পথেই হাটলো, আরবিআই তাদের বিবৃতিতে জানিয়েছে এই ঘোষণা তাদের ক্লিন নোট পলিসির অংশ। তবে নতুন নোটের চেহারা কেমন হবে তা এখনও স্পষ্ট করেনি কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

নিউজটি শেয়ার করুন

ভারতে ২ হাজার রুপির নোট তুলে নেওয়ার ঘোষণা

আপডেট সময় : ১০:২৪:২৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ মে ২০২৩

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ভারতে আবারও নোটবন্দি! বছর সাত আগে বাজারে ২০০০ রুপির নোট ছেড়েছিল ভারতের রিজার্ভ ব্যাংক। শুক্রবার ফের এক বিবৃতিতে ভারতের নিয়ামক ব্যাংক আরবিআই জানিয়ে দিল, পুরনো ২০০০ রুপির নোটগুলো বাজার থেকে সরিয়ে নেওয়া হবে। সেজন্য সমস্ত সরকারি বেসরকারি ব্যাংককে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময় দেওয়া হয়েছে। এখনও দু’হাজার রুপির যে নোট বাজারে আছে তা তুলে নেওয়া হবে ওই সময়ের মধ্যে। তারপর নতুন নোট বাজারে আনা হবে, ইঙ্গিত দিয়েছে তারা।

রিজার্ভ ব্যাংক জানিয়েছে গ্রাহকদের এখনই আতঙ্কিত, উদ্বিগ্ন হওয়ার কোনো কারণ নেই। কারণ বাজারে যে ২০০০ রুপির নোট আছে তা আপাতত বৈধ থাকবে। আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বৈধ থাকবে ২০০০ রুপির নোট। গ্রাহকরা ব্যাংকে ২০০০ রুপির নোট জমা দিয়ে পরিবর্তে অন্য নোট নিতে পারবেন। একসঙ্গে ব্যাংকে ২০,০০০ রুপি পর্যন্ত ২০০০ রুপির নোট জমা দেওয়া যাবে। আরবিআই কড়াভাবে জানিয়ে দিয়েছে এটা নোটবন্দি নয়। ২ হাজার রুপির নোট এখনও বৈধ। তাই এটি বিমুদ্রাকরণ নয়। ২০০০ টাকা দিয়ে জিনিসপত্রও কিনতে পারেন। ২০০০ রুপির নোট নিতে এখনও কেউ অস্বীকার করতে পারবে না। তবে সেই সময়সীমা ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। ততদিন পর্যন্ত লেনদেন করতে পারবেন। নোটগুলি ব্যাংকে জমা দিতে পারেন গ্রাহক। অথবা অন্য কোনো ব্যাংকে নোট পরিবর্তন করতে পারেন।

২০১৬সালের ৮ই নভেম্বর রাতে আচমকাই ঘোষনা দিয়ে তখনকার পাঁচশো ও হাজার রুপির নোট বাতিল করে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার। পরিবর্তে কিছুদিন পর নতুন পাঁচশো ও দু’হাজার রুপির নোট বাজারে আনে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। কিন্তু প্রথম থেকেই দু’হাজার রুপির নোটটি নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়। এমন কথাও প্রচার হয়ে যায়, ওই নোটের মধ্যে চিপ বসানো আছে। তারফলে রুপি হাত বদলের যাবতীয় তথ্য সরকারের কাছে চলে যায়। এরফলে অনেকেই ২০০০ এর নোট নিতে চাইতেন না। বড় নোট ভাঙ্গতেও সমস্যায় পড়েছিলেন ক্রেতা বিক্রেতারা। একসময় ধীরে ধীরে বাজারে বা এটিএমেও উধাও হতে শুরু করে গোলাপী রং এর নোট টি।

নেই নেই করে যে দু’হাজার রুপির নোট বাজারে আছে সেগুলোর ৮৯ শতাংশই ২০১৬-র নভেম্বরের পরে বাজারে ছাড়া হয়েছিল। এদিনের ঘোষণায় ব্যাংকগুলোতে এখনই ২০০০ রুপির নোট ইস্যু করা থেকে বিরত থাকতে বলেছে আরবিআই। সদ্য মার্চ মাসে ২০২৩ সালে বাজারে থাকা এই ব্যাংকনোটগুলোর মূল্য ৩.৬২ লাখ কোটি রুপিতে দাঁড়ায়। যা ২০১৮ সালের ৩১ মার্চে ছিল ৬.৭৩ লাখ কোটি রুপি।

প্রসঙ্গত নোটের একটি সম্ভাব্য জীবনচক্র রয়েছে ৪ থেকে ৫ বছরের। সেই নিরিখেই রিজার্ভ ব্যাংকের নয়া পদক্ষেপ বলে মনে করা হচ্ছে। যদিও বিশেষজ্ঞরা বলছে ২০০০ রুপির নোটে কালো টাকার সঞ্চয় পরিমাণ বেড়ে যাওয়ার প্রবণতা লক্ষ্য করেছিল কেন্দ্রীয় সরকার। তার জন্যই ফের এমন পদক্ষেপ নিতে ফের বাধ্য হল কেন্দ্রীয় সরকার।

বাজার থেকে ২০০০ রুপির নোট রিজার্ভ ব্যাংক তুলে নিচ্ছে কী না এই বিষয়ে শেষ বিগত অধিবেশনেই কেন্দ্রীয় অর্থ প্রতিমন্ত্রী পঙ্কজ চৌধুরী এক প্রশ্নের জবাবে জানান, দু’হাজার রুপির নোট নিয়ে সরকারের নতুন কোনো ভাবনাচিন্তা নেই। বাজারে ওই নোট না থাকার প্রসঙ্গটি এড়িয়ে যান তিনি।

শুক্রবার আচমকা ঘোষণা দিয়ে আরবিআই ফের নোট বাতিলের পথেই হাটলো, আরবিআই তাদের বিবৃতিতে জানিয়েছে এই ঘোষণা তাদের ক্লিন নোট পলিসির অংশ। তবে নতুন নোটের চেহারা কেমন হবে তা এখনও স্পষ্ট করেনি কেন্দ্রীয় ব্যাংক।