ভারতে আটক হওয়া ১৩ বাংলাদেশি দেশে ফিরল
- আপডেট সময় : ০৩:২৭:৫৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪
- / ৪১৮ বার পড়া হয়েছে
সীমান্তের ওপারে মেলা দেখতে গিয়ে আটকে পড়া ১০ জনসহ ১৩ বাংলাদেশি নাগরিক দেশে ফিরলেন। ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের আগরতলা থেকে আখাউড়া সীমান্ত চেকপোষ্ট দিয়ে মঙ্গলবার বেলা ২ টার দিকে তারা দেশে ফিরেছেন।
ভারতের আগরতলাস্থ বাংলাদেশ সহকারী হাই কমিশনের মাধ্যমে তাদেরকে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। দেশে ফেরৎ আসা বাংলাদেশীরা হলেন চট্টগ্রাম জেলার রাউজান উপজেলার কদলপুর গ্রামের দুলাল নাথের ছেলে রুবেল কুমার নাথ, উত্তর গুজরা গ্রামের মিলন বিশ্বাসের ছেলে রাজিব বিশ্বাস, সুলতানপুর গ্রামের মিলন দের ছেলে শঙকর দে, একই গ্রামের বিষু দাসের ছেলে জয় দাস, কাজল দাসের ছেলে সঞ্জয় দাস, অনিল দাসের ছেলে উল্লাস দাস, সুকুমার চৌধুরী দাসের ছেলে দীপক দাস গুপ্তা, মন্টু রাম ঘোষের ছেলে রুমন ঘোষ, যোগেস ঘোষের ছেলে রুবেল ঘোষ, রনধীর দাসের ছেলে প্রান্ত দাস, একই জেলার হাটহাজারী উপজেলার পশ্চিম দেওয়ান নগরের মো. হোসেনের মেয়ে নাহিদা শেখ ও তার দুই শিশু সন্তান ফয়েজ ইসলাম শেখ এবং ফাইজা শেখ।
আখাউড়া চেকপোস্টের শূন্যরেখায় দেশে ফেরত আসা দীপক দাস গুপ্তা বলেন, আমরা ১০ জন খাগড়াছড়ি জেলার পানছড়ি সীমান্ত দিয়ে ভারতে ডংরু মেলায় ঘুরতে যাই। মেলা দেখে ওখান থেকে আগরতলায় একটি মন্দির দেখতে যায়। ফেরার পথে আমাদের বহনকারী ভারতীয় গাড়িটির চালক আমাদেরকে নির্দিষ্ট গন্তব্যের পরিবর্তে স্থানীয় একটি থানায় নিয়ে যায়। এরপর পুলিশ আমাদের আটক করে আদালতে সোপর্দ করে। আদালত আমাদেরকে অবৈধ অনুপ্রবেশের দায়ে এক মাসের সাজা দেয়। কারাভোগ শেষে আমরা একটি হোমে ছিলাম। সেখান থেকে ৪ মাস পর বাংলাদেশ হাই কমিশনের মাধ্যমে আমরা আজ দেশে ফিরলাম।
দেশে ফেরত আসা নাহিদা শেখ বলেন, আমি আমার স্বামী ও এক সন্তানসহ গত তিন বছর আগে স্বামীর চিকিৎসার জন্য অবৈধ পথে ভারতের মুম্বাই শহরে যায়। চিকিৎসা শেষে দেশে ফেরার পথে ভারতীয় পুলিশের হাতে আটক হয়ে ১ বছর কারাভোগ শেষে যখন হোমে ছিলাম। ওথানে আমার আরেকটি সন্তান জন্ম হয়। গত ৬ মাস আগে ওখানে আমার স্বামী মৃত্যু হলে সেখানেই দাফন-কাফন হয়। দীর্ঘ ৩ বছর পর আমি আমার ২ সন্তানসহ আজ দেশে ফিরেছি।
আগরতলাস্থ বাংলাদেশ সহকারী হাই কমিশনের কর্মকর্তা ওমর শরীফ বলেন, ১৩ জন বাংলাদেশীকে তাদের নিজ দেশে প্রত্যার্বতন করেছি। তারা দেশে ফেরার পথে ভারতীয় আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে আটক হয়ে আদালতের মাধ্যমে সাজাভোগ করেন। বিষয়টি বাংলাদেশ হাই কমিশন জানতে পেরে তাদের সাথে যোগাযোগ করি। পরে কাগজপত্র যাচাই-বাচাই শেষে তাদের কে আজকে দেশে ফেরত পাঠানো হলো।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন, আখাউড়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভ‚মি) এস এম রাহাতুল ইসলাম, বিএসএফ এর ১২০ কম্পানী কমান্ডার বিবেক ধীমান, আখাউড়া চেকপোষ্টের ইমিগ্রেশন ইনচার্জ মো. খাইরুল আলম, ৬০ বিজিবি আইসিপি ক্যাম্প কমান্ডার শাহ আলম প্রমুখ।
বাখ//আর