ঢাকা ০৪:০৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৫ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

ব্যয় কমানোর নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৫:০৭:৪৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ জানুয়ারী ২০২৩
  • / ৪৫১ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

দ্রুত প্রকল্পের কাজ শেষ করতে ও ব্যয় কমানোর নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, দ্রুত কাজ করেন। খরচ কম করেন। তবে খরচ বন্ধ করা যাবে না। একান্ত প্রয়োজনীয় ব্যয় করতেই হবে।

মঙ্গলবার (১৭ জানুয়ারি) জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) বৈঠকে এমন নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সন্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত বৈঠক শেষে ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান।

এসময় পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম, পরিকল্পনা সচিব সত্যজিত কর্মকারসহ পরিকল্পনা কমিশনের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, প্রকল্পের কাজ দ্রুত করতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী। একই সঙ্গে বলেছেন, কাজের মান বাড়ান এবং খরচ কমান। কিন্তু খরচ বন্ধ করবেন না। এছাড়া উৎপাদন বাড়াতে হবে। যে যেখানে, যেভাবে আছেন তাদের কাজে লাগিয়ে উৎপাদন বাড়াতে হবে।
দেশের সামষ্টিক অর্থনীতি নিয়ে একটি প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হয়েছে একনেক বৈঠকে। এ প্রসঙ্গে পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম বলেন, দেশের অর্থনীতি খুব খারাপ নয়। এক্ষেত্রে রিজার্ভ গত ১১ জানুয়ারি পর্যন্ত ৩২ বিলিয়ন ডলার ছিল। সেটি স্থিতিশীল আছে।

তিনি বলেন, রফতানি থেকে চলতি অর্থবছরের জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত এসেছে ২৭ দশমিক ৩১ বিলিয়ন ডলার। গত অর্থবছরের একই সময়ে এসেছিল ২৪ দশমিক ৬৯ বিলিয়ন ডলার। ফলে রফতানি আয় বেড়েছে ২ বিলিয়ন ডলার। এছাড়া এ অর্থবছর ১০ দশমিক ৪৯ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স এসেছে। গত অর্থবছর একই সময়ে যা ছিল ১০ দশমিক ২৯ বিলিয়ন ডলার। দেশে মূল্যস্ফীতি কমেছে। সবচেয়ে বড় কথা হলো বিশ্বমন্দার ঢেউ বাংলাদেশে লাগবে না।

প্রায় ১০ হাজার ৬৪০ কোটি ৫৮ লাখ টাকা ব্যয় সম্বলিত ১১টি প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)। এর মধ্যে সরকারি অর্থায়ন ৭ হাজার ৮২৭ কোটি ৫০ লাখ টাকা এবং বৈদেশিক অর্থায়ন ২ হাজার ৮৮০ কোটি ১৮ টাকা।

ব্যয় কমানোর নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

অনুমোদিত প্রকল্পসমূহ হলো পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের তিনটি প্রকল্প যথাক্রমে ‘চট্টগ্রাম জেলার পটিয়া উপজেলার শ্রীমাই নদীতে মাল্টিপারপাস হাইড্রোলিক এলিভেটর ড্যাম (Multipurpose Hydraulic Eleveator Dam) নির্মাণ’ প্রকল্প; ‘বরিশাল জেলার কারখান, বিঘাই এবং পায়রা নদীর ভাঙন হতে শেখ হাসিনা সেনানিবাস এলাকা রক্ষা (১ম পর্যায়)’ প্রকল্প এবং ‘ঢাকা জেলার দোহার উপজেলাধীন মাজিরচর থেকে নারিশাবাজার হয়ে মুকসুদপুর পর্যন্ত পদ্মা নদী ড্রেজিং ও বাম তীর সংরক্ষণ (১ম সংশোধিত)’ প্রকল্প; পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের ‘বাংলাদেশ জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ উপকূলীয় ছোট দ্বীপ এবং নদীর চরের জন্য অভিযোজন উদ্যোগ’ প্রকল্প; সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের তিনটি প্রকল্প যথাক্রমে ‘মাতারবাড়ী কয়লা নির্ভর বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র নির্মাণ (সওজ অংশ) (২য় সংশোধিত)’ প্রকল্প; ‘কর্ণফুলী নদীর তলদেশে বহুলেন সড়ক টানেল নির্মাণ (২য় সংশোধিত)’ প্রকল্প এবং ‘কিশোরগঞ্জ জেলার মিঠামইন উপজেলা সদর হতে করিমগঞ্জ উপজেলার মরিাখালি পর্যন্ত উড়াল সড়ক নির্মাণ’ প্রকল্প; নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের ‘ইস্টাব্লিশমেন্ট অব গ্লোবাল মেরিটাইম ডিসট্রেস এবং সেইফটি সিস্টেম এবং ইন্টিগ্রেটেড ম্যারিটাইম নেভিগেশন সিস্টেম -ইজিআইএনএস (৩য় সংশোধিত’ প্রকল্প; স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের দুটি প্রকল্প যথাক্রমে ‘বাংলাদেশের ২৫টি শহরে অন্তর্ভুক্তিমূলক স্যানিটেশন (জিওবি-এআইআইবি)’ প্রকল্প এবং ‘ক্লাইমেট চেঞ্জ অ্যাডাপটেড আরবান ডেভেলপমেন্ট পেইজ-২, খুলনা প্রকল্প; বিদ্যুৎ বিভাগের ‘ঘোড়াশাল ৪র্থ ইউনিট রি-পাওয়ারিং (২য় সংশোধিত)’ প্রকল্প।

একনেক সভায় পরিকল্পনা কমিশনের ভাইস চেয়ারম্যান ও পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান; কৃষি মন্ত্রী মো. আব্দুর রাজ্জাক; তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী মোহাম্মদ হাছান মাহ্মুদ; স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম; শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি; শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন; স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক; বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি; মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম; পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীরা অংশগ্রহণ করেন।

সভায় মন্ত্রিপরিষদ সচিব, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব, এসডিজির মুখ্য সমন্বয়ক, পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়সমূহের সিনিয়র সচিব ও সচিব এবং ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

ব্যয় কমানোর নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

আপডেট সময় : ০৫:০৭:৪৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ জানুয়ারী ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

দ্রুত প্রকল্পের কাজ শেষ করতে ও ব্যয় কমানোর নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, দ্রুত কাজ করেন। খরচ কম করেন। তবে খরচ বন্ধ করা যাবে না। একান্ত প্রয়োজনীয় ব্যয় করতেই হবে।

মঙ্গলবার (১৭ জানুয়ারি) জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) বৈঠকে এমন নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সন্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত বৈঠক শেষে ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান।

এসময় পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম, পরিকল্পনা সচিব সত্যজিত কর্মকারসহ পরিকল্পনা কমিশনের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, প্রকল্পের কাজ দ্রুত করতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী। একই সঙ্গে বলেছেন, কাজের মান বাড়ান এবং খরচ কমান। কিন্তু খরচ বন্ধ করবেন না। এছাড়া উৎপাদন বাড়াতে হবে। যে যেখানে, যেভাবে আছেন তাদের কাজে লাগিয়ে উৎপাদন বাড়াতে হবে।
দেশের সামষ্টিক অর্থনীতি নিয়ে একটি প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হয়েছে একনেক বৈঠকে। এ প্রসঙ্গে পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম বলেন, দেশের অর্থনীতি খুব খারাপ নয়। এক্ষেত্রে রিজার্ভ গত ১১ জানুয়ারি পর্যন্ত ৩২ বিলিয়ন ডলার ছিল। সেটি স্থিতিশীল আছে।

তিনি বলেন, রফতানি থেকে চলতি অর্থবছরের জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত এসেছে ২৭ দশমিক ৩১ বিলিয়ন ডলার। গত অর্থবছরের একই সময়ে এসেছিল ২৪ দশমিক ৬৯ বিলিয়ন ডলার। ফলে রফতানি আয় বেড়েছে ২ বিলিয়ন ডলার। এছাড়া এ অর্থবছর ১০ দশমিক ৪৯ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স এসেছে। গত অর্থবছর একই সময়ে যা ছিল ১০ দশমিক ২৯ বিলিয়ন ডলার। দেশে মূল্যস্ফীতি কমেছে। সবচেয়ে বড় কথা হলো বিশ্বমন্দার ঢেউ বাংলাদেশে লাগবে না।

প্রায় ১০ হাজার ৬৪০ কোটি ৫৮ লাখ টাকা ব্যয় সম্বলিত ১১টি প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)। এর মধ্যে সরকারি অর্থায়ন ৭ হাজার ৮২৭ কোটি ৫০ লাখ টাকা এবং বৈদেশিক অর্থায়ন ২ হাজার ৮৮০ কোটি ১৮ টাকা।

ব্যয় কমানোর নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

অনুমোদিত প্রকল্পসমূহ হলো পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের তিনটি প্রকল্প যথাক্রমে ‘চট্টগ্রাম জেলার পটিয়া উপজেলার শ্রীমাই নদীতে মাল্টিপারপাস হাইড্রোলিক এলিভেটর ড্যাম (Multipurpose Hydraulic Eleveator Dam) নির্মাণ’ প্রকল্প; ‘বরিশাল জেলার কারখান, বিঘাই এবং পায়রা নদীর ভাঙন হতে শেখ হাসিনা সেনানিবাস এলাকা রক্ষা (১ম পর্যায়)’ প্রকল্প এবং ‘ঢাকা জেলার দোহার উপজেলাধীন মাজিরচর থেকে নারিশাবাজার হয়ে মুকসুদপুর পর্যন্ত পদ্মা নদী ড্রেজিং ও বাম তীর সংরক্ষণ (১ম সংশোধিত)’ প্রকল্প; পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের ‘বাংলাদেশ জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ উপকূলীয় ছোট দ্বীপ এবং নদীর চরের জন্য অভিযোজন উদ্যোগ’ প্রকল্প; সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের তিনটি প্রকল্প যথাক্রমে ‘মাতারবাড়ী কয়লা নির্ভর বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র নির্মাণ (সওজ অংশ) (২য় সংশোধিত)’ প্রকল্প; ‘কর্ণফুলী নদীর তলদেশে বহুলেন সড়ক টানেল নির্মাণ (২য় সংশোধিত)’ প্রকল্প এবং ‘কিশোরগঞ্জ জেলার মিঠামইন উপজেলা সদর হতে করিমগঞ্জ উপজেলার মরিাখালি পর্যন্ত উড়াল সড়ক নির্মাণ’ প্রকল্প; নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের ‘ইস্টাব্লিশমেন্ট অব গ্লোবাল মেরিটাইম ডিসট্রেস এবং সেইফটি সিস্টেম এবং ইন্টিগ্রেটেড ম্যারিটাইম নেভিগেশন সিস্টেম -ইজিআইএনএস (৩য় সংশোধিত’ প্রকল্প; স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের দুটি প্রকল্প যথাক্রমে ‘বাংলাদেশের ২৫টি শহরে অন্তর্ভুক্তিমূলক স্যানিটেশন (জিওবি-এআইআইবি)’ প্রকল্প এবং ‘ক্লাইমেট চেঞ্জ অ্যাডাপটেড আরবান ডেভেলপমেন্ট পেইজ-২, খুলনা প্রকল্প; বিদ্যুৎ বিভাগের ‘ঘোড়াশাল ৪র্থ ইউনিট রি-পাওয়ারিং (২য় সংশোধিত)’ প্রকল্প।

একনেক সভায় পরিকল্পনা কমিশনের ভাইস চেয়ারম্যান ও পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান; কৃষি মন্ত্রী মো. আব্দুর রাজ্জাক; তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী মোহাম্মদ হাছান মাহ্মুদ; স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম; শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি; শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন; স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক; বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি; মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম; পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীরা অংশগ্রহণ করেন।

সভায় মন্ত্রিপরিষদ সচিব, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব, এসডিজির মুখ্য সমন্বয়ক, পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়সমূহের সিনিয়র সচিব ও সচিব এবং ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।